অক্টোবরে হাসিনাসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচারের রায়: উপদেষ্টা

অক্টোবরে হাসিনাসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচারের রায়: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

অক্টোবরের মধ্যে জুলাই হত্যাকাণ্ডের তিন থেকে চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।


মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা এ কথা জানান।


তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের অগ্রগতি নিয়ে অনেকেই জানতে চান। একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত মামলাগুলোর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর ইতিমধ্যে এ আদালতে বিচারের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।


উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আদালত পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে চার মাস আগে। এর মধ্যে আদালতে ৩০০টির বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে ১৬টি মামলা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করেছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘এই ১৬টি মামলার মধ্যে চারটি মামলার তদন্তকাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আমরা আশা করি। এরপর চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হবে।’


আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ সময় প্রস্তুতির জন্য ডিফেন্স আইনজীবীদের দিতে হয়। আমরা আশা করছি, এই তিন সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়াটা ঈদের পরপর এপ্রিল মাস থেকে শুরু হবে।’


তিনি বলেন, ‘আদালতে (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) অব্যাহতভাবে শুনানি চলছে। সব মামলার রায় পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে শুরু করে পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা যাবে বলে আশা করি। সেই হিসাবে অক্টোবরের মধ্যে তিন-চারটি মামলার রায় পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।’


আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এ সমস্ত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আসামী হিসেবে রয়েছেন।’


তিনি বলেন, ‘যদি পুরো বিচারকার্যটা বিবেচনা করি, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এক বছরের মতো সময় লাগছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির একজন নেতার বিচার হয়েছিল, সেই বিচারকাজ শেষ করতে গড়ে কমপক্ষে আড়াই বছর লেগেছিল। এখানে আমাদের এই আদালতে অর্ধেকেরও কম সময় লাগছে।’


সময় কম লাগার কারণ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত টিম অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করছেন। আমরা নিয়মিত খবর রাখছি। এ বিচারকার্যগুলো আরও দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, এই বিচারগুলো অনেক দিন আগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হচ্ছে। এখন যে বিচার চলছে, এর সাক্ষ্য-প্রমাণ এত বেশি রয়েছে যে, আমরা আশা করছি এক বছরের মধ্যেই প্রথম কয়েকটি রায় পাওয়া যাবে।’


আগামী দু-একদিনের মধ্যে জাতিসংঘের তদন্ত টিমের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আমি এই রিপোর্টের ব্যাপারে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলব না। তবে একটি বিষয় বলে রাখি, তাদের এই রিপোর্ট আমাদের তদন্ত ও বিচারকাজকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সহজ করতে অনেক অবদান রাখবে।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত



পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ে হামলা চালানো এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত আবার পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইছে।


এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অন্তত আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের যুক্তি, নতুন ক্যাম্প হলে প্রতিটি রুটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে, অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি জরুরি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।


এসব সেনা কর্মকর্তার দাবি, শান্তিচুক্তির পর ক্যাম্প কমে যাওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং এখন তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো গত এক বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ইউপিডিএফ তুলেছে ১০৪ কোটি টাকা। চাঁদা নেওয়ার তালিকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও অপহরণ। এর মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো রাঙামাটি জেলা থেকে ২৪৪ কোটি, খাগড়াছড়ি থেকে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবান থেকে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে।


শুধু চাঁদা নয়; অপহরণ ও হত্যার সঙ্গেও জড়িত ইউপিডিএফ। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩৩২ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে পাহাড়িরাও ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্যও রয়েছেন।


ইউপিডিএফ এবং তাদের সহযোগীরা ভারতের মিজোরামে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী মনে করে, সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০, রাঙামাটিতে ৭০ এবং বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের ভৌগোলিক বাস্তবতায় তা যথেষ্ট নয়। আরো অন্তত আড়াইশ নতুন ক্যাম্প হলে সন্ত্রাসীরা আর মাথা তুলতে পারবে না।


সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি সদয় ছিল হাসিনার সরকার


সেনা সদর বলছে, শেখ হাসিনার আমলে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর প্রতি নমনীয় থাকার অলিখিত নির্দেশ ছিল, যার ফলে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী হয়। কিন্তু বর্তমান নীতি হলো ‘নো কম্প্রোমাইজ’। অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস বা আলোচনার জায়গা নেই, সরাসরি অ্যাকশনই একমাত্র পথ। কারণ, গোষ্ঠীগুলো কখনো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না; তারা পাহাড়ি ও বাঙালি- উভয় জনগোষ্ঠীকেই জিম্মি করে রেখেছে।


পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা একজন ব্রিগেড কমান্ডার জানান, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম এখন শুধু চাঁদাবাজি বা অপহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ভারতের মিজোরাম থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এসে পাহাড়ে হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অতিরিক্ত সেনা ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। আমরা মনে করি, কমপক্ষে আড়াইশ নতুন ক্যাম্প প্রয়োজন।


খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, যেভাবে মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজানো হলো, সামনে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সেনাদের দ্রুত উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় সেনা ক্যাম্প নেই, ফলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকফোকর কাজে লাগায়। তাই আমরা আড়াইশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেছি।


বান্দরবানে দায়িত্ব পালন করা একজন মেজর জানান, ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের তথ্য আমাদের হাতে আছে। তারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহায়তায় চলছে। প্রতিটি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। এখন প্রয়োজন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ। নতুন ক্যাম্পগুলো হলে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারব।


রাঙামাটির এক জোন কমান্ডার বলেন, আমাদের হাতে গোয়েন্দা প্রমাণ রয়েছে যে, ইউপিডিএফের অন্তত ছয়টি ক্যাম্প ভারতের মিজোরামে। তাদের লোকজন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো ছাড়া এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা আড়াইশতে উন্নীত করা জরুরি।


সার্বিক বিষয়ে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা এখন আমাদের যা পুঁজি আছে, সেগুলো নিয়ে নজরদারি করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।


নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার চাইলে কেন আমরা তা প্রত্যাহার করব? আমরা আমাদের কৌশলে এগিয়ে যাব।


নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, ইউপিডিএফ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকর নজরদারি ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন এখন একান্ত জরুরি। এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত



প্রধান উপদেষ্টা সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যে সমালোচনা করা হয়, তার বেশির ভাগই পুরো বাস্তব চিত্র তুলে ধরে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তার মতে, স্বার্থান্বেষী নানা গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বল্প সময়ে সরকার যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছে, তা উপদেষ্টামণ্ডলীর নিষ্ঠা ও অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকারিতার বহিঃপ্রকাশ।


বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।


স্ট্যাটাসে নীতি প্রণয়ন, নির্দেশনা তৈরির প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক জটিলতা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল আলম লিখেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগে নীতিমালা, দিকনির্দেশনা বা প্রস্তাবিত আইন-বিধি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিটি মতামত ও প্রতিবেদন তিনি গভীরভাবে অনুসরণ করতেন। তবে দায়িত্বের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে- কোনো নীতি বা আইন পাস বা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এখন তার আগ্রহ জন্মায় না।


প্রযুক্তির উন্নতির কারণে নীতিমালা বা সংস্কার নিয়ে লেখা সহজ হলেও বাস্তব প্রয়োগ যে অনেক কঠিন, তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ চাইলে চ্যাটজিপিটিকে বললেই বাংলাদেশকে বদলে দিতে ৪৫০ পৃষ্ঠার সংস্কার-প্রস্তাব পাওয়া যায়; চাইলে নির্দিষ্ট ইস্যু নিয়েও সেই প্রস্তাব তৈরি সম্ভব।’


কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন- গত ১৬ মাসের অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই জানালেন তিনি। তার ভাষায়, বাজারবান্ধব, কর্মসংস্থানমুখী ও জনবান্ধব আইন বা নীতি প্রণয়ন আমাদের মতো দেশের জন্য অত্যন্ত কঠিন। ব্যবসায়ী লবি গ্রুপ, রাজনৈতিক গোষ্ঠী, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, পেশাজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে অদক্ষ ও স্বল্পদৃষ্টি সম্পন্ন আমলাতন্ত্র- সব জায়গা থেকেই বাধা আসে।


তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক সময় খুব সাধারণ ও সহজে পাসযোগ্য আইনও মাসের পর মাস আটকে থাকে। আবার যেসব সংস্কার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বাড়াতে পারে, সেগুলো বাস্তবায়নেও অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’

‘সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় কমিশন’
ছবি: সংগৃহীত



আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হব। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।’


রবিবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


এসময় সিইসি দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান। 


সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণফোরামসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি। সংলাপটি বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।


অন্য দলগুলো হলো—গণফ্রন্ট, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। 


এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াতসহ ৫৩টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষার্থীরাও দিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষা: হাইকোর্ট

সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষার্থীরাও দিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষা: হাইকোর্ট
ছবি: সংগৃহীত



শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ দিতে পারবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। 


সোমবার (৩ নভেম্বর) এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।


মঙ্গলবার রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ বিষয়টি সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


একইসঙ্গে ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে পরীক্ষার আয়োজন করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।


আইনজীবীদের তথ্যমতে, শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ১৭ জুলাই এক স্মারকে জানায়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কেরানীগঞ্জ পাবলিক ল্যাবরেটরি স্কুলের পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ৪২ জন চলতি বছর রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই স্মারকের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন। শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতিসংক্রান্ত ১৭ জুলাইয়ের ওই স্মারক (ম্যামো) কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালার আলোকে বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়।


আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ ইজাজ কবির।


পরে আইনজীবী নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ দিতে পারবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত ১৭ জুলাইয়ে স্মারক অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০০৮ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নীতিমালা অনুসারে সব বেসরকারি অর্থাৎ বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক, রেজিস্ট্রার্ড কিন্ডারগার্টেন, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রেজিস্টার্ড/অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত/স্থাপনা ও প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত চালু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ জন্য ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের ফলে শুধু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই নয়, এসব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।


১৯৮১ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা প্রবর্তন করা হয় বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এটি চলে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নতুন নীতিমালার আলোকে পিএসসি পরীক্ষা হয়। এতে যারা ভালো করত, তাদের বৃত্তি দেওয়া হতো। তবে করোনার সময় ২০২০ ও ২০২১ সালে তা বন্ধ ছিল। ২০২২ সালে আবার বৃত্তি পরীক্ষা শুরু হয়, তবে তা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার নীতিমালার (সংশোধিত-২০১৬) আলোকে। বিভিন্ন কারণে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এটি বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২৫ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে। বেসরকারি শিক্ষার্থীরাও প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে- এমন নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, ৫৩ শিক্ষার্থী আটক

সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ, ৫৩ শিক্ষার্থী আটক
৫৩ শিক্ষার্থী আটক


ডেস্ক রিপোর্টঃ

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের দুটি প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।

এর আগে ২টা ৫০ মিনিটে শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। পরে ৬ নং ভবনের সামনে তারা ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা না সরায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এর মধ্যে সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। সেখান থেকে ৫৯ জনকে আটক করে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।

একজন শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা বৈষম্যহীন এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল চান। পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ডে তাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার চান। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এখানে অবস্থান করবেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর একই দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। সেদিন শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মসূচি চলাকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে, এমনকি কক্ষের সামনেও ভাঙচুর চালান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

দেশের সীমান্তের জেলাগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির

দেশের সীমান্তের জেলাগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির
ছবি: সংগৃহীত



বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।


বুধবার (৭ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শ্যুটিং প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।


আইজিপি বলেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয়, সেই লক্ষ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই দেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের সভাপতি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ
ছবি: সংগৃহীত


আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষরিত হবে। ঐতিহাসিক এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।


বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সভাকক্ষে কমিশনের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।


সভায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের পাঁচটি বৈঠকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করা হয়।


বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়, বিশেষজ্ঞরা এবং রাজনৈতিক দলসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিমত বিশ্লেষণ করে শিগগির বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশ এবং চূড়ান্ত জুলাই সনদ সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।


বৈঠকে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় অংশ নেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল ভিসা করার আহ্বান

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ায় মাল্টিপল ভিসা করার আহ্বান
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।


গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।


হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।


প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।


তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।


ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।


মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।


ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।


তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।


এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশের ‘টোন’ (কণ্ঠস্বর) ভিন্ন হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে আগামী ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় আলোচনার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। সভা শেষে তিনি সীমান্ত সম্মেলনের আলোচ্যসূচি তুলে ধরেন।


এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনি নতুনত্ব কী চাচ্ছেন? নতুনত্ব হলো, আগে যেভাবে কথা বলা হতো, এবার কথার টোন আলাদা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সীমান্ত সম্মেলনে কী বিষয়ে আলোচনা হবে এবং বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মূল আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বন্ধ করা। এছাড়াও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় বিএসএফ এবং তাদের দেশের দুষ্কৃতকারীরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যায়, এটাও যাতে তারা না করেন, সেজন্য তাদের বলা হবে। অনেক সময় তারা সীমানা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পারাপারের চেষ্টা করে, এগুলো যাতে না হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।


জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘ভারতীয়রা অনেক সময় সীমান্তের কাছে মাদক বা ফেনসিডিলের কারখানা তৈরি করে সেগুলো বাংলাদেশে পাঠায়। এ বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে। সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে অনেক কাজ আছে যেগুলো করার নিয়ম নেই, সেগুলো অনেক সময় তারা করতে চায়। কিছু কাজ আছে যেগুলো করতে হলে দুই দেশের অনুমোদন লাগে।’


আগরতলা দিয়ে ভারতের শিল্প বর্জ্য বাংলাদেশে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি আছে। তবে চুক্তিতে ইটিপি/এসটিপি লেখা আছে, যা উচিত ছিল ইটিপি ও এসটিপি। এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি যাতে সুষম বণ্টন হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। ছোটখাটো নদীগুলোর ক্ষেত্রে আলোচনা করা হবে, কারণ বড় নদীগুলোর বিষয়ে আলাদা নদী কমিশন রয়েছে। ফেনীর মুহুরির চরে বর্ডার পিলার স্থাপন নিয়ে সমস্যা আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হবে।


ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেটা তারা কীভাবে বন্ধ করতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। এছাড়াও কো-অর্ডিনেটর বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান নামে একটি বড় বিষয় আছে, এটা নিয়েও আলোচনা হবে।


জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হয়, আস্থা আরও বাড়ে, সে বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলা হবে। গত সরকার ভারতের সঙ্গে কয়েকটি অসম চুক্তি করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলো যাতে বাতিল হয়, সেজন্য আমরা বলব। বলব চুক্তি এভাবে নয়, ওইভাবে হওয়া দরকার ছিল। এই চুক্তিগুলোর বিষয়ে আমরা এর আগেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের (ভারত) জানিয়েছি।’


ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের শাস্তি ও জরিমানা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ভিসা ছাড়া যারা বাংলাদেশে আছে, তারা ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তারা জরিমানা দিয়ে চলে যেতে পারবে। এরপরও যদি তারা থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা, ১৫০ জায়গায় বেড়া নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঙ্গরপোতা-দহগ্রামের সমস্যা, নদীগুলো নিয়ে সমস্যা—এসব আমাদের মূল এজেন্ডা। এসব বিষয়ে আমরা ছাড় দেব না।’

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০

বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল
বাংলাদেশ সফরে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল


ডেস্ক রিপোর্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফ্যাভ। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক বার্তায় জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাক্ষাতে তারা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেছেন, ৬টি বড় সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছে এবং তারা দেশের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: উপদেষ্টা আসিফ

প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার রায় ১ ডিসেম্বর

অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে: সিইসি

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ, ৫৪ কোটি টাকা জব্দের আদেশ

আগামী জুলাই থেকে সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাশলেস লেনদেন হবে: গভর্নর

নির্বাচন আর গণভোট একসঙ্গে করায় খরচ বাড়বে: অর্থ উপদেষ্টা

সারাদেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হচ্ছে: ইসি সচিব

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনাবাহিনী ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে: সেনাপ্রধান

আমাদের মূল লক্ষ্যই ফ্রি এবং ফেয়ার ইলেকশন: সিইসি

১০

নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক থাকবে: ইসি

১১

নাগরিকরা নিজে পরিবর্তন না হলে পরিবর্তন আসবে না: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১২

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৩

ভূমিকম্পে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৪

সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে: খাদ্য উপদেষ্টা

১৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৬

সাফল্য-ব্যর্থতার সমালোচনায় পুরো চিত্র প্রতিফলিত হয় না: প্রেস সচিব

১৭

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল

১৮

বাংলাদেশের জন্য ভারতের বিজনেস ভিসা আবার ইস্যু করা হচ্ছে : ভারতীয় হাইকমিশনার

১৯

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০