ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে এক বিএনপি কর্মিকে গুলির পর জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজন ও পুলিশ এই হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সুজায়েতপুর গ্রামের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কবির হোসেন ওরফে ছালি কবির (৩৫) একই ইউনিয়নের সুজায়েতপুর গ্রামের মৃত নুরনবীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছালি কবির স্থানীয় বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন সক্রিয় কর্মি ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর কবির এলাকায় আসেন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। শুক্রবার দুপুরে তিনি বাড়ির পাশের সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের জুমার নামাজ পড়তে যান। ইমামের পেছনে জুমার ফরজ নামাজ আদায় করেই তিনি মসজিদ থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। ওই সময় মুখোশপরা ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে সুজায়েতপুর পূর্ব জামে মসজিদের সামনে আসেন। এক পর্যায়ে ছালি কবির মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোঁড়েন। এতে কবির মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তার বাম পায়ের রগ কেটে, গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.আব্দুল্লাহ্-আল-ফারুক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার কারণ জানাতে পারব।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ডাম্পট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান, যিনি পেকুয়ার ধনিয়াকাটার ছৈয়দ আলমের ছেলে; চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন এবং তাদের শিশু সন্তান। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি এলাকায় মিনি ট্রাক (ডাম্পট্রাক) ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন আহত হন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল নেছার উদ্দিন নিশান (১৫) নামে এক কিশোরের।
সে উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের চিলপাড়া গ্রামের মৃত. আবদুল বারেকের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দুপুরে উপজেলার কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো: আবুল হাশেম সবুজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিশান কনকাপৈত বাজারের বাংলাদেশ স্টীল ওয়ার্কশপে গত ৫ বছর ধরে কাজ করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী একটি অটো রিক্সা রিফেয়ারিং এর কাজ করছিলেন। এ সময় নিশান মালিকের পিছনের দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিলেন। হঠাৎ করে সে মাটিতে আছড়ে পড়ে। এ সময় ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ার্কশপের মালিক ইয়াকুব মিয়াজী বলেন, নিশান আমার দোকানে গত ৫ বছর ধরে কাজ শিখছিলেন। সোমবার দুপুরে আমি একটি অটো রিক্সায় ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে রিফারিং এর কাজ করছিলাম। সে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করে সে মাটিতে লুটে পড়ে গেলে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাশেম সবুজ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট কিশোর নিশান মৃত্যু বরণ করে। ইসিজি রিপোর্টে দেখা যায় সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা গেছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতের অভ্যন্তরে মারা যাওয়া রিজাউল করিমের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
রেজাউল করিম শেরপুর জেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে। তিনি ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্বল্পমূল্যে ওষুধ আনার জন্য ওই দিন ভারতের প্রবেশ করার পর রাত ৯টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ পায় স্থানীয়রা। এরপর রেজাউল করিম আর ফেরত আসেনি।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিজিবির নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধীনস্থ মুন্সিপাড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দীগলবাঘ এলাকার সীমান্ত পিলারের নিকট দিয়ে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক কাঁটাতার দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে। এসময় ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের দমদমা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ছয়জন পালাতে সক্ষম হলেও একজন সেখানে একটি কালভার্ট হতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে কালভার্টের পানিতে তলিয়ে যায়।
সূত্র থেকে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিক বিএসএফ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ভারতে মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) এর অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপির বিপরীতে ২০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বাগমারা এলসি দিয়ে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মাধ্যমে মৃত রিজাউলের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মরদেহটি হস্তান্তর করে।
রিজাউলের লাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশে পুনরায় সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
১ কোটি টাকা অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে আওয়ামী দোসরদের নিয়ে কুমিল্লা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে এখনো আওয়ামী দোসররা বসে আছে। তাই এ কমিটিও দোসরমুক্ত হয়নি।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে কুমিল্লা সদরের আলেখারচর বিশ্বরোড এলাকার মেডিসিন কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সদ্য ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি মোরশেদুল হক খোকন।
লিখিত বক্তব্যে খোকন আরো বলেন, সম্প্রতি আওয়ামী দোসরদের একটি অংশ তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন- কুমিল্লায় দুই ব্যক্তির কাছে ঔষধ ব্যবসায়ীরা জিম্মি ।
প্রকৃতপক্ষে চিত্রটা ভিন্ন। সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। তারা যাচাই-বাছাই করে মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমাদের কোন হাত নেই। কারণ এখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রয়েছে, রয়েছে প্রশাসন। তাই এখানে অন্য কেউ চাইলেও কাউকে আসামি করতে পারবে না। ফলে তাদের এই অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আওয়ামী দোসররা মেডিসিন ব্যবসায়ী শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। প্রকৃতপক্ষে তারাই অবৈধ মেডিসিন ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসাও করছেন। বিভিন্ন সময় অবৈধ মেডিসিন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে। মূলত সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আটজন আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা, সভা- সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন। বিভিন্ন এমপি সাথে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদের ছবি রয়েছে। সেই অপবাদ ঢাকার জন্য তারা এখন শিল্পী ও রুবেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। যা নিন্দনীয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সভাপতি পদে থাকা মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার সাথে কুমিল্লা সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনা সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপালের জনসভা এবং স্থানীয় সাবেক কুসিক কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের সুসম্পর্ক ছিল। তাদের সাথে মো: আব্দুল আলীম ভূইয়ার উপস্থিতির ছবি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে রেইসকোর্সে অবস্থিত গ্লাক্সো ফার্মাসিটিক্যালস এর ২০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ও ১৭ বছর আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ও আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতাকারি আব্দুল আলীম।”
এই কমিটির সিনিয়র সভাপতি মো: নুরুল আলম চৌধুরীর ( নোমান) মা নাজমা আক্তার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কমিটির সহ-সভাপতি মেসার্স লাবোনি মেডিকেল হলের মালিক এ.কে.এম মোস্তাফিজুর রহমান (শাহজাহান) আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন। এছাড়া তিনি সদরের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী বাহার ও চান্দিনার সাবেক সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল , সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ পাভেলের কাছের মানুষ ছিলেন। এই কমিটির সদস্য মেসার্স নিউ গ্রিণ ফার্মেসীর মালিক এনায়েত উল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালিন কমিটিতে সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে উপদেষ্টা পদ পান তিনি। কমিটির সদস্য মেসার্স নাড়িখান মেডিকেল হলের মালিক মো: শামীম আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন।
সদস্য মেসার্স নিউ মেডিকেল হলের মালিক বাবু ধনঞ্জয় কুমার দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদের রাজনীতিতে অর্থ যোগান দিতেন বলে জানা গেছে। সদস্য মেসার্স যমুনা মেডিকেল হলের মালিক নিখীল চন্দ্র দত্ত আওয়ামী সমর্থক ছিলেন এবং সদস্য মেসার্স রিয়া মেডিকেল হলের মালিক প্রহল্লাদ চন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে মেডিসিন ব্যবসায় নানা অনিয়ম করেছে।
আওয়ামী দোসর, অর্থ যোগানদাতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা নিন্দনীয়। এই ঘটনা ২৪ এর আন্দোলন কে কলঙ্কিত করেছে। আমরা চাই অতিসত্বর এই দোসরদের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক শিল্পী ও রুবেল সহ আরো অনেকে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মেডিসিন কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু চিকিৎসা ও ব্যবসার জন্য চীনে অবস্থান করেছিলেন। গত ১৮ জুলাই থেকে তিনি চীনে অবস্থান করছেন। এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের লোকজনের হুমকি-ধমকির জন্য এলাকায় সব সময় অবস্থান করতে পারেননি এই ইউপি চেয়ারম্যান। অথচ তাকে ৫ আগষ্ট সকাল ১০ টায় উপজেলার নিউ মার্কেট চত্ত্বরের মারধরের একটি মামলায় ৮১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। চীনে অবস্থান করে কিভাবে মারধরের মামলার আসামি হলেন , এ বিষয়টি বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এলাকায়।
দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ির মো: নাজমুল হক বাদি হয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দেবিদ্বার উপজেলায় আওয়ামী লীগের মত বিএনপির মধ্যেও গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগে যেমন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও আবুল কালাম আজাদের দুই গ্রুপ ছিল, তেমনি বিএনপিতেও সাবেক সংসদ সদস্য মনজুরুল আহসান মুন্সি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারেক মুন্সির আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের একটা অংশ অপর অংশকে বিপদে ফেলার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে সর্ম্পক উন্নয়ন করে বিভিন্ন মামলায় নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে কোন প্রকার সংঘর্ষে না থেকেও মামলার আসামি হচ্ছেন অনেকে। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগির ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি আজাদের ভাই মামুনের পক্ষে কাজ না করায় প্রতিপক্ষের হুমকি-ধমকির ফলে ইউপি কার্যালয়েও যেতে পারতেন না চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মিঠু। চেয়ারম্যান মিঠুর বসতজমিতে হামলা-ভাংচুর হয়েছে। তাঁর জমি দখলের পায়তারাও হচ্ছে। যার ফলে বছরজুড়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই চেয়ারম্যান। ফলে জুলাই মাসে অসুস্থ্য হয়ে চীনে যান চেয়ারম্যান মিঠু। সেখানেই বর্তমানে অবস্থান করছেন। সেই চীনে থেকে রাজনৈতিক কারনে মামলার আসামি হয়েছেন চেয়ারম্যান মিঠু।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদি মো: নাজমুল হকের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এই বিষয়ে ধামতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান, আমি বেশ কয়েক মাস ধরে অসুস্থ্য। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। আমাকে অন্যায়ভাবেই মামলার আসামি করা হয়েছে। আশা করি প্রশাসন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান করবেন।
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরসহ সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাজীপুর জেলায় ৬৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে গাজীপুর জেলার ৫টি থানায় ৪০ জন এবং মহানগরীর ৭টি থানায় ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক জানান, শ্রীপুর, কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর ও জয়দেবপুর থানায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
অন্যদিকে, গাজীপুর মহানগরীর ৮টি থানার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব ও পূবাইল থানায় একজন করে মোট ২ জন, গাছা থানায় ৫ জন, বাসন থানায় ৮ জন, কোনাবাড়ি থানায় ২ জন, সদর থানায় ৪ জন এবং কাশিমপুর থানায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গাজীপুরের উপ-কমিশনার (উত্তর) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রোববার আরও ২৫ জনের আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্চিতের একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুছ সরকার অভিযুক্তদের গ্রেফতারে বিবৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বলেছেন কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানা সূত্রেও জানা যায়, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ১টি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার দুপুরে স্থানীয় বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পড়ায় স্থানীয় প্রবাসী আবুল হাশেমসহ এলাকাবাসী।
এসময় স্থানীয়দের বলতে শোনা যায়, আব্দুল হাই কানুর কারণে তারা গত ১৫ বছর এলাকায় থাকতে পারেনি।
২০১৬ সালের আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানা হত্যার প্রতিবাদে এবং কানু ও তার ছেলে বিপ্লবকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে স্থানীয় আ’লীগ সমাবেশ করে।
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, আব্দুল হাই কানুর কারণে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীরাও এলাকাছাড়া।
সোমবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় জসিম উদ্দিন বলেন, আবদুল হাই কানুর সাথে আ’লীগ ব্যতিত আর কোন রাজনৈতিক দ্বন্ধ নেই।
ভাইরাল ভিডিওটি রাজনৈতিক নয়। এলাকার ভুক্তভোগীরা ঘটনা করেছে। এসময় আমিও সাথে ছিলাম। হত্যাকান্ডের শিকার রানা হত্যা মামলায় ১নং আসামী কানু। আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন হত্যার ঘটনাও অন্যতম নির্দেশদাতা কানু মেম্বার। কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী এক প্রার্থী আবদুল হালিম মজুমদারকে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। ঐ নির্বাচনে আমাকেও লাঞ্চিত করে।
স্থানীয় ট্রাক্টর চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক দ্বন্ধে এ ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পৃক্ততা নাই। গত ২০১৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রানাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে কানু মেম্বার। ঐদিন আমি নিজেও গুলির শব্দে ব্রীজ থেকে লাফ দিয়ে আহত হই। কানু মেম্বার আমার চাচা নুরুল ইসলাম মিনারকে রাতের আধাঁরে মারধর করে।
আবদুল হালিম মজুমদারের ভাই আবদুর রহমান (৮০) বলেন, কানু আমার ভাইকে বিদ্যালয়ের নির্বাচনের সময়ে লাথি মেরে পুকুরে ফেলে দেয়। আ’লীগ সরকারের সময়ে আমার ভাইয়ের থেকে ২৬লাখ টাকা চাঁদাবাজী করে। এমনকি আমার ঘর নির্মাণের সময় আমার থেকেও ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের দ্বন্ধেই রবিবার দুপুরে কানুকে আটক করে এলাকাবাসী।
সাবেক ইউপি মেম্বার ও অবঃ সেনাসদস্য আবদুল হক বলেন, কানু এই এলাকায় গত ১৭ বছরে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করেছে। একাধিক হত্যা, বাড়িঘর ভাংচুর এবং চাঁদাবাজীর সাথেও সে জড়িত। স্থানীয়রা পূর্বের ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বেলাল হোসাইন বলেন, আ’লীগ নেতা আব্দুল হাই কানু হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। পূর্বের বিভিন্ন বিরোধ থেকে এলাকাবাসী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে রাজনৈতিক কোন সম্পৃক্ততা নাই। এমনটি ভাইরাল ভিডিওকে উল্লেখিত ব্যক্তিগত জামায়াতের কোন পদ-পদবীতে নাই।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে বলেন, আব্দুল হাই কানুর বিরুদ্ধে ৮-৯টি মামলার বিষয়ে পুরনো অপারেটরের মাধ্যমে জেনেছি। তবে আমার কাছে একটি হত্যা মামলা এবং একটি ভাংচুরের মামলার তথ্য রয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিতের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি আমরা। পরিবার থেকে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় একটা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, সকলের সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি যদি কোন অপরাধ করে থাকেন আইন অনুযায়ী বিচার হবে। অপরাধীকে জুতার মালা পড়ানো সম্মানহানীর কোন সুযোগ আইনে নাই।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চকের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কোরবান আলী (৩৫) ও তার মেয়ে কোহেলী খাতুন (১০)। কোরবান আলী বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, কোরবান আলী সকালে মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় উত্তরবঙ্গগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ অতিক্রম করার সময় কাটা পড়ে মারা যান বাবা এবং মেয়ে। পরে রেল লাইনের ওপর তাদের বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত কোরবানের ভাই ইউসুফ আলী জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাকপ্রতিবন্ধী কোরবান আলী মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করার জন্য সান্তাহার রেলওয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা, বাবা ও মেয়েসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন, ওই এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. সালাম (৪০), তার স্ত্রী রুপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে সাবা খাতুন (১৩)। এ ঘটনায় তার ভাতিজা সিয়াম (১৩) আহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সজীব উদ্দিন স্বাধীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রুপা খাতুন বিকেল ৪টার দিকে ঘরঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এ সময় ঘরে ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান স্বামী মো. সালাম ও তার মেয়ে সাবা। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা ৩ জন ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা সালামের ভাতিজাও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হন।
মৃত সালামের চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলাম জানান, সালামের শহরের জেলখানা মোড়ে ফটোকপির দোকান রয়েছে। দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় ঘরের ভেতর পরিবারের সবাই অবস্থান করছিলেন। একদিন আগে বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সজীব উদ্দিন স্বাধীন বলেন, তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য সোহেল জানান, তিনজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান, তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন কিনা প্রাথমিকভাবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার (ওসি) তদন্ত দিপেন্দ্রনাথ জানান, মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্থ ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ বীর-এর আওতায় কুমিল্লা সদর উপজেলার রাণীরবাজার এলাকায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের চার সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৩ গজ ইউনিফর্ম কাপড়সহ বিভিন্ন অবৈধ ও সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান শেষে আটককৃতদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উদ্ধারকৃত মালামালসমূহ হল, ইয়াবা ৭৮ পিস, মোবাইল ফোন ৯ টি,পাওয়ার ব্যাংক ১ টি, চাপাতি ১ টি, কুড়াল ১ টি, বড় ছুরি ১ টি
কাঁচি ২ টি, কাটিং প্লাস ১ টি, সিসিটিভি ডিভিআর ১ টি, সেলাই রেঞ্জ ১ টি, বাটুল (লোহার বস্তু) ১ টি, স্ক্রু ড্রাইভার ২ টি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম ও ছুরি ১ টি এবং
সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় ৩ গজ।
আটককৃত গ্যাং সদস্যরা হলেন, কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার দিলীপ চন্দ্র শীলের ছেলে চয়ন চন্দ্র শীল, সদরের দুর্গাপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর এলাকার হানিফের ছেলে মোহাম্মদ ফরিদ, দেবিদার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন
এবং একই গ্রামের কবির উদ্দিনের ছেলে তুহিন।
উদ্ধারকৃত সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম কাপড় একটি স্পর্শকাতর নিরাপত্তাজনক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এই ধরনের তৎপরতা ভবিষ্যতে বড় ধরণের নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
৩৩ পদাতিক ডিভিশনের ২৩ বীর-এর এমন সঠিক ও কৌশলী অভিযানে এলাকাবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন