সিএনজি অটোরিকশার জরিমানার সিদ্ধান্ত বাতিল

সিএনজি অটোরিকশার জরিমানার সিদ্ধান্ত বাতিল
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিআরটিএ এবং সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সংস্থাটি।


রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান সম্পর্কিত বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে যান চলাচলে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।


এর আগে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। মিটারের ভাড়া ইস্যুতে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধের খবর পাওয়া যায়।


সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করছেন।


আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।


গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে চালকদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধান রয়েছে।


বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২০ হাজার ৮৯৪টি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের (১০ বছর) মধ্যে সবচেয়ে বেশি অটোরিকশা নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯টি অটোরিকশা। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৩৭টি অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

১২ দিনে প্রবাসী আয় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা

১২ দিনে প্রবাসী আয় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বি‌শ্লেষ‌ণে দেখা গে‌ছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।

অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। ত‌বে প‌রের মাস এ‌প্রি‌লে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

গাজার রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা হবে ‘অবর্ণননীয় ট্র্যাজেডি’

গাজার রাফাহতে ইসরায়েলি হামলা হবে ‘অবর্ণননীয় ট্র্যাজেডি’
গাজা

ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।”
গাজার রাফাহতে অবস্থিত উদ্বাস্তুদের একটি ক্যাম্প।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েল শীঘ্রই গাজার রাফাতে হামলা চালাতে পারে। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, গাজায় সাহায্য প্রদানে ইসরায়েলের ধীর অগ্রগতিকে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার বা ন্যায্যতা দেওয়ার একটি অজুহাত হিসেবে দেখা উচিত নয়।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরায়েলের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশগুলোকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি রাফাতে আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রায় সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি 'দীর্ঘ প্রতিশ্রুত' হামলা চালানো হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন।

জাতিসংঘের এইড চিফ মার্টিন গ্রিফিথস এক বিবৃতিতে বলেছেন, "বিশ্ব কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে রাফাহকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানালেও সেখানে অবিলম্বে একটি স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সহজ ভাষায় বললে, রাফাহতে স্থল অভিযান চালালে সেটি এমন এক ট্র্যাজেডি হবে যা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব না।"

গাজার উত্তরাঞ্চলে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের প্রভাব কিছুটা কমানো সম্ভব হয়েছে বলে আন্তোনিও গুতেরেস জানালেও তিনি সেখানে আরো সাহায্য পাঠানোর ওপর জোর দিয়েছেন। গুতেরেস বিশেষভাবে ইসরায়েলের প্রতি গাজার উত্তরাঞ্চলের দুটি সংযোগস্থল খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্চ মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং সম্ভবত মে মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে গাজায় ও জুলাই মাসের মধ্যে ছিটমহলগুলোতে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। গুতেরেস বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের অসহায় মানুষ "ইতোমধ্যেই ক্ষুধা ও রোগে মারা যাচ্ছে।"

সাহায্য বাড়াতে এবং রাফাহতে হামলা এড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের উপর কী প্রভাব রাখতে পারে এমন প্রশ্ন করা হলে গুতেরেস বলেন, "একটি সম্পূর্ণ বিধ্বংসী ট্র্যাজেডি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ প্রয়োগ করাই গুরুত্বপূর্ণ।"

মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজায় সাহায্য বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলকে যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে তিনি বুধবার (১ মে) নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করবেন।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনের বেশী মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেই হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে গাজায় সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

‘সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে’

‘সীমান্তে ভারতীয়রা আইন না মানলে বিজিবি আরও কঠোর হবে’
ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যারা ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন, তাদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি কতদিন চলবে?


শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ছিল সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিএসএফ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।


তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে জোরালো প্রতিবাদ জানানোর পর আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ১৫-২০ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।


বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সংঘাতের সময় বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে ওই যুবকের পেটে গুলি লাগে। দুর্বল স্থানে রাবার বুলেটও প্রাণঘাতী হতে পারে। আহত যুবককে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।


তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আমরা এটা মেনে নেই, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া কতদিন চলবে?


তিনি আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণেই হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি আরও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করতে চাই।


তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা। বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও কিছু ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। আমরা দুইভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব: বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে। তৃতীয়ত, কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।


মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিএসএফ সদস্যের রক্তাক্ত অবস্থার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে যে, ঘটনাটি সত্যিই ওই স্থানে ঘটেছে কি না।


মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যদি কোনো ঝুঁকি থাকে, আমরা বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছি।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।


বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।


নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।


এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।


সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।


চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।


চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।


রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।


দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।


সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।


সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।


আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।


খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।


ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।


ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।


বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।


আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।


ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।


আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।


আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।


অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।


২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।


নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।


এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।


অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।


করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।


সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।


আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার

আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগের ডাকা মঙ্গলবারের (১৮ ফেব্রুয়ারি) হরতালে ঢাকা মহানগরীতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।


সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনারের সংস্কার করা কার্যালয় উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।


ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুরো নগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।


তিনি আরও জানান, মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই দমনে কাজ চলছে। এ এলাকায় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। টহল ডিউটিও বাড়ানো হয়েছে। অচিরেই ছিনতাই বন্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


মো. সাজ্জাত আলী বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা রাস্তা বন্ধ করে ট্রাফিক বিঘ্ন ঘটায়। দাবি আদায়ের স্থান রাস্তা হতে পারে না। টেবিলে বসে সমাধান করুন। ঢাকাবাসীকে কষ্ট দিয়ে দাবি আদায় হতে পারে না।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সারাদেশে প্রায় ৮০০ আয়নাঘর আছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ছবি: সংগৃহীত




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।


বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।


জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র‌্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র‌্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।


ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’


এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।


১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।


অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।


যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দেবে ইসরাইল

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে শাস্তি দেবে ইসরাইল
যুদ্ধের ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় যুদ্ধ ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।

এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকেও টেনে আনল ইসরাইল। দুই ইসরাইলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরাইলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।

সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আইসিসি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের একটি কেলেঙ্কারি’ হবে।

মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে,  ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া করে দেবে।

প্রসঙ্গত, ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির অধীনে তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ছয়জন অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই সম্মাননা তুলে দেন।


সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যেসব নারী এই সম্মাননা পেয়েছেন, তারা হলেন— অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শরিফা সুলতানা, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য হালিমা বেগম, সফল জননী হিসেবে মেরিনা বেসরা, জীবনসংগ্রামে জয়ী নারী হিসেবে লিপি বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য মো. মুহিন (মোহনা) এবং বিশেষ সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল।


এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ এ ধরনের সম্মাননা ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক
ছবি: সংগৃহীত




র‌্যাবের মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, দুপক্ষের অন্তর্কোন্দল ছাড়া আপাতত অন্য কোনো ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে না। ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন তিনি।


র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় র্যাবের ফুট পেট্রোল, গাড়ি ও মোটরসাইকেল টহল, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ ফোর্স, ড্রোন পর্যবেক্ষণ দল এবং ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া নদীপথেও র্যাবের নৌ-টহল চলছে।


তিনি আরও বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে র‌্যাব, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।


তিনি উল্লেখ করেন, ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির সমাগম ঘটে। এসময় মোবাইল চুরি, ছিনতাই, মলম পার্টি, মাদকাসক্তি, উচ্ছৃঙ্খলতা ও পকেটমারদের দমাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


এ সময় র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিমসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না, বিচার করতে চাচ্ছি: অ্যাটর্নি জেনারেল

আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না, বিচার করতে চাচ্ছি: অ্যাটর্নি জেনারেল
ছবি: সংগৃহীত

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিচারে আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি এমন অনেক প্রশ্ন আসছে। আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।’


শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের আয়োজন ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার শেষ দিনের প্রথম পর্বে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই পর্বে সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক মনির হায়দার।


সংলাপে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবী দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত, কিন্তু খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের উপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল সেদিকে আপনারা ফোকাস করেন নি।’


তিনি বলেন, ‘আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এই বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় চেষ্ট থাকবো। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্রকে এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ততবেশি এজেন্ডা ভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো।’


দেশে ঐক্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোন বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরুহ।’


বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় কিছুটা হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিলো চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কি সেটা আমাদের বলবেন। আমরা সেটায় যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো, জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম, সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।’


বিভিন্ন মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পার্সোনাল গ্রাস এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, আসামির খাতায় নাম দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কি হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি-না প্রশ্ন এসেছে।’


তিনি বলেন, ‘আপনাদের আইনিভাবে, স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেই ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নম্বর আইন। সে আইনে মানবতাবিরোধী আইনের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের উপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। সেটি একটা দুইটা স্পেসিফিক ঘটনার দরকার নেই। ইন জেনারেল সেটার বিচার হবে। ঐ আইনেই বলা আছে, ডমেস্টিক অন্যান্য আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, ঐটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোন বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০