অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চারটি কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কমিশন প্রধানরা প্রতিবেদনগুলো জমা দেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জমা দেওয়া কমিশনগুলো হলো: ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধানদের বৈঠক চলছে বলে জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে। আজ বিকেল তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে সরকার এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এটি হলো গত ৩ অক্টোবর কমিশন গঠনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের পরবর্তী ধাপ।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ও মাস্ক পরতে অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জনসমাগমপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ পরবর্তী (ঈদুল আজহার ফিরতি যাত্রা) ট্রেন যাত্রায় সকল যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ অনুরোধ করা হয়েছে।
শুক্রবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড–১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
২০২২ সাল থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরের বছর থেকে করোনা রোগী শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে মাস্ক পড়ার যে বিধি নিষেধ তাও সে সময় তুলে নেওয়া হয়।
এ বছর নতুন করে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে অতিসংক্রমণশীল এই ভাইরাস। সম্প্রতি রাজশাহীতে কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিনে জেলাটিতে ২৬টি নমুনার ১৩টিতেই করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ৫০ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজাগামী ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) নৌবহর থেকে আটক হওয়ার পর ইসরায়েলের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এই তথ্য জানিয়েছেন আন্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক।
তিনি আরও জানায়, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছে যে শুক্রবাই (১০ অক্টোবর) তাকে বিশেষ বিমানযোগে আন্কারায় নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে । যদিও এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।
জানা যায়, শহিদুল আলম ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অবৈধভাবে আটক হবার পর জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহকে ওইসব দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে মুক্ত করতে দ্রুত উদ্যোগ নিতে বলা হয়। এরপর থেকেই দূতাবাসগুলো তার মুক্তির বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কোনো ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, "সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কে ঘোষণা দিয়েছে, আমি জানি না।"
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন কিনা—এমন প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে এখনো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।"
এ বিষয়ে সরকার কি সরে আসছে? এমন প্রশ্নে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, "মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা কে দিল?"
সাংবাদিকরা জানান, জনপ্রশাসন সচিব মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলেছেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "কে ঘোষণা দিয়েছে আমি জানি না। আমরাতো ঘোষণা দেইনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব আসলে তারপরে সিদ্ধান্ত নেব, দেব কি দেব না।"
তিনি আরও বলেন, "অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো প্রস্তাবনা গেছে কিনা, তা জানতে চাই। তবে আমরা এখনো ঘোষণা দেইনি বা সিদ্ধান্ত নেইনি।"
সম্প্রতি সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে মূল বেতনের সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার একটি খসড়া প্রস্তুত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে বাড়তি ৫ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বাদ দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।
অর্থ বিভাগের হিসাবে, মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নে এক অর্থবছরে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। তবে আপাতত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন
আগামী ১২ আগস্ট যুব দিবস উপলক্ষে ৪ হাজার ৯৮৫ জনকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা ঋণ দেবে সরকার। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে এ ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান।
সোমবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আগামী মঙ্গলবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করা হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উত্তর তারুণ্যের জয়যাত্রাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর যুবশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ, আত্মকর্মসংস্থান ঋণ, সংগঠনভিত্তিক স্বেচ্ছা ও সেবামূলক কাজে যুবকদের সম্পৃক্তকরণে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিরোধ যুদ্ধে বিজয়ী যুবসমাজকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক কারিগরি প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক ও উপকরণ সহায়তার মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করার মহান ব্রত নিয়ে বছরে প্রায় ২ লাখ যুব কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও যুব কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় যুব দিবসে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ১৮ থেকে ৩৫ বছরের যুবকদের বিগত এক বছরে ২ লাখ ৭১ হাজার ৭১৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ২ হাজার ৫৩৪ জন যুবক ও ২ হাজার ৪৫১ জন তরুণীকে ৪৭ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা যুব ঋণ দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য ১ হাজার ৭৬ জন যুবককে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঢাকাসহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারুণ্যের উৎসব পালন করা হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আত্মকর্মী, উদ্যোক্তা, প্রশিক্ষণার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের মাধ্যমে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল বা জলাশয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব শক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে দেশের ৬৪টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন, মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অর্থপাচার কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, স্বচ্ছ লেনদেনব্যবস্থায় অপচয় কমবে, সাশ্রয় হবে সময়ের আর জনগণের ভোগান্তিও হ্রাস পাবে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে মোবাইল অপারেটরদের আন্ত ব্যাংকিং লেনদেন বিষয়ে আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন গভর্নর।
গভর্নর বলেন, লেনদেনের নানা ডিজিটাল প্রক্রিয়া চালু হলেও ব্যাংকিং খাতে প্রতিবছর নগদ অর্থের চাহিদা ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
এটি অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদে চাপ তৈরি করছে। নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনায় সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তাই আমরা এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফরম গড়ে তুলতে চাই, যেখানে রিকশাচালক থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী-কেউ বাদ যাবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে নগদবিহীন অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
এ জন্য ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বিত লেনদেনব্যবস্থা চালুর কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করেও তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লালমনিরহাটে তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে ভারতকে দাদাগিরি করা বন্ধ করতে হবে। ভারতের সাথে বন্ধুত্ব চাই, তবে তা সম্মানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। ৩৬ দিনের সংগ্রামের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়েছিলেন। একদিকে ভারত আমাদের পানি দিচ্ছে না, অন্যদিকে তারা আমাদের শত্রু শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার মতো সম্মান দিয়ে রেখেছে।
তিস্তা রক্ষার আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সংগ্রামের মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং সব অধিকার আদায় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন চায়, কারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আয়নাঘর সারা বাংলাদেশজুড়ে বিদ্যমান। এর সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
জানা গেছে, এর আগে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেল এবং র্যাব-২ এর সিপিসি-৩ এর ভেতরের সেলগুলো পরিদর্শন করেছেন। এরপর তারা র্যাব সদর দপ্তরের টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেন্টারে যান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এ ধরনের ইন্টারোগেশন সেল, টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে; আজকে সেগুলো সম্পর্কে শুনলাম। আগে আমার ধারণা ছিল যে, এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটি স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এখন জানলাম, আয়নাঘরের মতো স্থান সারা দেশজুড়ে বিদ্যমান। কেউ বলছে ৭০০, কেউ বলছে ৮০০। সঠিক সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। কতটা জানা আছে, কতটা অজানা রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা নৃশংস। প্রতিটি ঘটনা শুনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। এটা কি আমাদেরই জগত, আমাদেরই সমাজ? আমরা কি এটা করলাম? যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে তারাও আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের মুখ থেকে শুনলাম- এটা কীভাবে হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত বলে একটা কথা আছে। গত সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে। এটা (আয়নাঘর) এর একটি নমুনা।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ‘বিশেষ’ স্থানে রাখা হতো। এ নিয়ে সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এসব স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে প্রকাশ্যে আসে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের অনেকে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন পরিবারের কাছে। তাদের বয়ানে উঠে এসেছে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।
১৯ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে। সে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে গুমের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হয়। গুম করে বন্দিদের যেখানে রাখা হতো তা জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল বা আয়নাঘর নামে পরিচিত। কমিশনের সদস্যদের আহ্বানেই সেসব স্থাপনা পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অন্য আরেকটি তথ্যে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৪০ জনকে। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে।
যেসব ব্যক্তি দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করেছেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। অভিযোগ রয়েছে, আয়নাঘরেই বন্দি ছিলেন- অধ্যাপক মোবাশার হাসন, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা ও মীর আহমদ বিন কাসেমসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং। বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিনিময় করা অভিনন্দন বার্তায় এ কথা জানান শি।
ঢাকার চীনা দূতারা জানিয়েছেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শনিবার (৪ অক্টোবর) দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন।’
চীনা প্রেসিডেন্ট শি তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫০ বছরে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূদৃশ্যের পরিবর্তন নির্বিশেষে, চীন ও বাংলাদেশ সর্বদা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং দেশগুলোর মধ্যে উইন উইন সহযোগিতার উদাহরণ স্থাপন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এবং বাংলাদেশ রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা সুসংহত করে চলেছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক সহযোগিতা প্রসারিত করেছে এবং তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারি আরো গভীর করেছে।’
চীনা প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন এবং ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক সহযোগিতা আরো গভীর করার এবং অভিন্ন উন্নয়নের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের জনগণের আরো ভালোভাবে কল্যাণ হয় এবং বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নে আরো বেশি অবদান রাখা যায়।’
প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন তার বার্তায় বলেন, ‘গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে, পাশাপাশি স্থায়ী সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে। তিনি উল্লেখ করেন যে আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদি মূল্যবান সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের নেতা ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বৃহত্তর ফল বয়ে আনবে।’
একই দিনে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, ‘৫০ বছর আগে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমে বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফল এনেছে, যা উদযাপনের যোগ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারির ক্ষেত্রে নতুন অর্জন তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত মূল্য দেয় এবং ৫০তম বার্ষিকীকে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা, পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। চীন-বাংলাদেশ সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারির অব্যাহত প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ সোমবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনদিনের আলোচনা শেষে দেশে ফিরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক এবং যথেষ্ট এনগেজিং (সন্তুষ্টজনক) ছিল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, তিনদিন খুবই এনগেজ (ব্যস্ত) সময় কাটিয়েছি। দুই দেশের শুল্ক সমঝোতায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুন্দর সুন্দর কিছু পরামর্শ আমরা পেয়েছি সেখানে। সেগুলো কাজে লাগাবো।
তবে সুনির্দিষ্ট কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বা কোন কোন বিষয়ে দুই দেশ একমত কিংবা দ্বিমত পোষণ করেছে- সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা ‘নন-ডিসক্লোজেবল ইস্যু’ বলে অনেক বিষয় এড়িয়ে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে, আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শূন্য’৷
১ আগস্ট থেকে পাল্টা শুল্ক পুনঃআরোপিত নাকি নতুন শুল্কহার পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তারা যৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ করবে। কারণ আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করছে। ২০১৫ সাল থেকে শুল্ক-কর পরিশোধ করেই সেটা করছি। আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এ ব্যবসা করছে এবং তুলনামূলকভাবে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈষম্যের শুল্ক না হলে আমরা সেটা করে যাবো।
চীনের সঙ্গে ব্যবসা নিরুৎসাহিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো শর্ত দিচ্ছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা এর কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, আমরা নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব এখন দেবো না।
তিনি বলেন, তিনদিনের দ্বিতীয় রাউন্ডের বৈঠক শেষে আমরা এখন তৃতীয় রাউন্ডের বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিতে ফিরে এসেছি। দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ বৈঠক করেছি। এছাড়া কিছু আন্তঃমন্ত্রণালয়ে আলোচনার বিষয় রয়েছে। সেগুলো শেষ করে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি আবারও আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবো।
‘আমরা আশা করছি, আমাদের যেন একটা ভালো আউটকাম আসে, সেজন্য সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ যোগ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সর্বশেষ তিনদিনের নেগোসিয়েশনে আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়ে কাজ করেছি। আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন আমাদের বড় শুল্কের আঘাত না আসে। আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
গত ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক পুনঃআরোপিত হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে দুই দফা আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ৯-১১ জুলাই তিনদিনের বৈঠক হয়। এরপর রোববার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে ফিরেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিল বাণিজ্য সচিবসহ একটি প্রতিনিধিদল।
মন্তব্য করুন