আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক অস্ত্র খোয়া গেছে। এগুলো উদ্ধার করতেই এই অভিযান চলছে এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
আজ সোমবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
৫ আগস্ট ঘিরে মানুষের মধ্যে কোনো আতঙ্ক রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ৩ আগস্ট নিয়েও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে এবং আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে এসেছে।
তিনি আরও জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হলেও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
তবে তা উন্নত হয়েছে কি না, সেটা জনগণই ভালো বলতে পারবেন।
মন্তব্য করুন
‘দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না’ বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লেষে রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ তারা দেশ ত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
জুন মাসজুড়ে দেশে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের ৩০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। পাশাপাশি এই সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ৬২ লাখ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৮ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
তবে বিদায়ী জুনজুড়ে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ও ২টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক পিএলসি।
এছাড়াও বিদায়ী জুনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।
এর আগে চলতি বছরের মার্চে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে বৈধ পথে ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সবশেষ গত এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
তবে সেই রেকর্ড গত মে মাসে ভেঙেছে। বিদায়ী মাসটিতে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন
পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকবেন। পুরো ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিন পর্বের ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় ৬ হাজার পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
বুধবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পাশে স্থাপিত জিএমপির কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, এবারের ইজতেমা ভিন্ন রকমের, কারণ গত আন্দোলনে পুলিশের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র হারিয়ে গেছে এবং দেশের বিভিন্ন জেলখানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে। সেসব এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবার পুরো ইজতেমা ময়দান ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পাশাপাশি ইজতেমা আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
তিনি জানান, ইজতেমা ময়দানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ময়দানের চারপাশে পোশাকধারী, সাদা পোশাকে, ড্রোন ভিউ, সিআইডি, ডিবি, সিসিটিভি মনিটরিং, নাইটভিশন ক্যামেরা, রুফটপ পর্যবেক্ষণ, ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনি, উপ-পুলিশ কমিশনার এনএম নাসিরুদ্দিন, সিটি এসবির উপ-পুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজুল ইসলাম, সহকারি উপ-পুলিশ কমিশনার (টঙ্গী জোন) মেহেদি হাসান দিপু, ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরব্বি মাহফুজ হান্নান, মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
আবদুস সালাম পিন্টুর কারামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেল।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিএনপির মিডিয়া সেল জানায়, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৭ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু।
অবশেষে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
পোস্টে বেশ কিছু ছবিও দেয়া হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন পিন্টু। এসময় ছাদ খোলা গাড়িতে মাথা বের করে শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস এপ্রিলে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।
মন্তব্য করুন
অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ১৫ জেলা ও আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চলে ১-৩ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মধ্যরাতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৫ জেলা ও এর আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চল ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার।
এমন অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রস্তুত ইসি। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেলে কমিশন আলোচনা করে ভোটের তারিখ থেকে মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দ্রুত চিঠি পেয়ে যাবো। না পেলেও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভোটের মাঠ লেভেল প্লেয়িং করার কাজ করছি। তবে রাজনৈতিক দল যেন ফাউল করার নিয়ত করে খেলতে না নামে।
সিইসি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোও কেউ কেউ বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানাচ্ছেন। তবে আমরা নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোট করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ। তাদের বিচার চলমান রয়েছে, বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোট দিতে পারবে বলে জানান নাসির উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখবেননা। বরং আপনাদের যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গুলোর জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামী নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনে নোয়াখালী খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগস্টের বিপ্লব প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। আগে দেশ বাঁচান, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে কোনো বাংলাদেশী বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী মাফিয়া হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল গুলোকে এক সাথ হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের জাল উঠছে। তাই এখনো গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনো আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ ও প্রতিযোগিতার সময় তৈরী হয়নি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউছুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাশেম,যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী প্রমূখ।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সকল পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব হতে পারে। তিনি সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান হয়ে যেতে পারে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। অধৈর্য হলে সমাধান হবে না।" স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, ধৈর্যের সঙ্গে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে।
সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ না করে মাঠ বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ জানানো শ্রেয়। তিনি আরও বলেন, জনগণের দুর্ভোগের জন্য অবরোধ করা ঠিক নয়। দাবিদাওয়া থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান পাওয়ার জন্য তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, "সরকার চায় প্রতিটি বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা দেশের জন্য কাজ করে, তারা পজিটিভ কাজই করে, কিছু ভুল হতে পারে, তবে সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন