বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে অনেক সংকট থাকার পরও ড. ইউনুস সরকারকে আমরা সবাই সমর্থন জানিয়েছি। কেননা এই সরকার শেখ হাসিনার সরকারের মতো বিদেশে অর্থ পাচার করবে না। জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে, জনগণের রায় বুঝে আগামী রমজানের আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের ১০ শহীদ পরিবারকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর পক্ষে থেকে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচারে নামবেন না, তাহলে আপনাদের নিজেদেরই উপর অনেক কিছু নেমে আসেবে। মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শুধু বহিষ্কার নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের অনুকম্পায় দু-একটি ইসলামী দল রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন আপনারা টার্গেট করেছেন তারেক রহমান ও বিএনপিকে। বুক পিঠ বলে আপনাদের কিছু নেই। জিয়াউর রহমান মারা গেলে, এরশাদ বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলো। সেই এরশাদের সঙ্গে কেউ যাবে না বললেও আপনারা চলে গেলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গেও চলে গেলেন। সবসময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান, সবসময় ধান্দা খুঁজে বেরান। আপনারা চলে গেলেও বিএনপি যায় নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যায় নাই। জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা থেকে খালেদা জিয়া সরে যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা ১৬ বছর লড়াই করেছি। আইনের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক, একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। ১৬ বছর ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু এই নির্বাচন নিয়ে এত গড়িমসি কেন? জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন দেওয়ার কথা জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষ বার্তাবহ হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির কর্মকর্তাদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও বহু চেষ্টা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে। দফায় দফায় কর্মকর্তারা সফর করেছেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও নানা সময়ে আলোচনা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখেনি বরং গণতান্ত্রিক এই চেষ্টাকে অবজ্ঞা করে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কারও কারও তরফে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।
এসব দিক চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও ওই দেশের নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর কায়সারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে এমন একটি ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ওই টেলিফোন আলাপ প্রকাশ হওয়ার পর তানভীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ই নভেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় নির্দেশনা আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নেতৃত্বেও।
ওদিকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন চাপে পড়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টে অবস্থানের নির্ধারিত ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। এমন অবস্থায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ভারতে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তিনি তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই ডকুমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। ভারত ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট’ দিলে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতি হবে এমন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়েই ভারতে অবস্থান করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দিয়ে তিনি তৃতীয় কোনো দেশেও যেতে পারবেন।
ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ভারতের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। তাকে বিমানবন্দরে ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে এমন খবরও এসেছে। যদিও এসব খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেনি।
ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ইতিমধ্যে গণহত্যার দায়ে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। এসব মামলায় পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে করা ভারতের চুক্তির আওতায়ই এটির সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর দলীয় অনেক বিষয় খোলাসা হতে পারে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন নাকি অবস্থান পরিবর্তন করবেন সেটিও এরই মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে।
সূত্র: মানবজমিন।
মন্তব্য করুন
‘দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন দায় নেবে না’ বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
দলীয় সহকর্মীদের উদ্দেশে ওই স্ট্যাটাসে ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি, সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কেউ কিছু করলে সংগঠন তার কোনো দায় নেবে না এবং এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ছাড়ও দেয়া হবে না- ব্যক্তি তিনি যেই হোন না কেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতএব, সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা, সিদ্ধান্ত ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য বজায় রেখে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এর কোনো ভিন্নতা যেখানেই ঘটুক, সংগঠন অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে।’
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপিসহ একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র ও অপকৌশলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক আন্দোলন। অথচ বিএনপি ও তার দোসররা এ আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতরা বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে উসকানি দিচ্ছে। সরকার একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে কেন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে? কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। ইতোপূর্বে বিএনপি ও তার দোসররা সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা শিক্ষার্থীদের এই কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করছে এবং এটাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তাই কারও উসকানিতে পড়ে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিয়ে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের মানুষের যৌক্তিক দাবির প্রতি আওয়ামী লীগ সর্বদা আন্তরিক। কোনো যৌক্তিক দাবিই কখনই আওয়ামী লীগের কাছে উপেক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে একটি জনকল্যাণকর উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুনরায় আহ্বান জানাব, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত ছয় মাসের বর্ণনা দিয়েছেন বলে জানান আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, "সারা বাংলাদেশসহ আমরা নেতা-কর্মীরা এ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। আন্তর্জাতিক সমাজ দাঁড়িয়েছে, জাতিসংঘ দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকার এই সরকারকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিভিন্ন মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছিল, জাতিসংঘের রিপোর্ট আসার পর তা অনেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। আমাদের এই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে, তাদের আত্মত্যাগকে আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই যেন অপমানিত না করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "আগামী ৬ মাস কীভাবে সবাই একসঙ্গে কাজ করব, যে কমিশনগুলো কাজ করেছে, তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমাদের কী কী প্রস্তাব আছে সেগুলো নিয়ে কীভাবে বিস্তারিত আলোচনা করব, এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা কথা বলেছেন।"
কোনো কোনো নির্বাচন তড়াতাড়ি চায় বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান বলেন, "স্থানীয় নির্বাচন দিলে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদে মারামারির সম্ভাবনা আছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনেক বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রাউন্ড রিয়েলিটি আলাদা। আওয়ামী লীগকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি মেনে নিতে হবে। এই সন্ত্রাস কোনোভাবে যাতে না হয়, পরিবেশ যেন স্থিতিশীল থাকে। কোনো সংস্কার যাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করে। আবার অনেক রাজনৈতিক দল বলেছে যে, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে ভালো হবে। আমরা পাশে ছিলাম এবং সামনেও পাশে থাকব। এতগুলো আত্মত্যাগ যেন কোনোভাবে নষ্ট না হয়। এই অর্জনটা কোনো সাধারণ অর্জন নয়। আমাদের নিজেদের স্বার্থে এটাকে যেন কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ না করা হয়। আগামীতে সিরিজ মিটিং হবে, সেটিও আমাদের জানানো হবে।"
বর্তমান সরকারের ছয় মাসের কর্মকাণ্ডে তিনি সন্তুষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, "আমরা সন্তুষ্ট, আমরা সরকারের পাশে আছি। সরকারের কী ভুল হচ্ছে, আবার কী হচ্ছে না, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমি মনে করি, এটা জনগণের সরকার।"
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে চায়, কিন্তু তারা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন কত দ্রুত গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে পারবো সেটাই মুখ্য বিষয়।
শনিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এই বিনিয়োগের উৎস হবে পুঁজিবাজার। আগামীতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি গ্রুপ এসে খেলাধূলা করে চলে যায়। বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলেছে। এ সময় পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনার ওপরও জোর দেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ম্যান্ডেট না নিয়ে রাজপথে কোনও কর্মসূচি দিলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে। যার যে দাবি তা নির্বাচিত হয়ে পূরণ করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতির তিন দিনব্যাপী শান্তি প্রশিক্ষণ প্রবক্তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনায় যত দেরি হবে দেশ তত বিপদগ্রস্ত হবে। রাজপথের পর্ব শেষ হয়েছে। জনগণের মালিকানা ফেরানোর সময় এখন। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দ্রুত নির্বাচন না হলে দেশে বিভক্তি ও গৃহযুদ্ধের শঙ্কা থাকে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিবন্ধীদের স্বক্ষমতা বাড়ানো ও ক্ষমতায়নে বিএনপি কাজ করবে জানিয়ে বলেন, অন্য নাগরিকদের মত প্রতিবন্ধীদের জন্যও রাষ্ট্রের বিনিয়োগ করতে হবে। এ বিনিয়োগ হবে আর্থিক, নৈতিক ও মানবিক বিনিয়োগ।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব হিসেবে নিজেদের করণীয় নির্ধারণ করছে বিএনপি। দান-অনুদান নয়, নাগরিককে সক্ষম করাই লক্ষ। সেই সঙ্গে বিএনপি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি করে বলেও জানান দলটির সিনিয়র এই নেতা।
প্রসঙ্গত, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ আরও কয়েক দফা দাবিতে আগামী ১৮, ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আনুপাতিক হারে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকাস্থ ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি। এছাড়া, বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচনের ব্যবস্থার পক্ষে নয়।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা বা নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া, ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনার লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর পরিবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "নববর্ষে জাতির প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। কারণ, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশবাসীর ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।"
সতীর্থ স্বজনের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রিজভী জুলাই মাসে ছাত্রদলের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, "আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় শুনেছি, তরুণদের আন্দোলন কতটা তীব্র ছিল। পুলিশ বলছে, 'একজনকে গুলি করলে আরেকজন এসে দাঁড়ায়।' এই সাহস ও প্রেরণা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকদের রচনা থেকে এসেছে।"
তিনি আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের সংস্কৃতিকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। এমনকি পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবেও মুখোশ পরে আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দাড়ি-টুপি পরা মানুষদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু দাড়ি-টুপি পরা মানুষরা কি খারাপ? না।"
রিজভী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, "আমরা ১৬ বছর ধরে যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই নববর্ষে আমাদের দাবি—দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন জনগণের অধিকার হরণ করেছে, কিন্তু আমরা তা ফিরে পাবই।"
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ভোটাধিকার ও সংস্কারকে এক করে দেখা উচিত নয়। গণতন্ত্র হলো প্রবাহমান নদীর মতো, যেখানে কর্তৃত্ববাদের স্থান নেই। অনেক উপদেষ্টা এখন বিএনপিকে শত্রু ভাবছেন। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র বাদ দিয়ে শুধু সংস্কারের কথা বলছেন—এটি আমাদের বোধগম্য নয়।"
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, "ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনমুক্ত দেশই ছাত্রদলের জন্য ঈদের মতো আনন্দের দিন বয়ে আনবে। এই নববর্ষে সবার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতির প্রত্যাশা করি।"
এই আলোচনা সভায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন শিল্পী দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১৬০টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালক শ্রমিক দল এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই সুযোগে ভারত সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।”
তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা বা উন্নয়নকাজ নিতে হলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। কিন্তু ভারত তা না মেনে একতরফাভাবে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
রিজভী বলেন, “৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ভারত ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। শেখ হাসিনা এই বেআইনি কার্যক্রম ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং ভারতের প্রতি নতজানু থেকে সীমান্তরক্ষীদের প্রতিরোধ করার সুযোগ দেননি।”
তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা সবসময় দাবি করেন, তাঁকে নাকি কেনা যায় না। কিন্তু ভারত তাঁকে সবার আগে কিনেছে। আর সেই কারণেই তিনি নিজের দেশের স্বাধীনতা ও গৌরবকে পদদলিত করে ভারতের অন্যায্য কার্যক্রমে সুযোগ করে দিয়েছেন।”
দোয়া মাহফিলে রিজভী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশাচালকদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। আহতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মন্তব্য করুন