

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে তিনি নিজেই তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি পদত্যাগ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, তিনি এ সংবাদের কথা জানেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দেখেছেন। তবে এই তথ্যের উৎস সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
"এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। যদি এমন কিছু হয়, তবে আমরা নিজেরাই তা জানাবো। রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন হলে এবং সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার বা আসিফের (ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ) পক্ষ থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সরকারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি," বলেন নাহিদ ইসলাম।
এর আগে, একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দল ঘোষণার আগে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সরকার থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। এছাড়া, সরকারের আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আগামী জুন মাসে পদত্যাগ করতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ছাত্র-জনতার নতুন দল প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে এবং এই কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন নাহিদ ইসলাম। নতুন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র তৈরির কাজও চলছে।
কিছুদিন ধরেই ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হচ্ছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে বলেন, "ছাত্রদের প্রতিনিধি সরকারে রেখে তাদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠন করে নির্বাচনে আসলে তা মেনে নেওয়া হবে না।"
এ বিষয়ে আগেও মন্তব্য করেছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, "আমি যদি কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিই, তবে অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করব।"
মন্তব্য করুন


২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি; যাতে ক্ষমতা আসল প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তরিত হয়।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল মালয়েশিয়ায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ও ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে মনোযোগী।
এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়েও ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এবং তিনটি নোট বিনিময় হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া গেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতি গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানো না গেলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "জাতি গঠনে আমাদের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে সবাইকে বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠন করা হয়। জাতির উন্নয়ন যাত্রায় নৌ ও বিমান বাহিনী বরাবরের মতোই দক্ষতার সঙ্গে জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেমন সবার সহযোগিতা পেয়েছে, ভবিষ্যতেও জনগণ তা পাবে বলে আশা করি।” এবারের পরিচালনা পর্ষদকে দক্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, "সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা যেভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে পেশাদারিত্বের প্রমাণ। ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
"নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এবং প্রতিরক্ষা সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোকচিত্রে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তাঁর মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরে তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের প্রাঙ্গণে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
মন্তব্য করুন


চারদিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছেড়ে যান।
তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
ঢাকা ত্যাগ করার আগে আন্তোনিও গুতেরেস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেন। এ সময় তারা পরস্পরের খোঁজখবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
চারদিনের এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন


যুক্তরাজ্যের হিথ্রো, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ও জার্মানির বার্লিন বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সাম্প্রতিক সাইবার হামলার পর বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সংস্থাটি দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারিসহ ১০টি বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেবিচকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মেহবুব খানের সই করা নির্দেশনাপত্রটি দেশের সব বিমানবন্দরের প্রধান এবং বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ওই নির্দেশনায়, বাংলাদেশের বিমান পরিবহন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, সন্দেহজনক ই-মেইল বা অজানা কোনো লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা, অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত হালনাগাদ (আপডেট) রাখা, কোনো ধরনের পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, দাপ্তরিক ডিভাইসে ব্যক্তিগত অ্যাপ ইনস্টল থেকে বিরত থাকা এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (MFA) পদ্ধতি চালু করা। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বা ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে বেবিচকের সিএএবি সার্ট (CAAB-CERT) টিম, আইটি বিভাগ এবং জাতীয় সাইবার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সাইবার হামলার ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি লন্ডনের কয়েকটি বিমানবন্দরে সাইবার হামলার কারণে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও আগাম সতর্কতা হিসেবে এই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে আরো জানানো হয়, সম্প্রতি বেবিচকের ওয়েবসাইটেও একটি সাইবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি জরুরি ভিত্তিতে বেবিচকের সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নের পরামর্শ দেয়।
এর আলোকে, সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য দ্রুত একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনাধীন।
মন্তব্য করুন


রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জানাল পশ্চিমা বিশ্বের ১১ দেশ। মিয়ানমারের অস্থিরতা ও মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার আট বছর পূর্তিতে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। সোমবার সকালে ঢাকায় ফরাসি দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবৃতিটি প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আট বছর আগে মিয়ানমারের সেনা অভিযানে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখানে অবস্থান করছে এবং নতুন করে শরণার্থী প্রবেশও অব্যাহত রয়েছে। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও রোহিঙ্গাদের দৃঢ়তা ও সহনশীলতাকে এতে প্রশংসা করা হয়।
১১ দেশ বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলে, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে সংকটের স্থায়ী সমাধান হলো নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, যার পরিবেশ এখনো মিয়ানমারে তৈরি হয়নি। এজন্য বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো সমাধান জরুরি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
যৌথ বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সহিংসতা বন্ধ, আটক ব্যক্তিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়া মানবিক তহবিল কমতে থাকায় রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ, যারা দীর্ঘদিন ধরে শরণার্থীদের সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করা হয়।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, রোহিঙ্গাদের অর্থবহ অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা বাংলাদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। আট বছর পরও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সংকট সমাধান এবং বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন


জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য করতে ওষুধ শিল্পের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে আগের অবস্থায় আনা হয়েছে। এখন থেকে এই খাতে দুই দশমিক চার শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।
ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে মোবাইল ফোনের সিম ও রিম কার্ড এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, রেস্তোরাঁর খাবারের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে তিন-তারকা, চার-তারকা ও পাঁচ-তারকা হোটেল ব্যতীত সব রেস্তোরাঁয় আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এছাড়া, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ, এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বাদে অন্য পোশাক বিপণনে আরোপিত অতিরিক্ত ভ্যাট সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়েছে।
নন-এসি হোটেল, মিষ্টির দোকান এবং নিজস্ব ব্র্যান্ডের তৈরি পোশাক বিপণনের ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে শতাধিক পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা করেন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং জাতীয় নাগরিক কমিটিও।
মন্তব্য করুন


আইনি বাধা না থাকলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা কমিশনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয়। যদি আদালত বা সরকার নিষেধাজ্ঞা না দেয়, তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, ৭২ সাল থেকে আওয়ামী লীগ একটি নিবন্ধিত দল। নির্বাচনে কমিশন এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই। গত নির্বাচনের মতো বহিঃশক্তি নির্বাচন কমিশনে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না।
এছাড়া, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, "এখন আমরা বিবেকের চাপে আছি। এদেশে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব, খারাপ নির্বাচন করাও সম্ভব।" আগামী ছয় মাসের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে, এবং এবার আগের মতো ভোট হবে না। তিনি বলেন, "পাঁচ আগস্টের পর ভোটের ব্যাপারে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে। ৯১ ও ৯৬ সালের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।"
বর্তমান ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার থাকার বিষয়টি তুলে ধরে সিইসি বলেন, "অনেকেই মারা গেছেন, কিন্তু তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।" তিনি জানান, কেউ মারা গেলে তাদের স্বজনরা ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিল করতে আসেন না, এবং এই সুযোগটি বিগত নির্বাচনে নেওয়া হয়েছিল।
বিগত নির্বাচন কমিশনকে শাস্তির আওতায় আনা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "এটি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিষয়। আমরা এখনও তাদের সুপারিশনামা পাইনি। তবে আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চিন্তা করা হচ্ছে না।"
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সিইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো তিনি চট্টগ্রামে সফর করেছেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতা বজায় রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার হচ্ছে পেশাদারিত্ব এবং নিরপেক্ষতা। সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইন-কানুনের বাইরে কারো যাওয়ার সুযোগ নেই। শতভাগ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের হবে। নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আরো অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। যেকোনো ধরনের নতুন চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে কার্যক্রমে ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচন আয়োজনে সাড়ে দশ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের এই প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করছে। আশা করি, সফল ট্রেনিং হবে। কমিউনিকেশন ব্রেকডাউন যেন না হয়। প্রফেশনালিজ অ্যান্ড নিউট্রালিটি বজায় রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন


পূবালী ব্যাংকের পর এবার অগ্রণী ব্যাংকেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকারের সন্ধান মিলেছে। বুধবার গোপন খবরের ভিত্তিতে লকার দুটি জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় (সাবেক স্থানীয় কার্যালয় শাখা) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার আছে। লকারের নম্বর দুটি হলো ৭৫১ ও ৭৫৩। কর ফাঁকি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এই দুটি লকার জব্দ করা হয় বলে জানা গেছে।
এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লকার জব্দ করেছিল এনবিআর। সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকারটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকে থাকা তিনটি লকার জব্দ করা হলো।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, পূবালী ব্যাংকের ওই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাব পাওয়া গেছে। একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকা এফডিআর আছে। আরেকটি হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এসব হিসাব এখন জব্দ করা হয়েছে। টাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন।আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরাতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনো পাইনি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমিও এটা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে?’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন