ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ‘সম্ভাব্য’ কারণ জানা গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে। এখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাম গোপন রাখার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগর বাজার স্টেশনের লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালবাহী ট্রেন। ওই সময় চেন্নাইগামী করমণ্ডল ট্রেনের মূল লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মূল লাইনে না গিয়ে এটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস অত্যন্ত জোরে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। তখন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ছিটকে পাশের আরেকটি মূল লাইনে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চলে আসে। লাইনের ওপর পড়ে থাকা করমণ্ডল ট্রেনের কয়েকটি বগিতে সজোরে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ভারতের খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, বালেশ্বরের ওই স্টেশনের কাছে মোট চারটি লাইন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি লুপ লাইন। আর বাকি দুটি মেইন লাইন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কক্সবাজারের সীমান্ত পরিদর্শনকালে টেকনাফে হ্নীলা জাদিমুড়া পশ্চিম পাহাড় থেকে ১৭ শ্রমিকসহ ১৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বন বিভাগের জায়গায় কাজ করতে গেলে তাদেরকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।
অপহৃতরা হলেন বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২২), সৈয়দ (৫০), রফিক, শ্রমিক আইয়ুব খান (১৮), আইয়ুব আলী (৫০), আনসার উল্ল্যাহ (১৮), আয়াত উল্ল্যাহ (২২), সামছু (৪৫), ইসলাম (২১),সামছু (৪০), ইসমাইল (৩৫), মোহাম্মদ হাসিম (৪০), নূর মোহাম্মদ (২১), সৈয়দ আমিন (৩০),সফি উল্ল্যাহ (৩০), আইয়ুব (৫০), মাহাতা আমিন (১৮)। এছাড়া আরও দুজনের নাম পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে অনেকে রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকা থেকে ফরেস্টসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
টেকনাফ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় বাগানে কাজ করতে গেলে ১৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), উপজেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে অপহরণের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ ট্রান্সফোর্স গঠন করে পাহাড়ে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় টেকনাফে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্যকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের আগে নানাভাবে তাদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। নিয়োগ পার্থী কোন দলের, তার বাবা কোন দলের, দাদা কোন দলের এবং আরও পূর্বপুরুষ কোন দলের তা খবর নেওয়া হয়েছে। দুই লাখ পুলিশের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্য এভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ৮০ থেকে ৯০ হাজার পুলিশ সদস্যকে তো বলতে পারি না ‘গো হোম’ (বাসায় ফিরে যাও)। তবে যারা দুষ্টু, যারা পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাজ্জাত আলী আরও বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন পুলিশ ইনঅ্যাক্টিভ হয়ে পড়ে, তখন ঢাকা শহরে ডাকাতি, লুটপাট শুরু হয়। তখন ৮০ বছরের বৃদ্ধও লাঠি নিয়ে পাহাড়া দিয়েছেন। তখন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ট্রমার মধ্যে পড়ে যায়। এরপর সদ্যবিদায়ী ডিএমপি কমিশনারসহ অন্যরা পুলিশকে সক্রিয় করতে কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা ট্রাফিক। এই শহরে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। অটোরিকশা যদি বন্ধ না হয় তাহলে ঢাকা শহরের ঘর থেকে বের হলে আর হাঁটার জায়গা থাকবে না। মানুষের মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাফিক আইন কেউ মানতে চান না। হকাররা ফুটপাত দখল করে নিয়েছেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করেছি। ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ হারে মামলা করা হচ্ছে। ঢাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত হবে না।
ইদানিং ছিনতাইয়ের ঘটনা অহরহ হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্নভাবে আমাকে জানানো হয়েছে ছিনতাই বেড়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ডিবি ও থানা পুলিশকে সক্রিয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি হচ্ছে, কিন্তু সমাজ থেকে প্রতিরোধ করা না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা কঠিন। আপনারা কেউ চাঁদা দেবেন না। আমরা পুলিশ জনগণের পাশে থাকবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন। পাশাপাশি তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।
২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করার পাশাপাশি গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল দশম গ্রেড করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
তবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।
এরপর একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ কেন সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করে আদালতকে অবজ্ঞা করার অপরাধে বিবাদীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, মর্মে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে দুই দিন আগের তারিখে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করে মন্ত্রণালয়।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। এর ফলে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় কার্যকর করতে আর কোনো বাধা রইলো না। এদিকে, এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিটকারী প্রধান শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছি। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি। কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্ৰ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপসচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। এ বছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে ১৫ জন প্রতিনিধি তাদের মতামত তুলে ধরেন। বৈঠকে শ্রম অধিকার, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে গোটা মাসজুড়ে আমরা বিজয় উদযাপন করি। বিজয়ের মাসে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি ইন্টার্যাক্টিভ আলোচনায় অংশ নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। ’
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি গত ১৬ বছর ধরে অত্যাচার, শোষণ, বলপূর্বক গুম, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্পর্কে সংক্ষেপে কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের বিষয় উল্লেখ করে দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ব্যাংকিং সিস্টেমকে কীভাবে বিপর্যস্ত করা হয়েছিল সেসব কথা জানান।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আকারে অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা এই মিসইনফরমেশন ঠেকাতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল হিসেবে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে, ভোটের অধিকার হরণ করে এবং নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার জন্যই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল না। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।
ভারতের সমালোচনা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি বন্ধু রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার নামে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এখন তারা একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেওয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। রোববার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা লিভ টু আপিলের শুনানি একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দেন। পরবর্তীতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের আগস্ট মাসে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিশেষ জজ আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে রায় ঘোষণা করে।
মন্তব্য করুন
দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার কারণেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও তিন মাস সময় লাগবে। এজন্য আগামী মার্চে সংশোধিত বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো সংকট হবে না।
এছাড়া, অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, তবে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন