

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।
খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় লেখা থেকে শুরু করে স্বাক্ষর করা পর্যন্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এর জন্য খায়রুল হকের ৭ বছর সাজা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি নিয়ে ব্রিফিংকালে এমনটা জানান তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই রায় লেখা থেকে শুরু করে স্বাক্ষর করা পর্যন্ত আইনি পরিক্রমায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন, সে অপরাধ দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় একটি সুনির্দিষ্ট অপরাধ। এর জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা হতে পারে।
তিনি বলেন, উনি (খায়রুল হক) জানতেন একটা জাজমেন্ট প্রনাউন্সম্যান্টের পর সেই জাজমেন্ট একমাত্র রিভিউ ফোরামে পরিবর্তন করা যাবে। এরপরও ক্ষমতা না থাকলেও রায় বদলেছেন, এটা অপরাধ। আমরা এটা আদালতের নজরে আনবো।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খায়রুল হকের দেয়া রায় বাতিল হলে দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হবে। আপিলে আমাদের প্রার্থনা থাকবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে যে রায় হয়েছে, সেই রায় বাতিল করে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করে দেয়া।
এর আগে বুধবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
তারও আগে সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে দ্বিতীয় দিনের রিভিউ শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিয়ে সাময়িক সমাধান দিতে চায় না আপিল বিভাগ। এ নিয়ে কার্যকর সমাধান চায়, যাতে এটা বার বার বিঘ্নিত না হয়। এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন যদি তত্ত্বাবধায়ক ফিরিয়ে দেই তবে এটি কবে থেকে কার্যকর হবে?
অন্যদিকে শুনানিতে রায়ের পর কীভাবে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে আপিল বিভাগ জানতে চাইলে নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে রিভিউ শুনানিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠলে, এর উত্তর দিতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অনুরোধ করেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গেল দেড় দশকে দেশের মানুষ শাসিতের পরিবর্তে শোষিত হয়েছে নানাভাবে। মানুষ গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যেসব সিস্টেম ছিল সেগুলো ধ্বংস করা হয়েছে এবং মানুষ বিচার পায়নি। যার কারণে এই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আর সেই রাজপথ থেকেই নির্ধারিত হয়েছে কে প্রধান বিচারপতি হবেন আর কে সরকার প্রধান হবেন। জনগণের এই ক্ষমতাকে কোনোভাবেই অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই। এসব অবজ্ঞা করলেই বিপ্লবের সৃষ্টি হয়। এ সময় ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
এদিকে গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
মন্তব্য করুন


চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ফলাফলের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এ হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। ফলে এবার পাসের হারে বড় ধরনের ধস দেখা গেছে।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবারের পরীক্ষায় ১৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০২৪ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫১টি। সেই হিসাবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৮৩টি।
অন্যদিকে, এবার মাত্র ৯৮৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। যেখানে গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৬৮টি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ৯৮৪টি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে সাধারণ বোর্ডে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ১০ এপ্রিল এবং শেষ হয় ১৩ মে। এবার ফল প্রকাশে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে একটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। প্রায় সাত বছর পর বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর। জাতিসংঘ মহাসচিবের এ সফরে আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট। এ ছাড়া মানবাধিকার ইস্যুও গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে হোটেলে মহাসচিবের সঙ্গে প্রথমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে একসঙ্গে কক্সবাজার যাবেন। সেখান থেকে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। রোহিঙ্গা শিবিরে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করবেন। শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর রোহিঙ্গা ও পবিত্র রমজানের প্রতি সংহতি জানিয়ে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করবেন তিনি। রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা।
আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে যাবেন মহাসচিব। সেখানে জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর দুপুরে হোটেলে ফিরে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন গুতেরেস। সেখানে বাংলাদেশের যুবসমাজ ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মহাসচিব। এদিন সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। ১৬ মার্চ সকালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।
মন্তব্য করুন


আইনি বাধা না থাকলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। যদি আদালত বা সরকার নিষেধাজ্ঞা না দেয়, তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ একটি নিবন্ধিত দল। নির্বাচনে কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। গত নির্বাচনের মতো বহিঃশক্তি নির্বাচন কমিশনে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।
এছাড়া, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, "এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এদেশে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।" আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, এবং এবার আগের মতো ভোট হবে না। তিনি বলেন, "পাঁচ আগস্টের পর ভোটের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ৯১ ও ৯৬ সালের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
বর্তমান ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সিইসি বলেন, "অনেকেই মারা গেছেন, কিন্তু তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।" তিনি জানান, কেউ মারা গেলে তাদের স্বজনরা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে আসেন না, এবং এই সুযোগটি বিগত নির্বাচনে নেওয়া হয়েছিল।
বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "এটি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা এখনও তাদের সুপারিশনামা পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না।"
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সিইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তিনি চট্টগ্রামে সফর করেছেন।
মন্তব্য করুন


জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এগিয়ে এসেছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সিইসি বলেন, এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকায় থাকতে চায় কমিশন। অনেক কাজ আমরা ইতোমধ্যে শেষ করেছি। যেসব কাজ বাকি আছে, তা সবাই মিলে শেষ করতে হবে। আমাদের শপথ এই জাতিকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেয়া বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার ঈদুল আজহার পর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সিইসি এ কথা জানান। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ইসি থাকবে রেফারির ভূমিকায়। যারা খেলবে, খেলুক; যারা জিতবে, জিতুক। কিন্তু আমাদের কাজ হবে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেয়া। সেই দায়িত্ব পালনে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজানে আপনারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিলেন। আজ আবারও বলছি, আমাদের শপথ হোক কোনো দলের প্রতি পক্ষপাত না করে, কোনো লেজুড়বৃত্তির সুযোগ না দিয়ে, আইন ও ন্যায়ের ভিত্তিতে কাজ করার।’
তিনি বলেন, সরকার লন্ডন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে বিশ্বনেতাদের বলে যাচ্ছে, আমরা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে চাই। বিশ্বব্যাপী ওয়াদা দিচ্ছে, আমাদের ওপর আস্থা আছে বলেই এমন ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে প্রসিকিউশন।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দাবি জানান প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এ মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, তারা মনে করেন, সাবেক আইজিপি মামুন তার জবানবন্দিতে ঘটনা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করেছেন। তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলার পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হচ্ছেন মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিতে এক সপ্তাহ সময় আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলার বিচার চলছে। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দান, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসেবলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের’ মোট পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মামলার ৫৪তম ও শেষ সাক্ষী ছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর। গত ৬ অক্টোবর তার জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল সম্প্রতি এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলেই এ বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় একটি বিল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার দোয়াইজলা নামক বিলে ফসলি জমির পাশে ওই দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন- দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের প্রয়াত দুলু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০) এবং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সুখাকেন্দ্রায় গ্রামের রহুল আমিন মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া (৩৫)। তারা ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিল তোলা, সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ কারণে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মনিরের ছোট বোন জান্নাত আক্তার জানান, "মনির আমার একমাত্র ভাই, তাকে কারা হত্যা করেছে আমরা বলতে পারব না। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, এখন তাদের কি হবে?"
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মরদেহ দুটি খড়ের ওপর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে খড়ের একটি গাদা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা খড় নিয়ে এখানে বসে মাদকসেবন করছিলেন। মাদকে সম্ভবত বিষাক্ত কিছু ছিল, যা সেবনের পর তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, "রবিবার সকালে দোয়াইজলা বিলে কৃষকরা কাজ করতে এসে দুজনের মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে ঘটনা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারা দুজনই ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"
ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বদিলউল আলম সানোয়ার বলেন, "মনির ও মোহন আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মনির বাড়িতে থাকত এবং মোহন অফিসে। মোহনের বাবা আমাকে জানিয়েছেন, রাত ১১টার পর শেষবার মোহনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারপর তাকে আর অফিসেও পাওয়া যায়নি।"
তারা মাদক সেবন করতেন কিনা জানতে চাইলে সানোয়ার বলেন, "মনির মাদকাসক্ত ছিল, কিন্তু মোহন মাদক সেবন করত কিনা আমি জানি না।"
এ বিষয়ে দেবীদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো. শাহীন জানান, "আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, সিগারেট, স্পিরিটের খালি বোতলসহ বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও তথ্য এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেওয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকনকালে এ কথা বলেন।
রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদের বিবেচনা করতে হবে। দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
রোববার সকালে সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী যে প্রতীকগুলো থাকে সেখান থেকে একটি প্রতীক দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করে না। আইন ও বিধি অনুযায়ী তারা (এনসিপি) যে প্রতীক চাচ্ছে সেটি দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো কাজ বা কোনো ঘটনা ঘটেনি। অনেক কিছুই মিডিয়াতে এসেছে। এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমরা আশা করি, রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব বাহিনী প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনী দায়িত্বে থাকতে পারবেন না বলেও জানান তিনি।
পিআর পদ্ধতির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতি রাজনৈতিক বিষয়, এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার নৈতিক রাজনৈতিক দল। প্রত্যেকটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জনের মতো প্রার্থী আছে। খুব শিগগির আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেব। তবে সেটি অফিশিয়াল হবে তফসিল ঘোষণার পরে।
তিনি জানান, জরুরি কিছু ব্যতীত এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত হবে না, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
মন্তব্য করুন