বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।
মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে চালু করার জন্য রাশিয়াকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে যে ডিসেম্বরে চালু করবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আইএইএ-এর একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর দুটি চালু হলে বাংলাদেশের গ্রিডে দুই হাজার ৪০০ মেগা ওয়াটের বিদ্যুৎ যোগ হবে। এর মধ্যে ইউনিট ১-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং ২০১৮ সালে ইউনিট ২ এর কাজ শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশ মাতৃকার অখণ্ডতা রক্ষায় নবীন সৈনিকেরা প্রয়োজনে তাদের জীবন দেবে, তবু দেশের এক ইঞ্চি মাটি হাতছাড়া হতে দেবে না। বিজিবির ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বিজিবি মহাপরিচালককে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
অভিবাদন গ্রহণ শেষে বিজিবি ডিজি নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত এই বাহিনী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সুদীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষাসহ সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার রোধসহ যেকোনো ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। শুধু তাই নয়, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার ক্ষেত্রেও বিজিবি অত্যন্ত বিশ্বস্ততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হচ্ছে।
তিনি বলেন, শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিক জীবনের অলংকার।
আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক। সততা, বুদ্ধিমত্তা, নির্ভরযোগ্যতা, আনুগত্য, তেজ ও উদ্দীপনা একটি বাহিনীর শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাপকাঠি। নবীন সৈনিক হিসেবে এই সকল পেশাগত ও চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে। তাহলেই কেবল পূর্বসূরীদের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করতে পারবে।
নবীন নারী সৈনিকদের উদ্দেশে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়। আজ নারীরা বিভিন্ন অঙ্গনে যথাযথ যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আজ নবীন নারী সৈনিকরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃপ্ত শপথ নিয়ে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। নবীন নারী সৈনিকরা বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আরও গতিশীল ভূমিকা রাখাসহ বাহিনীর সুনাম-সুখ্যাতি বৃদ্ধিতে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করবে।
বিজিবি মহাপরিচালক নবীন সৈনিকদের কুচকাওয়াজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, বৃহত্তর কর্মজীবনে কাজের ব্যাপ্তি ও পরিধি আরও বিস্তৃত হবে। নবীন সৈনিকরা যখন সীমান্তে নিয়োজিত থাকবে তখন তাদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাগত দক্ষতার ওপরই নির্ভর করবে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ও গৌরব।
উল্লেখ্য, ১০৩তম রিক্রুট ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ গত ২৬ জানুয়ারি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ সপ্তাহের কঠোর ও কষ্টসাধ্য প্রশিক্ষণ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ৬৫৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী সর্বমোট ৬৯৪ জন রিক্রুট আজ সমাপনী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে সৈনিক জীবনে পদার্পন করলো ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। ’
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আজ মঙ্গলবার থেকে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ মিলিয়ে এ বছর বন্ধ থাকবে মোট ২১ দিন। আজ থেকে ছুটি শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুন থেকে পুনরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।
এদিকে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজ ১০ দিন বন্ধ থাকবে। কলেজে শুধুমাত্র ঈদের ছুটি থাকবে। সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নেই। কলেজের শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদুল আজহার ছুটি আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন থেকে পুনরায় কলেজে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে।
এবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, যা শুরু হয়েছে গত রোববার (১ জুন) থেকে। এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনালে আনুষ্ঠানিক ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও ছুটি শুরুর আগেই শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় গত ২৯ মে থেকে বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
জাপানের কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ীরা দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মী ঘাটতি মেটাতে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে এক লাখ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার টোকিওতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ সেমিনার অন হিউম্যান রিসোর্সেস’ শীর্ষক সেমিনারে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি এবং জাপানকে জানার দরজা খুলে যাওয়ার এটাই সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ক দিন হতে যাচ্ছে। সরকার এই প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।’
এদিন প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। একটি বাংলাদেশের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগ কাইকম ড্রিম স্ট্রিটের মধ্যে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের বিএমইটি এবং জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কো-অপারেটিভস (জাপানে পরিচালিত ৬৫টিরও বেশি গ্রহণকারী কোম্পানি) এবং জেবিবিআরএ-এর (জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সি) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি তরুণ জনগোষ্ঠীর দেশ, যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ২৭ বছরের নিচে। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের দরজা খুলে দেওয়া।’
জাপানের শিজুওকা ওয়ার্কপ্লেস এনভায়রনমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট কো-অপারেটিভ সংস্থার প্রতিনিধি মিতসুরু মাতসুশিতা জানান, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশি কর্মীদের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি তরুণদের মাঝে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
জাপানের এনবিসিসি চেয়ারম্যান মিকিও কেসাগায়ামা স্মরণ করেন, প্রায় ১৪ বছর আগে প্রফেসর ইউনূস যখন জাপানে ক্ষুদ্রঋণের কথা বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশিদের দক্ষতা তাদের নজর কেড়েছে। তিনি জানান, এখন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার হিসেবে দেখছেন।
জাপানের ওয়াতামি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট মিকি ওয়াতানাবে বলেন, বাংলাদেশে তাদের পরিচালিত একটি স্কুল প্রতিবছর দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এখন তারা এই সংখ্যা বাড়িয়ে তিন হাজার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার মতে, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণরা জাপানে কাজের সুযোগ পেতে পারে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিটকো) চেয়ারম্যান হিরোয়াকি ইয়াগি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের জাপানে কাজের সুযোগ থাকলেও ভাষা শিক্ষকের ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে।’
জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিকি হিরোবুমি বলেন, ‘জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি কর্মশক্তি দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হতে পারে।’
সমাপনী বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী বলেন, ২০৪০ সাল নাগাদ জাপানে শ্রমিক সংকট এক কোটি ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষ কর্মী পাঠিয়ে এই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ এর জাকঁজমকপূর্ণ রেসিডেন্সিয়াল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৭ জুন ঢাকার প্যানপ্যাসিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। ১৯ জুন ছিল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ-এর সভাপতি ডা. হাসনাত হোসাইন এমবিই ৷ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ-এর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী পরিচালক শরাফত হোসেন বাবু । এছাড়াও যুক্তরাজ্য , মালয়েশিয়া, গ্রিস, দুবাই , বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্বাহী পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলকে । অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ , বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি নূর ও সেক্রেটারি রাশেদ খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, খিলাফত মজলিসের
মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের ।
অনুষ্ঠানে সারাবিশ্বের প্রবাসীদের অবদান ও দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়। ভবিষ্যতে প্রবাসীদের জন্য একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়েও বিষদভাবে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশী ও ভয়েস ফর জাস্টিসের দীর্ঘ পথচলা ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয় । স্বৈরাচারি সরকার বিতাড়নে ও বাংলাদেশে বিশেষ অবদানের জন্য উপস্থিত অতিথিরা ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজের প্রশংসা করেন৷
ইতোমধ্যে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সমন্বয়ে নতুন ধারার একটি সংসদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে প্রবাসীদের পক্ষে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজের ১০% আসন রাখার বিষয়ে মতামত দেন সকলে এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশি সব সময় পাশে থাকবে বলে আশাব্যক্ত করা হয়। পরিশেষের ডিনারের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে ।
আগামী রেসিডেস্সিয়াল চলতি বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চূড়ান্ত রূপ পাওয়া জুলাই জাতীয় সনদকে দেশের রাজনীতিবিদদের ঐক্যের দলিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, দলগুলোর মধ্যে যে সহযোগীতার ধারা তৈরি হয়েছিল, সামনের মাসগুলোতে তা অক্ষুণ্ণ রেখে চূড়ান্ত পরিণতিতে পৌঁছাতে পারবো। এটি কমিশনের প্রত্যাশা। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অপরিহার্য। পরাজিত ফ্যাসিবাদি শক্তি এখনও চায়, এ প্রক্রিয়া যেন সফল না হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সবশেষ বৈঠক করেছিল কমিশন। সেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
কমিশনের মতে, জুলাই সনদ কেবল রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখাই নয়- এটি দীর্ঘমেয়াদী একটি রোডম্যাপ। যা দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের ভিত্তি শক্তিশালী করবে। তবে কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন সর্বাত্মক রাজনৈতিক ঐকমত্য।
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন একজন। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫ জন রয়েছেন।
এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৯ জন, রংপুরে ৩ এবং সিলেটে ২ জন ডেঙ্গুরোগী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট ছাড়পত্র পেলেন ১০ হাজার ৮২ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৫৬ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫৭৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।
মন্তব্য করুন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসতে শুরু করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট জাতের চাল বোরো মৌসুম থেকেই সরবরাহ করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, বিদ্যুতের সরবরাহও ভালো ছিল। পাশাপাশি সারের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করা গেছে। আমরা আশা করছি, আল্লাহর রহমতে এবারের ফসল ভালো হবে এবং ধানের উৎপাদন বাড়বে। নতুন ফসল বাজারে আসার পর চালের দাম স্থিতিশীল হবে।"
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কৃষিপণ্যের বাজার গতিশীল। তবে আমরা সব পণ্যের দিকেই সতর্ক নজর রাখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এ বিষয়টিই এখন প্রধান বিবেচ্য।"
মন্তব্য করুন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের দেড় লাখ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা পর্যায়ক্রমে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ইতোমধ্যে দুই হাজারের অধিক সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা সারা দেশে ১৩০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অন্যান্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালনের কৌশল।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর রাত পর্যন্ত ৪৯টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনোটিই বড় ধরনের বিপত্তি তৈরি করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করেছি।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয় এজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ কাজ করছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘এসব ঘটনায় থানায় জিডিসহ ১৫টি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয়েছে। এই দাবিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শুক্রবার (৯ মে) সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও সরকার বিবেচনায় রাখছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে সকলকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রচলিত আইনের আওতায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও হত্যা মামলার আসামি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের ঘটনায় জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়েও সরকার অবগত রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।
মন্তব্য করুন