অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসার ক্ষেত্রটি বেশ জটিল, এবং ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজ চাল, ডাল, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোটামুটি যা আসছে, আমরা তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। কিছু ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তবে এককভাবে টাকার অঙ্ক খুব বেশি নয়। আগে অনেক বড় বড় কিছু অনুমোদন দেওয়া হত, তবে এখন যে অনুমোদনগুলো আসবে, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিন তেলের দাম হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে, এবং মসুর ডালের কেনা হচ্ছে, কারণ এর প্রয়োজন রয়েছে। অতএব, রোজা পর্যন্ত যত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে—চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনি—এগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। বাজারকে আরও সহনীয় করার চেষ্টা চলছে, তবে সময় লাগবে। কারণ এসব পণ্য বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের কিছুটা গ্যাপ আছে। দাম বাড়ানোর পর পরেই অনেক সাপ্লাই ছিল, কিন্তু ব্যবসায়ীরা এই ৮ টাকা বাড়ানোর পর আরও দাম বাড়বে বলে আশা করেন। তিনি বলেন, আমরা আজ সয়াবিন আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের চেষ্টা হচ্ছে যতটা সম্ভব সাপ্লাই আসুক, যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছায়।
তিনি আরো বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর কত জায়গায় যেতে পারেন? কিছুদিন আগে আমি পাবনা গিয়েছিলাম, সেখানেও একই অবস্থা। ডিসি বলছেন, আমরা কমিটি করেছি এবং তারা বাজারে যায়। তবে, যখন তারা চলে আসেন, পরিস্থিতি আবার আগের মতো হয়ে যায়। তিনি বলেন, মানুষ যদি সচেতন না হয় এবং মনিটরিং না করে, তবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। আমাদের এখানে সহনশক্তি বেশি, তবে বাইরে ক্রেতারা সচেতন থাকেন এবং অভিযোগ করেন। ভারতে দাম বেড়ে গেলে তারা প্রতিবাদ করে, কিন্তু আমি এখানে প্রতিবাদ করতে বলছি না, তবে সবাই যেন মনিটরিং করে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের শক্তি সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "ডেফিনেটলি।" সিন্ডিকেট না বললেও, ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, যারা সরাসরি আমদানি করেন এবং সাপ্লাই দেন, তারা সবই এই সিস্টেমের অংশ।
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে শতাধিক সুপারিশ রয়েছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এ তথ্য জানান।
কমিশনের চেয়ারম্যান আরও জানান, আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কমিশন প্রধান বলেন, ‘আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে, কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ, আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। এগুলোর ভিত্তিতে আজ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে স্বাক্ষর করবো। কাল (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় আমরা প্রধান উপদেষ্টার অফিসে যাবো এবং তার কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করবো। একই সঙ্গে কাল আইন কমিশনও তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।’
প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারবো না।’
এ সময় পাশে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সেটি হবে পাবলিক ডকুমেন্ট। ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে, সবাই জানবেন। জমা দেওয়ার পরে সবাই জানুক এতে ভুল বোঝাবুঝির অসুবিধা থাকে না।’
এরপর কমিশন প্রধানসহ সদস্যরা প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষর শেষে বের হওয়ার সময় মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সুপারিশ করেছি সেগুলো সবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অসম্ভব কিছু হলে তো সেগুলো সুপারিশ করতাম না। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কি না সেটা তো এখন সরকার বুঝবে।’
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। জনমুখী, জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এ কমিশন গঠন করা হয়।
৯০ দিনের (৩ মাস) মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় আগেই প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে কমিশন।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ তারেক এবং মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-সচিব রিজওয়ান খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ফিরোজ আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহীনা সোবহান, নিরীক্ষা ও হিসাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ আমিনুর রহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান।
মন্তব্য করুন
চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চলতি মাসে ১২ কেজির প্রতি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়িয়েছে ১,৪৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ১,৪৫৯ টাকা।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে। এই নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এছাড়া, প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বৃদ্ধি করে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
গত মাসের শুরুতে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম ৩ পয়সা কমানো হয়েছিল, যা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৯ পয়সা। তবে গত ১৪ জানুয়ারি অটোগ্যাসের দাম ৪৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ৪২ পয়সা কমানো হয় এবং নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ৬৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্যুতে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রোববার (২০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
বৈঠকে শেখ হাসিনা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হয় প্রণয় ভার্মার কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো আলোচনা হয়নি। কীভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। আমরা মূলত আলোচনা করেছি কীভাবে আমরা কাজগুলো এগিয়ে নিতে পারি।
সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে এ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
সচিবের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, এটি নিয়মিত বৈঠক ছিল। আমাদের সম্পর্ক নিয়ে নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমরা দুই দেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সম্পর্ক দুই দেশের মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল, বাংলাদেশ ভারতের ওপর নির্ভরশীল, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ পরামর্শক সভা নিয়ে হাইকমিশনার জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এফওসি করতে চাই।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক ভালোভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিকদের বেশ ভালো মানের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তাদের অব্যাহতভাবে এ মানের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থার (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতার পক্ষে প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন শাহরিয়ার আলম। ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিলের প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন>>বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তায় পুলিশের পরিবর্তে থাকবে আনসার
জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এটা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাতে প্রচুর কাজ আছে। আমরা এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা এনগেজমেন্টে যেতে চাচ্ছি না। ইটস নট এ ইস্যু। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যপরিধির একটা অংশ এবং সবাইকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
কূটনীতিকদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাতিল নিয়ে আর কথা বলতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, আমরা খুবই অবগত এবং এটাই আমাদের লাস্ট ওয়ার্ড। কূটনীতিকদের নিরাপত্তা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালোভাবে, দক্ষতার সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অব্যাহতভাবে দিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও দিয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিন্তু এ রিলেটেড ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।
গত রোববার (১৪ মে) থেকে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ মোট ছয় দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা বাতিল করেছে সরকার।
কূটনীতিকদের বাড়তি প্রটোকল সুবিধা বাতিলের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার কোনও আবশ্যকতা নেই।
এদিকে, বিদেশি কূটনীতিকদের আনসার বাহিনী কীভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেবে, সেটি চূড়ান্ত হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) বা আগামী রোববারের (২১ মে) মধ্যে নোট ভার্বালের (কূটনৈতিক পত্র) মাধ্যমে দূতাবাসগুলোকে বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে জ্বালানি তেলের আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
এসব দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের টার্মিনালগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার (২১ মে) গবেষকরা সতর্ক করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বরফ গলে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, যা শুধু মূল তেল বন্দরগুলোকে ডুবিয়ে দেবে বা বিশ্বব্যাপী তেল বাণিজ্যকে ব্যাহতই করবে না বরং উপকূলীয় শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোকেও প্লাবিত করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের ২০২১ সালের একটি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী চলতে থাকলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটারেরও বেশি বাড়তে পারে। অথবা দুই মিটার বৃদ্ধির বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ক্রুড অয়েল আমদানি-রপ্তানির বন্দরগুলোর অবকাঠামো সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডব্লিউআর জানিয়েছে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিচু বন্দর ও বাঙ্কারিং সুবিধাগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
বলা হয়েছে, যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বাড়ে, তাহলে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি ট্যাংকার টার্মিনালের মধ্যে ১২টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যার মধ্যে পাঁচটিই এশিয়াভিত্তিক।
এক্ষেত্রে সৌদি আরব, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রপ্তানি করা ক্রুড অয়েলের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশটির সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে এবং ১৫ বছরে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলি, কিন্তু দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। এ দেশে বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়নি। তবে এখন দেশ গড়ার একটা সুযোগ এসেছে। ছাত্র-জনতা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রফেসর জাহেদা পারভীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আ.ন.ম গোলাম রব্বানী, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল জব্বার, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল কাইয়ুম এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম আল আব্দুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আইয়ুব আলী, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক শিক্ষার্থী মতিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মো. ইদ্রিস মিয়া।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একসময় দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকড় হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, ২৪-ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দিলেন। ঘোষণাপত্রে এর স্বীকৃতি দেয়া উচিত কিনা। জুলাই-আগস্ট ২৪ এর অভ্যুথানের বিষটি একটি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেয়া হোক। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ইটাখোলা মোড়ে এই লিফলেট বিতরণ লে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি এবং জনমত গঠনে নরসিংদীতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় পথ সভায় কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই-আগস্ট ২৪ এর স্বমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহকায়ক সারোয়ার তুষার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে নরসিংদী ও শিবপুরের শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী-জনতা অংশ নেয়। পরে দিনব্যাপী নরসিংদীর শিবপুর, সদরসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সারজিস আলম আলম আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা জুলাই অভুথ্যানের নেত্রীতের কথা পরিস্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
আমাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না। তা আর হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং গুম, খুন, মামলাবিষয়ক সমন্বয়ক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হলো বিএনপির পক্ষ থেকে।
২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশের জেলা-উপজেলা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রসফায়ার ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১৫৩ জনকে গুম করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে এখনো নিখোঁজ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে দলটির মামলা ও তথ্যবিষয়ক প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আসেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনে ব্যবহার অনিশ্চিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। এখন এসব মেশিন সংরক্ষণের স্থায়ী জায়গা খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে রাখার পরও ইভিএমের জন্য স্থায়ী সংরক্ষণাগারের ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে ইসি এখন স্থায়ীভাবে মেশিন সংরক্ষণের নতুন পরিকল্পনা করছে।
সম্প্রতি ইসির জানুয়ারি মাসের সমন্বয় সভায় ইভিএম সংরক্ষণের নতুন পরিকল্পনার বিষয়টি আলোচিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। সভায় ইভিএম সংরক্ষণের জন্য মাঠ কার্যালয়ে ওয়্যারহাউজ নির্মাণের পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। ইসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার উপপ্রধান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মতামত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ভবনগুলো ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া যেসব উপজেলা ও জেলায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ভবন নেই, সেসব স্থানে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বিদ্যমান ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব বলে মত দেন।
এ বিষয়ে ইসির সিনিয়র সচিব বিদ্যমান অফিস ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর মতামত গ্রহণের লক্ষ্যে একটি সভা আয়োজন করার নির্দেশনা দেন। এছাড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধিশাখার অতিরিক্ত সচিব ডিপিপিতে ওয়্যারহাউজ নির্মাণ এবং আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়সমূহের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
এক-এগারো সরকারের সময় ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএমের ব্যবহার শুরু করে। সে সময় তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি মেশিন তৈরি করে নেয়। পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনও ইভিএম ব্যবহার করে। তবে ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি মেশিন অচল হয়ে পড়ায় তা আর ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। রকিব কমিশন বুয়েটের তৈরি স্বল্পমূল্যের মেশিনগুলো পুড়িয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং উন্নত মানের ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা করে।
২০১৭ সালে কেএম নূরুল হুদার কমিশন বুয়েটের তৈরি ইভিএমের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি দামে মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে উন্নতমানের ইভিএম তৈরি করে নেয় তারা। এতে প্রতি মেশিনের ব্যয় হয় দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। এ জন্য তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
সেই প্রকল্প থেকে দেড় লাখ ইভিএম কেনে রকিব কমিশন। তবে প্রকল্পে সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের ব্যবস্থা না থাকায় উন্নতমানের ইভিএমের মেয়াদ ১০ বছর হলেও পাঁচ বছর যেতে না যেতেই অকেজো হওয়া শুরু করে।
মন্তব্য করুন