সফট সিগন্যালের বিপক্ষে মন্তব্য করেছিলেন বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, মার্নাস ল্যাবুশেনের মতো ক্রিকেটারও। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে জরিমানাও গুনতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। অবশেষে এই নিয়ম বাতিল করতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল দিয়েই এই নিয়মের ইতি টানতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরই মধ্যে এই বিষয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমনটাই নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি সফট সিগন্যালের নিয়ম বাতিল করে আইন সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
সাধারণত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলে মাঠের আম্পায়াররা থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা চান। সে সময় নিজেদের একটি মত জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। তৃতীয় আম্পায়ার অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ভুগলে মাঠের আম্পায়ারের মতকেই গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এই নিয়ম বাতিলের ফলে থার্ড আম্পায়ারের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এখন থেকে মাঠের আম্পায়ারদের মতামত ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন থার্ড আম্পায়ার। ফলে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।
সফট সিগন্যালের নিয়মের সঙ্গে আরও দুটি নিয়মের পরিবর্তন আনতে চলেছে আইসিসি। এর মধ্যে একটি হলো দিনের আলো কমে গেলে ফ্ল্যাড লাইটের আলোয় ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার নিয়ম চালু হচ্ছে। সেই সঙ্গে টেস্ট ম্যাচেও রিজার্ভ ডের প্রচলন হতে যাচ্ছে। যদিও সবগুলো বিষয়ই চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
একের পর এক রেকর্ড গড়েই যাচ্ছে বায়ার লেভারকুসেন। জাভি আলোনসোর অধীনে দলটি গতকাল আইনট্রাঙ্কট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৫-১ উড়িয়ে দেয়। ফলে বুন্দেসলিগায় ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি। এর মাধ্যমে বেনফিকার করা ৫৯ বছরের পুরনো রেকর্ড স্পর্শ করল তারা।
ইউরোপিয়ান দল হিসেবে ৫৯ বছর আগে ৪৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ছিল পর্তুগালের ক্লাবটি। লেভারকুসেন আর এক ম্যাচ জিতলেই ভেঙে যাবে সেই রেকর্ড। ইউরোপে রেকর্ড গড়তে আর এক ম্যাচ অপরাজিত থাকার দরকার তাদের।
নিজেদের পরের ম্যাচ লেভারকুসেন খেলবে রোমার বিপক্ষে। ইউরোপা লিগের ওই ম্যাচে অন্তত ড্র করতে পারলেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়বে তারা। রোমার বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয় পেয়েছিল জাভির শিষ্যরা।
গতকাল ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের জয়ে লেভারকুসেনের হয়ে গোল করেন গ্রানিত জাকা, প্যাট্রিক সিক, এক্সেকুয়েল প্যালাসিউস, জেরেমি ফ্রিমপং ও ভিক্টর বোনিফেস।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০২১ সালে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার আর্থিক জটিলতায় ক্লাব ছাড়তে হয় লিওনেল মেসিকে। এরপর তিনি পাড়ি দেন ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)। প্যারিসের ক্লাবটিতে মেসি যে সুখী ছিলেন না সেটি জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। ক্লাবে অসুখী মেসি বাড়ি ফিরেও শান্তিতে থাকতে পারতেন না। প্রতিবেশিরা বিরক্ত করতেন তাকে। জনপ্রিয় ক্রীড়া ওয়েবসাইট ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেই জানিয়েছেন এমন তথ্য।
গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসিকে প্রতিবেশিরা মূলত বিরক্ত করত তার ছেলেদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে। ইএসপিএনকে মেসি বলেন, ‘প্যারিসে (প্রতিবেশিরা) রাত নয়টা বা দশটার দিকে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলত, আমার বাচ্চাদের ফুটবল খেলা উচিত নয়। প্রতিবেশিরা আমাদের বিরক্ত করত... এটা আমার মনে অনেক বড় দাগ কেটেছিল এবং তার প্রভাব মাঠেও পড়েছে। প্যারিসে ব্যক্তিগতভাবে আমি ভালো অবস্থায় ছিলাম না।’
মেসি আরও জানিয়েছেন, প্যারিসে যেভাবে তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, ব্যাপারগুলো সেভাবে ঘটেনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ সালের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক বলেন, ‘তাদের (পিএসজি) সঙ্গে আমার কোনো কিছুই ছিল না, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যেভাবে আশা করেছিলাম তেমনটা হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে আমি পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম; আমার জন্য ব্যাপারটি কঠিন ছিল। ব্যক্তিগতভাবে এর বাজে প্রভাব আমার ওপর পড়েছে। আমি যখন প্যারিসে ছিলাম, আমার সঙ্গে সবচেয়ে ভালো যেটি হয়েছে সেটি হচ্ছে (আর্জেন্টিনার হয়ে) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া।’
২০২৩ সালে পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়মিতে ভেড়েন মেসি। সেখানে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। বর্তমানে জাতীয় দলের হয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। কিছুদিন পরই যে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা! শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এবার নামবেন মেসিরা। ২০ জুন কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আলবিসেলেস্তেদের অভিযান।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটির জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের এই দলে আছেন সাকিব আল হাসান। আর বাদ পড়েছেন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে থাকা খালেদ আহমেদ।
১ম টেস্টের বাংলাদেশ দল
নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৫ সালে লিভারপুলের কোচ হয়ে আসেন জার্মানির জার্গেন ক্লপ। ২০১৭ সালে তিনি ইতালিয়ান ক্লাব রোমা থেকে লিভারপুলে উড়িয়ে আনেন মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহকে। ৭ বছর যুগলবন্দী হয়ে ক্লাবকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন এই দুজন। এই মৌসুম শেষে লিভারপুল ছাড়ছেন ক্লপ। তাই একসঙ্গে দুজনের পথচলাও শেষ হচ্ছে।
নিজেদের অধ্যায়ের শেষ দিকে এসে ক্লপের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন সালাহ। গত মাসে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্রয়ের ম্যাচে ডাগআউটে ক্লপের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গেছে সালাহকে। সেই ঘটনা নিয়ে সালাহ বলেছিলেন, তিনি কথা বললে আগুন লেগে যাবে। তবে সম্প্রতি স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লপের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের গল্পই শোনালেন সালাহ।
সালাহ বলেছেন, ‘আমরা যখন প্রথমবার কথা বলেছিলাম, প্রথম তার যে কথাটি আমার মনে আটকে গিয়েছিল সেটি হলো, তিনি আমাকে এখানে (লিভারপুল) নিয়ে আসতে চান। তিনি আসলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, নতুনভাবে একটি দল গঠন করছেন তিনি এবং সেখানে সাদিও (মানে) ও ববি (ফিরমিনো) আছে, আমাকেও সেখানে খেলাতে চান। তিনি (ক্লপ) আমাকে বলেছিলেন, ‘‘ফুটবলে আমি তোমার ধার আরও বাড়াবো এবং তুমি যেভাবে চাও তার স্বাধীনতা দেব।’’ আমার অবস্থা এমন ছিল যে, আচ্ছা আমি আসছি। আমি এসেছি এবং তার পরেরটা তো আপনারাই দেখেছেন।’
লিভারপুলে প্রিয় মুহূর্ত প্রসঙ্গে মিশরীয় এই তারকা আরও বলেছেন, ‘আমরা এখানে একসঙ্গে সাত বা আট বছর ধরে আছি, তাই অনেক প্রিয় মুহূর্তই জড়ো হয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় যেই ম্যাচে চেলসি ম্যানচেস্টার সিটিকে হারালো আর আমাদের প্রিমিয়ার লিগ নিশ্চিত হলো এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় আমার মাথায় আটকে আছে। কারণ সেখানে অনেক আবেগ জড়িত ছিল।’
দুজন দুজনকে ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন উল্লেখ করে সালাহ বলেন, ‘একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে তিনি নিশ্চিতভাবে আমার উন্নতি করেছেন এবং তার ভালো ম্যানেজার হয়ে ওঠার পেছনে আমারও অবদান আছে। আমরা একে অপরকে অনেক সাহায্য করেছি। শিরোপা জয়ের জন্য ক্লাবকে সবকিছু দিয়েছি, সবাই সেটা দেখেছে।’
সালাহ আরও বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি যদি সমস্যায় পড়ি আমি তার সঙ্গে কথা বলতে পারি এবং যেকোনো কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি। আমার মনে হয়, আমরা অবশ্যই আজীবন আমাদের যোগাযোগ রাখব। কারণ এটা শুধু কাজের ক্ষেত্রের সম্পর্কই নয়, আমরা এটিকে বাইরেও নিয়ে যাই এবং আমাদের চিরকাল যোগাযোগ থাকবে।’
ক্লপের অধীনে লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সালাহ। ক্লাবের সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৪৮ ম্যাচে ২১১ গোল ও ৮৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ২০২০ সালে দীর্ঘদিন পর জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ। ম্যানচেস্টার সিটিকে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে বেশ কয়েকবারই টেক্কা দিয়েছে ক্লপ-সালাহর লিভারপুল।
উলভসের বিপক্ষে ম্যাচে শেষবারের মতো লিভারপুলের ডাগআউটে দাঁড়াবেন ক্লপ। সবকিছু ঠিক থাকলে সালাহও এই ম্যাচে খেলতে যাচ্ছেন। ক্লপের সম্মানে এই ম্যাচ শেষে একটি সংবর্ধনারও আয়োজন করা হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন, মিরপুর স্টেডিয়ামে ক্লাব সতীর্থদের কাছ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ পান মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে কেক কেটে তাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন দেখা যায়নি। অবসর নেওয়ার দুদিন পর, বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আজ মিরপুরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, মুশফিকের জন্য বিশেষ আয়োজনের ভাবনা তাদের আছে। তিনি মুশফিককে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথে ‘নাবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘এটা (মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা) আমরা পরিকল্পনা করব। এটা তো খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। মুশফিক সম্ভবত দেশের একজন কিংবদন্তি। দীর্ঘ ১৯ বছরের পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ ক্রিকেট যে আজকে এই অবস্থায় এসেছে, তার মধ্যে সে অন্যতম একজন নাবিক, যে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পথ দেখিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করতে পারি, ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সে যে পথটা দেখিয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তা অনেক বড় অনুপ্রেরণা। ক্রিকেট বোর্ড অত্যন্ত কৃতজ্ঞচিত্তে তার সব অর্জন স্মরণ করেছি আমরা। বিসিবি থেকে একটা বার্তা দিয়েছি, আমার লেখা ছিল। আমরা চেষ্টা করব, ক্রিকেট বোর্ড থেকে পরিকল্পনা করব কীভাবে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া যায়।’
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইতোমধ্যেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামীকাল ভোর ৬টায় পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি। এ ম্যাচে চোটের কারণে বিশ্রামে থাকবেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবং এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি।
চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে ডান পায়ের ঊরুতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল মেসি হয়তোবা পরের ম্যাচে মাঠে নামছেন না পেরুর বিপক্ষে। সেই ধারণাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।
মেসিকে বিশ্রাম করানোর ব্যাপারে আর্জেন্টিনা দলের সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল বলেছেন, ‘সর্বশেষ ম্যাচে লিওর একটু সমস্যা হয়েছে। সে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবে না। (চোটের) কতটা উন্নতি করে, সেটা বুঝতে আমরা দিনের পর দিন তাকে পর্যবেক্ষণ করব।’ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে মেসিকে পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে আর্জেন্টিনা।
খবরের কাগজের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
এদিকে, চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির পর মাঠে ফিরতে দেরি করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। পেরুর বিপক্ষে তাই ডাগআউটে দেখা যাবে না আর্জেন্টিনা কোচকে। ফলে ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় পাবলো আইমার অথবা রবার্তো আয়ালাকে দেখা যেতে পারে।
স্কালোনির মতো চিলি কোচ রিকার্দো গারেকাও বিরতির পর মাঠে দেরিতে ফেরায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় কানাডা, ১ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় চিলি এবং পেরুও ১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকার চলতি আসরের শুরু থেকেই ছন্দে নেই আনের্জন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। আসরে এখনও পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি ইন্টার মিয়ামির এই তারকা।
চিলির বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরিতে পড়েন মেসি। যে কারণে পেরুর বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। কোয়ার্টারে ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেললেও মেসি ছিলেন না ফর্মে। টাইব্রেকারে পেনাল্টিও মিস করেন।
মেসির এমন ইনজুরি সঙ্গে ফর্ম নিয়ে সমর্থকরা চিন্তিত হলেও চিন্তিত নন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেসি যদি শতভাগ ফিট নাও থাকেন, তবুও তাকে কানাডার বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ।
মেসির খেলা প্রসঙ্গে কোচ বলেন, আমরা জানি, সে যদি পুরোপুরি ফিট নাও থাকে, তবুও সে দলের জন্য কী দিতে পারে। ৯৯ শতাংশ সময়ে সে সুস্থ থাকে খেলার জন্য। সে সুস্থ না হয়ে খেলতে নামবে, আমার সঙ্গে এমনটা হয়নি কখনো। সে যখনই খেলতে নামে, পুরোপুরি সুস্থ থেকেই খেলতে নামে। আগামীকালকের ম্যাচের জন্যেও সে পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, এটা আমার জন্য একদমই সহজ সিদ্ধান্ত যে, মেসি পুরোপুরি সুস্থ থাকলে পুরো সময় খেলবে এবং কিছুটা ফিট না থাকলে শেষের ৩০ মিনিট খেলবে। সে সুস্থ থাকলে কেন খেলবে না? এটা নিয়ে কি আপনাদের সন্দেহ রয়েছে? আমি দলের কোচ। আমার কোনো সন্দেহ নেই এই ব্যাপারে। সে যদি শতভাগ সুস্থ নাও থাকে, তবুও খেলবে। আমিই এটার দায়িত্ব নিচ্ছি।
মন্তব্য করুন
রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র মাঠে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই এই ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনের ফুটবল ক্যারিয়ার এগিয়ে চলেছে সাফল্যের পথে। তবে ফুটবল মাঠের পাশাপাশি এবার ভিনিসিয়ুসের নজর ব্যবসায়িক দিকেও। পর্তুগালের একটি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল ক্লাব কেনার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
ইএসপিএন জানিয়েছে, ব্যবসা ও বিনিয়োগের চিন্তাভাবনায় বৈচিত্র্য আনার জন্য এবং অবসরের পরের জীবনকে মাথায় রেখে ক্লাব কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভিনিসিয়ুস। পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগ লিগে থাকা ১৮টি ক্লাবের মধ্যে একটি কিনতে আগ্রহী তিনি।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, ক্লাব কেনার জন্য ভিনিসিয়ুসের পাশে রয়েছে একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। স্পেনের রেডিও স্টেশন কাদেনা কোপে-এর সাংবাদিক রবার্তো আন্তোলিন প্রথম এই খবর প্রকাশ করেন যে, ভিনিসিয়ুস ইতোমধ্যে ক্লাব কেনার বিষয়ে আলোচনায় নেমেছেন।
যদিও এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। ঠিক কোন ক্লাবটি কিনতে আগ্রহী ভিনিসিয়ুস, সেটিও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাবাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভিনিসিয়ুস আলভেরকা ক্লাব কেনার বিষয়ে আলোচনা করছেন।
লিসবনের কাছাকাছি অবস্থিত এই ক্লাবটি বর্তমানে পর্তুগালের দ্বিতীয় বিভাগে অষ্টম স্থানে রয়েছে। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিনিসিয়ুস ১২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা আনুমানিক ১ কোটি ইউরো দিয়ে ক্লাবটি কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
২০২৪ সালে ভিনিসিয়ুসের আয় হবে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৪ কোটি ডলার আসবে তার বেতন থেকে এবং বাকি ১.৫ কোটি ডলার আসবে স্পনসরশিপ থেকে।
ভিনিসিয়ুসের স্পনসরদের মধ্যে গ্যাটোরেড, পেপসি, ইউনিলিভার এবং নাইকির মতো বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া, ব্রাজিলে ভিনিসিয়ুসের একটি সামাজিক সেবা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিনিয়োগ করে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তগুলো ভিনিসিয়ুসের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করবে।
মন্তব্য করুন
মিয়ানমারে সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই নানা সমালোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সর্বশেষ আজ হাইকোর্ট থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চার মাসের মধ্যে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করার।
আজ সকালে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশনা আসার ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফেডারেশনে আসেন। ভবনের নিচেই উপস্থিত সাংবাদিকরা সালাউদ্দিনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ পর উপস্থিত সবাইকে ডেকে কথা বলবেন বলে জানান। ফেডারেশনে তার কক্ষে উপস্থিত অন্য কর্মকর্তাদেরও তিনি বলেছিলেন মিডিয়ায় এই বিষয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সাংবাদিকরা অবশ্য বাফুফে ভবনে অপেক্ষায় থাকেন দীর্ঘক্ষণ। প্রবেশের মতো সালাউদ্দিন বেরিয়ে যাওয়ার পথেও সাংবাদিকদের সামনে পড়েন। তখন পুনরায় তাকে জিঞাসা করলে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি।
সম্প্রতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে কথা বলতে এসেই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছেন তাই এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখনো আমরা নির্দেশনার কোনো কপি পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আপনাদেরও অবহিত করা হবে।’
আরও পড়ুন>>> দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত কাজী সালাউদ্দিন
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তার অধীভুক্ত সংস্থাগুলোতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে না। তৃতীয় পক্ষের বড় ধরনের হস্তক্ষেপ থাকলে সেই সংস্থাকে বহিষ্কারও করে। দুদকের প্রতি হাইকোর্টের এই নির্দেশনা ফিফার আইন ও দৃষ্টিতে কেমন এ নিয়েও বাফুফে কর্তারা কিছু বলেননি।
বাফুফেতে দুর্নীতির বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে দুদক বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনকে চিঠি দিয়েছিল। সেই তদন্ত বেশ কিছু দিন চলার পর কাজী সালাউদ্দিনের তদন্তে কিছু পাওয়া যায়নি বলে চিঠি দিয়ে নিষ্পত্তিও করেছিল।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন। তবে সাবেক এই আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য দেশে ফিরে খেলায় অংশগ্রহণ করুন, এটা চান না একদল ক্রিকেটপ্রেমী। তারা মিরপুর স্টেডিয়াম ঘিরে বেশকিছু কর্মসূচি পালনের পর ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবির পরামর্শে সাকিব এই সিরিজে অংশ নিতে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
তাই ভারতের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে কানপুরে খেলা টেস্টই সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাধারণ মানুষের তার প্রতি ক্ষোভের বিষয়টি বিবেচনা করে সাকিব কানপুর টেস্ট দিয়েই ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে পারতেন কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
স্থানীয় একটি ক্রীড়াবিষয়ক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব ইস্যুতে আশরাফুলের সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘আগেই বলেছি সাকিব চাইলেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষটা কানপুরেই করতে পারতেন।’
সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক আশরাফুল মনে করেন, সাকিবকে ঘিরে যে পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে এটা অনুমান করা খুব কঠিন কিছু ছিল না। তাই ‘রাজনীতিবিদ’ সাকিবের দেশের মাটিতে খেলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘তাকে ঘিরে দেশে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা তো তিনি আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আমার কাছে তো মনে হয় সাকিব এখানেও হয়তো বা এই বিষয়ে একটা গেম খেলেছেন। যেহেতু সে এখন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগের সাতমাসের এমপি ছিলেন তিনি।’
কানপুর টেস্ট দিয়েই সাকিব লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বললে ভালো করতেন বলে মত আশরাফুলের, ‘কানপুরেই সাকিব টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করলে আজ হয়তো আমাদের এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না।’
মন্তব্য করুন