সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। বিশেষত, বরিশাল ও ঢাকায় এর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসময়ে কোনো ডেঙ্গুরোগী মারা যায়নি।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৩ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৩ জন, খুলনা বিভাগ ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৮৯ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৮ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৭৮ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী। এসময়ে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩০ জন।
২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু ও আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫৭৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
মন্তব্য করুন
দেড় মাসের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা নিশ্চিত করেছেন যে, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে এই অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
এর আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলারে ছিল, তবে ধীরে ধীরে তা কমে গিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ডলারপ্রতি ১২০ টাকার মান নির্ধারণ এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় রেখে রিজার্ভ ১৯ থেকে ২০ বিলিয়নের মধ্যে স্থিতিশীল ছিল।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমদানি বৃদ্ধির কারণে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে ১২৭.৭০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে, যা ব্যাংকগুলোকে নতুন এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমদানিতে ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক ১০ শতাংশ। একই সময়ে রেমিট্যান্স ৩০ শতাংশ এবং রপ্তানি ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ইতিবাচক প্রবণতা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে নিজ দলের প্রাণঘাতী বিক্ষোভ মিছিলের কয়েকদিন পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক্স পোস্টে ইমরান খান সমর্থকদের ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অঞ্চলটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত।
এক্স বার্তায় ইমরান খান ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে দমনপীড়ন এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীদেরও মুক্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান বলেন, যদি এই দুটি দাবি মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা অস্বীকার করেছে, উল্টো বলেছে, ইমরান খানের সমর্থকরা গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
৯ মে'র ওই হামলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত বছরের শেষ দিক থেকে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
ইমরান ও তার দল বলছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে মতবিরোধের পর রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে এসব মামলা সাজানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন
আগামী ১২ আগস্ট যুব দিবস উপলক্ষে ৪ হাজার ৯৮৫ জনকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ঋণ দেবে সরকার। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে এ ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
সোমবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মঙ্গলবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করা হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উত্তর তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবকদের সম্পৃক্তকরণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী যুবসমাজকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক কারিগরি প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার মহান ব্রত নিয়ে বছরে প্রায় ২ লাখ যুব কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও যুব কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় যুব দিবসে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবকদের বিগত এক বছরে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা যুব ঋণ দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য ১ হাজার ৭৬ জন যুবককে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব পালন করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আত্মকর্মী, উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল বা জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের ৬৪টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’
রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।
তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।
ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।
গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, ২ মার্চ মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানি নির্ধারণ করেছিলেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে এক রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ আদেশ স্থগিতের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। একপর্যায়ে এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬,৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব শহিদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে শহিদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সব ধরনের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে বিষয়টি উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের কারণে দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক সময় পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর বিজয় স্মরণীর সামরিক জাদুঘরে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু আজ নয়, শুরু থেকেই দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়গুলো একে অন্যের সঙ্গে সমন্বয় না করে নিজেদের মতো কাজ করে যাচ্ছে। কেউ রাস্তা মেরামত করে, কিছুদিন পরই আরেক সংস্থা এসে তা কেটে ফেলে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়।
তিনি আরও বলেন, হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ শুধু সামরিক ও নৌ-নিরাপত্তা নয়, বরং সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যকে ‘সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের রূপরেখা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বিশদ, হালনাগাদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। এটা না থাকলে ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন এবং হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।
১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসানের দেশে ফেরার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাইতো তাকে দলে রেখেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে নিরাপত্তা সঙ্কটে পড়তে হতে পারে, তাই সাকিবকে পরে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আগামী ২১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে সাকিবের কারণে ফাঁকা হয়ে যাওয়া জায়গায় কে আসবেন, সেটি নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল। ধোঁয়াশায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। অবশেষে সাকিবের বদলি ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করল বিসিবি। এই জায়গায় তরুণ স্পিনার হাসান মুরাদের নাম ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে এখনো নামা হয়নি হাসান মুরাদের। তবে দুইটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যদিও গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য এই মুরাদ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছেন তিনি।
ভারতে বসেই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। তখন ইচ্ছা প্রকাশ করেন, ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলতে চান তিনি। সবকিছু ঠিকমতোই চলছিল, দলেও জায়গা পান তিনি। দেশের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে রওনাও দিয়েছিলেন। তবে দুবাইয়ে ট্রানজিট নেওয়ার সময়ই তাকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সাকিবকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। সাকিবের দেশে না আসার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমকে গতকাল জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে যাতে না পড়তে হয় তাই তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছি। বিদায়ী টেস্ট খেলতে মিরপুর আসবেন না সাকিব আল হাসান।
সাকিব যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করে আসছেন কিছু লোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাকিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। মিরপুরে স্টেডিয়াম এলাকায় হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন।
মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত(অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।
মন্তব্য করুন