বিপিএল শুরু হতে ২৪ ঘণ্টা বাকি থাকলেও টিকিট না পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান গেইটে বিক্ষোভ করেন দর্শকরা। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে টিকিটের মূল্য তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে টিকিট কেনার পদ্ধতি ও স্থান।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের টিকিট সরাসরি ও অনলাইন দুই মাধ্যমেই কেনা যাবে। সরাসরি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আজ বিকেল ৪টা থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে। উদ্বোধনী দিনের জন্য আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরাসরি টিকিট কেনা যাবে।
টিকিট বিক্রির জন্য মধুমতি ব্যাংকের সাতটি শাখা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে টিকিট কেনার জন্য www.gobcbticket.com.bd এই ঠিকানা সরবরাহ করা হয়েছে।
এবারের বিপিএলের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা। ইস্টার্ন গ্যালারির টিকিটের দাম ২০০ টাকা, নর্দার্ন ও সাউদার্ন গ্যালারির টিকিট ৩০০ টাকা। শহীদ মুশতাক ও শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়।
ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারির মিডিয়া ব্লক ও করপোরেট ব্লকের টিকিটের মূল্য ১০০০ টাকা। সাউথ করপোরেট ব্লকের টিকিটের দাম ৮০০ টাকা। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের আপার ও লোয়ার টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ২০০০ টাকা।
এছাড়া বিশেষভাবে তৈরি জিরো ওয়েস্ট জোনে (শহীদ মুশতাক স্ট্যান্ডের পাশে) ৩০০ আসনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই জোনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
মন্তব্য করুন
তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কথা একাধিকবার গণমাধ্যমে এসেছে। যদিও এ নিয়ে কখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি এই দুই ক্রিকেটারের কেউই। অথচ একটা সময় তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা কতটা ছিল, তা সবারই জানা। লম্বা সময়ের এই সম্পর্কে সম্প্রতি কিছুটা ভাটা পড়লেও অধিনায়ক তামিমের প্রশংসা করতে একটুও কার্পণ্য করেননি সাকিব।
পরিসংখ্যান অধিনায়ক তামিমের পক্ষে কথা বললেও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন এই অভিজ্ঞ ওপেনারের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে। বিশেষ করে ওয়ানডেতে, গত কয়েক মাস ধরেই কথা বলছে না তার ব্যাট। গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে দীর্ঘ ৯ মাস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল তার স্ট্রাইকরেট। ব্যাট হাতে তার এমন ফর্মের কারণেই প্রশ্ন উঠছে তার নেতৃত্ব নিয়েও। তবে তামিমের নেতৃত্বেই আস্থা রাখার পক্ষে মত সাকিবের।
সোমবার ইংল্যান্ডে একটি অনুষ্ঠানে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেন, 'এগুলো তো সবই প্রাথমিক পর্যায়। এখানে যে ভুলগুলো হচ্ছে কিংবা যে ভালো জিনিসগুলো হচ্ছে এসবই বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ থেকে ঠিক হওয়া শুরু হবে। আমাদের সামনে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচও নেই। আমি নিশ্চিত কোচ, অধিনায়ক এসব চিহিৃত করে। তারা খুবই ভালো চিন্তা করে যে কোন জায়গাতে আরও ভালো করলে আরও একটু ভালো হতো। আমি নিশ্চিত কখনই কোনো দলের নেতা, দেশের প্রধান দেশের জন্য বা দলের জন্য খারাপ চায় না। তাদের ইন্টেনশন কখনই খারাপ থাকে না।সিদ্ধান্ত ঠিক, ভুল সবই হতে পারে।'
এবছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। কন্ডিশন আর নিজেদের শক্তিমত্তা বিবেচনায় এই মেগা আসরে বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। এই বিশ্বকাপ ঘিরে নিজেদের সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আশাবাদী সাকিবও।
বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'আইসিসির টুর্নামেন্টে কন্ডিশন সবসময় ফেয়ার থাকে। সব দলের জন্যই ব্যাপারগুলো একই রকম। আমাদের সবকিছুই ভালো করতে হবে, ভালো রেজাল্ট করতে হবে। সবশেষ বিশ্বকাপে আমাদের ভালো সুযোগ ছিল সামান্য কিছু কারণে হয়ত সফল হতে পারিনি।'
মন্তব্য করুন
চলতি বছরের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে বসছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। আইসিসির এই মেগা টুর্নামেন্টের জন্য দল গোছাতে শুরু করেছে প্রতিযোগি দেশগুলো। বাংলাদেশও সদ্য সমাপ্ত আয়ারল্যান্ড ও আসন্ন আফগানিস্তানের বিপক্ষের সিরিজ দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য পেতে দলের কম্বিনেশন তৈরির জন্যই এত প্রচেষ্টা। সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইনজুরির কারণে ৬ সপ্তাহের জন্য ছিটকে যাওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তার মতে, ভারতের আবহাওয়া বাংলাদেশ দলের কাছে পরিচিত হওয়ায় অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে তারা কিছুটা এগিয়ে থাকবে। বিশ্বকাপে গেলে কিংবা সেখানকার কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় টাইগারদের দলীয় কম্বিনেশন হতে পারে বলে মনে করছেন সাকিব, ‘আমরা যখন রেজাল্টের পর কথা বলি তখন বোঝা যায় সেটি কতটা ঠিক-ভুল। সিদ্ধান্তটা আগে হয়, রেজাল্টটা হয় পরে। আমি নিশ্চিত কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক ও সিদ্ধান্ত প্রণেতা যারা আছেন, তারা সবাই ভালো চিন্তা করবে। যখন আমরা বিশ্বকাপ যাব, তখনই আমাদের আসল কম্বিনেশনটা তৈরি হবে। এটি প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে।’
মন্তব্য করুন
ডিপিএল শেষেও বিশ্রামের সুযোগ থাকছে না ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে আছেন, তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে আবারও মাঠের ক্রিকেট। আগামীকাল থেকে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ খেলতে নামবে আফিফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
সিরিজের শুরুর আগের দিন আজ সিলেটে গণমাধ্যমকে আফিফ বলেন, 'প্রিমিয়ার লিগে আমি ফিনিশিং রোলে ছিলাম না। আমি টপ অর্ডারে খেলেছি, সেখান থেকে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি বলে খুশি। আর লাল বলটা উপভোগ করি, চেষ্টা করবো এখানে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে যতটা ভালো পারফর্ম করা দলের জন্য।'
আক্রমণাত্বক নয় পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার আশা আফিফের। তিনি বলেন, 'সবসময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে এমনটা না। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো। আর আমাদের প্রথম শ্রেণির যে খেলাগুলো হয় ওখানেও আমি খেলেছি। সবসময় যে আক্রমণাত্মক খেলেছি এমন না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। এখানেও সেটা করবো। আমি কখনোই চাপ অনুভব করি না। যেকোনো পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে উপভোগ করতে পছন্দ করি।'
দলের অধিনায়কত্ব করা দারুণ ব্যাপার আফিফের কাছে। তিনি বলেন, 'অবশ্যই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা 'এ' দলের অধিনায়কত্ব করা। কিন্তু আপনি যেটা বললেন সামনের ব্যাপার নিয়ে আমি চিন্তা করি না। সবসময় চিন্তা করি বর্তমানে কি করা যায়। সে চেষ্টাই করবো যাতে প্রতিদিন ভালো করে একটা ভালো সিরিজ শেষ করতে পারি।'
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড হেড কোচ এরিক টেন হাগকে বরখাস্ত করেছে। এর ফলে রেড ডেভিলদের সঙ্গে ডাচ কোচের আড়াই বছরের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটলো। বিবিসি এবং ESPN সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গতকাল রবিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যামের কাছে পরাজিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো। আজ সোমবার ক্লাব কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানায়।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পর, কেউই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেননি। সর্বশেষ টেন হাগের অধীনে ক্লাবটি আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন ধরেই তার ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।
টেন হাগের সময় সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আরেক ডাচ কিংবদন্তি রুড ফন নিস্টেলরয়। তাকেই এবার অন্তবর্তীকালীন হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ দল থেকে ছিটকে পড়েছেন বাবর আজম। তাকে বিশ্রামের কথা বলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। আর বন্ধুর খারাপ সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন ফখর জামান। আর তাতেই বাঁহাতি ওপেনারের ওপর চটে লাল পাক ক্রিকেট বোর্ড।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরে সংঘাতটা লেগেই গেল। গতকাল রোববার পাক বোর্ডের তরফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি দুই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করা হয়। সেখানেই পাকিস্তানের নয়া নির্বাচক কমিটি ক্রিকেটারদের স্পষ্ট বার্তা দেয়— হয় পারফরম্যান্স কর, নয় সরে দাঁড়াও। বোর্ডের এই অবস্থানের জেরে দল থেকে ছাঁটাই হন বাবর আজম। দলে নেই শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
পাক বোর্ডের তরফে মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে পরের দুই টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়, তা প্রকাশ্যে আসার পরই জানা যায়, দল থেকে বাদ দেওয়া হয় তিন তারকা ক্রিকেটারকে। এর মধ্যে নাম রয়েছে গত এক দশকে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর আজমের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফখর জামানের লিখেছেন—খারাপ সময়ে যখন বিরাট কোহলির গড় অত্যন্ত কম ছিল। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রান পায়নি, তখন ভারতীয় বোর্ড কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিল। অথছ বাবর আজমের খারাপ সময় তার পাশে দাঁড়াল না পাকিস্তান বোর্ড— এটা অত্যন্ত খারাপ একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করে বলেন, ক্রিকেটারদের ছোট না করে বোর্ডের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।
ফখর জামানের ওপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তান বোর্ড। যদিও তার পোস্টের পরই পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে তার সঙ্গে। পিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘ফখর জামানের পোস্টে বোর্ড একদমই খুশি নয়। যারা এ বিষয়ে দায়িত্বে রয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে ওর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
পাক বোর্ডসূত্রে জানা গেছে, নতুন যে নির্বাচক কমিটি হয়েছে, তার অন্যতম সদস্য সাবেক অধিনায়ক আজহার আলি। তিনি বাবর আজমের সঙ্গে শনিবারই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এ ছাড়া আরেক নতুন নির্বাচক আকিব জাভেদ জানিয়েছেন— এ মুহূর্তে ক্রিকেটারদের ফর্মের দিকে আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। বাবর-শাহিনদের বোঝানো হয়েছে, ওদের আত্মবিশ্বাস ফেরার জন্য এবং ফিটনেস ফিরে পাওয়ার জন্য এই দুই টেস্টে বিশ্রাম প্রয়োজন। আর আমাদের এই সিরিজে যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
মন্তব্য করুন
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) ও বাংলাদশে ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আয়োজনে ‘১০ম এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) একযোগে এর আয়োজন করা হয় ঢাকা, নোয়াখালী, নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও বরগুনায়।
ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহের ১৬টি ফুটবল একাডেমির প্রায় ২০০ কিশোর ফুটবলারকে নিয়ে বাফুফে সংলগ্ন আর্টিফিসিয়াল টার্ফ মাঠে গ্রাসরুট ডে পালিত হয়। এই সময় খেলোয়াড়দের মাঝে টি-শার্ট ও সার্টিফিকেট অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল থমাস স্মলি, জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ফার্নান্দেজ ক্যাববেরা, বাফুফের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সদস্য আমের খান ও মহিদুর রহমান মিরাজ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বান্দরবানে গতকাল গ্রাসরুটস ফুটবল ডে পালন করা যায়নি। তার পরিবর্তে ওই জেলায় আজ অনুষ্ঠানটি হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান প্রায় দুই দশক ধরে পেশাদার ক্রিকেটে নিজের প্রতিভার ছাপ রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সময়ের অন্যতম অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলের পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। গড়েছেন বহু রেকর্ড এবং অর্জন করেছেন অগণিত সাফল্য।
তবে এত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্তে এসে বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
ডিসেম্বরের শুরুতে সাকিব বার্মিংহামের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের সামনে তিনি মোট চার ওভার বল করেন। এই পরীক্ষায় তার ২৪টি ডেলিভারি বিশ্লেষণ করে কোনো ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে সাকিবের ওপর থাকা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সাকিব প্রায় ১৩ বছর পর আবারও কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে যান। সারের হয়ে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেন তিনি। সমারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন। তবে এই ম্যাচেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা।
এরপর কাউন্টি লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়, সাকিবকে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেট বা কাউন্টিতে খেলতে হলে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এ কারণেই এ মাসের শুরুতে সাকিব এই পরীক্ষা দেন।
২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সাকিব এখন পর্যন্ত ৪৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭১২টি উইকেট শিকার করেছেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা কিংবদন্তি অ্যাগনেস কেলেতি ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার প্রেস কর্মকর্তা তামাস রোখ। তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেলেতি। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমাগত অবনতি ঘটে।
এছাড়া কেলেতির ছেলে রাফায়েল বলেন, 'মায়ের জন্য আমরা প্রার্থনা করি। তার জীবনীশক্তি ছিল অসাধারণ।' হাঙ্গেরির গণমাধ্যম নেমজেতি স্পোর্টের সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে সমাহিত করা হবে। কারণ এই দিনটি অ্যাগনেসের জন্য বিশেষ দিন, তার জন্মদিন, বেঁচে থাকলে তিনি এ দিনটিতে ১০৪ বছর বয়সে পা রাখতেন।
এ কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'জাতির শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। তিনি শান্তিতে থাকুন।'
এদিকে অ্যাগনেস শুধু ক্রীড়াবিদ হিসেবেই বিখ্যাত নন; বরং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দুঃসময়ে হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা, তারপর অলিম্পিক গৌরব অর্জন করে জীবনে সাফল্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেন। হেলসিঙ্কি (১৯৫২) এবং মেলবোর্ন (১৯৫৬) অলিম্পিকে তিনি মোট ১০টি পদক জেতেন, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল সোনা। তবে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন গেমসে চারটি স্বর্ণ জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক নারী জিমন্যাস্ট হিসেবে স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়েন। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপেও রয়েছে তার তিনটি পদক। সেই সময় তিনি 'দ্য কুইন অফ জিমনাস্টিকস' অর্থাৎ 'জিমনাস্টিকসের রানী' হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনে তার সাফল্য যেমন অনন্য, তেমনি তার জীবনসংগ্রামও অনুপ্রেরণাদায়ক।
বুদাপেস্টের একটি ইহুদি পরিবারে ১৯২১ সালের ৯ জানুয়ারি জন্ম হয় অ্যাগনেস কেলেতির। মাত্র চার বছর বয়সে জিমন্যাস্টিকসের সঙ্গে তার শুরু হয় পথচলা। ১৬ বছর বয়সে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পান। কিন্তু ইহুদি হওয়ার কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়। পরে ১৯৪৪ সালে হাঙ্গেরি জার্মান নাৎসি বাহিনীর দখলে চলে যায়, ঐ সময় নিজের পরিচয় লুকিয়ে খ্রিষ্টান নারীর ছদ্মবেশে বেঁচে থাকেন অ্যাগনেস। বাঁচার জন্য জাল নথি তৈরি করে একটি গ্রামে লুকিয়ে থেকে কাজ করতেন। তবে গোপনে ঠিকই অনুশীলন চালিয়ে যান। কিন্তু অ্যাগনেস বেঁচে গেলেও তার বাবা এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য হলোকাস্টের নির্মমতার শিকার হন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সব খারাপ অতীত পেছনে ফেলে ফের খেলাধুলায় ফেরেন অ্যাগনেস। তার পরের গল্পতো সবারই জানা। তার অর্জনের শুরুটা হয় ১৯৪৬ সালে হাঙ্গেরির হয়ে চ্যাম্পিয়নশীপ জেতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৭ সালে তিনি সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান জিমন্যাস্টিকস শিরোপা জয় করেন। ১৯৪৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও, গোড়ালিতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি। ১৯৪৯ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে তিনি চারটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
এ দিকে ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিক শেষে হাঙ্গেরিতে না ফিরে তিনি ইসরাইলে স্থায়ী হন। সেখানে তিনি জিমন্যাস্টিকস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেন। যদিও পরে খেলাধুলার জন্য জীবন উৎসর্গ করা কেলেতি জীবনের শেষ পর্যায়ে হাঙ্গেরিতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের সাবেক সাইক্লিস্ট চার্লস কন্তের নাম উঠে এসেছে, যিনি বর্তমানে ১০০ বছর বয়সী।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন লিগে ৫০ তম গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নবম ফুটবলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন ২৫ বছর ৩৫৬ দিনে।
মঙ্গলবার আটালান্টার বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। কিন্তু পরেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্রান্সম্যান। শেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতে গোল করেছেন তিনি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এমবাপ্পের বদলি করা হয় রদ্রিগো গোয়েসকে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও ইনজুরিতে ছিলেন। ম্যাচ শেষে জানা গেছে, ঊরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন এমবাপ্পে। কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তা অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি। তবে শনিবার রাতে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা কম।
এমবাপ্পের ইনজুরির বিষয়ে ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এমবাপ্পের মাংসপেশিতে টান লেগেছে। ঊরুতে কিছুটা অস্বস্তি আছে। দেখতে হবে, তার বিষয়টি কী। খুব একটা সিরিয়াস ইনজুরি মনে হয়নি। আমি পরিষ্কার জানিও না। তবে সে দৌড়াতে পারছিল না।’
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ফুটবলে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে তার খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যে ইতিবাচক, আবার কখনো নেতিবাচক খবর শোনা যায়।
ইংল্যান্ডের যুব দলে খেলা হামজার বাংলাদেশি জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা এখনো ফিফার দফতরে আটকে রয়েছে। বাফুফে প্রয়োজনীয় সব তথ্য ফিফাকে পাঠিয়েছে, কিন্তু ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি থেকে এখন পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
এদিকে ভারতের কিছু গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আগামী মার্চে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামবে এবং হামজাও এই ম্যাচে খেলবেন। আগামী বছর ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ-২০২৭ এর বাছাইয়ের তৃতীয় পর্ব শুরু করবে। বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে।
ভারতের মাটিতে খেলা নিয়ে ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বড় দুই দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে হামজার খেলার সম্ভাবনা কেমন? আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, "আমরা আপনাদের সময়মতো সঠিক তথ্য দেবো। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে হামজাকে নিয়ে কোনো আপডেট নেই। আপনারা যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছেন তা এখন পর্যন্ত সত্য নয়। যখনই কোনো আপডেট হবে, সবার আগে আমরা গণমাধ্যমকে জানাবো।"
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, "এ মুহূর্তে কোনো নতুন তথ্য দিতে পারছি না। আমরা কাজ করছি। ফিফা আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে সবই দিয়েছি। অন্য দেশের গণমাধ্যমে যা লেখা হচ্ছে, সেগুলো আগের খবর। হামজা পাসপোর্ট পেয়েছেন, ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ছাড়পত্র দিয়েছে, এসব খবর নতুন নয়। আমি হামজাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আশাবাদী।"
মন্তব্য করুন