ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কক্সবাজারের সীমান্ত পরিদর্শনকালে টেকনাফে হ্নীলা জাদিমুড়া পশ্চিম পাহাড় থেকে ১৭ শ্রমিকসহ ১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগের জায়গায় কাজ করতে গেলে তাদেরকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
অপহৃতরা হলেন বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, শ্রমিক আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১),সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০),সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। এছাড়া আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকা থেকে ফরেস্টসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বাগানে কাজ করতে গেলে ১৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ ট্রান্সফোর্স গঠন করে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় টেকনাফে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে ছিনতাই রোধ করতে ট্রাফিক সার্জেন্টদের ‘স্মল আর্মস’ (হালকা বা ছোট অস্ত্র) প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার (বিডিআর মার্কেট) এলাকায় ঢাকা মহানগরীতে কাউন্টার ও ই-টিকিটিং পদ্ধতিতে বাস চলাচলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাত্রীদের সেবার মানোন্নয়ন এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাউন্টার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। চালক-মালিকসহ যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে ট্রাফিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হলো।’
এছাড়া, শর্তসাপেক্ষে চালকদের নিয়োগপত্র প্রদানের জন্য মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার নজরে এসেছে। আমাদের লোকবল সীমিত। অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এ কারণে তাদের ‘স্মল আর্মস’ বা হালকা অস্ত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যাপক ধরপাকড়ের মাধ্যমে অসংখ্য ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ফলে গত ১৫ দিন ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। আমাদের এই কার্যক্রম কঠোরভাবে অব্যাহত থাকবে।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। গভীর রাত পর্যন্ত আমি নিজে সেখানে থেকে প্রতিবেদন সংগ্রহ করেছি।’
মন্তব্য করুন
এবার থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামকরণের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হবে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। পাশাপাশি আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিদায় নিয়েছে, তা যেন আর কখনো ফিরে না আসে—এ বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপ-কমিটিগুলো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শুরুতে শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমঙ্গল দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এরপর থেকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নামেই শোভাযাত্রা করে আসছিল চারুকলা।
২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেসকো।
গত ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়েছিল, এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সবশেষ গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে চারুকলার শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি জানান, চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার অনুষ্ঠান হবে।
মন্তব্য করুন
গত বছরের আগস্ট মাসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যখন বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তখন তাকে বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সে সময় রাস্তাঘাট রক্তে রঞ্জিত ছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ও শিশুর লাশ মর্গে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে। তার নৃশংসতার প্রতিশোধ নিতে সাধারণ মানুষ তার বাসভবনের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু এরই মধ্যে শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
৮৪ বছর বয়সী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, যিনি দরিদ্রদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি অনেক আগেই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলে তিনি বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হন। মূলত শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতেন। ড. ইউনূসের জীবনের বেশিরভাগ সময়ই দেশের বাইরে কেটেছে।
তবে যখন ছাত্র-জনতা তাকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণে রাজি হন।
দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা দেশের যে ক্ষতি করেছেন তা নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এটি ছিল সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত একটি দেশ, অনেকটা গাজাএর মতো। ভবনগুলো ধ্বংস করা না হলেও পুরো প্রতিষ্ঠান, নীতি, মানুষ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হাসিনার শাসনামলে কোনো সরকার ছিল না, ছিল একটি দস্যু পারিবারিক শাসন। সরকারপ্রধানের যেকোনো আদেশই তখন পালিত হতো। হাসিনার আমলে দুর্নীতির মাত্রা এত বেশি ছিল যে এতে ব্যাংকিং খাত এবং অর্থনীতি ধসে পড়েছে।
হাসিনার আত্মীয়স্বজনেরাও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। তার বোনের মেয়ে এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও এতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর তাকে পদত্যাগ করতে হয়। যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি ট্রাম্পকে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। ড. ইউনূস বলেন, আসুন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি করুন। তিনি স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সম্পর্ক উন্নয়নের এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউএসএআইডি তহবিল কাটছাঁট করেছে এবং বাংলাদেশের ওপর অভিযোগ এনেছে যে, তারা সাহায্যের অর্থ ‘চরম বামপন্থি কমিউনিস্ট’ নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং ড. ইউনূসের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ড. ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের জোটকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এই বিলিয়নিয়ারকে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে মাস্কের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটির সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে এবং ১৫ বছরে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি। তবে এখন দেশ গড়ার একটা সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রফেসর জাহেদা পারভীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জব্বার, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কাইয়ুম এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আল আব্দুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ুব আলী, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক শিক্ষার্থী মতিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ইদ্রিস মিয়া।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একসময় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের মৃত্যু ঢাকায় এবং দাফন ভারতের দিল্লিতে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন জানান, ছাত্র-জনতাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তা–এসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ, যা নষ্ট করার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রচলন শুরু করে আওয়ামী লীগ৷
তিনি আরো জানান, এ দেশে সব জাতি ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এসব সংস্কৃতি পালন করবে, এর মধ্যে ধর্ম চর্চাকে আনা যাবে না। যারা সংস্কৃতিকে নষ্ট করবে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।
এ সময় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করে ভারতীয় সংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন আরোহী নিহত হয়েছে। মধ্যরাতে সদর উপজেলার বুড়িচং সড়কের পালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার কাউসার খলিলের ছেলে আহাদ হোসেন, ভুবনগড় এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মিনহাজুল, এবং বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমন।
নিহত আহাদের মামা পাপন জানান, আহাদ ও ইমন, আড়াইওরা মধ্যমপাড়া এলাকায় মামার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফার মিনহাজুলকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তাদের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গতকাল আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় বুড়িচং সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন সীমিত আকারে হলেও ভোটিং সিস্টেমে প্রবাসীদের আনার লক্ষ্যের কথা। তিনি জানান, পৃথিবীর অনেক দেশে আউট অফ কান্ট্রি ভোটিং আছে। অনেক দেশে এটি শুরু করেও পারেনি নানা সমস্যার কারণে। পাশের দেশ ভারতও এখনও এটি চালু করতে পারেনি। আমরা এটি চালু করতে চাই। সীমিত পরিসরে শুরুটা অন্তত হোক।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এক সেমিনারের শুরুতে তিনি এসব কথা জানান।
আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের ওয়াদা জানিয়ে সিইসি জানায়, এটা আমাদের কাছে সবার দাবিও। আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা ও শিক্ষা- সবকিছু পর্যালোচনা করে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো। রাজনৈতিক নেতারা সমর্থন না দিলে কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হবে না। মানুষের আস্থা যেন থাকে, কম খরচে যেন বাস্তবায়ন করতে পারি সেই পদ্ধতিতে বেছে নিতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট চালু করতে চাই।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রবাসী ভোটাররা কোনোদিনই ভোট দিতে পারেননি। প্রবাসী ভোটাররা আমাদের মোট ভোটারদের ১০ শতাংশ। আমাদের লক্ষ্য প্রবাসী ভোটারদের ভোটিং সিস্টেমে আনা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার আমাদের প্রয়োজন আছে। ১০ শতাংশ ভোটারদের মতামতবিহীন ভোট, কিছুটা খণ্ডিত মতামত।
১৭৮ দেশের মধ্যে ১১৫টির প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন উল্লেখ করে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, ২০ শতাংশ দেশে সেই দেশের প্রবাসীরা দেশীয় ভোটারদের তুলনায় বেশি ভোট দেন। এসব দেশে প্রবাসী ভোটাররা কেবল জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।
এসময় তিনি প্রবাসী ভোটিং সিস্টেম তৈরির প্রস্তুতিসমূহ বর্ণনা করেন।
ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঞ্চালনয়ে সেমিনারে নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, প্রবাসীরা ভোট দিতে না পারলে ভোটের কাস্ট হারে প্রভাব পড়ে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চাই। এই উৎসবে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করতে চাই।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আব্দুল কুদ্দুস খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম লোকমান হোসেন গাজী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুরা নিজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, আজ সকালে গোছলে যান আব্দুল কুদ্দুস গাজী। এ সময় তিনি অসুস্থ অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন
চারদিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছেড়ে যান।
তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
ঢাকা ত্যাগ করার আগে আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন। এ সময় তারা পরস্পরের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
চারদিনের এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনের সামনে থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে বাহার উদ্দিন নামে একজন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে মো.সোহাগ বলেন, আমরা দেখতে চাই চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে থাকতে পারে। ছাত্র আন্দোলনের আহতরা পথে পথে আর দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কেন বঙ্গভবনে আরাম-আয়েশ করবে। এই রাষ্ট্রপতি ভারতের দালাল এবং সে শেখ হাসিনার দোসর।
ইনকিলাবের মঞ্চ নামে ব্যানারে আরেকটি সংগঠনের অর্ধশত লোকজন বঙ্গভবনের সামনে হাজির হয়ে বলেন, আমরা চাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত পদত্যাগ করেন।
বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’
তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’
এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
মন্তব্য করুন