স্পোর্টস ডেস্ক:
যে কোনো ফরম্যাটে হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দটাই আলাদা। সেটা সিনিয়র বা জুনিয়র—যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারত বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মুখে ভারতীয় দল কিছুতেই রান তুলতে পারছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সেজন্য বাংলাদেশ যুব দল টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়।
এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই একই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।
যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে এশিয়ার সেরা দল কে হবে—বাংলাদেশ না ভারত? দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লড়াই শুরু হওয়ার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। ১৯৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করে ফেলার ব্যাপারে যারা নিশ্চিত ছিল, বাংলাদেশের বোলিং শুরু হওয়ার পর তাদের ধারণা পাল্টে যায়। শুরু থেকেই ভারতীয়দের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা।
শুরুতেই ইকবাল হোসেন ইমন এবং আল ফাহাদ মিলে ভারতীয় যুবাদের চাপে ফেলেছিলেন। এর ফলস্বরূপ ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান এবং হার্দিক রাজ কিছুটা প্রতিরোধ তৈরি করেছিল।স্পোর্টস ডেস্ক:
২৩ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু পরে বাংলাদেশ অধিনায়ক আজিজুল হাকিম আসেন এবং শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।
ভারতের সামনে ছিল ১৯৯ রানের সহজ লক্ষ্য। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা মোটেও বড় রান নয়। কিন্তু এই রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথমেই ৪ রানে আয়ুশ মাত্রিকে হারায়। এরপর বিভাব সূর্যবংশি মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ২৪।
তারপর আন্দ্রে সিদ্ধার্থ ২০ রান করেন। ২১ রান করে আউট হন কেপি কার্তিকিয়া। নিখিল কুমার শূন্য রানে আউট হন। ৬ রানে হারভানস পাঙ্গালিয়া আউট হন। কিরণ চরমালে ১ রানে আউট হন।
৩১.৫ ওভারে দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। ৬৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তিনি। হার্দিক রাজ ২১ বলে ২৪ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন। সর্বশেষ চেতন শর্মা ১২ বলে ১০ রান করে আজিজুল হাকিমের বলে কালাম সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এভাবেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ দল।
আজিজুল হাকিম এবং ইকবাল হোসেন ইমন নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট নেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা এবং রিজান হাসান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে বাংলাদেশ ১৯৮ রান করে। রিজান হাসান সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। ৪০ রান করেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান এবং ২০ রান করেন জাওয়াদ আবরার।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ফুটবল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্টের মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুম শেষে ক্লাব ফুটবল ও আগামী মাসে নিজেদের ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউরো শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার বিদায় জানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
এরআগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়া ২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে শিরোপা জিতে জার্মানি। ঐ আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন ক্রুস। পরে ২৫ মিলিয়ন ইউরোতে স্বদেশী ক্লাব বায়ান মিউনিখ ছেড়ে নাম লেখান নিজের স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এরপর আস্তে আস্তে ক্লাবটির মিডফিল্ডে সবচেয়ে বড় আস্থার নাম হয়ে ওঠেন তিনি। আর ইতিমধ্যে তার গায়ে লেগেছে মাদ্রিদের ইতিহাসে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারের তমকা। ক্লাবটির হয়ে মোট ২৪টি শিরোপা জিতেন এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
গতকাল ফুটবলকে বিদায় জানানোর সেই পোস্টে রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ জুলাই ২০১৪। সেদিন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম। সেদিনটি আমার জীবন বদলে দিয়েছে। একজন ফুটবলার হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে। ঐদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্লাবের হয়ে আমার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পর চলতি মৌসুম শেষে আমার রিয়াল মাদ্রিদের অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমি এই সময়গুলো কখনো ভুলবো না। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমাকে এখানে স্বাগত জানিয়েছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। প্রিয় মাদ্রিদস্তাস, ধন্যবাদ প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের স্নেহ ও ভালোবাসার জন্য।’
এছাড়াও রিয়াল মাদ্রিদ নিয়ে ক্রুস বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি। রিয়াল মাদ্রিদ আমার শেষ ক্লাব হবে। আমি অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। আমার কাছে মনে হয় আমি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ অন্যদিকে নিজ দেশ জার্মানির জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ফুটবলার হিসেবে এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপের মধ্যে দিয়ে আমি জাতীয় দলের জার্সিকে বিদায় জানাব।’
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে চুক্তির শুরু থেকেই ফিফাকে নিয়ে সমালোচনা চলছে। এবার নারী ফুটবলাররা ফিফাকে এই চুক্তি বাতিল করতে বলেছেন। ইতোমধ্যে ২৪ দেশের ১০০-এর বেশি নারী ফুটবলার একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে তারা ফিফার কাছে আরামকোর সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার ভিভিয়েন মিদিমাও রয়েছেন।
ভিভিয়েন মিদিমা বিবিসি স্পোর্টকে জানিয়েছেন, "আমার মতে, ফুটবলাররা, বিশেষ করে নারী ফুটবলাররা, দায়িত্ব নিয়ে বিশ্বকে দেখাতে চান পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কী সঠিক। আমি মনে করি, এই স্পনসরশিপ ফিফার জন্য যথার্থ মনে হচ্ছে না। আমাদের নারী ফুটবলারেরাও এ দাবির পক্ষে।"
ফিফার সঙ্গে আরামকোর চুক্তির শুরু থেকেই সৌদি আরবের 'স্পোর্টসওয়াশিং' আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। স্পোর্টসওয়াশিং হল একটি কার্যকলাপ, যেখানে ব্যক্তিগত, গোষ্ঠীগত বা রাষ্ট্রীয় স্তরের অপকর্ম ঢাকতে খেলাধুলাকে ব্যবহার করা হয়। সৌদি আরব মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী অধিকার লঙ্ঘন, সমকামিতাকে অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করা এবং বাকস্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করার কারণে সমালোচিত।
আরামকো কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানি। মিদিমা বলেন, "ফিফা সবসময় আওয়াজ তোলে যে তারা খেলাটাকে ছড়িয়ে দিতে চায় এবং একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। যদি তাই হয়, তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী স্পনসরদের সঙ্গে চুক্তি করুক।"
চলতি বছরের এপ্রিলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি আরামকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিয়েছে ফিফা। এই চুক্তির মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত, এবং এটি ২০২৬ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের স্পনসর হিসেবে কাজ করবে। পরের বছর নারীদের বিশ্বকাপ ফুটবলেও পৃষ্ঠপোষকতা করবে তারা। এছাড়া, আরামকো ফর্মুলা ওয়ানের সঙ্গেও স্পনসরশিপ চুক্তি করেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) অংশীদার।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে গতকাল ৭৫ মিনিটে মাঠে নামেন লুকা মদ্রিচ। নেমেই ডিফেন্সচেরা পাসে মনে করিয়ে দেন ফুরিয়ে যাননি এখনো। ম্যাচে দারুণ একটি মাইলফলকও অর্জন করেন ৩৮ বছরের মদ্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে মদ্রিচই এখন সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
মদ্রিচ ছাড়িয়ে গেছেন রিয়াল কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। অ্যারিয়েঞ্জ অ্যারিনায় গতকালের ম্যাচের দিন মদ্রিচের বয়স ছিল ৩৮ বছর ২৩৪ দিন। পুসকাস রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৮ বছর ২২৯ দিন বয়সে।
পুসকাসের তৈরি করা কীর্তি ৫৯ বছর পর ভাঙলেন মদ্রিচ। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর তৎকালীন ইউরোপিয়ান কাপে কিলমারনকের বিপক্ষে সেই কীর্তি গড়েছিলেন পুসকাস। রিয়ালের হয়ে সবমিলিয়ে ৫২৮তম ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১৮তম ম্যাচে কীর্তিটি গড়লেন মদরিচ। তথ্য বেইন স্পোর্টসের।
ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও এদিন ভাগ বসিয়েছেন মদ্রিচ। ছাড়িয়ে গেছেন ৫২৭ ম্যাচ খেলা ডিফেন্ডার রবার্তো কার্লোসকে। রিয়ালের ইতিহাসে ১৪তম সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন মদ্রিচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ খেলার তালিকায় তিনি এখন পঞ্চম। রিয়ালের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন ইকার ক্যাসিয়াস, করিম বেনজেমা, রাউল গঞ্জালেস ও সার্জিও রামোস।
ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার মদ্রিচ ৩৯ বছরে পা দিচ্ছেন চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর। তবে রিয়ালের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। রিয়ালের ইতিহাসের সবেচেয়ে বুড়ো খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়তে তাই নতুন চুক্তির আওতায় আসতে হবে মদ্রিচকে। ১৯৬৬ সালের মে মাসে পুসকাস যখন কোপা দেলরেতে রিয়ালের হয়ে শেষ পেশাদার ম্যাচটি খেলেন, তখন তার বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর ৩৬ দিন।
রিয়ালের হয়ে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলা সবচেয়ে বুড়ো ফুটবলার
লুকা মদ্রিচ: ৩৮ বছর ২৩৪ দিন
ফেরেঙ্ক পুসকাস: ৩৮ বছর ২২৯ দিন
বুয়ো: ৩৮ বছর ৫৩ দিন
দি স্তেফানো: ৩৭ বছর ৩২৮ দিন
দুদেক: ৩৭ বছর ২৬০ দিন
মন্তব্য করুন
ডিপিএল শেষেও বিশ্রামের সুযোগ থাকছে না ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দলে আছেন, তাদের দরজায় কড়া নাড়ছে আবারও মাঠের ক্রিকেট। আগামীকাল থেকে ওয়েস্ট-ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ খেলতে নামবে আফিফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
সিরিজের শুরুর আগের দিন আজ সিলেটে গণমাধ্যমকে আফিফ বলেন, 'প্রিমিয়ার লিগে আমি ফিনিশিং রোলে ছিলাম না। আমি টপ অর্ডারে খেলেছি, সেখান থেকে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি বলে খুশি। আর লাল বলটা উপভোগ করি, চেষ্টা করবো এখানে উইকেটের সাথে মানিয়ে নিয়ে যতটা ভালো পারফর্ম করা দলের জন্য।'
আক্রমণাত্বক নয় পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার আশা আফিফের। তিনি বলেন, 'সবসময় আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে এমনটা না। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো। আর আমাদের প্রথম শ্রেণির যে খেলাগুলো হয় ওখানেও আমি খেলেছি। সবসময় যে আক্রমণাত্মক খেলেছি এমন না। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করার চেষ্টা করেছি। এখানেও সেটা করবো। আমি কখনোই চাপ অনুভব করি না। যেকোনো পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিয়ে উপভোগ করতে পছন্দ করি।'
দলের অধিনায়কত্ব করা দারুণ ব্যাপার আফিফের কাছে। তিনি বলেন, 'অবশ্যই একটা দারুণ অভিজ্ঞতা 'এ' দলের অধিনায়কত্ব করা। কিন্তু আপনি যেটা বললেন সামনের ব্যাপার নিয়ে আমি চিন্তা করি না। সবসময় চিন্তা করি বর্তমানে কি করা যায়। সে চেষ্টাই করবো যাতে প্রতিদিন ভালো করে একটা ভালো সিরিজ শেষ করতে পারি।'
মন্তব্য করুন
সফট সিগন্যালের বিপক্ষে মন্তব্য করেছিলেন বিরাট কোহলি, বেন স্টোকস, মার্নাস ল্যাবুশেনের মতো ক্রিকেটারও। এই নিয়মের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে জরিমানাও গুনতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। অবশেষে এই নিয়ম বাতিল করতে চলেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আসন্ন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল দিয়েই এই নিয়মের ইতি টানতে চলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরই মধ্যে এই বিষয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুই দল ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমনটাই নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকবাজ। তাদের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি সফট সিগন্যালের নিয়ম বাতিল করে আইন সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
সাধারণত কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলে মাঠের আম্পায়াররা থার্ড আম্পায়ারের সহায়তা চান। সে সময় নিজেদের একটি মত জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। তৃতীয় আম্পায়ার অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে দোটানায় ভুগলে মাঠের আম্পায়ারের মতকেই গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এই নিয়ম বাতিলের ফলে থার্ড আম্পায়ারের গুরুত্ব আরও বাড়বে। এখন থেকে মাঠের আম্পায়ারদের মতামত ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন থার্ড আম্পায়ার। ফলে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে আসতে পারে।
সফট সিগন্যালের নিয়মের সঙ্গে আরও দুটি নিয়মের পরিবর্তন আনতে চলেছে আইসিসি। এর মধ্যে একটি হলো দিনের আলো কমে গেলে ফ্ল্যাড লাইটের আলোয় ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার নিয়ম চালু হচ্ছে। সেই সঙ্গে টেস্ট ম্যাচেও রিজার্ভ ডের প্রচলন হতে যাচ্ছে। যদিও সবগুলো বিষয়ই চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হলো চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায়। শ্রীলঙ্কান কোচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই হেড কোচকে অব্যাহতির কথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে। নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহকে আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতির ঘোষণা দেন ফারুক আহমেদ। তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানানো হয়।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন হাথুরু। কিন্তু তার প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেটের যতটুকু উন্নতি দেখা গেছে, দ্বিতীয় মেয়াদে সেটা দেখা যায়নি। এমনকি এই সময়ে বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, বিসিবির বিধি ভঙ্গ ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
উল্লেখ্য, হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। কিন্তু আগেভাগেই লঙ্কান এই কোচকে বিদায় করে দিলো বিসিবি।
মন্তব্য করুন
ব্যাট-বল হাতে আবার ফিরছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এশিয়ান লিজেন্ডস লিগে খেলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার। এই টি-টোয়েন্টি লিগে তিনি এশিয়ান স্টারসের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারেন। আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই লিগ। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ইনস্টাগ্রামে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কিছুদিন আগে লিজেন্ডস নাইন্টি টুর্নামেন্টে দুবাই জায়ান্টসের হয়ে খেলার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই তিনি নিজেকে সরিয়ে নেন। এবার এশিয়ান স্টারসের হয়ে খেলতে দেখা যাবে বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার অলক কাপালিকেও। তার সতীর্থ হিসেবে থাকবেন ভারতের কেদার যাদব, শাহবাজ নাদিম, শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা, লাহিরু থিরিমান্নে, শেহান জয়াসুরিয়া এবং আফগানিস্তানের হামিদ হাসান। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশেরও একটি দল অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে খেলবেন তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাঈম ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, আরিফুল হক, জিয়াউর রহমান, শুভাগত হোম, তুষার ইমরান, ধীমান ঘোষ, মেহেদী মারুফ, আবুল হাসান রাজু, মুক্তার আলী, ইলিয়াস সানি, জুবায়ের হোসেন, শফিউল ইসলাম এবং মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন। ফলে বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে খেলতে দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসানকে। ১২ মার্চ বাংলাদেশ টাইগার্স ও এশিয়ান স্টারসের মধ্যে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ইন্ডিয়ান রয়্যালসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ টাইগার্স। ১১ মার্চ আফগানিস্তান পাঠানস এবং ১৪ মার্চ শ্রীলঙ্কান লায়ন্সের বিপক্ষে খেলবেন তামিম ও আশরাফুলরা। দুটি এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে ১৮ মার্চ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, ২০২৪ সালে ভারত সফরে গিয়ে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। মিরপুরে নিজের শেষ টেস্ট খেলার আগ্রহ প্রকাশ করলেও রাজনৈতিক কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে ফেরা হয়নি তার। এমনকি কিছুদিন আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলার জন্য দল-বদলও করেছিলেন সাকিব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলার কথা থাকলেও পরদিন ডিপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
বাংলাদেশ টাইগার্স: মোহাম্মদ আশরাফুল (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, নাঈম ইসলাম, নাদিফ চৌধুরী, আরিফুল হক, জিয়াউর রহমান, শুভাগত হোম, তুষার ইমরান, ধীমান ঘোষ, মেহেদী মারুফ, আবুল হাসান রাজু, মুক্তার আলী, ইলিয়াস সানি, জুবায়ের হোসেন, শফিউল ইসলাম এবং নাজিমউদ্দিন।
এশিয়ান স্টারস: সাকিব আল হাসান, অলক কাপালি, দিলশান মুনাবিরা, সৌরভ তিওয়ারি, মেহরান খান, লাহিরু থিরিমান্নে, কেদার যাদব, শেহান জয়াসুরিয়া, মাহবুব আলম, আয়ান খান, শাহবাজ নাদিম, সেকুগে প্রসন্ন, পারবিন্দার আওয়ানা, হাশতি গুল, হামিদ হাসান এবং অভিমন্যু মিঠুন।
মন্তব্য করুন
ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন তামিম ইকবাল। হেলিকপ্টার করে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে, ডাক্তাররা এখন জানিয়েছেন যে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।
বিসিবি পরিচালক ও মোহামেডানের শীর্ষ কর্মকর্তা মাহবুব আনাম এবং মোহামেডানের ক্রিকেট ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন শিপন জাগোনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, তামিমের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদ হোসেন শিপন আরও জানান, তামিমের হার্টে একটি ব্লক শতভাগ ছিল, যেখানে রিং পরানো হয়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, যদি এই রিং কাজ করে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রয়েছে, তবে এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। তাকে এখনই শিফট করার মতো অবস্থায় নেই। পরিস্থিতি উন্নতি হলে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আপাতত তাকে শিফট করার কোনো চিন্তা নেই।
মোহামেডান কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম টিটু জাগোনিউজকে বলেন, ‘তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়েছে, তবে তার অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। তার জ্ঞান এখনও ফেরেনি। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’
সাভারের বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও শাইনপুকুরের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। টস করে এসে দলীয় ম্যানেজার ও সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদ শিপনকে তামিম বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে, বুকে ব্যথা করছে।’
শিপনসহ সতীর্থ ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা তার অবস্থা দেখে ধারণা করেন যে হয়তো হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কোনো বিলম্ব না করে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয় এবং তাকে স্থানীয় কেপিজে (সাবেক ফজিলাতুন্নেছা) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে তার এনজিওগ্রাম করা হয় এবং হার্টে ব্লক রয়েছে বলে নিশ্চিত হন ডাক্তাররা।
একই সঙ্গে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টারও ডেকে আনা হয়। কিন্তু তার পরিস্থিতি স্থিতিশীল না থাকায় হেলিকপ্টারে তোলা সম্ভব হয়নি।
অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তামিমকে কেপিজে হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। হাসপাতালে বিসিবি কর্মকর্তা, সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং তামিমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যক্তিগত জীবনেও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক খুবই শান্ত মেজাজের। হইচই এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন তিনি। তবে এবার অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে ধোনি অন্য রূপে ধরা দিলেন।
অতীতে কখনো প্রকাশ্যে যেটা করতে দেখা যায়নি তাকে, সেটাই করলেন। ভারতীয় শিল্পপতি মুকেশ আম্বানীর ছেলে অনন্ত আম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে নাচলেন ধোনি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে সপরিবার যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। আর সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে ধোনির নাচের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ক্রিকেটার ঈশান কিষাণ এবং স্ত্রী সাক্ষীর অনুরোধে সেখানে নেচেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হাজির হয়েছেন। সেখানে বলিউড তারকা থেকে শুরু করে ক্রিকেটারদেরও নাচতে-গাইতে দেখা গেছে। তবে সবার নজর কেড়েছে ধোনির নাচের প্রতিভা। এর আগে যে কখনোই কোনো অনুষ্ঠানে তাকে নাচতে দেখা যায়নি।
জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর পর এখন অখণ্ড অবসর সময় কাটছে ধোনির। শুধু আইপিএলের মৌসুম এলেই তাকে ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়। ধোনির অধীনে ভারত ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করেছে। খেলোয়াড়ি জীবনে নিজের হেলিকপ্টার শট, ফিনিশিং এবং বুদ্ধিদীপ্ত উইকেটকিপিংয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
স্পোর্টস ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন লিগে ৫০ তম গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নবম ফুটবলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন ২৫ বছর ৩৫৬ দিনে।
মঙ্গলবার আটালান্টার বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। কিন্তু পরেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফ্রান্সম্যান। শেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতে গোল করেছেন তিনি।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এমবাপ্পের বদলি করা হয় রদ্রিগো গোয়েসকে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও ইনজুরিতে ছিলেন। ম্যাচ শেষে জানা গেছে, ঊরুর মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়েছেন এমবাপ্পে। কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তা অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি। তবে শনিবার রাতে রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা কম।
এমবাপ্পের ইনজুরির বিষয়ে ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এমবাপ্পের মাংসপেশিতে টান লেগেছে। ঊরুতে কিছুটা অস্বস্তি আছে। দেখতে হবে, তার বিষয়টি কী। খুব একটা সিরিয়াস ইনজুরি মনে হয়নি। আমি পরিষ্কার জানিও না। তবে সে দৌড়াতে পারছিল না।’
মন্তব্য করুন