ফোর্বস ২০২৪ সালের বিলিয়নিয়ারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।
ফোর্বসের এই তালিকায় ৭৮টি দেশের ২ হাজার ৭৮১ জন বিলিয়নিয়ারের প্রকাশ করা হযেছে।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।
তালিকায় ২ হাজার ৫৪৫ নম্বরে রয়েছেন আজিজ খান, যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার এবং আয়ের খাত হিসেবে রয়েছে জ্বালানি।
ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, আজিজ খান বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগে তিনি সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান, যারা বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স, রিয়েল এস্টেট, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতির ব্যবসা করে।
সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী: ফোর্বস
আরও
সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী: ফোর্বস
ফোর্বসের সর্বশেষ এই তালিকায় ২৩৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফ্রান্সের ধনকুবের বার্নার্ড আর্নল্ট। ১৯৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ইলন মাস্ক এবং ১৯৪ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজস।
এ ছাড়া, ফেসবুকের মালিক মার্ক জাকারবার্গ ১৭৭ বিলিয়ন ডলার নিয়ে রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে।
ফোর্বসের তালিকায় দীর্ঘসময় প্রথম অবস্থান ধরে রাখা বিল গেটস এবারের তালিকায় আছেন সপ্তম অবস্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার। ওয়ারেন বাফেট ১৩৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে আছেন ষষ্ঠ অবস্থানে।
তালিকায় প্রথম দশের মধ্যেই রয়েছেন ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৬ বিলিয়ন ডলার। ভারতীয় আরেক ধনকুবের গৌতম আদানির অবস্থান ১৭তম, যার মোট সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৮৪ বিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া, দশম নামটি ল্যারি পেজের, যিনি গুগলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটির মোট ৮১৩ জন বিলিয়নিয়ারের নাম রয়েছে এতে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে শিগগিরই সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম এই তথ্য জানিয়েছেন। তার ভাষ্য, সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সংগঠন হায়দরাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় একটি প্রদর্শনীর আয়েজন করা হবে। সেখানে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকরা অংশ নেবে।
এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় হতে যাওয়া বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রদর্শনীতে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, সম্প্রতি হায়দরাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আগ্রহী।
এসময় তিনি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের কাছে বাংলাদেশকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন ও এইচসিএসটিএসআইকে ঢাকায় তাদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে বলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও ত্বরান্বিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন উভয় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তাছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে সরাসরি কার্গো জাহাজ পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।
সেলিম মেনন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই উদ্যোগ উভয় দেশের বৃহত্তর বাণিজ্য সহযোগিতার পথ আরও প্রশস্ত করবে।
মেমন এসময় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পাকিস্তানের প্রদর্শনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান, বিপরীতে বাংলাদেশের বাণিজ্য মেলায় যোগদানের জন্য পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের যথাযথ সুবিধা নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান। এছাড়া মেনন ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্র পেতে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন, সেগুলো দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ ১০টি যানবাহনের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ফরহাদ হোসেন (৪০), যিনি ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বাসের চালক ছিলেন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সগির মিয়া জানান, এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকার কিছু দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনগুলো ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিল।
জানা যায়, ভোরে প্রথমে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি বাস পেছন থেকে আরেকটি বাসকে ধাক্কা দেয়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। একই সময়ে একটি পিকআপভ্যান একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়, যার ফলে আরও কয়েকজন আহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, "দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।"
তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার মধ্যে অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আফরোজা জেসমিন এ রায় দেন। বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হায়দারপুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার বাদী ছিলেন পুলিশ, আর আসামি করা হয়েছিল খালেদা জিয়াসহ মোট ৩২ জনকে।
কুমিল্লা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু জানিয়েছেন, তদন্ত শেষে চার্জশিটে ৪২ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে প্রমাণের অভাবে ৩৬ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাকি ছয়জন উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী বলেন, “এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা মামলা বলে প্রমাণিত হয়েছে।”
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরাইলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি; হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে, গাজা আবারও ইসরাইলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শুক্রবার একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রস্তাবে বাইডেন বলেছেন, প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে, এরপর ইসরাইলি বাহিনী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাবে, গাজায় বিপুল ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে, কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল, হামাস মুক্তি দেবে ইসরাইলি জিম্মিদের— যার মধ্যে থাকবে পুরুষ সেনারাও।
এরপর গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। সবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে সব ধরনের হামলা বন্ধ অর্থাৎ স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। বাইডেন এটিকে ইসরাইলের প্রস্তাব হিসেবেই অভিহিত করেছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি আরও বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরাইল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরাইল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এতে ‘ইতিবাচক’।
এছাড়া ইসরাইলের বিরোধী দলগুলোও এতে সমর্থন জানিয়েছেন। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই শর্ত কার্যকর করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (২১ অক্টোবর) এ বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপপ্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ০৮ আগস্ট, ২০২৪ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপীল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পালিয়ে যান ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ অক্টোবর) মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ 'জনতার চোখ'-এ প্রকাশিত হয়েছে।
সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র যদি সত্যিই জমা দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেটির অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকার কথা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালালেও এর খোঁজ কেউ দিতে পারেনি তাকে। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই শেষমেষ রাষ্ট্রপতির কাছেই সরাসরি এর উত্তর জানার সুযোগ মেলে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭(ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
রাষ্ট্রপতির ভাষ্যে, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
কথোপকথনের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি আসছেন না।’
তিনি বলেন, ‘চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার যখন বঙ্গভবনে এলেন তখন জানার চেষ্টা করেছি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না? একই জবাব। শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। মনে হয় সে সময় পাননি জানানোর।’
তিনি বলেন, ‘সব কিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি।’
মতিউর রহমান চৌধুরীর সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন এবং এটাই সত্য। তবুও, এই প্রশ্নটি যাতে আর কখনো না ওঠে তা নিশ্চিত করতে আমি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছি।’
রাষ্ট্রপতির পাঠানো রেফারেন্সের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট এ সম্পর্কে তাদের মতামত দেন। এতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করতে এবং নির্বাহী কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলীকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন বলে আপিল বিভাগ মতামত দেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণবিক্ষোভের মুখে দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
মন্তব্য করুন
সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসতে শুরু করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি, সরবরাহ ও সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েক মাস ধরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। তবে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট জাতের চাল বোরো মৌসুম থেকেই সরবরাহ করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, বিদ্যুতের সরবরাহও ভালো ছিল। পাশাপাশি সারের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত করা গেছে। আমরা আশা করছি, আল্লাহর রহমতে এবারের ফসল ভালো হবে এবং ধানের উৎপাদন বাড়বে। নতুন ফসল বাজারে আসার পর চালের দাম স্থিতিশীল হবে।"
কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কৃষিপণ্যের বাজার গতিশীল। তবে আমরা সব পণ্যের দিকেই সতর্ক নজর রাখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।"
এ সময় ট্রাম্পের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এ বিষয়টিই এখন প্রধান বিবেচ্য।"
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যারাই গিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে তাদের অজেয় যাত্রা ভাঙল নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল টম ল্যাথামের দল।
বেঙ্গালুরুতে হওয়া প্রথম টেস্টে কিউই পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেও প্রথম ইনিংসের সেই দুর্দশা ঢাকা যায়নি। হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পুনেতে হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে চেয়েছিল রোহিত শর্মার দল। তবে নিজেদের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরাই পড়ে। ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিনে ভারত লড়াই করলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন কিউেই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
আজ পুনেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারত হারল ১১৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৫৫ রান। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের বিশাল স্কোর। তবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ২৪৫ রানেই।
পুনেতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ আরও একবার ব্যর্থ। ম্যাচ হারের আগেই সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ফুলটস বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ভারতের ক্রিকেটের আরেক স্তম্ভ রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। পুনে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ৮ রান।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে ভারত হেরেছিল ৮ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্টে হারল ১১৩ রানে। তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে। যদিও মুম্বাইতে সেই কাজটি সহজ হবে না রোহিত শর্মার দলের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের যে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে!
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের আট সদস্যের বিদেশে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২১ নভেম্বর ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন।
তাদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছেন বলে আজ মঙ্গলবার জানান দুদকের প্রসিকিউটর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।
সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আদেশ হওয়া অন্যরা হলেন- আহমেদ আকবর সোবহানের স্ত্রী আফরোজা বেগম, তাদের তিন ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর, সাফিয়াত সোবহান ও সাফওয়ান সোবহান এবং তিন পুত্রবধূ সাবরিনা সোবহান, সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান ও ইয়াশা সোবহান।
দুদক উক্ত ৮ জনের ১৪৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ, সম্পদ কেনা ও ব্যাংকে লেনদেনের তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে আরও সম্পদ কেনা, বিনিয়োগ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়া আবেদনে থাকলেও যেগুলোর টাকার পরিমাণ আবেদনে উল্লেখ নেই।
আবেদনে বলা হয়, আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের কেউ বিদেশে টাকা পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেননি।
প্রসিকিউটর সালাম জানান, বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশের সংস্থাকে আদালতের আদেশ দেখাতে হয়। তাই ঢাকার আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট দেশ দেখিয়ে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব হবে।
আদালত আদেশে আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের আটজনের সম্পদ জব্দের আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট দেশ সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, স্লোভাকিয়া, সাইপ্রাস, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আদেশ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুদক ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে দুদকের করা আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানে জানা গেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন কোম্পানির নামে বিপুল পরিমাণে ব্যাংকঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের একাংশ বিদেশে পাচার করে সেখানে সম্পত্তি কেনা হয়েছে এবং বিনিয়োগ করা হয়েছে।
দুদক বলেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর ৩০ লাখ ইউরো (বর্তমান মূল্যে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে স্লোভাকিয়ার নাগরিকত্ব নেন। তার স্ত্রী ইয়াশা সোবহান ২০ লাখ ইউরোর (২৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন সাইপ্রাসের। আহমেদ আকবর সোবহান ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম আড়াই লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় তিন কোটি টাকা) বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব নেন ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসে।
আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের আট সদস্য বিভিন্ন দেশের ১৯টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। সাফওয়ান সোবহান ও তার স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌসী সোবহান সংযুক্ত আরব আমিরাতের হাবিব ব্যাংক ও সাইপ্রাসের ইউরো ব্যাংকে হিসাব খুলে অবৈধ অর্থ লেনদেন করেন।
এর আগে আদালত গত ২১ অক্টোবর আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। গত ৬ অক্টোবর তাদের দেশীয় ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মন্তব্য করুন