

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক বিতরণ করা হয়।
এবছর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে ছয়জনকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
এবার যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার ব্যক্তিগত এই ভাবনাকে সরকার সম্মান জানায়, তবে তার পুরস্কারের একটি রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে রাখা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন


চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সোমবার (১২ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক জিনিস সমাধান হয়ে যায়। অনেক প্রশ্ন সমাধান হয়। আশা করি দেখা সাক্ষাতের কারণে অনেক সুফল পাবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে একে অপরকে দোষ দেই। দোষ দিলে সমাধান হবে না। আমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে। সেটা নিয়ে নিজেদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অভাব ঘাটতির মধ্য দিয়েও ভালো করা সম্ভব। অন্তবর্তী সরকার নিজেদের সীমারেখার মধ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। স্বাস্থ্য সেবায় কোনো কাঠামো লাগে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর ও আনন্দময় করে তুলতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন।
বুধবার দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কোর্স-২০২৫ গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে সনদ তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।
এর আগে তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।’
এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক অফিসার অংশগ্রহণ করেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা তাদের অর্জিত জ্ঞান ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে কাজে লাগিয়ে দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
কোর্সে অংশ নেওয়া এক বাংলাদেশি অফিসার বলেন, ‘ডিএসসিএসসি-তে এই কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।’
চীনের এক অফিসার বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এই জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।’
বাংলাদেশি আরেক অফিসার বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এই কোর্স সম্পন্ন করলাম, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে, যেমন: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায়, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।’
মন্তব্য করুন


সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যারা ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন, তাদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি কতদিন চলবে?
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ছিল সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিএসএফ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে জোরালো প্রতিবাদ জানানোর পর আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ১৫-২০ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সংঘাতের সময় বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে ওই যুবকের পেটে গুলি লাগে। দুর্বল স্থানে রাবার বুলেটও প্রাণঘাতী হতে পারে। আহত যুবককে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আমরা এটা মেনে নেই, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া কতদিন চলবে?
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণেই হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি আরও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা। বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও কিছু ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। আমরা দুইভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব: বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে। তৃতীয়ত, কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিএসএফ সদস্যের রক্তাক্ত অবস্থার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে যে, ঘটনাটি সত্যিই ওই স্থানে ঘটেছে কি না।
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যদি কোনো ঝুঁকি থাকে, আমরা বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছি।
মন্তব্য করুন


মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হত্যা মামলা ও হরিরামপুরে মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সোয়া ১১টায় মমতাজ বেগম আদালতে হাজির হওয়ার পর মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দা এলাকায় হরতাল সমর্থনে এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর সিংগাইর থানায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী গোবিন্দা গ্রামের মো. মজনু মোল্লা।
এছাড়া, মমতাজ বেগমের নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুরে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন এই মামলা করেন।
আদালত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুন নূর ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ঢাকার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম ৪ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার আগে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ১০-১৫ জনের একটি দল।
এই অবস্থান চলাকালেই হঠাৎ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেখা যায়। আগুনের তীব্রতা কমলে বিক্ষুব্ধরা আবারও আগুন লাগিয়ে দেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছিল। পরে ভবনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এসময় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করতে রাজপথে অবস্থান নেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।
মন্তব্য করুন


উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ওয়েবসাইট ছাড়াও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডগুলোর এক বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর পুনঃনিরীক্ষণের ফল রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে ও আবেদনকারীর দেওয়া মোবাইল ফোন নাম্বারে এসএমএস-এ ফল পাঠানো হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল সংগ্রহ করার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করা হয়েছে। একইভাবে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ ফল দেখা যাবে।
এ ছাড়া http://www.educationboardresults.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানা যাবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো আলাদাভাবেও পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করেছে।
এবার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য রেকর্ডসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে মোট ২ লাখ ২৬ হাজার শিক্ষার্থী ৪ লাখ ২৮ হাজার খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বোর্ডে।
উল্লেখ্য, এ বছর সারা দেশের ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন, পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন (৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ)। ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন


জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরি, পাসপোর্ট ইত্যাদিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে হওয়া হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে কমিশন প্রধান বলেন, "পুলিশ ভেরিফিকেশন কোথাও থাকবে না, এয়ারপোর্টেও থাকবে না। প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে।"
এছাড়া, দলীয় ভিত্তিতে ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, "উপ-সচিব ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ে পরীক্ষা ছাড়া কোনো পদোন্নতি দেওয়া হবে না। পরীক্ষায় ৭০ নম্বর না পেলে পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর মাধ্যমে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য দূর হবে। যেকোনো ক্যাডারের কেউ যদি ৭০ নম্বর পান, তবে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে আসতে পারবেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা তথ্য অধিকার আইনকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রতিটি জেলা এবং বিভাগে এ বিষয়ে দেখভাল করার জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তবে এখনো তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।"
মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। তবে শিগগিরই একটি রোডম্যাপ আসবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সরকার এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের এতো বেশি রাজনৈতিক দলের বিদেশি শাখা নেই, যতটা বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলের রয়েছে। এসব শাখা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমেজ নষ্ট করছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রবাসে মিছিল, স্লোগান এবং ডিম নিক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ড দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, “বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসেবে গণ্য করা এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে বৈরী মনোভাব প্রকাশ করার ঘটনা আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসব সমস্যা দূর করতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, গত চার মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে। তারা এমনভাবে খবর প্রচার করছে, যাতে মনে হচ্ছে সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে এবং বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চলছে। এই ধরনের অপপ্রচার রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, “বিদেশে অনেক প্রবাসী অভিযোগ করেন যে দূতাবাসগুলো থেকে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না। কিছু অভিযোগ সত্য হলেও সবগুলো সঠিক নয়। তবে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি করলে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন


জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
বুধবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, “কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।”
সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
এ সময় ড. ইউনূস কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে- তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।’
কমিশন সদস্যরা জানায়, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তারমধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে।
কমিশন সদস্যরা আরও জানায়, অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন
প্রধান।
মঈনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি।
অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।’
মন্তব্য করুন