প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নারীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘ডিজিটাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফর উইমেন ২০২৩’ এর চতুর্থ আসর। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-এর মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ও গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাব সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে উইমেন ইন ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের দলীয় প্রেজেন্টশন পর্ব। এতে পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণ করে প্রজেক্ট এলিসা, টিম ক্লাইমেট অ্যাভেঞ্জার্স, টিম বায়ো গ্রীন, টিম ভিশনারীজ, টিম সানশাইন, টিম লুমেনিসিনস, টিম গ্র্যান্ডে ও টিমটার্মিনেটরসের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘ডিজিটাল স্কিলস ফর লাইফ’ শীর্ষক সভার সঞ্চালনা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ এক্সেলেরেটর ল্যাবের প্রধান এম এম জিমরান খান। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায়, সিনিয়র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সাবা মোয়েম, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার লিয়াকত হোসেন, সুমাইয়া টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার রিপা আর জাহান।
তৃতীয় পর্বে শুরু হয় গ্র্যান্ড ফিনালের সমাপনী অনুষ্ঠান। উইমেন ইন ডিজিটালের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের পাটোয়ারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য দেন উইমেন ইন ডিজিটালের ফাউন্ডার অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আছিয়া খালেদা নীলা।
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন দ্য ন্যাশনাল উইমেন হ্যাকাথন ২০১৭-এর বিজয়ী শামসুন নাহার লিপি। প্রোগ্রামটির বিচারক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সিটি ইউনিভার্সিটির সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড শেফায়েত হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নগুয়েন, বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদেললাহি সেকসহ প্রমুখ।
উইমেন ইন ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী পরিচালক আছিয়া নীলা বলেন, উইমেন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি হওয়া সত্বেও প্রতিবছর এ ধরনের কম্পিটিশন করেন যাতে টেকনোলজিতে নারীদের পদার্পণ বাড়ানো যায়। এখনো ডিজিটাল টেকনোলজিতে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে, তাদের কিছুটা সাহস দিতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা চেষ্টা করি সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নারীদের ঢাকা এনে প্রপার মেন্টরিং এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল টেকনোলজি বেজ প্রডাক্ট ডেভলপ করতে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘ডিজিটাল: ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি জেন্ডার ফর ইকুয়ালিটি’ শিরোনামের এই প্রতিযোগিতার শুরু হয়। বিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে ১৩২টি প্রজেক্ট থেকে ৫৮টি প্রজেক্টকে প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করেন। কয়েকটি পর্বে যাচাই-বাছাইয়ের পর সেরা আটটি প্রজেক্টকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বুয়েটের প্রফেসর সিলিয়া শাহনাজ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের হেড অব রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন সৈয়দ মাহফিজ কামাল অনিক, আইসিটি ডিভিশনের বিগ-এর হেড অব অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর সিদ্ধার্থ গোস্বামী, ক্রিয়েটিভ কনসারভেশন অ্যালায়েন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার শাহরিয়ার কেইসার রহমান ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্ট অফিসার রেবেকা সুলতানা।
প্রতিযোগীদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনস আর্কিটেক্ট লিডার অ্যান্ড আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান।
প্রতিযোগিতায় ফাইনাল রাউন্ডের অংশগ্রহণকারী ৮ টিমের মধ্যে বিজয়ী হয়েছে তিনটি প্রজেক্ট। প্রথম হয়েছে প্রজেক্ট টিম সানশাইন, দ্বিতীয় হয়েছে টিমএলিসা, তৃতীয় হয়েছে টিম গ্র্যান্ডে, চতুর্থ হয়েছে টিম লুমেনিসিনস।
প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচ বিজয়ী টিমকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশনসের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। প্রথম টিমকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় টিমকে ৩০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ টিমকে ৩০ হাজার টাকা।
মন্তব্য করুন
দুঃখে-কষ্টে, বিপদে-সংকটে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে আপনজন, মা। প্রতিটি মানুষের পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে প্রধান ভূমিকা একমাত্র মায়ের। মায়ের তুলনা অন্য কারো সঙ্গে চলে না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক, যা একটু আঘাত পেলেই প্রতিটি মানুষ ‘মা’ বলে চিৎকার দিয়ে জানান দিয়ে থাকে।
ইসলামে মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার শুকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শুকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ১৪)
একদিন মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা আসসালামি (রা.) রাসুল (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি জিহাদ করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, তোমার মা আছেন? তিনি বলেন, আছেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মায়ের সেবায় নিয়োজিত থাকো, কেননা তাঁর পায়ের নিচেই জান্নাত।’
একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বলেন, মা। লোকটি বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার বাবা। (বুখারি ও মুসলিম ৪৫৮০)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর নিকট এসে বললো, আমি জিহাদে-সংগ্রামে অংশ নিতে চাই, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই। তখন রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার মাতা-পিতার কেউ কি জীবিত আছেন?’ লোকটি বলল, আমার মা জীবিত। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর নিকট যুদ্ধ-সংগ্রামে যেতে না পারার অপারগতা পেশ কর। এভাবে যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ, ওমরাহ এবং যুদ্ধ-সংগ্রামের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১৩৩৯৯)
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মুজিববর্ষ পালনের বিষয়টি আলোচনা হয়। সেখানে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মোট এক হাজার ২৬১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদ অবহিত হন।
বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে দ্রুতই রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন, দ্রুত তাকে পদত্যাগ করতে হবে। দ্রুতই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজপথের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কোনোভাবেই আর রাষ্ট্রপতিকে পদে দেখতে চাই না।
এর আগে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার। আসামি হিসেবে আছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা সভাপতি ও সেক্রেটারিও। ৩৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে।
সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকায় সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি সাক্ষাৎকার নেন। গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ সাক্ষাতকারটি প্রকাশিত হয়।
‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিন সপ্তাহ ধরে তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র থাকার কথা যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সেখানেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মুখোমুখি হন।
সেখানে আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চান, আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে? জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি’।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘৫ই আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি (শেখ হাসিনা) আসছেন না’।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবার একটি সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্য ডেমোক্র্যাটকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেনকে ‘একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া’ হিসেবে বর্ণনা করে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পরিষদ বলেছে, “প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন- তার নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।”
বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।
ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনও কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তারা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না— সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
মন্তব্য করুন
চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান ও ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা চারটি মামলা বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন জমা দেওয়া হয়। আগামীকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) এ লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। তিনি জানান, হাইকোর্টের দেওয়া রায় সঠিক হয়নি বলে রাষ্ট্রপক্ষ মনে করছে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে এসব আপিল আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিলের রায় দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি এবং ধানমন্ডি থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলাগুলোর কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমান হাইকোর্টে আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চারটি মামলা বাতিলের রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করেছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আজ শনিবার এক সেমিনারে জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেয়। তিনি এই মন্তব্যটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক জ্বালানি সেমিনারে করেছেন।
তিনি বলেন, "আমার প্রতিদিনের শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।"
এছাড়াও, ফাওজুল কবির খান জ্বালানি খাতে সরকারি ভর্তুকি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, "৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দেওয়া যাবে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমি জানি না, কতদিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব।"
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে লুটপাটকারীদের বিচারের জন্য একটি জ্বালানি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা প্রয়োজন। এই দাবি তুলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, "বর্তমান সরকার কোনো পিছুটান ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে, এখানে অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।"
মন্তব্য করুন
রাজধানীর গুলশানে ইউএন হাউজের উদ্বোধন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন হাউজ উদ্বোধন করেন এবং জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এরপর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি নিকট অতীতের তুলনায় আরও কার্যকরভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধি দলের সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠক শেষে তিনি তরুণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া, বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
প্রতিদিন জনস্বার্থে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই অন্যের কল্যাণে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। সেই ইচ্ছাকে জাগ্রত করতে হবে। নিজের জন্য কাজ করার চেয়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করায় বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়াকাথন ও সমাজসেবা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, সরকারের চেয়ে ব্যক্তির ক্ষমতা বেশি, আর ব্যক্তির আত্মশক্তি জাগ্রত হলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে অন্যের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সমাজসেবা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সবাইকে এই দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া। যেন কেউ এই দায়িত্ব ভুলে না যায় বা এড়িয়ে না চলে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হলো সমাজের সবাইকে তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই জনস্বার্থে কাজ করার প্রবণতা লুকিয়ে থাকে। সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নে এটাই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।
এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন