

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। ক্ষমতায় গেল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হাওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব চুক্তি পুনর্বিবেচনা করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বিএনপি।
বুধবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগ এক ধরণের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যে দুর্বৃত্তায়ন, আওয়ামী লীগ যে দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে এসব কথা না বলতে থাকলে মানুষ আস্তে আস্তে সব ভুলে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। কোনো জায়গা বাদ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিল। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যে কোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।
এ সময় বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি উন্মুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম খান।
মন্তব্য করুন


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা রাখা হবে না বলে জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
আজ সোমবার সচিবালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা রাখা হবে কি না? জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘না, না কোনো কোটা থাকবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের (গণ-অভ্যুত্থানে হতাহত) পুনর্বাসনের কর্মসূচিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে মন্ত্রণালয় যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই কার্যক্রমের ভেতরে ফ্ল্যাট দেওয়া বা চাকরির কোটা দেওয়া, এসব বিষয় নেই। পুনর্বাসনের কর্মসূচি আছে, পুনর্বাসন নানানভাবে হতে পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি যেভাবে পুনর্বাসিত হতে চান বা আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যদি হাঁস-মুরগি বা পশু পালন করেন, যেভাবে তিনি তার জীবিকা সংস্থান করতে চাইবেন সরকারের পক্ষ থেকে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুলাই যোদ্ধদের সরকারি অনুদানের পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমান করে তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সমকক্ষ করা হচ্ছে কি না?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে এখানে না আসা উচিত, মুক্তিযোদ্ধারা মহান। তাদের অবদান অনস্বীকার্য।’
মন্তব্য করুন


বিদেশে বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস এবং বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে টেলিফোনে এই নির্দেশনার কথা জানানো হয় বলে বিদেশের কয়েকটি মিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, টেলিফোন কলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতদের অন্য মিশনে জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
তবে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর এ নির্দেশনা দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের কয়েকটি মিশনের দূতরা পাননি। তবে সরকারের এমন নির্দেশনা পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিদেশের দুটি মিশন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল এক কূটনীতিক জানায়, ঢাকা থেকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টেলিফোনে সরকারের এই নির্দেশনার কথা অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন দূতকে জানানো হয়েছে। তারা অন্য মিশনে জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে ছবি সরিয়ে ফেলার বিষয়টিও তদারকি করবেন তারা।
আরেক কূটনীতিক বলেন, আমাদের অঞ্চলে যে রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি সরাসরি আমাদের জানাননি।
ওনার পক্ষে কাছাকাছি একটি মিশন থেকে একজন রাষ্ট্রদূত আমাদের এই নির্দেশনার ব্যাপারে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত গত বুধবার তাদের কিছু শহরে দুই থেকে তিনবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে এবং এখনও ভারতের আক্রমণের ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি ভারত কোনো কারণ বা প্রমাণ ছাড়াই কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা জবাব দেব। পাকিস্তানকে এর উত্তর দিতেই হবে। আমরা যদি এখনই ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই, তাহলে আমাদের যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকবে। তবে আমরা ভারতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করব না।"
পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল জিও টিভি-এর অনুষ্ঠান 'আজ শাহজাইব খানজাদা কে সাথ'-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
খাজা আসিফ বলেন, "ভারত কিছু শহরকে দুই থেকে তিনবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, অন্তত রাডারের মাধ্যমে, যাতে প্রয়োজনে সেখানে হামলা চালানো যায়।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "আক্রমণ প্রতিহত করতে কিছু শহরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা এর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এর চরম মূল্য দিতে হবে।"
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, "ভারত যা করছে, আমরা তা সহ্য করব না, বরং কঠোর জবাব দেব।" এছাড়াও, তিনি বলেন যে দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সংকট এখনও শেষ হয়নি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে।
বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নির্দেশের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কীভাবে টাকা এসেছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সেই অর্থ পরবর্তী সময়ে কোথায় খরচ হয়েছে, নগদে উত্তোলন হয়েছে কি না, এসব বিস্তারিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে এই ট্রাস্টের ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। তার বোন শেখ রেহানা অন্যতম ট্রাস্টি।
এছাড়া অন্য যারা এই ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত কিংবা যেসব অ্যাকাউন্টে ট্রাস্টের হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, জমা হয়েছে, তাদের তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর আরেক চিঠিতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ও ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তার ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত, এবং তাদের মা ডালিয়া চৌধুরী-র হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এর আগে, তাদের আরেক ভাই ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ। তাদের পরিবারের সঙ্গে শেখ হাসিনা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মানব পাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি জীবন কাটানো ১৮ বাংলাদেশি অবশেষে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মীরা।
জানা গেছে, ভালো চাকরি ও উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারীরা দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এই বাংলাদেশিদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে পাঠানো হয়। পাচারকারীরা তাদের জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে নিয়োজিত করে। কেউ কাজ করতে অস্বীকার করলে তাদের বৈদ্যুতিক শকসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন এন্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের উদ্ধারের জন্য ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সিআইডি এবং থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ১৮ বাংলাদেশি দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম, মো. আলিফ, রায়হান সোবহান, শেখ আরমান, মো. পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. নিজাম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আকন্দ রাফি, তোয়ানুর খলিলুল্লাহ, মো. সায়মন হোসেন, মো. উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান, মো. কায়সার হোসেন, মো. শাহ আলম ও মো. আকাশ আলী।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রামের মো. আলিফ বলেন, "দুবাইতে আমি জাহাজে কাজ করতাম। আমাকে উচ্চ বেতনে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাচারকারীরা আমাকে থাই-মিয়ানমার সীমান্তের ম্যাসটে নিয়ে যায়। সেখানে আমার মতো বিভিন্ন দেশের আরও অনেক মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যাম সেন্টারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আমি ছয় মাস ধরে ভয়াবহ নির্যাতনের মধ্যে বন্দি ছিলাম। জীবন বাঁচাতে আমি স্ক্যাম সেন্টারে কাজ করতে বাধ্য হই।"
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পাচারকারীদের মূল হোতা ইফতেখারুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে আটক করা হয়। পাচারকারী চক্রের আরেক নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ব্র্যাকের শরিফুল হাসান আরও জানান, "সাইবার স্ক্যাম মানব পাচারের একটি ভয়াবহ রূপ। কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এরপর সুকৌশলে তাদের স্ক্যাম সেন্টারে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যামের কাজ করানো হয়। থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। সরকার ইতিমধ্যে এসব দেশে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এই নতুন ধরনের প্রতারণা সম্পর্কে বিদেশগামীসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে।"
মন্তব্য করুন


সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তবে যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এতে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পুরোপুরি আয়োজন করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আবুল ফজল আরও বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, তা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে, এটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও তুলে ধরার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার যাদের চোখে পড়ে না, তারা আসলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন না। শুধু ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলো না দেখে ভালো বিষয়গুলোও দেখতে হবে। সরকারের ভুল যে নেই, তা নয়। সমালোচনা করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই। এতে ভুল সংশোধন করা যাবে।
আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূসক ও কাস্টমস সংক্রান্ত গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার অনেক জুনিয়র অর্থনীতিবিদ আছেন, যারা শুধু সরকারের ভুল আর নেতিবাচক বিষয়গুলোই দেখেন।
শুধু বলেন, এটা নেই, ওটা নেই। কিন্তু ভালো দিকগুলোর প্রতিও নজর দেওয়া জরুরি। এ সময় তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সুনাম রয়েছে জানিয়ে তা ধরে রাখার পরামর্শ দেন।
এ সময় ২০২৫-২৬ কর বছরের ই-রিটার্নের উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন


আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। অগ্রিম হিসেবে ২৫ মার্চ থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত মোট ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করা হবে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির ঈদ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ বিষয়ে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, ১৪ মার্চ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই দিন থেকে একযোগে অনলাইন এবং কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট পাওয়া যাবে। তবে এবার অনেক পরিবহন কোম্পানি পুরোপুরি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা দুইভাবে টিকিট কিনতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে বাড়তি কোনো ভাড়া নেয়া যাবে না। সব মালিকদের এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং তারা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করবেন।
এছাড়া, ঈদের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে মালিক সমিতির মনিটরিং টিম টার্মিনালে অবস্থান করবে। বিশেষ করে নাইট কোচের নিরাপত্তার জন্য ভিডিও রেকর্ডিংসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তারপর গাড়ি ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার সকাল ৯টায় ৮৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
শামসুল হুদার ভগ্নিপতি আশফাক কাদেরী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টায় গুলশানের নিজ বাসা থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ মর্গে রয়েছে।’
এ টি এম শামসুল হুদা সিইসি হিসেবে ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করেন। এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। পরে দেশ স্বাধীন হলে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।
চাকরি জীবনে তিনি বাগেরহাটে মহকুমা প্রশাসক (সাব ডিভিশনাল অফিসার), পানি সম্পদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এই রায়ের জন্য প্রথম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তাকে সকল অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই রায়ের ফলে সত্য বিজয় হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এটিএম আজহারের ওপর এটি ছিল নজিরবিহীন নির্যাতনে সামিল। পৃথিবির ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন