আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে তিনি পালিয়েছেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'
তাজুল ইসলাম আরও জানান, 'গুমের ঘটনার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস।'
'তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন
ঘূর্ণিঝড় মোখার সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (১৪ মে) সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সরকার চলতি বছরের মাঝপথে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর চরম চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই সরকার ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ করেছে। এ সিদ্ধান্ত জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
বর্তমান রাজস্ব আদায় দিয়ে বাজেট মেটানো সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার কার্যত অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এখন ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকার টাকার অযৌক্তিক মুদ্রণ করে অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। জ্বালানি খরচসহ দৈনন্দিন খরচও বেড়ে যাবে, যা জনগণের নাভিশ্বাস উঠাবে।’
সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে বাজেটের খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। এতে অন্তত ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাজেটে আরও ১ কোটি টাকার সাশ্রয় করা যেতে পারে।’
আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। তাই আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কঠিন শর্ত শিথিল করার চেষ্টা করা উচিত।’
সরকারকে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উচিত সবার আগে বাজেটের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করা।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম নিক্কেই ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রে একটি শান্তিপূর্ণ ও কার্যকর রূপান্তর ঘটাবে। বর্তমান অস্থির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ। এ সময়, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছি। আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার দেশগুলো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সমৃদ্ধির জন্য নতুন সুযোগ উন্মোচনের জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং অভিন্ন সমৃদ্ধির দিকে একটি স্পষ্ট পথ তৈরি করতে হবে।’
এ সময় লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাতটি পরামর্শ উপস্থাপন করে তিনি।
এশিয়ার পারস্পরিক নির্ভরতাকে সহযোগিতায় রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এশিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈচিত্র্যই এর শক্তি এবং পরীক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে, অথচ সেই অর্থের অভাবে কোটি মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে কিংবা ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাও মেটাতে পারছে না। মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ইতোমধ্যে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, আর সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সেই সংকটকে আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত করেছে।
এর আগে সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার (২৮ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাপান পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী টোকিও বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান।
মন্তব্য করুন
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের দিন দুই সপ্তাহ পিছিয়েছে। এ নিয়ে রায়ের দিন চতুর্থ দফা পেছাল।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৪ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেন।
এর আগে রায়ের দিন পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলেও এবার জাহাঙ্গীর আলমের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের দিন পেছানো হলো।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে সময় আবেদন করেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
পরে ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ রিট খারিজের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। আমরা জবাব দাখিলের জন্য সময় আবেদন করেছি। দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি আবার রায়ের জন্য আসবে।
এর আগে গত ২ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায়ের দিন তৃতীয় দফা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
গত ৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফা পিছিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রুলের রায় ঘোষণার জন্য ২ মে দিন ধার্য করা হয়।
গত ২৮ মার্চ এ রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর ৩০ মার্চ রায়ের জন্য রাখেন আদালত। কিন্তু ওইদিন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সে আবেদন গ্রহণ করে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ৪ এপ্রিল দিন রাখেন। এদিনও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে রায় ঘোষণা পিছিয়ে ২ মে দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৫ মার্চ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত বছরের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন নিজ দপ্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর মধ্যে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থপরিপন্থি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা ঘোষণা করে দলটি। গত ২১ জানুয়ারি সে ক্ষমা ঘোষণার চিঠি পান জাহাঙ্গীর আলম।
গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। ভোটগ্রহণ ২৫ মে। তবে ঋণ খেলাপির অভিযোগে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা জানাতে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, এবং জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, 'প্রোক্লেমেশন অব রিভ্যুলেশনের' পক্ষে ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই অভ্যুত্থানে যেমন দেশের প্রতিটি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, আমরা বিশ্বাস করি এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, সরকার এখনও ঘোষণাপত্র নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেয়নি। অভ্যুত্থানে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের আহ্বান থাকবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগির কাজ শুরু করবে। আমরা চাই, সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের' ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের কার্যক্রম এখনও দৃশ্যমান নয়। এ বিষয়ে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের আহ্বান থাকবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগির কাজ শুরু করবে। আমরা চাই, সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন, এই ভেবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তারা আবার আক্রান্ত হতে পারেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনার অভিযোগ জানান। কোনো শক্তি নেই যারা আপনাদের গায়ে আবার হাত দিতে পারবে।’’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে যেসব বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহর-বন্দরগুলোতে দেয়াল ও দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও যারা আগে গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে তারা লিখে গেছেন, রেখেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে। এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই।’’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল দেশে নয়, গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌশলী করিম খানের সঙ্গে আমার ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়তে পারে, সে জন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তকাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন
প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর উইমেন ২০২৩’ এর চতুর্থ আসর। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাব সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে উইমেন ইন ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের দলীয় প্রেজেন্টশন পর্ব। এতে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রজেক্ট এলিসা, টিম ক্লাইমেট অ্যাভেঞ্জার্স, টিম বায়ো গ্রীন, টিম ভিশনারীজ, টিম সানশাইন, টিম লুমেনিসিনস, টিম গ্র্যান্ডে ও টিমটার্মিনেটরসের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর লাইফ’ শীর্ষক সভার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাবের প্রধান এম এম জিমরান খান। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায়, সিনিয়র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সাবা মোয়েম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার লিয়াকত হোসেন, সুমাইয়া টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার রিপা আর জাহান।
তৃতীয় পর্বে শুরু হয় গ্র্যান্ড ফিনালের সমাপনী অনুষ্ঠান। উইমেন ইন ডিজিটালের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের পাটোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন উইমেন ইন ডিজিটালের ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আছিয়া খালেদা নীলা।
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন দ্য ন্যাশনাল উইমেন হ্যাকাথন ২০১৭-এর বিজয়ী শামসুন নাহার লিপি। প্রোগ্রামটির বিচারক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড শেফায়েত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদেললাহি সেকসহ প্রমুখ।
উইমেন ইন ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আছিয়া নীলা বলেন, উইমেন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি হওয়া সত্বেও প্রতিবছর এ ধরনের কম্পিটিশন করেন যাতে টেকনোলজিতে নারীদের পদার্পণ বাড়ানো যায়। এখনো ডিজিটাল টেকনোলজিতে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের কিছুটা সাহস দিতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা চেষ্টা করি সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নারীদের ঢাকা এনে প্রপার মেন্টরিং এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল টেকনোলজি বেজ প্রডাক্ট ডেভলপ করতে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি জেন্ডার ফর ইকুয়ালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। বিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ১৩২টি প্রজেক্ট থেকে ৫৮টি প্রজেক্টকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করেন। কয়েকটি পর্বে যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা আটটি প্রজেক্টকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বুয়েটের প্রফেসর সিলিয়া শাহনাজ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ মাহফিজ কামাল অনিক, আইসিটি ডিভিশনের বিগ-এর হেড অব অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর সিদ্ধার্থ গোস্বামী, ক্রিয়েটিভ কনসারভেশন অ্যালায়েন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার শাহরিয়ার কেইসার রহমান ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্ট অফিসার রেবেকা সুলতানা।
প্রতিযোগীদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনস আর্কিটেক্ট লিডার অ্যান্ড আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান।
প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে তিনটি প্রজেক্ট। প্রথম হয়েছে প্রজেক্ট টিম সানশাইন, দ্বিতীয় হয়েছে টিমএলিসা, তৃতীয় হয়েছে টিম গ্র্যান্ডে, চতুর্থ হয়েছে টিম লুমেনিসিনস।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ বিজয়ী টিমকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনসের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রথম টিমকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় টিমকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ টিমকে ৩০ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সফল করতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনই হলো প্রকৃত সরকার।" তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও মনোযোগী হতে হবে।
সভায় তিনি আরও জানান, পুলিশের যেসব সদস্য বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি, নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ নিশ্চিত করার নির্দেশও প্রদান করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর অন্তর্র্বতীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ মোখবারের নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির সংবিধানে বলা আছে- ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট অসুস্থতা, মৃত্যু, অভিশংসন বা সংসদ কর্তৃক অপসারণের ফলে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে সংসদ এবং বিচার বিভাগের প্রধানদের সাথে যৌথভাবে আলোচনা শেষে সর্বাচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আর এসব কিছুই হতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনসাপেক্ষে। কারণ ইরানের যেকোনো বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি; কিন্তু ভারি কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।’
নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে থাকা জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশই প্রথম দেশ, যে তার প্রশাসনের সঙ্গে কোনো বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেসবুকে এক পোস্টে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লিখেছেন, "আমরাই প্রথম দেশ, যারা কোনো ডিল সাইন করলাম। সে হিসেবে আমরা বলতে পারবো বাংলাদেশ তার প্রথম পার্টনার।"
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত এই বৃহৎ এলএনজি চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার আজকে ট্রাম্পের নতুন এনার্জি এক্সপোর্ট ম্যান্ডেট উপর ভিত্তি করে একটা ল্যান্ডমার্ক এগ্রিমেন্ট সাইন করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর আমরাই প্রথম দেশ কোনো ডিল সাইন করলাম। ট্রাম্প এর ইলেকশন প্রমিজের মধ্যে 'ড্রিল, বেবী ড্রিল' এই স্লোগানটা বেশ পপুলার ছিলো। সেটা এই এনার্জি এক্সপোর্ট কে ঘিরেই।
আমাদের দেশে গ্যাসের বিশাল সংকট। ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ, কর্মসংস্থান, ইত্যাদির জন্য আমাদের লং টার্ম গ্যাস সাপ্লাই সলিউশন বের করতেই হবে। মিডল ইস্ট এর বাইরে আমেরিকা একটা ইন্টারেস্টিং অলটারনেটিভ।
কিন্তু এই সাইনিং এর গুরুত্ব অন্য জায়গায়। ইকনমিক ডিপ্লোম্যাসির অ্যাঙ্গেল থেকে। ট্রাম্প সরকারের স্টাইল খুবই ডিফারেন্ট। তারা জাত ব্যবসায়ী। আঁতেল টাইপের কথাবার্তায় নাই। স্ট্রেইট অ্যাকশন দেখতে চায়। লুইজিয়ানার সিনেটর বিল ক্যাসিডি সাইনিং এর কথা শুনে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলো! আগামী বছরগুলোতে আমরা যখনই বিভিন্ন ইস্যুতে ট্রাম্প এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে যাবো, আমরা বলতে পারবো যে বাংলাদেশ কিন্তু তার প্রথম পার্টনার ছিলো। তার আমেরিকা ফার্স্ট এর সাথে আমাদের বাংলাদেশ ফার্স্ট। আর আমাদের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারেস্ট ফার্স্ট!
অনেকের কাছে শুনি ট্রাম্প আসার পর নাকি সব শেষ হয়ে যাবে আমাদের। প্রথমত, আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব স্টেবল। তারা হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি টার্ন করে না। আর দ্বিতীয়ত, আমরা সৎ হতে পারি, কিন্তু একদম গাধা না। ’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাভিত্তিক আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি বড় এলএনজি সরবরাহ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বছরে ৫ মিলিয়ন টন (৫০ লাখ টন) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে।
মন্তব্য করুন