

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধিত ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৯৬টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামীতে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ সংস্থাকে নিবন্ধিত করা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পর্যবেক্ষক নিবন্ধন প্রথা শুরু করে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ওই নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক ছিল এক লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৪ সালে ৩৫টি সংস্থার আট হাজার ৮৭৪ জন পর্যবেক্ষক ভোট দেখেছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১১৮টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮১টি দেশি সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৯৬টি নিবন্ধিত সংস্থার মধ্যে ৮০টির মতো সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট দেখেছেন।
মন্তব্য করুন


নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ বুধবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রস্তুত ইসি। প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পেলে কমিশন আলোচনা করে ভোটের তারিখ থেকে মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, দ্রুত চিঠি পেয়ে যাবো। না পেলেও আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভোটের মাঠ লেভেল প্লেয়িং করার কাজ করছি। তবে রাজনৈতিক দল যেন ফাউল করার নিয়ত করে খেলতে না নামে।
সিইসি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করাও বড় চ্যালেঞ্জ হবে। ভোটারদের কেন্দ্রে উপস্থিতি বাড়ানোও কেউ কেউ বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানাচ্ছেন। তবে আমরা নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোট করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম তো নিষিদ্ধ। তাদের বিচার চলমান রয়েছে, বিচারের পর আওয়ামী লীগকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা ভোট দিতে পারবে বলে জানান নাসির উদ্দিন।
মন্তব্য করুন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যার পর তার মরদেহ গুমের মামলায় প্রধান আসামি সাবেক রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে পঞ্চগড় জেলা কারাগার থেকে সুজনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় থানার উপ-পরিদর্শক মানিক মিয়া সুজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিনের জন্য শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক নাহিদা আকতার জুলিয়েট সুজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যার পর মরদেহ গুমের মামলায় পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুজ্জামান তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আল আমিন গুম হন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি রহস্যজনক, এখনো ভিকটিমের খোঁজ পাওয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনের জন্যই আসামির রিমান্ড প্রয়োজন ছিল।
মন্তব্য করুন


নিত্য পণ্যের চড়া দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে আমাদের পক্ষ থেকে ইচ্ছে করে তাদের কষ্ট দেওয়া হচ্ছে না, এমন মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সিস্টেমের সঠিক কাজ না হওয়ার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় রাজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ছয় বছর সময় লেগেছে, যা সাধারণভাবে অস্বাভাবিক। এই প্রকল্পে প্রয়োজনীয় অনেক আইন ও পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে, তবে সমস্যা হচ্ছে এর বাস্তবায়ন নিয়ে।
এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বলেন, আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে এবং পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে জটিলতা সৃষ্টি থেকে বিরত থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং জীবনযাত্রা সহজ করতে সরকার সচেষ্ট।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে বন্দরে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করা যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে ৩৯টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক কোনো দলের বিশেষ সুবিধা নেওয়া ও নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাববেন না। মনে রাখবেন পেশি শক্তি কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আপনাদের সব কাজ জনস্বার্থ ও আইন দ্বাড়া পরিচালিত হয়।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের তোষামোদ করতে বারণ করে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক দল থেকে দূরে থাকবেন। আমি বারবার আপনাদের বলছি, আপনারা এখন যদি তেল দেওয়া শুরু করে দেন তাহলে আপনাদের তেল কিন্তু নির্বাচনের পর শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অতএব এখন যার কাছে যে তেলটা আছে রিজার্ভ করে রাখবেন। পরে কিন্তু তেলটা কাজে লাগাতে পারবেন। এজন্য আপনারা কোনো দলের দিকে যাবেন না। আপনারা একেবারে জনগণের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা এটা পূরণ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন।
মন্তব্য করুন


পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যা পুলিশের পেশাদারিত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, দলীয় স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। পুলিশ যেন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার না হয়, সেজন্য পুলিশের সংস্কারে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার বাকি রয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মামলার ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে। যেসব নিরীহ মানুষকে ভুলক্রমে আসামি করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। হয়রানি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হবে।
মন্তব্য করুন


এবার ঈদযাত্রায় কোনো টিকিট কালোবাজারি হয়নি এবং তাতে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তাও জড়ানোর সাহস পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ঈদযাত্রার সময় প্রতি বছর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এতে রেলওয়ের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। এবার সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। রেলের কেউ এসবে (টিকিট কালোবাজারি) জড়াতে পারেনি। ফলে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়নি।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ঘরমুখো মানুষ সড়কপথের মতো ট্রেনযাত্রায়ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পথে পথে চাঁদাবাজি চলতো, গাড়ি থামানো হতো। সেটা কিন্তু এবার নেই। কেউ এটা করার সুযোগ ও সাহস পায়নি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। তারা নির্দেশনা মোতাবেক ভালো কাজ করছেন। সবমিলিয়ে ঈদযাত্রায় আমরা ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছি।
স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, তারা কী জানালেন- এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবাই খুশি। অন্যবারের চেয়ে এবার তারা সুন্দরভাবে যেতে পারছে। ভোগান্তি একেবারে কম। কোথাও বাড়তি টাকা-পয়সা চাওয়া হচ্ছে না। এগুলো যাত্রীরা জানালেন। তারা ভালোভাবে গেলেই আমাদের কষ্ট স্বার্থক হবে।
এসময় রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নির্বাচন কমিশন (ইসি) চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর স্থগিত থাকা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এক মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টো সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সভায় উল্লেখ করেন যে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান থাকায় স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া, অফিসের কারিগরি সরঞ্জামগুলো বর্তমানে হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, আগামী ১১ এপ্রিল হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ১২ এপ্রিল থেকে মুদ্রিত স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৪৯ জন ভোটার ইতিমধ্যে স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। তবে, এখনও ৫ কোটি ২৭ লাখ ৮১১ জন ভোটার স্মার্ট কার্ড সেবার বাইরে রয়েছেন।
চলমান বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলে জুন মাসে আরও একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে দেশে আরও ৫০ লাখের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও ৮ বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও দেশের সকল নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত স্মার্ট কার্ড বিতরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করার আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


সীমান্ত পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উপায় নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুধু আইন-শৃঙ্খলা নয়, সকল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ের মাটি কেটে নেওয়া, অবৈধ পাহাড় ধ্বংসসহ পরিবেশগত নানা সমস্যা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আরাকান সীমান্ত একটি জটিল অঞ্চল। আমরা মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও বাস্তবে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে। এখানে বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দ্বৈত করের সমস্যা রয়েছে—একদিকে মিয়ানমার সরকার, অন্যদিকে আরাকান আর্মি উভয়ই শুল্ক আদায় করে। তবে আমরা এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। সর্বোপরি, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।’
সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও ও টিকটক কনটেন্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আরাকান আর্মির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে কিছু সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু সদস্য বাংলাদেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে—এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে ভাইরাল ভিডিওগুলোর সবই সত্য নয়, আবার সবটা মিথ্যও বলা যাবে না। এখানে সতর্কতার সঙ্গে বিচার করা জরুরি।’
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্থিতিশীল। আমি এখানে তিন দফায় দায়িত্ব পালন করেছি। একসময় ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে গণহারে প্রাণহানি হতো, যা মিডিয়ায়ও আসত না। এখন পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সাজেক পর্যন্ত ভ্রমণ করছেন। ছোটখাটো অপরাধ সমতলেও ঘটে, শুধু পাহাড়কে দোষারোপ করা যায় না।’
যৌথ বাহিনীর তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যৌথ বাহিনীর অভিযান কোনোভাবেই কমেনি। বরং গণমাধ্যম ও জনসাধারণের সহযোগিতায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্য ঘটনা প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের কিছু মহল বিভ্রান্তি ছড়ায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সর্বদা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন—এ ধারা বজায় রাখার অনুরোধ রইল।’
ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘাত প্রসঙ্গে তার পরামর্শ, ‘এরা আমাদেরই তরুণ ভাই। তাদের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
চট্টগ্রামের রাউজানে সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া—এ অঞ্চলে পাহাড় ও সমতলের মিশ্র অবস্থান। সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে পাহাড়ে আত্মগোপন করছে। আমরা স্থানীয় পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো অপরাধী প্রকাশ্যে থাকলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে নৌকা মার্কা (আওয়ামী লীগ) নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার সময় তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে—এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনের বিচার করব এবং দেশকে সংস্কার করব।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এই প্রথমবারের মতো রাজপথে নামেনি, জীবন দেয়নি। এর আগেও বহুবার মানুষ সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে। ১৯৭১ সালের পর ১৯৭২ সালে 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন মুজিববাদীদের হাতে বিনষ্ট হয়। দেশকে ভারতীয় শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন ধ্বংস করা হয়। মুজিববাদী সংবিধানে 'বাঙালি জাতীয়তাবাদ'-এর নামে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। গণতন্ত্রের নামে বাকশাল কায়েম করা হয়।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ হয়েছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে জনগণ স্বৈরশাসনের পতন ঘটায়। কিন্তু ৩০ বছর পর আবারও সেই স্বৈরতন্ত্র ফিরে এসেছে। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।"
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যখন ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল, তখন আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু বিগত নয় মাসেও এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। মামলা-বাণিজ্য চলছে। তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।"
নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশন কার স্বার্থে কাজ করবে? আমরা দেখেছি, কিছু সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছেন—শেখ হাসিনা কি গণহত্যাকারী? তাদের বলছি, আপনারা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর।"
সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এবং সরকারের সমালোচনা করেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তিনি আরও মন্তব্য করেছেন যে এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার একটি অত্যন্ত নিরাপদ ও শক্তিশালী ভিত্তি পাবে।
বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এনএইচকে)-কে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ইউনূস বলেন, "যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন নতুন নির্বাচিত সরকারের কাজ করার জন্য একটি খুবই নিরাপদ ও সঠিক ভিত্তি থাকবে।"
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তরুণরা ইতিমধ্যেই তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা প্রদর্শন করেছে।
ড. ইউনূস বলেন, "তরুণরা তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে জানাতে চায়। আমাদের মধ্যে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।"
অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. ইউনূস নিশ্চিত করতে চান যে বাংলাদেশ তার নিজ পায়ে দাঁড়াবে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, "আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ তখন একটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থা ছিল।"
জাতীয় নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য অপরিহার্য অংশ। তিনি এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রাথমিক সময়সীমা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন