ডেস্ক রিপোর্ট:
বর্তমানে জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, "একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।" আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল রবিবার শপথ গ্রহণের পর আজই প্রথমবারের মতো বৈঠক করে নতুন নির্বাচন কমিশন। বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “নতুন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিতি হয়েছি। এই সরকার কেন গঠিত হয়েছে, সে বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। জাতির প্রত্যাশা এবং আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের চাওয়া খুবই সাধারণ—একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।"
নতুন নির্বাচন কমিশন কী ধরনের চ্যালেঞ্জ অনুভব করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, "আমরা কমিশন সমন্বিতভাবে মনে করি, চ্যালেঞ্জের চেয়েও এটি একটি সুযোগ। চ্যালেঞ্জ অবশ্যই থাকবে, তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করাই আমাদের কাজ।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা এটাকে সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছি কারণ জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নে এসে দাঁড়িয়েছে। এখানে আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই, কেবল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন ছাড়া। আর আমরা সেই ব্যক্তিরা, যাদের আল্লাহ এখানে নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন এই প্রত্যাশা পূরণের জন্য। আমরা আত্মবিশ্বাসী, আমরা এটি পূরণ করতে সক্ষম হব। আমরা এর জন্য ওয়াদাবদ্ধ।"
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ভারতীয় মিডিয়া ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও প্রফেসর ইউনূসকে বিশ্বে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে বিপুল অর্থের বিনিময়ে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে, যাতে ভারতীয় মিডিয়া জড়িত রয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আয়োজিত দ্রোহের গ্রাফিতি প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, "যে যেখানে আছেন, সবাই শান্ত থাকুন। তবে ফ্যাসিবাদী সরকার যাতে ফিরে আসতে না পারে, সে জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "স্বৈরাচারী সরকার যাতে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকার যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে, সে বিষয়ে গ্রাফিতির মাধ্যমে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।"
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।
গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং অন্যান্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পিডি পুল করতে হবে। চিকিৎসকেরা যদি পিডি হন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের জন্য নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই। আগের মতো সুতা লাগানো ঋণ নেওয়া হয় না। কারণ, ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে এসব থাকলে আমরা সেই ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
চারদিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের বিশেষ একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সফরের বিষয়ে জানা গেছে, ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চীন সফর করবেন তিনি। ২৬ মার্চ (বুধবার) দুপুরে চীনের পাঠানো একটি উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে রওনা হবেন।
২৭ মার্চ দেশটির হাইনান প্রদেশে আয়োজিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. ইউনূস। সম্মেলনের উদ্বোধনী প্লেনারি সেশনে বক্তব্য দেবেন তিনি।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রিমিয়ার দিং ঝুঝিয়াংয়ের বৈঠক হতে পারে।
২৮ মার্চ বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। একই দিনে হুয়াওয়ে কোম্পানির উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন এন্টারপ্রাইজ পরিদর্শন করবেন তিনি।
২৯ মার্চ চীনের বিখ্যাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। পরে বেইজিং থেকে চীনের একটি বিমানে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফরে ছয় থেকে আটটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি এ সফরে চারটি ঘোষণা আসতে পারে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশকে এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেবে চীন। এছাড়া মোংলা বন্দরের আধুকিয়ানে অর্থায়নের বিষয়টিও যুক্ত থাকবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মীরা কাজে যোগ না দিলে বিকল্প জনবল নিয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ কারো কোনো নাশকতা বরদাশত করা হবে না। আজ রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
সম্প্রতি কয়েক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত ও আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশের কয়েক জেলায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) নেতা কর্মীরা। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েন পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন গ্রাহকেরা। এই ঘটনার পর পবিসের কয়েক নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় সমিতির কর্মীরা কাজ না করে আন্দোলনের ডাক দেয়। এসব প্রেক্ষাপটে এই কথা বলেন উপদেষ্টা
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও আরইবি একীভূত করা, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকারের সব জায়গায় আউটসোর্স করা কর্মী আছে। এসব দাবি রাতারাতি মেনে নেওয়ার মত নয়। অর্থনৈতিক বিষয় আছে।’
বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে পারে না আইনত। অনেকেই সরকারকে দুর্বল ভাবছে। তাই যখন-তখন দাবি তুলছে। আসলে তা নয়। বহু মানুষের প্রাণের বিনিময়ে এ সরকার এসেছে, তাই মানুষের সমর্থন আছে।’
সাবস্টেশন বা বিদ্যুতের লাইন কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা কাজ না করলে বিকল্প জনবল দিয়ে সরবরাহ অব্যাহত রাখা হবে। সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। বিদ্যুৎ বন্ধ করা বেআইনি ও অন্যায়। আশা করব, তারা এসব কাজ থেকে সরে আসবে।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে দুর্নীতিবাজরা নেই। ফলে এবারের কোরবানির গরুর দাম কম বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই, আর দুর্নীতিবাজরাও নেই বলেই অনেকের হাতে গরু কেনার মতো অর্থ নেই। এ ছাড়া গরুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানির পশুর বাজারে দামও কিছুটা কমেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় উপদেষ্টা হাটের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি হাটে আসা ক্রেতা, বিক্রেতা এবং সেবা–সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণে আছে। সবাই সহযোগিতা করলে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আরও স্বস্তিদায়ক হবে।
ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিটের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ এলে অবশ্যই তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন সীমিত আকারে হলেও ভোটিং সিস্টেমে প্রবাসীদের আনার লক্ষ্যের কথা। তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশে আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং আছে। অনেক দেশে এটি শুরু করেও পারেনি নানা সমস্যার কারণে। পাশের দেশ ভারতও এখনও এটি চালু করতে পারেনি। আমরা এটি চালু করতে চাই। সীমিত পরিসরে শুরুটা অন্তত হোক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এক সেমিনারের শুরুতে তিনি এসব কথা জানান।
আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের ওয়াদা জানিয়ে সিইসি জানায়, এটা আমাদের কাছে সবার দাবিও। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও শিক্ষা- সবকিছু পর্যালোচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো। রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন না দিলে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হবে না। মানুষের আস্থা যেন থাকে, কম খরচে যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই পদ্ধতিতে বেছে নিতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট চালু করতে চাই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রবাসী ভোটাররা কোনোদিনই ভোট দিতে পারেননি। প্রবাসী ভোটাররা আমাদের মোট ভোটারদের ১০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য প্রবাসী ভোটারদের ভোটিং সিস্টেমে আনা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার আমাদের প্রয়োজন আছে। ১০ শতাংশ ভোটারদের মতামতবিহীন ভোট, কিছুটা খণ্ডিত মতামত।
১৭৮ দেশের মধ্যে ১১৫টির প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন উল্লেখ করে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ২০ শতাংশ দেশে সেই দেশের প্রবাসীরা দেশীয় ভোটারদের তুলনায় বেশি ভোট দেন। এসব দেশে প্রবাসী ভোটাররা কেবল জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
এসময় তিনি প্রবাসী ভোটিং সিস্টেম তৈরির প্রস্তুতিসমূহ বর্ণনা করেন।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঞ্চালনয়ে সেমিনারে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের কাস্ট হারে প্রভাব পড়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।
মন্তব্য করুন
জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যুতে রাজনীতি কোনওভাবে প্রবেশ করবে না। যারা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে পণ্য সরবরাহ করবে, দ্রুত সরবরাহ করবে এবং মানসম্মত পণ্য দেবে, তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা হবে। সেটা ভারত বা অন্য কোনো দেশ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আগামী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
তিনি জানান, ভারত থেকে চাল আমদানি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। তবে ভারত, মিয়ানমার এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে আলোচনা চলছে, এবং এসব বিষয়ে রাজনীতি কোনওভাবেই সংযুক্ত হবে না।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "হ্যাঁ, দাম স্বস্তি থাকবে। খেজুরের এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) হয়ে গেছে, এবং খেজুর চলে আসবে।"
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "যে স্থিতিশীলতা আশা করা হচ্ছে, তা পূর্ণভাবে আসেনি, তবে দাম কিছুটা কমছে। বর্তমানে চাল ও মসুর ডাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো খাদ্যদ্রব্য, এবং এর আগেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।"
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতের দামের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সয়াবিন তেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে, এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করছি, এবং ইতোমধ্যে কিছু সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে। আমরা সব ধরনের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছি। তাই একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।"
পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনীতিবিদ বলেছেন যে, বাংলাদেশে কিছু রপ্তানি করা হবে না। সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এটা কূটনীতিকরা দেখবেন। ভারতে যখন অতিরিক্ত চাল বা পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়, তখন তারা কোথায় বিক্রি করবে, তা তারাই ঠিক করবেন।"
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, "সাপ্লাই চেইনে অনেক বিষয় জড়িত। অনেক মানুষ যুক্ত থাকে, পরিবহন, বাজার ইত্যাদি বিষয়গুলো ঠিক না হলে তো পণ্য গুদামে পড়ে থাকবে, তবে তা তো ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে হবে।"
বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, এমন তথ্য দেওয়া হলে তিনি বলেন, "এটা একটু সমস্যা হয়েছে। সয়াবিন তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়ে গেছে।"
সিন্ডিকেটের বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "সিন্ডিকেট এক জায়গায় থাকে না। চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট, পরিবহণ সিন্ডিকেট, রাজনৈতিক সিন্ডিকেট—সবই রয়েছে। আমি সবসময় বলি, রাজনৈতিক সমঝোতা করা খুব কঠিন, কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা করা অনেক সহজ।"
ট্যাক্স কমানোর পরও প্রভাব পড়ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এটাই আমার জন্য চিন্তার বিষয়। আমি তো সবকিছুর ওপর শুল্ক শূন্য করে দিয়েছি, তবে তাতে সঠিক ফল পাচ্ছি না।"
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি. আর. আবরার)। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও কার্যালয় বঙ্গভবনে তাকে উপদেষ্টা হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নবনিযুক্ত এই উপদেষ্টা শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এতদিন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের পর তিনি শুধু পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। নতুন একজন উপদেষ্টা যুক্ত হওয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ জন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ওই দিনই মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়। পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় ১৬ জন উপদেষ্টা নিয়োগ পান। তবে ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওই দিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন। এরপর আরও চারজন উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর তিনজন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা যান। সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেন। এরপর সরকারে প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়ায় ২২ জন।
মন্তব্য করুন