ঈদুল আজহায় বেসরকারি অফিসেও ১০ দিনের ছুটি

ঈদুল আজহায় বেসরকারি অফিসেও ১০ দিনের ছুটি
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।


গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।


খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জবাবদিহিতার রাজনীতি গড়তে চাই’

‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে জবাবদিহিতার রাজনীতি গড়তে চাই’
ছবি: সংগৃহীত



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভবিষ্যতের বিএনপি হবে গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো একটি জবাবদিহিতামূলক রাজনৈতিক দল। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে তারেক রহমান এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য—জনগণ, দেশ ও দেশের সার্বভৌমত্ব। অতীতের ভালো কাজগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ গড়তে চাই।


তারেক রহমান আরও বলেন, আমরা গর্ব করি যে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ও প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রা—এই দুটো ক্ষেত্রই বিএনপির শাসনামলেই শুরু হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এমনকি সেই সময় বাংলাদেশ বিদেশে খাদ্য রপ্তানিও করেছিল।


তিনি বলেন, যখন দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব দল নিষিদ্ধ ছিল, তখন বিএনপির হাত ধরেই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরেছিল। সেই ইতিহাস আমাদের অনুপ্রেরণা।


রাজনীতিতে জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, অভিযোগ থাকতেই পারে। অভিযোগকে আমরা বিবেচনায় রাখব। তবে সুযোগ পেলে প্রমাণ করব, জবাবদিহিতা কেমন হওয়া উচিত। এটা একদিনে সম্ভব নয়, ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।


তিনি বলেন, দেশ গঠনের কাজে শুধু রাজনীতিক নয়, নাগরিকরাও অংশীদার। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে।


প্রবাসজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৭ বছর আমি বিদেশে আছি। পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এই দূরত্ব থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব হতো না। আমার স্ত্রী ও সন্তানকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তাদের সহায়তা না থাকলে এই কঠিন কাজ আরও কঠিন হতো।


তারেক রহমান আরও বলেন, নানা বাধা-বিপত্তি, দমন-পীড়নের মধ্যেও যারা দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন, জনগণের দাবির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন—আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। যুক্তরাজ্যে থেকে ভালো যা কিছু দেখেছি বা শিখেছি, সুযোগ পেলে সেই অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে চাই।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত



ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন এবং তা যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় জটিলতা হলো সেটি বজায় রাখা। রুবিওর ভাষায়, ‘প্রতিদিন আমরা খেয়াল রাখছি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী ঘটছে।’


রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রতিবেশী পরাশক্তির মধ্যে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অস্ত্রবিরতি তখনই কার্যকর হয় যখন উভয় পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে রাজি হয়। কিন্তু রাশিয়া এখনো তাতে সম্মত হয়নি।


তার মতে, ইউক্রেনে সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির পর যুদ্ধবিরতি হলেও তা দ্রুত ভেঙে যেতে পারে। তবে লক্ষ্য কেবল অস্ত্রবিরতি নয়, বরং এমন এক শান্তিচুক্তি যা বর্তমানেও যুদ্ধ রোধ করবে এবং ভবিষ্যতেও সংঘাত এড়াবে।


ফক্স বিজনেসকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে রুবিও আবারও ট্রাম্পের দাবির প্রতিধ্বনি করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি শান্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমরা তা দেখেছি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে, ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে, রুয়ান্ডা ও কঙ্গোতে। বিশ্বজুড়ে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাব।’


প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১০ মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান ‘তাৎক্ষণিক পূর্ণাঙ্গ’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। এরপর থেকে প্রায় ৪০ বার তিনি বলেছেন যে, তিনি ভারত–পাকিস্তান সংঘাত মিটিয়ে দিয়েছেন এবং দুই দেশকে আশ্বস্ত করেছেন, সংঘাত থামালে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করবে।


গত শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনও ট্রাম্প বারবার একই দাবি পুনরাবৃত্তি করেন এবং দিল্লির রাশিয়ার তেল কেনার প্রসঙ্গ তোলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করছিল। সেটা পারমাণবিক পর্যায়ে চলে যেতে পারত। আমি সেটি ঠেকিয়েছি। যুদ্ধ খুবই খারাপ, আর আমি তা এড়ানোর চেষ্টা করি। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে আমি সেই কাজেই ব্যবহার করি।’


অন্যদিকে পাকিস্তান প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়েছে এবং ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে। যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দুই দফা যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এ সময় ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের সঙ্গে তেল চুক্তির ঘোষণাও দিয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

‘নতুন দলের কিংস পার্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই’

‘নতুন দলের কিংস পার্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই’
ছবি: সংগৃহীত




নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির কিংস পার্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।


রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক ধারার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে শুধু নতুন দল গঠন করলেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের জাতিগতভাবে পরিবর্তন হতে হবে।’


তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সমালোচনা থাকাটা স্বাভাবিক, না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অন্তর্বর্তী সরকারের সরাসরি রাজনীতি করার আকাঙ্ক্ষা আমরা দেখি না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন দরকার।’


যে শক্তি দেশের জন্য ইতিবাচকভাবে কাজ করবে, তাদের সবাইকে শুভকামনা জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস
ছবি: সংগৃহীত



মোবাইলে ফোন করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় কাকরাইলের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।


আজ শনিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।


তিনি জানান, আজ দুপুর ১টায় প্রধান উপদেষ্টা ফোন করেন। এ সময় নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টাকে গতকালের ঘটনার বিস্তারিত জানান।প্রধান উপদেষ্টা কাকরাইলের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।


এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সংঘর্ষের পর আল রাজী টাওয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরের মুখ থেকে বুক পর্যন্ত পুরো রক্তাক্ত। ফেটে গেছে নাক। এ সময় তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যায় দলীয় নেতাকর্মীদের।


এ ঘটনায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘটনার শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ জানান। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়ান। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালান।


জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।  

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

দেশের খাদ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক: উপদেষ্টা

দেশের  খাদ্যের সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান খাদ্য পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। তবে বাজারে এর প্রভাব পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়েছে কি না, তা ভিন্ন বিষয়। সরকারের খাদ্য মজুদের পরিস্থিতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) খাদ্যপরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।


ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো নিয়মিত সরবরাহ নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বাফার স্টক গড়ে তোলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি গুদামে খাদ্য মজুদ না থাকলে বেসরকারি খাত এই সুযোগ নিয়ে বাজারে নানা ধরনের কারসাজি করতে পারে।


তিনি আরও বলেন, ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়টি মহার্ঘ ভাতা বা আইএমএফের কোনো পরামর্শের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বরং বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে তুলনামূলকভাবে খুব কম ভ্যাট দিতে হয়। এত কম কর দিয়ে ভালো মানের সেবা প্রত্যাশা করা সঠিক নয়।


অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১২৫ টাকায় চশমা পাওয়া কি সম্ভব? ৬০০-৭০০ টাকার খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু ভ্যাট দিতে চাইছেন না। আবার গ্লোরিয়া জিন্সে গিয়ে কফি খাচ্ছেন, সেখানে ১৫ টাকার ভ্যাট দিতে সমস্যা হয়। এমন প্রবণতা থাকলে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন।”


তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় ১৩৫ মিলিয়ন ডলার এলএনজির বিল বকেয়া ছিল। তা পরিশোধ করা হয়েছে। রাশিয়াও গমের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। বিগত সরকারের সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা এ থেকেই অনুমান করা যায়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ৩১৫ চরমপন্থী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ৩১৫ চরমপন্থী

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করলেন সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের ৩১৫ জন চরমপন্থী। রোববার (২১ মে) দুপুর দেড়টায় সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) লাল পাতা ও সর্বহারাসহ বেশ কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩১৫ সদস্য আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আপনারা জানেন ৮০'র দশক থেকে এই এলাকার কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা ঘাঁটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ স্লোগানে চরমপন্থীরা আলোর পথে ফিরে আসে। প্রধানমন্ত্রী তখন যেমন সবাইকে পুনর্বাসন করেছিলেন, তেমনই প্রধানমন্ত্রী আজকেও আমাকে আসার আগে বলেছেন, আপনারা যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

তিনি বলেন, র‍্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে যাচ্ছে, আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র‍্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। র‍্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি নানা মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ছবি: সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে মানুষ। এই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। আর সেই চ্যালেঞ্জটাই নিতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।


ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে তার কমিশন।


সোমবার ঢাকার সাভারে ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি’ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, ‘ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা জনগণের সহযোগিতা চাই। নির্বাচনী অনিয়ম রুখতে এবং সত্যিকারের নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।’


সিইসি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহের এই কর্মসূচি চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সবকিছু শেষ করে জুনের মধ্যে হালনাগাদ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।


২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থাকছে। একইসঙ্গে মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং ঠিকানা পরিবর্তনের সুবিধাও রাখা হয়েছে।


নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের আস্থা ফেরানোর উপর জোর দিয়ে সিইসি বলেন, ‘যেদিন মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভয়ভীতিহীন পরিবেশে ভোট দিতে পারবে, সেদিনই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সেই সংগ্রাম আজ থেকে শুরু হলো।’


তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন অনিয়ম প্রতিরোধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা ব্যালট বাক্স লুটের মতো অনিয়মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।’


তরুণদের ভোটের প্রতি আগ্রহ ফেরানোর আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘অনেক তরুণ জানিয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। এটাই আমাদের যাত্রার সূচনা।’


ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানে। আমরা জনগণের সাথে আছি এবং তাদের পাশে থেকে সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবো।’


সরকার প্রধানের দেওয়া সম্ভাব্য সময়সূচি অনুযায়ী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইসি সেই সময়কে মাথায় রেখে কাজ করছে বলে জানান সিইসি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে।


সিইসি বলেন, ‘এ যাত্রা লম্বা হতে পারে। তবে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে নির্ভুল ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

কুমিল্লায় নির্জন বিলে উদ্ধার হলো ২ যুবকের মৃ’তদে’হ

কুমিল্লায় নির্জন বিলে উদ্ধার হলো ২ যুবকের মৃ’তদে’হ
কুমিল্লার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় একটি বিল থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার দোয়াইজলা নামক বিলে ফসলি জমির পাশে ওই দুজনের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতরা হলেন- দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের প্রয়াত দুলু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩০) এবং খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সুখাকেন্দ্রায় গ্রামের রহুল আমিন মিয়ার ছেলে মোহন মিয়া (৩৫)। তারা ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিল তোলা, সংযোগ স্থাপন ও মেরামতের কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, মরদেহে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের কাছ থেকে মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ কারণে তারা নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে।

মনিরের ছোট বোন জান্নাত আক্তার জানান, "মনির আমার একমাত্র ভাই, তাকে কারা হত্যা করেছে আমরা বলতে পারব না। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে, এখন তাদের কি হবে?"

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মরদেহ দুটি খড়ের ওপর পাওয়া গেছে এবং প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে খড়ের একটি গাদা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার রাতের কোনো এক সময় তারা খড় নিয়ে এখানে বসে মাদকসেবন করছিলেন। মাদকে সম্ভবত বিষাক্ত কিছু ছিল, যা সেবনের পর তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, "রবিবার সকালে দোয়াইজলা বিলে কৃষকরা কাজ করতে এসে দুজনের মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে ঘটনা নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে খবর দেই। তারা দুজনই ডিস ও ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করতেন। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা, এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।"

ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বদিলউল আলম সানোয়ার বলেন, "মনির ও মোহন আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। মনির বাড়িতে থাকত এবং মোহন অফিসে। মোহনের বাবা আমাকে জানিয়েছেন, রাত ১১টার পর শেষবার মোহনের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারপর তাকে আর অফিসেও পাওয়া যায়নি।"

তারা মাদক সেবন করতেন কিনা জানতে চাইলে সানোয়ার বলেন, "মনির মাদকাসক্ত ছিল, কিন্তু মোহন মাদক সেবন করত কিনা আমি জানি না।"

এ বিষয়ে দেবীদ্বার সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ মো. শাহীন জানান, "আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনই বলা সম্ভব নয় এটি হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কিছু। তবে ঘটনাস্থল থেকে সিরিঞ্জ, সিগারেট, স্পিরিটের খালি বোতলসহ বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। এগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আরও তথ্য এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।"

তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত



পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ে হামলা চালানো এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত আবার পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইছে।


এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অন্তত আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের যুক্তি, নতুন ক্যাম্প হলে প্রতিটি রুটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে, অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি জরুরি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।


এসব সেনা কর্মকর্তার দাবি, শান্তিচুক্তির পর ক্যাম্প কমে যাওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং এখন তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো গত এক বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ইউপিডিএফ তুলেছে ১০৪ কোটি টাকা। চাঁদা নেওয়ার তালিকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও অপহরণ। এর মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো রাঙামাটি জেলা থেকে ২৪৪ কোটি, খাগড়াছড়ি থেকে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবান থেকে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে।


শুধু চাঁদা নয়; অপহরণ ও হত্যার সঙ্গেও জড়িত ইউপিডিএফ। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩৩২ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে পাহাড়িরাও ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্যও রয়েছেন।


ইউপিডিএফ এবং তাদের সহযোগীরা ভারতের মিজোরামে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী মনে করে, সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০, রাঙামাটিতে ৭০ এবং বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের ভৌগোলিক বাস্তবতায় তা যথেষ্ট নয়। আরো অন্তত আড়াইশ নতুন ক্যাম্প হলে সন্ত্রাসীরা আর মাথা তুলতে পারবে না।


সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি সদয় ছিল হাসিনার সরকার


সেনা সদর বলছে, শেখ হাসিনার আমলে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর প্রতি নমনীয় থাকার অলিখিত নির্দেশ ছিল, যার ফলে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী হয়। কিন্তু বর্তমান নীতি হলো ‘নো কম্প্রোমাইজ’। অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস বা আলোচনার জায়গা নেই, সরাসরি অ্যাকশনই একমাত্র পথ। কারণ, গোষ্ঠীগুলো কখনো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না; তারা পাহাড়ি ও বাঙালি- উভয় জনগোষ্ঠীকেই জিম্মি করে রেখেছে।


পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা একজন ব্রিগেড কমান্ডার জানান, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম এখন শুধু চাঁদাবাজি বা অপহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ভারতের মিজোরাম থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এসে পাহাড়ে হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অতিরিক্ত সেনা ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। আমরা মনে করি, কমপক্ষে আড়াইশ নতুন ক্যাম্প প্রয়োজন।


খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, যেভাবে মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজানো হলো, সামনে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সেনাদের দ্রুত উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় সেনা ক্যাম্প নেই, ফলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকফোকর কাজে লাগায়। তাই আমরা আড়াইশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেছি।


বান্দরবানে দায়িত্ব পালন করা একজন মেজর জানান, ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের তথ্য আমাদের হাতে আছে। তারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহায়তায় চলছে। প্রতিটি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। এখন প্রয়োজন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ। নতুন ক্যাম্পগুলো হলে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারব।


রাঙামাটির এক জোন কমান্ডার বলেন, আমাদের হাতে গোয়েন্দা প্রমাণ রয়েছে যে, ইউপিডিএফের অন্তত ছয়টি ক্যাম্প ভারতের মিজোরামে। তাদের লোকজন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো ছাড়া এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা আড়াইশতে উন্নীত করা জরুরি।


সার্বিক বিষয়ে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা এখন আমাদের যা পুঁজি আছে, সেগুলো নিয়ে নজরদারি করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।


নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার চাইলে কেন আমরা তা প্রত্যাহার করব? আমরা আমাদের কৌশলে এগিয়ে যাব।


নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, ইউপিডিএফ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকর নজরদারি ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন এখন একান্ত জরুরি। এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশে উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তাদের দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, "আমরা একটি জাতি হিসেবে আপনাদের সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা করতে প্রস্তুত।"


প্রধান উপদেষ্টা চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।


জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে ঐকমত্যের প্রত্যাশা করছেন।


তিনি বলেন, "এ পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্ন মত শুনিনি।" জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।


প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সরকার শুধু একটি সুবিধাদাতা ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ হচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলা। আমি কোনো ধারনা চাপিয়ে দিচ্ছি না।"


তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে একমত হলে, সরকার তাদের তা স্বাক্ষর করার অনুরোধ করবে, যাতে একটি ‘জুলাই চার্টার’ গড়ে তোলা যায়।


ড. ইউনূস আরও বলেন, "আমরা জানি না বিষয়বস্তুতে অনেক কিছু থাকবে, নাকি কিছু বিষয় থাকবে," মার্কিন কূটনীতিককে তিনি বলেন।


এসময় রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন কয়েকজন সাংবাদিক গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কিছু রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।


প্রধান উপদেষ্টা তখন বলেন, তার সরকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এই ধারণা থেকেই সার্ক সৃষ্টি হয়েছিল এবং আমরা এর উদ্ভাবক।


তিনি সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার সাম্প্রতিক উদ্যোগ এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।


ড. ইউনূস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।


প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের তুলা আমদানির শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং তিনি দেশটিকে আরও বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল পণ্য আমদানির আহ্বান জানান, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলার বৃহত্তর আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করবে।


এসময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১০

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১১

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৩

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৬

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭

জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

১৮

৬ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি

১৯

শততম টেস্টে বিশেষ সম্মাননা পেলেন মুশফিক

২০