অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এখন সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক ঘন ঘন হয়। ক্রয় কমিটির মিটিং করে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বা জরুরি বিষয় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সরকার মোটামুটি কর্মব্যস্ত এটা তার একটা প্রমাণ। এত ঘন ঘন মিটিং আমি আগে দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, বাজারে আলুর দাম বেড়েছে, তবে অন্য কিছু পণ্যের দাম কমেছে। দাম বাড়ানোর বিষয়টি সবাই বলে, কিন্তু দাম কমানোর বিষয়ে অনেকেই কথা বলে না। বাজারের পরিস্থিতি এমন যে, এক পণ্যের দাম বাড়বে, অন্যটির দাম কমবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, দ্রুত প্রসেস করে যে পণ্যগুলো কিনতে হবে, সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। আজকে বিভিন্ন ধরনের সার, এলএনজি, মসুর ডাল এবং সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, কিছু মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে, যা গতকাল বাণিজ্য উপদেষ্টা পরিষ্কার করেছেন। ৩০-৪০ বছরে সয়াবিন তেলের দাম এতটা বেড়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন ও মাদরাসার বইয়ের জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে এসব বই মুদ্রণ করা হবে, তবে সব বই জানুয়ারির মধ্যে প্রস্তুত হবে না।
শিক্ষার্থীরা ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই পাবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আজ যেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রেসগুলো খুব ব্যস্ত রয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছে দ্রুত কাজ শেষ করতে।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারে আমাদের পদক্ষেপের কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়ছে, তবে আপনি শুধু আলুর দাম বাড়ছে বলছেন, কিন্তু অন্যান্য পণ্যের দাম সাশ্রয়ী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে এক হাজার টাকা নিয়ে গেলে কিছু পণ্যের দাম বেশি হবে, আবার কিছু পণ্যের দাম কম হবে। সব পণ্যের দাম কমানো খুবই কঠিন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিল করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এবং চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র হাতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মিছিলে নামে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা। এসময় আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিত নেতারা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের সমর্থনে মহাসড়কে নেমে ভাঙচুর চালায়। পরে এমপি মুজিবুল হকের সমর্থকেরা তাদের প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উভয় পক্ষ মহাসড়ক ছেড়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মন্তব্য করুন
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, "দাবি থাকতে পারে, কিন্তু ট্রেন বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করে আন্দোলন করা দুঃখজনক। এই বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের হাতে কিছু নেই, যা করার তা অর্থ মন্ত্রণালয়কে করতে হবে। আলোচনা চলছে, সমাধান হবে।"
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সারা দেশে কর্মবিরতি পালন করছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সারা দেশের ট্রেন চলাচল।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যস্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে নিরবতা বিরাজ করছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী কিংবা কক্সবাজারগামী যাত্রীরা স্টেশনে এসে জানতে পারেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ।
পরিবারসহ শীতে স্টেশনে অপেক্ষা করা যাত্রীরা জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার খবর আগে জানলে হয়তো আসতেন না। তবে কাউন্টারে এসে বিপাকে পড়তে হয়েছে তাদের।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভবিষ্যতে কেউ আর অর্থপাচার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিগত সরকারের রেখে যাওয়া অনিয়ম ও দুর্নীতি স্বাভাবিক হতে ২-৪ মাস সময় প্রয়োজন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ক্ষয়-ক্ষতি শুরু হলেও এখন কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে এবং বিদেশি সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া মিলছে।
বেসরকারি খাতে ঋণ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, পলিসি রেট আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ যাতে কমে না যায়, সেদিকে সরকারের নজর রয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রসঙ্গে তিনি জানান, রাজস্ব আদায়কারী ও আইনপ্রণেতাকে আলাদা করা হবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হলে গার্মেন্টস শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
বাণিজ্য সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখনো পুরোপুরি হয়নি। এছাড়া জ্বালানি সমস্যা এখনও বিদ্যমান, যার কারণে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হবে।
এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে। ব্যবসায়ীরা হতাশ হবেন না। গত ১৫ বছরে যা হয়েছে, তা অকল্পনীয় ছিল এবং এর ক্ষতি প্যারাসিটামল দিয়ে সারানো সম্ভব নয়। কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সম্মেলনে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আখতার বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশকে যেতে হবে কি না এবং চ্যালেঞ্জগুলো নেওয়া সম্ভব হবে কি না, তা এখনই পর্যালোচনা করা উচিত।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমানে মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনিটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি খাত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে এবং ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানোও জরুরি।
মন্তব্য করুন
সাবেক ৪ সংসদ সদস্যের পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
তারা হলেন- শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবার, শওকত হাচানুর রহমান ও তার স্ত্রী এবং আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী। এছাড়া মঙ্গলবার মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
দুদকের পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের ভিন্ন ভিন্ন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শাহীন চাকলাদারের পরিবার
যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, তার স্ত্রী ফারহানা জাহান মালা, দুই মেয়ে সামিয়া জাহান অন্তরা ও মাঈসা জাহান অহনা এবং ছেলে জাবীর চাকলাদারের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের উপপরিচালক মো. শফি উল্লাহ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, শাহিন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শুনানি করেন।
হাচানুর ও তার স্ত্রী
বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান, তার স্ত্রী রওনক রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন করেন।
হাচানুর রহমানের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (বরিশালের আগুরপুর রোড, রুপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়; বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা; ঢাকার নলটোনা, নতুন শহর এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে-যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কানাডাসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শওকত হাচানুর রহমান রিমন ও তার স্ত্রী রওনক রহমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
দুদকের বিশেষ পিপি রেজাউল করিম নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি করেন।
আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী
গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী রুহুল আরা রহিমের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের উপপরিচালক মো. সাইদুজ্জামান তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, গাইবান্ধা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। আবুল কালাম আজাদ গোবিন্দগঞ্জে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার জমি, ৬ তলা বাড়িসহ ৬টি ফ্ল্যাট, বগুড়া শহরের জলেশ্বরী তলায় ২টি বাড়ি, ঢাকার মোহাম্মদপুরে ১টি বাড়ি, গাজীপুরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ ২০টির মতো বাস ও ট্রাক ক্রয় করেছেন বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
আবুল কালাম আজাদ এবং তার স্ত্রী মোছা. রুহুল আরা রহিম অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দুদকের পক্ষে বিশেষ পিপি রেজাউল করিম রেজা তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শুনানি করেন।
মোস্তাফিজ ও তার স্ত্রী
চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যারা ভারতীয় সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেন, তাদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এ পদ্ধতি কতদিন চলবে?
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার বিজিবি ব্যাটালিয়নের প্রশিক্ষণ মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উখিয়া ব্যাটালিয়নসহ (৬৪ বিজিবি) চারটি ইউনিট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা ছিল সম্মেলনের শীর্ষ এজেন্ডায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা থেকে বিএসএফ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব স্থানে বিজিবির পক্ষ থেকে জোরালো প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনের পর এমন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে জোরালো প্রতিবাদ জানানোর পর আমরা কিছু ছবি পেয়েছি। সেখানে দেখা গেছে, ১৫-২০ জনের একটি দল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, সংঘাতের সময় বিএসএফ রাবার বুলেট ব্যবহার করে। এতে ওই যুবকের পেটে গুলি লাগে। দুর্বল স্থানে রাবার বুলেটও প্রাণঘাতী হতে পারে। আহত যুবককে বিএসএফ হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করিয়েছিল, কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি পরিষ্কার বার্তা দিয়ে বলেন, আমরা বলেছি, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যদি আমরা এটা মেনে নেই, তাহলে ভবিষ্যতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ম মেনে গ্রেফতার করে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া কতদিন চলবে?
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো কারণেই হত্যা কোনো সমাধান হতে পারে না। যদি আরও কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের চেষ্টা অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা। বিজিবি, প্রশাসন এবং স্থানীয়রা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তারপরও কিছু ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করতে চেষ্টা করে। আমরা দুইভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাব: বিএসএফের সঙ্গে আলোচনা এবং মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে। তৃতীয়ত, কেউ যেন সীমান্ত অতিক্রম না করে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী আরও বলেন, এ ঘটনায় একজন বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিএসএফ সদস্যের রক্তাক্ত অবস্থার ছবিও আমরা পেয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে যে, ঘটনাটি সত্যিই ওই স্থানে ঘটেছে কি না।
মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। যদি কোনো ঝুঁকি থাকে, আমরা বিজিবি সদা প্রস্তুত রয়েছি।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সংস্কারসহ বিভিন্ন সংশোধন কমিটির রিপোর্ট হাতে আসলে নির্বাচন কবে হবে তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করেছে, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেনি। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয়, বরং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করা যাচ্ছে, মার্চ মাসের ২ তারিখে ভোটার তালিকা সম্পন্ন হবে এবং এরপর বিভিন্ন সংশোধন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। আমরা একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুমিল্লায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব মো. আশরাফুল আলম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডাটাবেস) মেজর মো. মামুনুর রশিদ এবং কুমিল্লা অঞ্চলের জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
দেশে গত শুক্রবার থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের অন্তত ৩৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলামও রয়েছেন। ২০০৯ সালে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে নিষিদ্ধ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে সারাদেশে অভিযান চলছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানান, সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও, সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো নারী আত্মবিশ্বাস ও নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না। নারীর পিছিয়ে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে আমি তার মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের অভাবকেই দায়ী মনে করি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, নারীর একটি ইতিবাচক দিক হলো—সে সামান্য সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। নারীর আত্মবিশ্বাস, নিজের উপর আস্থা রাখা এবং কাজের ক্ষেত্রগুলো প্রস্তুত করে সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীর এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার ও কর্মপরিবেশ। ফরিদা আখতার বলেন, পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলে নারীর এগিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নারী দিবস সারাবিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশের নারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একটি দেশের উন্নয়নের মানদণ্ড অনেকটাই নির্ভর করে সেদেশে নারীর অবস্থান ও অবস্থার উপর।
গত ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় থেকে একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারণ তারা দেখছে, নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে, তাদের দমাতে হবে। এসব বিষয় আমাদের কারও চোখ এড়ায়নি।
তিনি বলেন, ‘এখানে ধর্মীয় কথাটা না এনে আমি বলছি—একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মেয়েদের পিছিয়ে দিতে ধর্মের অপব্যবহার করছে। এটা আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে। সম্প্রতি মেয়েদের ফুটবল খেলায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। নারীদের পিছিয়ে দিতে নানাভাবে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমি একদিকে নারী নির্যাতন হিসেবে দেখি, অন্যদিকে এটাকে সন্ত্রাস হিসেবেও দেখি। আইনিভাবে সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই এটাকে দেখতে হবে এবং অপরাধীদের সঙ্গে কোনো আপস না করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
ফরিদা আখতার বলেন, অধিকারের জায়গায় নারীকে নিজের উদ্যোগেই সচেতন হতে হবে। নারীকে তার প্রতিবন্ধকতাগুলো সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
নিজের মন্ত্রণালয়ে কর্মরত নারীদের কাজ অনেকটাই অদৃশ্য থেকে যায় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কাজ নারীরাই করে থাকে। মাঠপর্যায়ে যেসব খাদ্য উৎপাদন হয়, শাকসবজি চাষ, পশুপাখি ও মৎস্য উৎপাদনের পেছনে নারীর শ্রম রয়ে যায় অনুল্লেখ্য। মাঠ পর্যায়ে অনেক প্রান্তিক নারী নিরলসভাবে কাজ করছে, কিন্তু তাদের কাজের কেউ মূল্যায়ন করছে না। এখন আমার দায়িত্ব হলো এসব নারীদের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করা এবং তাদের কর্মকাণ্ড সমাজের কাছে তুলে ধরা।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে নারী মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি, যেন পরিসংখ্যানে এসব লড়াকু নারীদের অংশগ্রহণ দেখতে পাওয়া যায়। শুধু মুখে বা কাগজে-কলমে নারীর উন্নয়নের কথা বললে হবে না। বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত নারীদের কাজের বিষয়টিকে সামনে আনতে হবে। অন্যদিকে, তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে তারা আরও বেশি কাজে মনোযোগী হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আসলে বদ্ধ ঘরে বসে বক্তৃতার মধ্যে থাকতে চাই না। তাদের নিয়ে কাজ করতে চাই। ৮ মার্চ নারীর জন্য এ দিবসটি নারীর অধিকার ও সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ একটি বিশেষ দিন হিসেবে রেখেছে। সুতরাং, এ দিবসটিকে সঠিকভাবে উদযাপন করা উচিত।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘নিজের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, নারী কোথাও কোথাও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তিকর ও অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছে। CA Press Wing Facts পেজে প্রকাশিত ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, বাংলাদেশে ২০২২ সালে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ২,২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অথচ এই তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং অতিরঞ্জিত।
পোস্টে আরও জানানো হয়, স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনার সংখ্যা ১৩৮টি। এই সময়ে ৩৬৮টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালানো হয়েছে এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। পুলিশের সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ আগস্ট থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার অভিযোগে ৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব ঘটনার বেশিরভাগই ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে, যখন দেশে কোনো কার্যকর সরকার ছিল না। এসব সহিংসতার বড় অংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, এ ধরনের অপরাধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার ঠেকাতে মেটাকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার মেটার পরিচালক (মানবাধিকার নীতি) মিরান্ডা সিসন্স প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ আহ্বান জানানো হয়।
ড. ইউনূস বলেন, 'ব্যাপক হারে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চলছে এবং আমরা এর ভুক্তভোগী।'
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করতে কিছু দেশ থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মেটা পরিচালক সিসন্স প্রধান উপদেষ্টাকে মেটার মানবাধিকার নীতি ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য তারা সতর্ক থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টা মেটাকে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযুক্তিকে আরও সহজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'ফেসবুকের কারণে আপনাদের সম্ভাবনা প্রচুর। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুক ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।'
এ সময় এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ও নেপালে মেটার পাবলিক পলিসি প্রধান রুজান সারোয়ার, মেটার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ, মেটার এশিয়া-প্যাসিফিকের মিসইনফর্মেশন প্রধান অ্যালিস বুদিশাত্রিজো উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন