ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভ্যুলুশন ঘোষণা করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের পর এতগুলো দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না বলেও হুঙ্কার দেন তিনি।
বুধবার বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে কুমিল্লা পুলিশ লাইন থেকে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
হাসনাত বলেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। চব্বিশের বাংলাদেশে আগামীর স্বপ্ন কুমিল্লা থেকে যাত্রা শুরু হবে। আর আপনারা জানেন, কুমিল্লা থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী ধ্বনি সব সময় উচ্চারিত হয়েছে। আগামী ৭ দিন পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশটা ফ্যাসিবাদের অষ্টেপৃষ্ঠে শিকলে বাঁধা ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের শিকলমুক্ত করেছে ভয়হীন তরুণ প্রজন্ম। যে প্রজন্মটাকে আমরা অলস ভাবতাম, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকত, ওই প্রজন্মই দিন শেষে আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা অতীতের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে হাসনাত বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের আর্তনাদ আমরা এখনো শুনতে পাই। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই দিয়ে তাদের সুবিধাপ্রাপ্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার দোহাই চলবে না। এ দেশে অন্য কোনো দেশের দাদাগিরি চলবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, সদস্য সচিব রুবেল হোসেন, মহানগর সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস দমন এবং মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জুন কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি এয়ারগান এবং ৩টি ছুরিসহ শহীদ মিয়া নামের এক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করে।
আটক হওয়া ব্যক্তি এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি যথাযথ প্রক্রিয়ায় লালমাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিআরটিএ এবং সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সংস্থাটি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান সম্পর্কিত বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে যান চলাচলে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। মিটারের ভাড়া ইস্যুতে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধের খবর পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে চালকদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২০ হাজার ৮৯৪টি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের (১০ বছর) মধ্যে সবচেয়ে বেশি অটোরিকশা নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯টি অটোরিকশা। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৩৭টি অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসার কারণে এবার রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট–২০২৩ ব্যাচে প্রশিক্ষণরত অর্ধশতাধিক ক্যাডেট উপপরিদর্শকে (এসআই) কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার ও বৃহস্পতিবার তাদের নোটিশ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ মাঠে নাশতা নিয়ে হইচই করার কারণে সম্প্রতি একই ব্যাচের ৭০৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ২৫২ জনকে শোকজ করা হয়েছিল। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
একাডেমি সূত্র জানায়, গত সোমবার ওই ব্যাচের ১০ জন এসআইকে দ্বিতীয় দফায় শোকজ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর তৃতীয় দফায় আরও ৪৯ জনকে শোকজ করা হয়। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণরত এক এসআইকে দেওয়া শোকজ নোটিশে বলা হয়, গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চেমনি মেমোরিয়াল হলে আইনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওপর প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের ক্লাস ছিল। প্রশিক্ষণ চলাকালে পরিদর্শক পদমর্যাদার চারজন প্রশিক্ষক দেখতে পান, সিটে বসার সময় ওই এসআই শৃঙ্খলার সঙ্গে না বসে এলোমেলোভাবে বসে হইচই করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছেন। একজন প্রশিক্ষক বারবার শৃঙ্খলার সঙ্গে বসতে বললেও তিনি নির্দেশ অমান্য ও কর্ণপাত না করে বসা নিয়ে হইচই করতে থাকেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, পাঠদান চলাকালে এই এসআইয়ের ক্লাসে কোনো মনোযোগ ছিল না এবং পাশাপাশি বসে কথা বলছিলেন। এ জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একাডেমির অধ্যক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাই বিধি অনুযায়ী কেন তাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, তা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওই এসআইকে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও পুলিশ একাডেমির পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান ও অত্র ইউনিয়নে বিধি মোতাবেক প্রশাসক নিয়োগ প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্যরা। এরই প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) সকালে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া ২ নং দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে যান এবং এবং কার্যালয়ের বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন। তবে অভিযোগকারী ওয়ার্ড সদস্য কেউই ওইদিন ইউনিয়ন পরিষদে যাননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, এখানে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ইউনিয়ন সদস্যদের ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বাধা প্রদান করে।
লিখিত অভিযোগে ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মতিন, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, মোঃ আসলাম খান, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মোঃ জাহের, রোছমত আলী, নাজমুল হাসান, খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে উল্লেখ করেছেন, আমরা আদর্শ সদর উপজেলার ২নং দূর্গাপুর (উঃ) ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্য। ৫ আগষ্ট প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে অত্র ইউনিয়নের ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ও ২নং প্যানেল চেয়ারম্যান নাজমুল হাসানকে উপেক্ষা করা হয়, যাহা বিধি সম্মত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তার দায়িত্ব পাওয়ার পর হতে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পরেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম ট্যাক্স টোল বৃদ্ধি করে দেয়। বিভিন্ন সরকারি অনুদানের বিষয় আমাদেরকে অবগত না করে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন নিজের ইচ্ছামত। পরবর্তীতে আমাদেরকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। জনগণের সামনে আমাদের কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ইউনিয়নের রিলিফ বন্টনে নানা অনিয়ম করেন। নিয়মিত অফিস করেন না, ফলে জনসাধারণ বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে পরেন। উল্লেখ্য যে, ইউনিয়নের হতদরিদ্র চাউলের ডিলারশীপ তার মায়ের নামে নিয়ে নিজে পরিচালনা করেন এবং বিতরণে নানা রকম অনিয়ম করেন। এহেন অবস্থায় আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোনিয়া আক্তারের প্রতি অনাস্থা প্রদান করিলাম এবং বিধি মোতাবেক একজন প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য মহোদয়ের নিকট সদয় আবেদন করছি।
সমবায় অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার পরি পরিদর্শনের দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসেনি। ফলে আমি কথা বলতে পারিনি তাদের সাথে । তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত জানাবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, আমাদেরকে পথে পথে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে, হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা আতঙ্কে ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারিনি। বিএনপি'র একটি শক্তিশালী মহল এর যুবলীগ নেত্রী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কে এই পদে বহাল রাখতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার মুঠো ফোনে কল দিলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য জিয়া পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি নেতা মনোয়ার সরকার বলেছেন, "দেশপ্রেম, ধর্মীয় মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক যোগ্যতাসম্পন্ন সংসদ সদস্যরাই আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।"
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মনোয়ার সরকার বলেন, "বিশ্বায়নের এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ যুগে বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে থাকতে দেওয়া যাবে না। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে উন্নত, স্বনির্ভর ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই দেশ গড়ে তোলার জন্য তাঁরই সুযোগ্য সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "দেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হলে তৃণমূলের সাংগঠনিক দক্ষতা আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। এতে দল যেমন শক্তিশালী হবে, তেমনি জনগণের সঙ্গে সম্পর্কও আরও গভীর হবে।"
কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোয়ার সরকার জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক হয়রানি, মামলা, ভয়ভীতি ও পারিবারিক উদ্বেগের কারণে দেশে আসতে পারেননি। তবে দলীয় মনোবল ধরে রাখতে তিনি প্রবাসে থেকেও ডিজিটাল প্লাটফর্মে সক্রিয় ছিলেন।
তিনি বলেন, "৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমি আমার জন্মভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি। দেশে ফিরে প্রায় সাড়ে আট মাস ধরে আমি এলাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। মানুষের পাশে মানবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছি। তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।"
মনোয়ার সরকার বলেন, "শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের শিখিয়েছেন—রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণের জন্য। সেই আদর্শ নিয়েই আমি এবং আমার সহযোদ্ধারা মাঠে কাজ করছি।"
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, "ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতনের পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশের অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি লিখে না দেওয়ায় শ্বশুর ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ মে) রাতে বাউফল সদর ইউনিয়নের নকুলের হাট সংলগ্ন মিস্ত্রী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন রাতে ওই বাড়ির হীরালাল মিস্ত্রী (৬৫) ও তার স্ত্রী কিরন বালা (৬০) নিজ বাসায় টিভি দেখছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে তাদের মেয়ের জামাই ফনি ভূষণ (৩৫) ছুরি নিয়ে আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে দুইজনকে জখম করেন। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে জামাই ফনি ভূষনকে আটকে বাউফল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফনি ভূষনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হীরালালের মেয়ে শিল্পী রানী বলেন, সম্প্রতি আমার বাবা আমাকে ৮ কড়া (স্থানীয় মাপ) জমি লিখে দেন। ওই জমি আমার স্বামী ফনি ভূষণ তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করেন। বাবা এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফনি ভূষণ দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফনি ভূষণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএস
মন্তব্য করুন
গত ২৬ জুন মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয় ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এখানে বলপ্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ গেল আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া এবং ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮ ও ৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আনোয়ার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার। শুক্রবার ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা।
এদিকে গুলির শব্দ পেয়ে এবং চোরাকারবারি প্রতিহত করতে আট রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন পঞ্চগড়ে ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাও। পরে ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো বদরুদ্দোজা বলেন, সীমান্তের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাচালানের একটি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় আবারও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগের কাজে নিয়োজিত ৩ কর্মীসহ ১৯ শ্রমিক এখনো উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যেই নতুন করে আরও ৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন।
অপহৃতদের মধ্যে একজন সিএনজি চালক, একজন অটোরিকশা চালক এবং বাকিরা যাত্রী বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং থেকে বাহারছড়া শামলাপুর বাজারে যাওয়ার পথে পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাহাড়ি অপহরণ চক্রের সদস্যরা পথ আটকে তাদের তুলে নিয়ে যায়।
হ্নীলা সিএনজি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক বলেন, "হোয়াইক্যং থেকে বাহারছড়া যাওয়ার পথে ৭ জন অপহৃত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সিএনজি চালক এবং একজন অটোরিকশা চালক রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।"
অপহৃতদের উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। র্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ ও হোয়াইক্যং সিপিসি-২, টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ, বন বিভাগের শতাধিক কর্মী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, "অপহৃতদের উদ্ধারে একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চলছে।"
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চকের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কোরবান আলী (৩৫) ও তার মেয়ে কোহেলী খাতুন (১০)। কোরবান আলী বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, কোরবান আলী সকালে মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় উত্তরবঙ্গগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ অতিক্রম করার সময় কাটা পড়ে মারা যান বাবা এবং মেয়ে। পরে রেল লাইনের ওপর তাদের বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত কোরবানের ভাই ইউসুফ আলী জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাকপ্রতিবন্ধী কোরবান আলী মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করার জন্য সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন