

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।
খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রোববার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হতো, এজন্য মামলার তদন্ত শেষ হতে দেরি হতো। আমরা যে সংশোধনী আনছি, তাতে বলা হবে তদন্তকারী কর্মকর্তা যাকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাকেই তদন্ত কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের মামলার তদন্তের সময়সীমা আমরা অর্ধেক করে দিচ্ছি। আগে তদন্তের সময়সীমা ছিল ৩০ দিন, এখন সেটা ১৫ দিন করা হচ্ছে। একইভাবে বিচারের সময়সীমাও অর্ধেক করা হচ্ছে। ধর্ষণের মামলার বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ না হওয়ার অজুহাতে কাউকে জামিন দেওয়া যাবে না। বর্তমান আইনে রয়েছে ১৮০ দিনের মধ্যে বিচার না হলে জামিন দেওয়া যেত। সংশোধিত আইন অনুযায়ী ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে কোনো জামিন দেওয়া যাবে না।’
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ কমপ্রোমাইজ করে আমরা কোনো পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করব না। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সাথে পূর্বের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে। ভবিষ্যতের সম্পর্কগুলোও জাতীয় স্বার্থকে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)-এর লালমাই অডিটোরিয়ামে "ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন" বিষয়ক আন্তর্জাতিক কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন। কর্মশালার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করে জনপ্রতিনিধিদের কার্যক্রম পরিচালনা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নতুন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার শেষ হলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বার্ড-এর মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব সাইফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন আর্ডো'র গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. খুশনুদ আলী।
এই কর্মশালায় ১২টি দেশের ২০ জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ছিল শ্রীলঙ্কা, মিশর, ভারত, ঘানা, জাম্বিয়া, নামিবিয়া, গাম্বিয়া, পাকিস্তান, ওমান, মালয়েশিয়া, কেনিয়া এবং বাংলাদেশ।
আফ্রিকান-এশিয়ান রুরাল ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (আর্ডো) এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নীতি-নির্ধারক ও আর্থিক সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিই ছিল এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে, পল্লী এলাকায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কৌশল শিখতেই এই দুই সপ্তাহব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বলেছেন যে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বা কোনো রাজনৈতিক দল গঠনের ইচ্ছা পোষণ করেন না। তিনি যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার সরকার এখনো নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করেনি। সাক্ষাৎকারটি বুধবার (৩০ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমাদের কাজ হলো সবকিছু স্বাভাবিক করা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবো।"
ড. ইউনূস আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগে ফ্যাসিবাদের সব বৈশিষ্ট্য দেখা গেছে। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে তাদের কোনো স্থান নেই।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তার নেতৃত্বাধীন সরকার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, সরকার শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাইবে না, যাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা না বাড়ে।
ড. ইউনূস আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাসিবাদী দলের অবস্থান থাকার প্রয়োজন নেই।"
দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কারচুপি ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ করে আসছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি পরবর্তী সময়ে দেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে বলে আমার ধারণা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে না। তাদের রাজনৈতিক অবস্থান নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া হবে।"
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতির বিষয়ে তিনি বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আমরা ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারি। তবে রায় ঘোষণার আগে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।"
ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের প্রতিবেশী সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। ভারত যদি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে সমর্থন দেয়, তবে তা উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে।"
মন্তব্য করুন


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের পুনঃসূচনা হবে। এই ঐতিহাসিক নির্বাচনের সাক্ষী হতে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক অংশ নেবেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস আয়োজিত এই কর্মশালায় তিনি বলেন, অংশীদার সংস্থাগুলোর অনুরোধে স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের বয়স কমানো হয়েছে। তবে তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি পূরণে আরও প্রশিক্ষণ দরকার।
কর্মশালায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশের নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব অংশীজনের আস্থা অর্জন ও অংশগ্রহণের ওপর জোর দেয়া হয়।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী, পুলিশ ও গণমাধ্যমসহ সব অংশীজনের আস্থা অর্জন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। এ ছাড়াও, প্রার্থী ও দলগুলোর অনলাইনে প্রচারণা চালানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেন তারা।
মন্তব্য করুন


দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটিতে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য। এখন পর্যন্ত দু'জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ জিয়ুল্লা প্রদেশের ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর জানিয়েছে, উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, থাইল্যান্ড থেকে আসা বিমানটি মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। জেজু এয়ারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখছেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের চলমান নানান ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আজ (বুধবার) বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বুধবার তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। তিনি তাদের সঙ্গে বসবেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন।
মন্তব্য করুন


কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার নির্বাচনকে সামনে রেখে গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি কোনো অপরাধে জড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেছে, চাইলেও কেউ আর তা প্রতিহত করতে পারবে না।
এ সময় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চালানো গুজব প্রতিহত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান তিনি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে পুলিশ সদস্য বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে এ কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আরো একটু সময় লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার একটা কাঠামো তৈরি করে যাবে। নির্বাচিত সরকার পে কমিশন বাস্তবায়ন করবে।’
এর আগে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমাদের সময়ে (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) এটা করতে পারবে কিনা এটা কিছুটা অনিশ্চিত। কারণ তিনটা রিপোর্ট দেখে ওটাকে রিকনসাইল করতে হবে।
রিকনসাইল করার পর প্রশাসনিক কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এজন্য আমি বলেছি যে আমাদের সময় এটা করতে পারব কিনা এটা কিছুটা আনসার্টেনটি (অনিশ্চয়তা) তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রিপোর্ট দেখে ওটাকে আবার রিকনসাইল করতে হবে। এর পর এডমিনিস্ট্রেট কতগুলো প্রসেস আছে, সচিব কমিটি আছে ওরা দেখবে, তারপর মোপা (জনপ্রশাসন) আছে ওরা দেখবে।
তখন ফাইনান্স দেখে কত সম্পৃক্ত ওটার পরে ওটা ইমপ্লিমেন্ট করা যাবে। অতএব একেবারে আমাদের সময়ে ইমপ্লিমেন্ট করা যেতে নাও পারে। সেজন্য আমি বলেছি যে রিপোর্ট হওয়ার পর একটা মোটামুটি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাব। আমরা যদি সেই সময়ের মধ্যে এটা রিকনসাল করতে পারি, তবে করব।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কিছু হয়নি, তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখানে বাজেটের বিষয়ও আছে এবং সরকারের অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনায় নিতে হবে। পরবর্তী সরকার পে কমিশন দেবে না কেন? এটা তো যৌক্তিক।’
সংশোধিত বাজেটের আকার কিছুটা কমছে। তবে টাকার অংকে খুব বেশি নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বাজেট যখন দেয়া হয়েছিল তখনকার বাস্তবতা অনুযায়ী ঠিক ছিল, কিন্তু বাজেট কার্যকর করতে গিয়ে নানা ইস্যু চলে এসেছে। তাই বাজেট কিছুটা কমানো হবে।’
সভায়, রোজার আগে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সয়াবিন তেল ও চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৪০ হাজার ‘বডি অর্ন ক্যামেরা’ কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ইউএনডিপির মাধ্যমে নাকি কোন মাধ্যমে কেনা হবে তা সিদ্ধান্ত হয়নি।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচন আয়োজন ভন্ডুল করার চেষ্টা করছে। এ অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের সব শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এ সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানান রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে। যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানান ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোনো ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারাও প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে জাতীয় গণফ্রন্টের আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্কসবাদী) মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন


অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন দিনের ভোট রাতে হবে না। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি আপনাদের গোপন বুথ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার। সেখানে গিয়ে আপনার ভোট যাকে ইচ্ছা, তাকে দিতে পারবেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সপ্তাহব্যাপী কয়েকটি সভা ও সেমিনারে অংশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেনদের মত কুলাঙ্গাররা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে ভোটের অধিকার হরণ নিশ্চিত করেছিলেন। বিচারাঙ্গনে কোন মাফিয়া থাকবে না, কোন চক্রের সিন্ডিকেট থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তিনি প্রতিনিয়ত মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এ লড়াইয়ে সফলও হচ্ছেন। তিনি মাদক ও দুর্নীতির তথ্য দিয়ে সগযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা শৈলকুপাকে মাদকমুক্ত করে গড়ে তুলবো। কথা দিচ্ছি মাদকের তথ্যদাতাদের নাম পরিচয় গোপন রেখে কেবল মাদকের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন