

কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছি। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
মন্তব্য করুন


মিরপুর রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের নিহতের তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সব লাশ ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের পোশাক কারখানাকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, এদিন বিকেলে ৯ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর।
এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। পরে আরো কয়েকটি ইউনিট যুক্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান। পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে এসব কার্যক্রম করছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি। যারা শুরুতে আগুন নেভাতে এসেছেন, তারা রাসায়নিকের গুদাম ও গার্মেন্টস দুই দিকেই আগুন দেখেছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনতলা পোশাক কারখানার নিচতলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে।
সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন তিনতলা পোশাক কারখানার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশনের (ইউএসিআইআরএফ) চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হয়।
তাদের আলোচনায় বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি, প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়গুলো উঠে আসে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ধর্মের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেছেন, আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা পুরো পরিস্থিতি স্বচ্ছ রাখতে চাই। সাংবাদিকরা যে কোনো সময় বাংলাদেশে এসে সরেজমিনে তদন্ত করতে পারেন। অনেক আন্তর্জাতিক সাংবাদিক এরই মধ্যেই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে এসেছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ইসলামপন্থি উগ্রবাদী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করতে এবং সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি সুপরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশের মিডিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
তিনি আরও যোগ করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ফিলিস্তিনে গণহত্যা দেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।
ইউএসিআইআরএফ চেয়ারম্যান স্টিফেন শ্নেক দেশে চলমান সংস্কার কমিশনগুলোর কার্যক্রম এবং প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন নিয়ে জানতে চান।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধানে সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখা।
প্রফেসর ইউনূস রোহিঙ্গাদের দুর্দশা এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের দীর্ঘদিনের নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরতে USCIRF-এর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, তার অনুরোধের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২ হাজার এএসআই সরাসরি নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই হাজার নতুন এএসআই নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়াও আরও ২ হাজার এএসআই আসবে পদোন্নতির মাধ্যমে।
তিনি বলেন, যতো দ্রুত সম্ভব এই নিয়োগ সম্পন্ন করে ফেলতে চাই। আট হাজার এএসআই চেয়েছিলাম। এখন চার হাজার অনুমোদন পেয়েছি, বাকিটা দেখা যাক।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে জ্বালানি তেলের আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
এসব দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের টার্মিনালগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার (২১ মে) গবেষকরা সতর্ক করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বরফ গলে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, যা শুধু মূল তেল বন্দরগুলোকে ডুবিয়ে দেবে বা বিশ্বব্যাপী তেল বাণিজ্যকে ব্যাহতই করবে না বরং উপকূলীয় শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোকেও প্লাবিত করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের ২০২১ সালের একটি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী চলতে থাকলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটারেরও বেশি বাড়তে পারে। অথবা দুই মিটার বৃদ্ধির বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ক্রুড অয়েল আমদানি-রপ্তানির বন্দরগুলোর অবকাঠামো সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডব্লিউআর জানিয়েছে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিচু বন্দর ও বাঙ্কারিং সুবিধাগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
বলা হয়েছে, যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বাড়ে, তাহলে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি ট্যাংকার টার্মিনালের মধ্যে ১২টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যার মধ্যে পাঁচটিই এশিয়াভিত্তিক।
এক্ষেত্রে সৌদি আরব, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রপ্তানি করা ক্রুড অয়েলের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর পর তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে জিয়াউর রহমান তাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেননি।কিন্তু তাকে গাড়ি-বাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ শুক্রবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে গণভবনে দেশে ফেরার ঘটনাপ্রবাহের স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেদিন সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়েছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বক্তব্য রাখলাম, সব থেকে বড় কথা হলো, আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রোজি, খুকি সবাই বিমানবন্দরে ছিল। আমি যখন ফিরে আসলাম, হাজার হাজার মানুষ, কিন্তু আমি পেলাম বনানীতে সারি সারি কবর।’
তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ পড়তে চাইলাম, আমাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। উল্টো বলেছিল বাড়ি দেবে, গাড়ি দেবে, সব দেবে। বলেছিলাম, তার কাছ থেকে কিছু নেব না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিয়াউর রহমান আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তার স্ত্রীও দেখা করতে চেয়েছিল, আমি দেখা করি নাই। লন্ডনে যখন, তখনও দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আমি যখন আসলাম ৩২ নম্বরে ঢুকতে দেবে না, উল্টো বাড়ি-গাড়ি সাধবে, সেটা তো আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।’
দেশে ফিরে কোথায় উঠবেন, থাকবেন সেটা জানতেন না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমার পরার কাপড়-চোপড়, দুটো স্যুটকেস ও পুতুলকে (মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে আমি চলে এসেছি। তারপর এই যাত্রা শুরু। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও দলকে গোছানোর চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই, কিন্তু অন্তত এইটুকু বলতে পারি, তার বাংলাদেশ কিছুটা হলেও যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীন করেছিলেন এবং যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, কিছুটা হলেও সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’
তার নির্বাসিত সময়, দেশে ফেরার পরের পরিস্থিতি এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন গোছানোর বিষয়গুলোর উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেদিন ফিরে এসেছিলাম। এত বড় দল পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা ছিল না, ছাত্রলীগ করার সময় নেতা হওয়ার চেষ্টা করি নাই। দলের প্রয়োজনে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটাই পালন করেছি। কিন্তু যখন এ দায়িত্ব (আওয়ামী লীগ সভাপতি) পেলাম, এটা বড় দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী বড় সংগঠন। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ। প্রতিবার চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবিলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘কী পেলাম, না পেলাম, সেই চিন্তা করিনি। ভবিষ্যৎ কী, সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যৎটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
দলীয় নেতাদের তিনি বলেন, ‘এটাই মনে রাখবেন, একটা দল করি শুধু নেতা হওয়া না, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম, এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথাটা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।’
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।’
১৯৭৫-পরবর্তী যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী-এমপি-উপদেষ্টা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যারা করছেন তারাই অপরাধী হয়ে গেল। যারা বিরোধিতা করেছিল, গণহত্যা করেছিল, তারাই ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় দেশে ফিরেছিলাম। আমার তো কিছুই ছিল না। একটা বিশ্বাস ছিল, দেশের জনগণ ও আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী। এরপর লড়াই-সংগ্রাম করে এইটুকু বলতে পারি, পঞ্চমবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এসেছে।’
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগোতে পারে না। পঁচাত্তরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল, দেশের কোনো উন্নতি করতে পারেনি। আজকে আমরা বলতে পারি, দেশটা বদলে যাওয়া, বদলাতে পেরেছি। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল, দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।’
আওয়ামী লীগের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, কারফিউ, প্রতি রাতে মার্শাল ল, দেশের মানুষের কোনো আশা নেই, শুধু হতাশা। এই হতাশ জাতিকে টেনে তোলা যায় না। তাদের মাঝে আশার আলো জাগাতে হয়, ভবিষ্যৎ দেখাতে হয়, উন্নত জীবনের চিত্র তুলে ধরতে হয়। তবেই মানুষকে নিয়ে কাজ করা যায়। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদেশে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। কিন্তু সেই ফিরে আসা আর হয়নি।’
আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে, আমাকে এত বড় একটা দায়িত্ব দেওয়া হবে। আমি কখনো এটা ভাবতে পারিনি।’
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন


ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, উভয় দেশই চায় সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, ভারতের সম্পর্ক হবে পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
এ সময় রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে তাদের মতামত জানিয়েছে। সেই বিতাড়িত শাসককে প্রতিবেশী একটি দেশ আশ্রয় দিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই কথা বলবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দলীয় না হয়ে দেশের সঙ্গে হোক। আর এই সম্পর্ক ইতোমধ্যে উন্নতির দিকে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনো জটিলতা নেই। নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো সমস্যা আমরা দেখছি না। কেউ যদি সমস্যা দেখে থাকেন, তাহলে সেটা তিনি ভুল দেখছেন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) শুরু হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খলিলুর রহমান জানান, আজ নির্বাচন নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কমিশনার খুব শিগগিরই একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।
সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘সংস্কার ও বিচার অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। আমরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে নির্বাচনের আগেই এটি সম্পূর্ণ করতে পারবো।’
তিনি আরও যোগ করেন, সার্বিকভাবে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং সরকার এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, এ হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। এই ঘটনার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। একজন আইনজীবী তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন, এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা এটি করেছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইউনূস সরকার যদি এ সন্ত্রাসীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তাকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতা দখলকারীরা সর্বক্ষেত্রেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই।”
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের একজন শীর্ষ নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। চট্টগ্রামে মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি আক্রমণ করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করার পরও হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের মাধ্যমে হয়রানি চলছেই। আমি এসব নৈরাজ্যবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি,” বলে বিবৃতিতে জানান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন


নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, "হয়তো আমরা আর বেশি দিন নেই। এরপর নির্বাচন হবে। চোরদের আর নির্বাচিত করবেন না। দয়া করে চোরদের ভোট দেবেন না।"
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচরে নতুন লঞ্চঘাট উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সাখাওয়াত আরও বলেন, "আপনারা সব দেখেছেন, সব জানেন। একজন ভালো মানুষকে নির্বাচিত করুন। যারা নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের জন্য কাজ করে, তাদের ভোট দিন। বিগত সরকারের সময়ে বড় বড় প্রকল্প দেওয়া হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুধু শহরের উন্নয়ন নয়, গ্রামের উন্নয়ন হলেই দেশ উন্নত হয়। বর্তমান সরকার বৈষম্যবিরোধী এবং গ্রামীণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ করছে। নদীপথের যোগাযোগ আরও সহজ করতে নতুন নতুন লঞ্চঘাট স্থাপন করা হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ভোলা জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা চারপাশে নদীবেষ্টিত। এখান থেকে ঢাকায় যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম লঞ্চ। নৌ-যোগাযোগ আরও সহজ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া মনপুরার সঙ্গে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যায়ক্রমে ফেরি চালুর ব্যবস্থাও করা হবে।"
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জ্বালানি সচিব মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মো. নিজাম উদ্দিন সুজন চৌধুরী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব সামস উদ্দিন বাচ্চু চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম শাহীন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আমিমুল ইহসান জসিম, প্রেসক্লাব সভাপতি মো. অহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত হেলালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
মন্তব্য করুন