নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণ এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য আশা করে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব।
বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট ছিল এবং তাতে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন, যা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ২০২৬ সালের জুনের কথা বলেছেন, যা পরস্পরবিরোধী এবং জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাবির মুখে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশটি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীরা স্মারকলিপি দিতে গেলে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
সম্প্রতি সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর থেকেই এটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবারও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অধ্যাদেশকে কালো আইন উল্লেখ করে তারা এটি বাতিলে স্লোগান দেন। এসময় অধ্যাদেশটি জারির আগেও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশের কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি মন্তব্য করে ঐক্য ফোরাম নেতারা বলেন, এই আইনের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।
আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা না থাকায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে তারা জানান, কর্মচারীদের সঙ্গে এ ধরনের বিমাতাসুলভ আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এসময় ঈদের পর সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম এবং বাদিউল কবীর।
পরে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা জানায়, অধ্যাদেশটির সার্বিক দিক পরিচালনার জন্য সচিবদের একটি কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সংবিধান মোতাবেক বিচার বিভাগের সকল কার্যক্রম যেন আইনসম্মত ও সাংবিধানিক হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির চলমান সংলাপের তৃতীয় দিনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, আজকের বৈঠকে মূলত বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ে আলোচনা হবে।
কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ জানায়, বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকলেও সেসব সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আলোচনা করছে। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আজকের বৈঠকের মধ্য দিয়েই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সমাপ্তি ঘটতে পারে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিআরটিএ এবং সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সংস্থাটি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৪ স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান সম্পর্কিত বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করে যান চলাচলে কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি চালকদের অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। মিটারের ভাড়া ইস্যুতে সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধের খবর পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবরোধের কারণে রাজধানীজুড়ে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি করছেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং মিটারে না চললে জরিমানার আইন বাতিল করতে হবে। বিআরটিএ এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে চালকদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ ছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধান রয়েছে।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় নিবন্ধিত অটোরিকশা রয়েছে ২০ হাজার ৮৯৪টি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের (১০ বছর) মধ্যে সবচেয়ে বেশি অটোরিকশা নিবন্ধন পেয়েছে ২০১৯ সালে। সে বছর নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৮৩৯টি অটোরিকশা। তার আগের বছর ২০১৮ সালে ৫ হাজার ৬৩৭টি অটোরিকশা নিবন্ধন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিধিনিষেধের এই ঘোষণা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দিলেও এই বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন আরও এক ব্যক্তি।
তার নাম ডোনাল্ড লু। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা করলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও মার্কিন ভিসা পাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ডোনাল্ড লুর নামই উঠে এসেছিল।তৎকালীন পিটিআই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেছিলেন খোদ ইমরান খান। সেই ঘটনার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড লু। আর এবার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইস্যুতে নতুন ভিসানীতি প্রকাশের পর মার্কিন এই কূটনীতিকের নাম অলোচনায় এসেছে।পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের পর ডোনাল্ড লু নামটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার তার অপসারণের পেছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড লুকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন ১৬৮ জন বিডিআর সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন, কাশিমপুর-১ কারাগার থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ১২ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ আসামির নাম প্রকাশ করেন। তাদের মধ্য থেকে ১৬৮ জনের তালিকা হাতে পেয়েই মুক্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে কারাকর্তৃপক্ষ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। সেই রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২৭৮ জন খালাস পান।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। একই সঙ্গে ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া ২৮৩ জন আসামি খালাস পান।
বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিচার শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণে মনোযোগ দেওয়ার কারণে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
এদিকে, হাইকোর্টের রায়ের আগে ৫৪ জন আসামির মৃত্যু ঘটে। হত্যা মামলায় দণ্ডিতদের মধ্যে ২২৬ জন আপিল করেছেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ ৮৩ জন আসামির খালাস ও সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যরা গত ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার আল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে। তাদের ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর ১৬৮ বিডিআর সদস্যের মুক্তি নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এই ঘটনা পিলখানা বিদ্রোহের ক্ষত আবারও উন্মোচন করেছে।
মন্তব্য করুন
ঈদে টানা ১০ দিনের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না বা স্থবির হবে না বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটি এ সময় দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না বা স্থবির হবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা জানান, স্থবির হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ব্যবসা করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে কোন কোন দিন কোন কোন স্থানে ব্যাংক খোলা থাকবে। গরুর হাটে কীভাবে থাকবে।
তিনি আরো জানান, এরকম হলিডে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আরও বেশি থাকে। বড়দিনে ২০ থেকে ২৫ দিন ছুটি থাকে। নেপালে দুর্গাপূজার সময় ৩০ দিন ছুটি থাকে। তখন তাদের দেশ চলে না। সুতরাং দেশ চলবে। কোনো রকম বিরূপ কিছু...৷ ইতোমধ্যে আমরা বাজেট দিয়ে দিয়েছি। বাজেটে মোটামুটি কর্মপন্থা কি হবে সে অনুযায়ী কাজ হবে।
তিনি বলেন, ঈদের পর বাজেটের ওপর কার কী মন্তব্য, সাজেশেন থাকবে সেটা নেবো। ১৯ জুন পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে বাজেটের বিষয়ে। ২২ তারিখ কেবিনেট বৈঠকে বাজেট অনুমোদন হবে।
তিন দিনে কি এটা করা সম্ভব হবে কি না জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগে থেকেই বলেছি মতামত প্রতিনিয়তই আসতে থাকবে। একদিনে তো আর সব মতামত আসবে না। ইতোমধ্যেই মতামত দেওয়া শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র মানুষের জন্য তো কোনো সুখবর দেখছি না, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুখবর আছে, আপনারা বাজেটের কোথায় কোথায় পরিবর্তন হয়েছে সেটা একটু দেইখেন।
এতে সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করেন কি ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেটে স্বস্তি আছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হিসেবে শেখ নাঈম কাসেমের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গোষ্ঠীটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হিসেবে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন শেখ নাঈম কাসেম। হেজবুল্লাহর যে অল্প কয়েকজন নেতা এখন জীবিত আছেন, তিনি তাদের একজন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন হাসান নাসরাল্লাহ। শিয়া ধর্মগুরু হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হেজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। পরে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিএদ্দিন বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলীতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ।
১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলের বিরোধিতা করার জন্য এই অঞ্চলের সবচেয়ে প্রভাবশালী শিয়া শক্তি হেজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছিল ইরান। তখন দেশটির গৃহযুদ্ধের সময় ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন দখল করেছিল।
হেজবুল্লাহ বিশ্বের সবচেয়ে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অরাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনীর একটি, যেটিকে অর্থায়ন করেছে ইরান। হেজবুল্লাহর বিমান বিধ্বংসী ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলের গভীরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলেও মনে করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৫-১৬ বছর আগে গুম হওয়া সুমনের বাসায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অথচ হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি এয়ারপোর্ট দিয়ে পালাচ্ছে সেদিকে তাদের দৃষ্টি নেই। সরকার প্রকারান্তরে কোনো না কোনোভাবে প্রকৃত ফ্যাসিস্টদেরকে প্রকৃত স্বৈরাচারদেরকে পুনর্বাসন করছেন কিনা এটা কিন্তু জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা যেতেই পারে, প্রশ্ন দেখা যেতেই পারে। এই ধরনের সংশয় কিন্তু তৈরি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, একটা দায়িত্বশীল নির্বাচিত সরকার থাকলেই তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকে শেখ হাসিনার সেটি ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল তোরা যে যাই বলিস আমি আমার ক্ষমতা ছাড়ছি না যার ফলে শেখ হাসিনা একটার পর একটা ন্যারেটিভ তৈরি করতো। কারণ তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্র মানেননি। তিনি গণতন্ত্রের চর্চা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এগুলো কোনো কিছুই তার কাছে কোনো ধর্তব্যের বিষয় ছিল না। অপপ্রচার করে নাশকতার কথা বলে জঙ্গির কথা বলে এই কাজগুলো করেছে শেখ হাসিনা। এখনো কিন্তু নানাভাবে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। তাহলে তো একইভাবে শেখ হাসিনারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে যদি নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে শাক সবজির দাম মুরগির দাম যে বৃদ্ধি পেয়েছে যার জন্য জনগণ তাদের কাছে জবাবদিহিতা চাইতো কিন্তু এই সরকারের তো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা শুধু বলছে আগে সংস্কার হোক তারপরে নির্বাচন।
তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর আদাবর এলাকায় সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না এর জন্য আমরা কাকে বলবো? নির্বাচিত সরকার থাকলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র যারা থাকেন তাদের মধ্যে একটা দায়বদ্ধতা থাকে ভবিষ্যতে ভোটের আশায় তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করে। এই সরকারের তো কোন দায়বদ্ধতা নেই।
রিজভী বলেন, খুনের আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি উনি চলে গেলেন। নানা কথা আমরা নানা দিক থেকে শুনতে পাচ্ছি। বিএনপি কোনো কথা বললেই নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়। বিএনপি তো গণতন্ত্রের প্রশ্নে বরাবরই আপোষহীন। যার কারণে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রাস্তায় মার খেয়েছে, গুম হয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫-১৬ বছর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে লড়াই করেছে সংগ্রাম করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে গড়িমসি করছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে গড়িমসি করছে এটাই হচ্ছে জনগণের সংশয়ের সবচেয়ে বড় কারণ। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। যার কারণে আমরা এই পরিস্থিতি এবং পরিণতিগুলো দেখছি যে সাবেক রাষ্ট্রপতি হত্যা মামলার আসামি চলে যাচ্ছেন এয়ারপোর্ট দিয়ে; সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু জানে না। অথচ হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে গুম হয়েছে যারা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নাম হচ্ছে সুমন। তার বোন সানজিদা তুলি ২০১৪ সাল থেকে মায়ের ডাক নামে একটি সংগঠন করে যারা গুম হয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। এটা কি সরকার জানে না? অথচ গত বৃহস্পতিবারে তার বাসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে। কি অদ্ভুত বিষয় না?
মন্তব্য করুন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এই রায়ের জন্য প্রথম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তাকে সকল অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই রায়ের ফলে সত্য বিজয় হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এটিএম আজহারের ওপর এটি ছিল নজিরবিহীন নির্যাতনে সামিল। পৃথিবির ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যরাজস্থানে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোক ও গরমে অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাজস্থানের তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজ্য সরকার অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তারা বলছে, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে তারা। গরমের কারণেই যে মারা গেছেন তা নিশ্চিত নয়।
চলতি বছর গ্রীষ্মের শুরু থেকে ব্যাপক তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে। গত বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। রাজস্থানে প্রতিবছরই অনেক বেশি গরম পড়ে।
উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এ বছর বৃষ্টিপাত হয়েছে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম।
মন্তব্য করুন