পাপন ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ২৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

পাপন ও তার পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, ২৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
ছবি: সংগৃহীত




বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, তার স্ত্রী রোকসানা হাসান, মেয়ে সুনেয়া রহমান ও রুশমিলা রহমান, ছেলে রাফসান হাসান এবং জামাতা রাকীন আল-মাহমুদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও, তাদের নামে থাকা ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা রয়েছে।


রোববার (১৬ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।


দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে বলা হয়, নাজমুল হাসান পাপন ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নাজমুল হাসান পাপন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।


দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন এবং তার পরিবারের আরও ৫ সদস্যের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
ছবি: সংগৃহীত



বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে-এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে জানান পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।


আজ সোমবার সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।


উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে-এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। 


তিনি বলেন, দূষণ রোধে পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করবো। নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।


তিনি আরও বলেন, ঢাকার আশেপাশে নো ব্রিক ফিল্ড জোন ঘোষণা করা হবে। ধূলা দূষণ কমানোর মাধ্যমে এবছর নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করবো। বায়ু দূষণ কমাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করতে হবে। শীতকালের আগে (অক্টোবরের মধ্যে) ভাঙাচুরা রাস্তা সংস্কার হবে। চীনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করবে সরকার। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

প্রধান উপদেষ্টা-তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে: রিজভী

প্রধান উপদেষ্টা-তারেক রহমানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে।  বিশ্বাস করি এটি হবে ঐতিহাসিক বৈঠক এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে।  


বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 


তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বিএনপি। যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনসহ সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।


প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের প্রতি ভয়ংকর বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে। বিদেশী তকমা দিয়ে প্রতিদিন পুশইন হচ্ছে। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগানোর প্রচেষ্টা। সীমান্ত এলাকায় পুশইনের হিড়িক লেগেছে। বাংলাদেশ কি বর্জ্য ফেলার স্থান, প্রশ্ন রাখেন তিনি।


দেশের লোককে বিদেশী বানিয়ে ভারত বাংলাদেশে পুশইন করতে চাইলে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ। ভারতকে মনে রাখতে হবে অত্যাচার-নিপীড়ন করে শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারেনি।


সম্প্রতি করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভারতে এরই মধ্যে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে একজন মারাও গেছে। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত করনীয় নির্ধারণ করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। সুরক্ষার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন রিজভী। 


‘পাশাপাশি ডেঙ্গুও মারাত্মক রূপ নিয়েছে, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। এর জন্য সরকারের সঙ্গে জনগণকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বা জানান।’


ঈদযাত্রা ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৭ জন মৃত্যুর সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনা বেড়েছে। এছাড়াও ঈদে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্মও ছিল। ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন আনন্দের ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতির অবনতি দেখা গেছে। প্রশাসন আরও তৎপর হলে তা কমানো সম্ভব হতো।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘ


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।

বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।

এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।

এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে: উপদেষ্টা

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত



বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।


আজ সোমবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনদিনের আলোচনা শেষে দেশে ফিরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক এবং যথেষ্ট এনগেজিং (সন্তুষ্টজনক) ছিল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।


তিনি বলেন, তিনদিন খুবই এনগেজ (ব্যস্ত) সময় কাটিয়েছি। দুই দেশের শুল্ক সমঝোতায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুন্দর সুন্দর কিছু পরামর্শ আমরা পেয়েছি সেখানে। সেগুলো কাজে লাগাবো।


তবে সুনির্দিষ্ট কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বা কোন কোন বিষয়ে দুই দেশ একমত কিংবা দ্বিমত পোষণ করেছে- সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা ‘নন-ডিসক্লোজেবল ইস্যু’ বলে অনেক বিষয় এড়িয়ে যান।


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে, আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শূন্য’৷


১ আগস্ট থেকে পাল্টা শুল্ক পুনঃআরোপিত নাকি নতুন শুল্কহার পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে। কারণ আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করছে। ২০১৫ সাল থেকে শুল্ক-কর পরিশোধ করেই সেটা করছি। আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এ ব্যবসা করছে এবং তুলনামূলকভাবে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈষম্যের শুল্ক না হলে আমরা সেটা করে যাবো।


চীনের সঙ্গে ব্যবসা নিরুৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো শর্ত দিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা এর কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, আমরা নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব এখন দেবো না।


তিনি বলেন, তিনদিনের দ্বিতীয় রাউন্ডের বৈঠক শেষে আমরা এখন তৃতীয় রাউন্ডের বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিতে ফিরে এসেছি। দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ বৈঠক করেছি। এছাড়া কিছু আন্তঃমন্ত্রণালয়ে আলোচনার বিষয় রয়েছে। সেগুলো শেষ করে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি আবারও আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবো।


‘আমরা আশা করছি, আমাদের যেন একটা ভালো আউটকাম আসে, সেজন্য সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ যোগ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সর্বশেষ তিনদিনের নেগোসিয়েশনে আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়ে কাজ করেছি। আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন আমাদের বড় শুল্কের আঘাত না আসে। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।


গত ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক পুনঃআরোপিত হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ৯-১১ জুলাই তিনদিনের বৈঠক হয়। এরপর রোববার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিল বাণিজ্য সচিবসহ একটি প্রতিনিধিদল।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

সরকারের উদ্দেশ্য সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সরকারের উদ্দেশ্য সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনই হলো প্রকৃত সরকার।" তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও মনোযোগী হতে হবে।


সভায় তিনি আরও জানান, পুলিশের যেসব সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি, নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিশ্চিত করার নির্দেশও প্রদান করেন তিনি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

১৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি

১৩৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করেনি
ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।


এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এবার পাসের হারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে।


ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সেই হিসাবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।


অন্যদিকে, এবার মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।


চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।


৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে কমিশন: সিইসি

নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে কমিশন: সিইসি
ছবি: সংগৃহীত




প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর অপব্যবহার একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি একে আধুনিক হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।


শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।


ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে কমিশনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং তাদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা। বিশেষ করে নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে কমিশন।

 

এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা বা জালিয়াতির সুযোগ যাতে তৈরি না হয়, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। রাতের আঁধারে কোনো কার্যক্রম নয়, দিনের আলোতেই সব কিছু করতে চাই। যাতে করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। আমরা জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই। তা না পারলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।


সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

নির্বাচন হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর

নির্বাচন হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে: সেনাসদর
ছবি: সংগৃহীত



দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে।


বুধবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সদর দফতর আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান।


তিনি বলেন, দেশের জনগণের মতো সেনাবাহিনীও চায় সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে রূপরেখার মধ্যে সময়সীমাও দেওয়া আছে। আমরা আশা করি নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে এবং সেনাবাহিনী তখন সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে আছি।


লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান আরও বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত নির্বাচনের যেটুকু রূপরেখা প্রনয়ণ করেছে সেটার উপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনী যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আমাদের যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত আকারে চলছে তারমধ্য নির্বাচনের সময় আমাদের কী করণীয় সেটাকে ফোকাসে রেখেই প্রশিক্ষণ করছি।


তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের সঙ্গে একটি বিষয় সম্পর্কিত তা হলো শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। আমরা বলে থাকি 'উই ট্রেইন এজ উই ফাইট'।


গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বাইরে আছে উল্লেখ করে সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বা তার কিছুটা পরেও যদি বাইরে থাকতে হয় তাহলে আরও কিছুদিন বাইরে থাকতে হবে। এতে করে আমাদের প্রশিক্ষণ বিঘ্নিত হচ্ছে।


লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুর রহমান বলেন, এর পাশাপাশি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গত ১৫ মাস যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে সেনাবাহিনী; এটা সহজ পরিস্থিতি ছিল না। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশ প্রতিদিন ফেস করেনি। এজন্য আমরাও চায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারি।


গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহয়তায় নিয়জিত আছে এবং অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। এই ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে বলেও উল্লেখ করেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ৫ দিনের রিমান্ডে

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ৫ দিনের রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 


আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।


এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর জুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আনিসুলকে গ্রেফতারসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। 


অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের উপপরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুলের পাঁচদিন ও অপর দুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


হত্যা মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।


হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদী নিজে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। 


এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা রাষ্ট্রকে তার অংশীদার বানাব, বাধা নয়। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং সুরক্ষা থাকবে। যা যেকোনো পিতা-মাতা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন।


শনিবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রতি বছর ১১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। দিনটি বিশ্বজুড়ে কন্যাশিশুদের অধিকার, স্বপ্ন ও নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়। জাতিসংঘের নির্ধারিত ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘দ্য গার্ল আইএম, দ্য চেঞ্জ আই লিড : গার্ল অন দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্রাইসিস।’ 


আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে তারেক রহমানের দেওয়া স্ট্যাটাসটি নিচে তুলে ধরা হলো।


আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার, মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার উদযাপন করি। একজন কন্যার বাবা হিসেবে আমি জানি যে, মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতি নয়- এটি ব্যক্তিগত। বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং সুরক্ষা থাকবে। যা যেকোনো পিতা-মাতা তাদের নিজের সন্তানের জন্য কামনা করেন।


বিএনপি সরকারের রয়েছে জীবন পরিবর্তনের এক ঐতিহ্য এবং সুযোগ পেলে আমরা আরো বেশি কিছু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দেখেছি কিভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধিকে একটি শিল্পের চেয়েও বেশি কিছুতে পরিণত করেছিলেন। এটি আশায় পরিণত হয়েছিল। লাখ লাখ নারী কাজে প্রবেশ করেছিলেন। আয়, সম্মান এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন।


তার নেতৃত্বে, বাংলাদেশজুড়ে মেয়েশিশু এবং নারীদের জীবনের উন্নতিকে প্রতিষ্ঠিত করার একক উদ্দেশ্য নিয়ে ‘মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ তৈরি করা হয়েছিল।


প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা বিশেষ সুবিধা নয়, বরং একটি অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বিনা মূল্যে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং ‘শিক্ষার জন্য খাদ্য, শিক্ষার জন্য নগদ’ কর্মসূচি লাখ লাখ মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে সাহায্য করেছিল, পারিবারিক ভাগ্য পরিবর্তন করেছিল, শক্তিশালী সম্প্রদায় গড়ে তুলেছিল, ক্ষমতায়িত নারীদের একটি প্রজন্ম তৈরি করেছিল।


তার পথপ্রদর্শক উদ্যোগ ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’ আমাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করে এবং বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনে। এই প্রকল্প পরবর্তী সময়ে কন্যাশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের এক বৈশ্বিক আদর্শে পরিণত হয়, যা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও অনুসরণ করা হয়েছে। এই সাহসী পদক্ষেপগুলো দেখায়, যা প্রমাণ করে যে যখন প্রশাসন মেয়েদের মর্যাদাকে সম্মান করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে তখন কী সম্ভব। এগুলো সাহসী পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত, যা প্রমাণ করে- যখন কোনো সরকার কন্যাশিশুদের মর্যাদা রক্ষা করে এবং তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ করে, তখন কত কিছুই সম্ভব হয়ে ওঠে।


বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতিমালা সম্মান এবং বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে, যার মাধ্যমে:


১. নারী পরিবারের প্রধানদের নামে ‘পরিবার কার্ড’- প্রতিটি পরিবারের প্রধানকে সরাসরি সাহায্য এবং সহায়তা পৌঁছানো নিশ্চিত করা।


২. নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, ব্যাবসায়িক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা- কারণ অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা কোনো আপসের বিষয় নয়।


৩. মেয়েদের জন্য শক্তিশালী শিক্ষাগত এবং বৃত্তিমূলক সুযোগ- যাতে প্রতিটি মেয়ে, গ্রামে হোক বা শহরে, দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।


৪. নারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে- রাজনীতি, শাসন ও নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। একটি নিরাপদ জাতি এ থেকে কম আশা করতে পারে না।


৫. মর্যাদা এবং স্বাধীনতার সুরক্ষা - মেয়েদের চলাফেরা, কথা বলতে, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে, ভয় ছাড়াই বাঁচতে সক্ষম করা।


৬. পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকে মূলনীতি হিসেবে-স্বাস্থ্য, গ্রামীণ ক্ষমতায়ন, সবার জন্য কর্মসংস্থান, বিশেষভাবে নারী ও কন্যাশিশুর ওপর কেন্দ্রিত।


আমরা খালি বাক্যবুলিতে কথা বলি না। আমরা বিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতার সঙ্গে, নির্ধারিত লক্ষ্য নিয়ে কথা বলি। প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে আমরা রাষ্ট্রকে তার অংশীদার বানাবো, বাধা নয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক, তা কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেভাবে জানবেন এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কোনো অপশক্তির নেই: আইজিপি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হিরো আলম গ্রেপ্তার

দেশের ৫০ ভাগ নারী, তাদের বাদ দিয়ে উন্নয়নের চিন্তা করলে তা ভুল হবে: সেনাপ্রধান

আ’লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

১০

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

১১

‘নির্বাচনী পোস্টার না সরালে আমরা কঠোর হব’

১২

১৩ নভেম্বরের লকডাউন নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: ডিবি প্রধান

১৩

এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, একটু সময় লাগবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৪

ভারতে হাসিনার সঙ্গে গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন যারা

১৫

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় বিজিবি মোতায়েন

১৬

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

বাড়ল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা

১৮

ঢাকায় তিন বাস ও এক প্রাইভেটকারে আগুন

১৯

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল বিক্ষোভের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: প্রেস সচিব

২০