প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর উইমেন ২০২৩’ এর চতুর্থ আসর। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাব সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে উইমেন ইন ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের দলীয় প্রেজেন্টশন পর্ব। এতে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রজেক্ট এলিসা, টিম ক্লাইমেট অ্যাভেঞ্জার্স, টিম বায়ো গ্রীন, টিম ভিশনারীজ, টিম সানশাইন, টিম লুমেনিসিনস, টিম গ্র্যান্ডে ও টিমটার্মিনেটরসের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর লাইফ’ শীর্ষক সভার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাবের প্রধান এম এম জিমরান খান। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায়, সিনিয়র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সাবা মোয়েম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার লিয়াকত হোসেন, সুমাইয়া টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার রিপা আর জাহান।
তৃতীয় পর্বে শুরু হয় গ্র্যান্ড ফিনালের সমাপনী অনুষ্ঠান। উইমেন ইন ডিজিটালের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের পাটোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন উইমেন ইন ডিজিটালের ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আছিয়া খালেদা নীলা।
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন দ্য ন্যাশনাল উইমেন হ্যাকাথন ২০১৭-এর বিজয়ী শামসুন নাহার লিপি। প্রোগ্রামটির বিচারক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড শেফায়েত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদেললাহি সেকসহ প্রমুখ।
উইমেন ইন ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আছিয়া নীলা বলেন, উইমেন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি হওয়া সত্বেও প্রতিবছর এ ধরনের কম্পিটিশন করেন যাতে টেকনোলজিতে নারীদের পদার্পণ বাড়ানো যায়। এখনো ডিজিটাল টেকনোলজিতে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের কিছুটা সাহস দিতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা চেষ্টা করি সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নারীদের ঢাকা এনে প্রপার মেন্টরিং এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল টেকনোলজি বেজ প্রডাক্ট ডেভলপ করতে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি জেন্ডার ফর ইকুয়ালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। বিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ১৩২টি প্রজেক্ট থেকে ৫৮টি প্রজেক্টকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করেন। কয়েকটি পর্বে যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা আটটি প্রজেক্টকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বুয়েটের প্রফেসর সিলিয়া শাহনাজ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ মাহফিজ কামাল অনিক, আইসিটি ডিভিশনের বিগ-এর হেড অব অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর সিদ্ধার্থ গোস্বামী, ক্রিয়েটিভ কনসারভেশন অ্যালায়েন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার শাহরিয়ার কেইসার রহমান ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্ট অফিসার রেবেকা সুলতানা।
প্রতিযোগীদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনস আর্কিটেক্ট লিডার অ্যান্ড আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান।
প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে তিনটি প্রজেক্ট। প্রথম হয়েছে প্রজেক্ট টিম সানশাইন, দ্বিতীয় হয়েছে টিমএলিসা, তৃতীয় হয়েছে টিম গ্র্যান্ডে, চতুর্থ হয়েছে টিম লুমেনিসিনস।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ বিজয়ী টিমকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনসের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রথম টিমকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় টিমকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ টিমকে ৩০ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
ফিটনেসবিহীন বাসের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাকে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন শেষে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় সাত হাজার মানুষ নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অনেক দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন দায়ী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব ফিটনেসবিহীন যানবাহন কীভাবে সড়কে চলাচল করছে এবং কেন বিআরটিএ এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। ভবিষ্যতে এ ধরনের যানবাহনের কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার সময় মালিকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে ফোন বা মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। মেসেজে লেখা থাকবে— ‘আপনার গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষার সময় হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা করুন।’ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিটনেস পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে সেই যানবাহনের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।”
গণপরিবহন চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি, চালকরা মাদকাসক্ত কি না তা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে। সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি আমাদের ব্যর্থতা।”
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আহত ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কাজ ধীরগতিতে চলছে। এটি দ্রুত করতে হবে।”
বিআরটিএতে প্রায় সাড়ে চার লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স আটকে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিআরটিএকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন এই লাইসেন্সগুলো দ্রুত বিতরণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী মার্চের মধ্যেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”
মন্তব্য করুন
দুঃখে-কষ্টে, বিপদে-সংকটে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে আপনজন, মা। প্রতিটি মানুষের পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে প্রধান ভূমিকা একমাত্র মায়ের। মায়ের তুলনা অন্য কারো সঙ্গে চলে না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক, যা একটু আঘাত পেলেই প্রতিটি মানুষ ‘মা’ বলে চিৎকার দিয়ে জানান দিয়ে থাকে।
ইসলামে মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার শুকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শুকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ১৪)
একদিন মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা আসসালামি (রা.) রাসুল (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি জিহাদ করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, তোমার মা আছেন? তিনি বলেন, আছেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মায়ের সেবায় নিয়োজিত থাকো, কেননা তাঁর পায়ের নিচেই জান্নাত।’
একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বলেন, মা। লোকটি বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার বাবা। (বুখারি ও মুসলিম ৪৫৮০)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর নিকট এসে বললো, আমি জিহাদে-সংগ্রামে অংশ নিতে চাই, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই। তখন রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার মাতা-পিতার কেউ কি জীবিত আছেন?’ লোকটি বলল, আমার মা জীবিত। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর নিকট যুদ্ধ-সংগ্রামে যেতে না পারার অপারগতা পেশ কর। এভাবে যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ, ওমরাহ এবং যুদ্ধ-সংগ্রামের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১৩৩৯৯)
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও তার স্ত্রী দিলশাদ নাহার কাকলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক জাকারিয়া তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও হন্ডির মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচার করে মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি ক্রয়ের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লেষে রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অনসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ তারা দেশ ত্যাগের চেষ্টায় রয়েছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশগমন রহিতকরণ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন
ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুটা হলেও মুক্তি ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সাহসিকতার সাথে শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। তাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ মেলেনি। কতজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কতজনকে আয়নাঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের কোথায় রাখা হয়েছে, তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। অসংখ্য নেতাকর্মী ও দেশের বিভিন্ন পেশার মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। আমরা তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আজ দলের এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর বিক্রমকে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, দেশ গঠনের অগ্রদূত এবং জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও দেশপ্রেমের এক অনন্য প্রতীক ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখনই দেশ ও গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, জিয়াউর রহমান তখনই আপসহীনভাবে দেশ ও গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক ও গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে। এছাড়া, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের সময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। আজকের বর্ধিত সভায় তাদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এছাড়াও, দেশের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকারসহ যাদের আমরা হারিয়েছি, তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, রেলের বর্তমান পরিস্থিতির প্রধান কারণ হলো অপব্যয়।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-খুলনা রুটে নতুন ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের ব্যয়ের পরিমাণ পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ খরচ অবশ্যই কমাতে হবে। রেলের আয়ের মাধ্যমেই রেলকে পরিচালনা করতে হবে। সাশ্রয়ী ব্যয় নীতি গ্রহণ না করলে রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যেখানে যাত্রী সংখ্যা বেশি থাকবে, সেখানে রেল থামানোর পরিকল্পনা করতে হবে।"
এদিন ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। খুলনা থেকে ঢাকায় আসতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
জানা গেছে, সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন ট্রেনটি চলবে। যাওয়া-আসার পথে ট্রেনটি যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের মানচিত্র দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে আলাদা বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। যদি সরকার মনে করে, তারা ১০টি বিভাগ করে দেবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে ১৫ আগস্ট ও ৭ মার্চ বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা। মানববন্ধন করতে চাইলে বাধা ও একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছিলেন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে। তা শোনার পরই বিএনপির ৫০-৬০ নেতাকর্মী এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আওয়ামী লীগের একজন কর্মীকে বিএনপি সমর্থিত ৪-৫ জন বেধড়ক মারধর করেন।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘ওই ধর ধর, আওয়ামী লীগ ধর, সব কয়কারে ধর-পালাইতেছে।’
বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বলেন, ‘এই দেশে আওয়ামী লীগের ইতিহাস কেউ কখনও মুছতে পারবে না। আমরা ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
মন্তব্য করুন
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম পৃথক আবেদনে আয়কর নথি জব্দের জন্য আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
এর আগে ৮ জানুয়ারি আদালত বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন।
এছাড়া, গত ১৫ ডিসেম্বর দুদক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার সদস্যদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করেছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বেনজীর আহমেদ ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার স্ত্রী জিশান মির্জা ৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং ১৬ কোটি ১ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার এবং মেজ মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই ফিলিস্তিনের পতাকা ও প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়ে ভিড়ে পরিণত হয় ঐতিহাসিক এই মাঠ।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মিছিল এসে একত্রিত হতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কেউ আসছেন শাহবাগ থেকে, কেউ দোয়েল চত্বর থেকে, আবার কেউ নীলক্ষেতের দিক থেকে। উদ্যানের প্রতিটি গেটে স্বেচ্ছাসেবকরা জনস্রোতকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও এর আশেপাশের এলাকায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে দেশীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা সাজিয়ে রাখা হয়। দল-মত, বয়স ও পেশার মানুষ এই সমাবেশে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মানবতার জয়গান করেন।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, “ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইল যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি।”
আয়োজকদের দাবি, গাজায় ইসরাইলের নির্মম হামলা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জনমত গঠন ও মানবিক সহমর্মিতা বাড়াতেই এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ৩টা থেকে মাগরিব পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো আমরা শীঘ্রই বাস্তবায়ন করতে চাই। এ জন্য আমি চাইব, সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো আলাদাভাবে আমাদের কাছে পেশ করুক।"
তিনি আরও বলেন, "গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এই কাজ অমূল্য। এই প্রতিবেদন যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য মানুষ পড়তে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করা উচিত।"
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলো একটি নির্দিষ্ট স্যাটেলাইট ব্যবহারে বাধ্য থাকায় বিদেশ থেকে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল দেখা যায় না। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এবং আগ্রহী বিদেশিরা যাতে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল দেখতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
গত বছরের ১৮ নভেম্বর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে 'গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন' গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, দ্য ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি শামসুল হক জাহিদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধি, নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সচিব আখতার হোসেন খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ, মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক সাংবাদিক জিমি আমির, ডেইলি স্টারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সবুজ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর টিটু দত্ত গুপ্ত এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মন্তব্য করুন