বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় আসছেন ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ব্রেনডেন লিঞ্চ। চলতি মাসের ২০ মে থেকে ব্রেনডেন প্রতিনিধি দল নিয়ে চার দিন ঢাকায় অবস্থান করবেন।
কূটনৈতিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে এসব তথ্য মিলেছে। ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আগামী ২০ মে ঢাকায় আসবেন ইউএসটিআরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি। তিনি সঙ্গে করে ছয় থেকে সাত জনের মতো প্রতিনিধি নিয়ে আসবেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ব্রেনডেন। তার মূল বৈঠক হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। সেই বৈঠক হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে।
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে ব্রেনডেনের আলোচনার বিষয়ে কূটনৈতিক সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশকে তাগিদ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে শ্রম আইনের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেষ্টা থাকবে শ্রম আইনের মানের ক্ষেত্রে যেসব অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা।
মন্তব্য করুন
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, "দাবি থাকতে পারে, কিন্তু ট্রেন বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা দুঃখজনক। এই বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার তা অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।"
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশের ট্রেন চলাচল।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যস্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে নিরবতা বিরাজ করছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী কিংবা কক্সবাজারগামী যাত্রীরা স্টেশনে এসে জানতে পারেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ।
পরিবারসহ শীতে স্টেশনে অপেক্ষা করা যাত্রীরা জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার খবর আগে জানলে হয়তো আসতেন না। তবে কাউন্টারে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
মন্তব্য করুন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা প্রদানের যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (আজ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
সচিব ড. মোখলেসুর রহমান বলেন, “মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তবে আমি এই কমিটির একজন সদস্য। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে দুইটি বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, মহার্ঘ ভাতা খুব শিগগিরই কার্যকর হবে। তবে এবার কিছু পরিবর্তন আসছে। আগে পেনশনভোগীরা মহার্ঘ ভাতা পেতেন না, এবার তারাও এ সুবিধা পাবেন। তারা একটি যৌক্তিক পরিমাণ ভাতা পাবেন। আগামী বছর ইনক্রিমেন্টের সময় এই ভাতা মূল বেতনের সঙ্গে যোগ হবে।”
এই অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত, এই বাজেটের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে। ৩০ জুনের আগেই এটি বাস্তবায়িত হবে, ইনশাআল্লাহ।”
মহার্ঘ ভাতার হার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বলা ঠিক হবে না। অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারবেন।”
ভাতা কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও যোগ করেন, “কোনো নির্দিষ্ট তারিখ অনুমান করা সঠিক হবে না। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানাবেন।”
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময় জানান প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন।
এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ‘অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে।
আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে ব্যবহার অনিশ্চিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। এখন এসব মেশিন সংরক্ষণের স্থায়ী জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রাখার পরও ইভিএমের জন্য স্থায়ী সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে ইসি এখন স্থায়ীভাবে মেশিন সংরক্ষণের নতুন পরিকল্পনা করছে।
সম্প্রতি ইসির জানুয়ারি মাসের সমন্বয় সভায় ইভিএম সংরক্ষণের নতুন পরিকল্পনার বিষয়টি আলোচিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। সভায় ইভিএম সংরক্ষণের জন্য মাঠ কার্যালয়ে ওয়্যারহাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ইসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপ্রধান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতামত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ভবনগুলো ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া যেসব উপজেলা ও জেলায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন নেই, সেসব স্থানে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বিদ্যমান ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব বলে মত দেন।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব বিদ্যমান অফিস ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি সভা আয়োজন করার নির্দেশনা দেন। এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব ডিপিপিতে ওয়্যারহাউজ নির্মাণ এবং আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
এক-এগারো সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। সে সময় তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি মেশিন তৈরি করে নেয়। পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনও ইভিএম ব্যবহার করে। তবে ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি মেশিন অচল হয়ে পড়ায় তা আর ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। রকিব কমিশন বুয়েটের তৈরি স্বল্পমূল্যের মেশিনগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং উন্নত মানের ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা করে।
২০১৭ সালে কেএম নূরুল হুদার কমিশন বুয়েটের তৈরি ইভিএমের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেয় তারা। এতে প্রতি মেশিনের ব্যয় হয় দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। এ জন্য তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
সেই প্রকল্প থেকে দেড় লাখ ইভিএম কেনে রকিব কমিশন। তবে প্রকল্পে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় উন্নতমানের ইভিএমের মেয়াদ ১০ বছর হলেও পাঁচ বছর যেতে না যেতেই অকেজো হওয়া শুরু করে।
মন্তব্য করুন
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, "আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই। একটি সুস্থ জাতি পেলে দেশের জন্য বড় কাজে দেবে।" শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ এ তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন ভোর ৫টায় রাজধানীর ৩০০ ফিটে এই ম্যারাথনের প্রথম দৌড় শুরু হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘রান ফর ইউনিটি, রান ফর হিউম্যানিটি’। এখন পর্যন্ত দেশে আয়োজিত ম্যারাথনের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। এবার ১০ হাজার দৌড়বিদ এতে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ১০টি দেশের বেশ কয়েকজন বিদেশি ম্যারাথনার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সেনাপ্রধান বলেন, "আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। আন্তর্জাতিক ম্যারাথনের পাশাপাশি এ ধরনের ম্যারাথন বড় বড় শহর ও জেলা শহরে আয়োজন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা একটা সুন্দর ম্যারাথন করলাম। এখানে ১০ হাজারের ওপরে দৌড়বিদ ছিলেন। দেশি ও বিদেশি। এখানে উদ্দেশ্য জয়-পরাজয় নয়। উদ্দেশ্য ছিল, দেশ ও জাতিকে ফিজিক্যালি ল’ অন্তর্ভুক্ত করা। আজ যে সাড়া পেয়েছি, আমরা অভিভূত। পরবর্তী সময়েও এ ধরনের ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।"
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, "মিলিটারি একাডেমিতে এখন ক্যাডেট নেই। আগে যেমন সুস্থতা ছিল, এখন সে রকম পাই না। এর অন্যতম কারণ হলো, আজকাল তরুণরা শারীরিক কার্যকলাপে খুব বেশি সচেতন না। আগের মতো খেলার মাঠ নেই, দৌড়ঝাঁপও কমে গেছে। খেলা-ধুলায় সুযোগ-সুবিধাও কমে গেছে। এ জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, ম্যারাথনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে সংযুক্ত করবো।"
মন্তব্য করুন
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ/পদায়ন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শুক্রবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা গত ৩০ ডিসেম্বর তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, নিয়োগ পাওয়া সহকারী কমিশনারদের চাকরি শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনার হিসেবে উপযুক্ত পদে পদায়ন করার জন্য তাদের বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, এসব কর্মকর্তাকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যোগদান করা সহকারী কমিশনারদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সোমবার (১২ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক জিনিস সমাধান হয়ে যায়। অনেক প্রশ্ন সমাধান হয়। আশা করি দেখা সাক্ষাতের কারণে অনেক সুফল পাবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে একে অপরকে দোষ দেই। দোষ দিলে সমাধান হবে না। আমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে। সেটা নিয়ে নিজেদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অভাব ঘাটতির মধ্য দিয়েও ভালো করা সম্ভব। অন্তবর্তী সরকার নিজেদের সীমারেখার মধ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। স্বাস্থ্য সেবায় কোনো কাঠামো লাগে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে সেটি প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে, এমন মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে অগ্রগতি কতদূর জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি পাঠিয়েছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না নেয়, তবে সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। এই ব্যাপারে আমরা কী পদক্ষেপ নেবো, তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আমরা যা কিছু করণীয়, তা করেছি এবং আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হলে আমরা তা প্রয়োজনে গ্রহণ করবো।"
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের হয়। এদিকে, তাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগী হয়ে রয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ওইদিনই কূটনৈতিক চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার মহেশ সাচদেব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, "যেমন ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ ভারতের প্রত্যর্পণ অনুরোধ বিভিন্ন শর্তে প্রত্যাখ্যান করেছে, শেখ হাসিনাও একইভাবে বলতে পারেন যে, তিনি তার দেশের সরকারের ওপর আস্থা রাখেন না এবং তার বিরুদ্ধে অবিচারের আশঙ্কা রয়েছে।"
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মুহূর্তে ইসি অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে ইসি প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে ওঠে, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, "আমরা বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য সবচেয়ে আগের তারিখ ধরে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এতে কত সময় লাগতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই ইসির অগ্রাধিকার। তাই ইসি এখন শুধু জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসি তা বাস্তবায়ন করবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে অনুমোদন দিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায়ই তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নীতিগত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। রোহিঙ্গাদের কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র যারা অসুস্থ, তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যে দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের কথা বলেছেন, তা আসলে স্লিপ অব টাং। প্রকৃতপক্ষে গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে।”
এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
মন্তব্য করুন