সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপিত হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সহায়তায় আমরা উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভার শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
বড়দিনের জন্য পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে:
থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য পরিকল্পনা:
উৎসব দুটি সফলভাবে উদযাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্কঃ
২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যারাই গিয়েছে, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ফিরতে পারেনি। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে তাদের অজেয় যাত্রা ভাঙল নিউজিল্যান্ড। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল টম ল্যাথামের দল।
বেঙ্গালুরুতে হওয়া প্রথম টেস্টে কিউই পেসারদের তোপে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেও প্রথম ইনিংসের সেই দুর্দশা ঢাকা যায়নি। হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। পুনেতে হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আটকাতে চেয়েছিল রোহিত শর্মার দল। তবে নিজেদের পাতা ফাঁদে তারা নিজেরাই পড়ে। ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিনে ভারত লড়াই করলেও দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন কিউেই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।
আজ পুনেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারত হারল ১১৩ রানে। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড তোলে ২৫৫ রান। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের বিশাল স্কোর। তবে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ২৪৫ রানেই।
পুনেতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ আরও একবার ব্যর্থ। ম্যাচ হারের আগেই সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে ফুলটস বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ভারতের ক্রিকেটের আরেক স্তম্ভ রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। পুনে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ‘শূন্য’ রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন মাত্র ৮ রান।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম টেস্টে ভারত হেরেছিল ৮ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্টে হারল ১১৩ রানে। তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে। যদিও মুম্বাইতে সেই কাজটি সহজ হবে না রোহিত শর্মার দলের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের যে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে!
মন্তব্য করুন
পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রশ্নে রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলমান রয়েছে।
এর আগে, বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবসের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এছাড়া ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের সমর্থনে একটি প্রস্তাব পাস করার ঠিক আগে জাতিসংঘের সনদটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।
সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরাইলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।
যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।
জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।
জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা।
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিহিংসামূলক মামলার প্রেক্ষাপটে লিখিত বই ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, "বেগম জিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে সম্মান পেয়েছেন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যিনি বিনা সংকোচে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছেন। একইভাবে ব্রিটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা কোথাও কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। বেগম জিয়া যেখানে যা চেয়েছেন, তা পেয়েছেন।"
নির্বাচন নিয়ে অশুভ প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, "নতুন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার অগণতান্ত্রিক পথে হাঁটছে। শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতা থেকে চলে যান, তারপরও কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সংস্কারের কথা তারা বলে, অথচ বিএনপিই প্রথম সংস্কার শুরু করেছিল।"
দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "৫ আগস্টের পরে ৭ আগস্ট বেগম জিয়া বলেছিলেন, ধৈর্য ধরতে হবে। কোনো প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করা যাবে না। নেতাকর্মীদের এই মনোভাব ধারণ করতে হবে।"
গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, "দেশকে রক্ষা করতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। বিভক্তির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। কারণ কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই এই বিভক্তি দূর করা সম্ভব। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।"
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এসকে) সুর চৌধুরীর ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে তার বাসা থেকে নগদ সোয়া ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুদক পরিচালক মো. সাইমুজ্জামান।
দুদক মহাপরিচালক জানান, ‘এসকে সুরের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। এর বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।’
এর আগে, ১৪ জানুয়ারি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহায়তায় সংস্থাটির উপপরিচালক নাজমুল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। সম্পদের বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে ২৩ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এসকে সুরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়াও, আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে তার নাম জড়ানোর পর ২০২২ সালে দুদক এসকে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়। এসকে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য ভোটার তালিকা এক মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরের মাঝামাঝিতে আয়োজন করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, বিএনপি মনে করে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করা প্রয়োজন নয়। এর ফলে জাতীয় নির্বাচনের আরও বিলম্ব হতে পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট, ট্যাক্স এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই পদক্ষেপগুলোর কারণে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন
এবার থেকে বাংলা নববর্ষ বরণের অন্যতম আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি আর থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে রাজধানীতে বাংলা নববর্ষের এবারের শোভাযাত্রার নাম হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতদিন এই শোভাযাত্রা হতো ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন নামকরণের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
এবারের শোভাযাত্রার স্লোগান হবে—‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। পাশাপাশি আয়োজকরা জানিয়েছেন, গত বছরের জুলাই-অগাস্টে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে যে ‘ফ্যাসিবাদ’ বিদায় নিয়েছে, তা যেন আর কখনো ফিরে না আসে—এ বার্তাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপ-কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপ-কমিটিগুলো সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৯ সাল থেকে পহেলা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। শুরুতে শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অমঙ্গল দূর করে মঙ্গলের আহ্বান জানিয়ে শোভাযাত্রার নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এরপর থেকে গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এ নামেই শোভাযাত্রা করে আসছিল চারুকলা।
২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে ইউনেসকো।
গত ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় জানানো হয়েছিল, এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সবশেষ গত বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে চারুকলার শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি জানান, চৈত্র সংক্রান্তিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কনসার্ট এবং নববর্ষের দিন ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার অনুষ্ঠান হবে।
মন্তব্য করুন
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।
এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।
তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।
এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।
রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আরও বলা হয়:
১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।
৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন