

নাফ নদীর মোহনায় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি আটক করে রাখা একটি পণ্যবাহী জাহাজ ১৬ দিন পর মুক্তি পেয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি পণ্যসহ টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী চারটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু রাখাইন সীমান্তে নাফ নদীতে আরাকান আর্মি জাহাজগুলো আটকে দেয়। এর দুই দিন পর ধাপে ধাপে তিনটি জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ১৬ দিন পর বাকি একটি জাহাজও ছেড়ে দেওয়া হলে শনিবার দুপুরে সেটি টেকনাফ স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, আরাকান আর্মি জাহাজগুলো তল্লাশির জন্য আটকে রেখেছিল বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এদিকে, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফের ব্যবসায়ীদের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া তিনটি জাহাজ গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আরাকান আর্মি তল্লাশির নামে সেগুলো আটকে দেয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা নগরীতে ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক ইশতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হয়েছে।
রবিবার ( ১০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ সরকার নিপু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ইসতিয়াক সরকার বিপু ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে সক্রিয়। ১৯৮৯ সাল থেকে সে ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারা হামলা ও মামলার শিকার হয়। ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের দেয়া দুইটি মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করে। দুঃখের বিষয় গণঅভ্যুথানের পরেও বর্তমান সময়ে সেই মামলাগুলো এখনো চলমান রয়েছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর ইসতিয়াক সরকার বিপু ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়। সাথে সাথে শুরু হয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এরপরের ঘটনা আপনারা সকলেই অবগত আছেন। সম্ভাব্য কাউন্সিলর নির্বাচন ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপিতে নিজেকে উপস্থাপন করার সাথে সাথেই নানামুখী ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এতে আওয়ামীলীগের পতিত নেতাকর্মীরাও নিজেদের শত্রুদের সাথে সখ্যতা ও হাত মেলায়। তাদের প্রতিপক্ষতা ও হিংসা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ৫ আগস্ট আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জড়াতে নানাহ আইনী জটিলতা চালায়। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এমন কূটকৌশল ও আইনি জটিলতা তারা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। নিজেদের দলের একজন ত্যাগী কর্মীকে ফাঁসাতে এমন জঘন্য অপকর্ম করতেও তারা পিছপা হয়নি।
অথচ ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর দুপুরে ইসতিয়াক সরকার বিপু মোগলটুলি এলাকা থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে পূবালী চত্বরে যায়। এরপর পুলিশের ফোনে খবর পায় কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় হামলা হতে পারে। তখন বিকেল বেলা সে তার নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয় এবং অবস্থান নেয়। ওই সময়ে থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যগণ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য অনুরোধ জানায়। এসময় কোতয়ালী থানায় আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার ও সাবেক কাউন্সিলর গোলাম কিবরিয়াসহ মহানগর ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও ছাত্র জনতা । উপস্থিত নেতৃবৃন্দ থানায় মাইকে বক্তব্য রাখেন, যার ভিডিও ফুটেজ কোতয়ালি থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ও বিভিন্ন কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো রয়েছে। রাতে যখন বিপু এলাকায় ফিরে আসেন তখন জানতে পারেন আইনজীবী আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। একই ব্যক্তি একই সময়ে পৃথক দুইটি ঘটনায় উপস্থিত থাকতে পারেন না।
আইনজীবি আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি জঘন্যতম অপরাধ। তিনি বিএনপি ঘরানার আইনজীবী ছিলেন। আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যারা এই হত্যা কান্ডটি সংঘটিত করে তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। হত্যার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে ধারণকৃত ফুটেজ অবশ্যই পুলিশের কাছে আছে, পুলিশ তা জানেও। ওই ফুটেজ সমূহ যাচাই-বাছাই করলে হত্যার সময় বিপু এই ঘটনায় ছিল না বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরও ষড়যন্ত্র থেমে নেই ।
মামলায় ইসতিয়াক সরকার বিপু স্বাভাবিকভাবেই আসামির তালিকায় ছিল না, থাকবার কথাও নয়। কিন্তু পরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বিপুকে জড়িত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বিপুর নামটি জড়ায় সেও আইনজীবী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি নয়। পরবর্তীতে অন্য মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলে তাকে এবং তার পরিবারকে বুঝানো হয় তার গ্রেফতারের সাথে বিপুর সম্পর্ক রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপুকে জড়িয়ে বক্তব্য দেয়। ওই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বিপু তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দিয়েছে বলেও বক্তব্য দেয়। শুধু তাই নয় এই মামলায় ৫নং ওয়ার্ডের আরো কয়েকজন নিরপরাধ মানুষকে জড়ানোর চেষ্টা চূড়ান্ত করা হয়েছে ।
পরবর্তীতে এই ষড়যন্ত্র আরো শক্তিশালী করতে আরও আইনী জটিলতা তৈরি করা হচ্ছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি। আমরা এই কুচক্র, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা গত কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যেখানে “ফেইস দ্যা পিপল”এর সাংবাদিক সাইফুর রহমান সাগর এই হত্যা মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন ইসতিয়াক সরকার বিপু নামে কাউকে চিনেন কিনা! এবং বাদী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দেন “না আমি ওই নামের কাউকে চিনি না তদুপরি নামটি আমি এই প্রথম আপনার মুখেই শুনলাম”।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই, আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ হত্যার ঘটনাটি একটি জঘন্যতম অপরাধ। ওই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইসতিয়াক সরকার বিপুকে জড়ানো হচ্ছে, শুধুমাত্র ফাঁসাতে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুলিশ ও এলাকার মানুষ সব সত্য জানে। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সত্য জানাতে ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং সুবিচার দাবি করছি।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে অস্ত্রসহ খাজা খায়ের উদ্দিন নামে এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিমসার গ্রামের একটি অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
অভিযানের ফলস্বরূপ ১টি দেশীয় পিস্তল (রিভলবার) এবং ২টি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খাজা খায়ের উদ্দিন (৪৮)কে পুলিশ কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।
গ্রেফতারের পর দুপুরে আদালতের মাধ্যমে খাজা খায়ের উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও জানান, অস্ত্র, মাদক এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এই অভিযান দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর আন্তরিকতা ও সচেষ্টতার একটি প্রমাণ, যা সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের উনকোট গ্রামে বিশেষ অভিযানে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর প্রায় ৪ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ রাকিব হোসেন চৌদ্দগ্রামের উনকুট গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র।
অভিযানের সময় আসামির কাছ থেকে দুটি ওয়াকিটকি সেট, দুটি ওয়াকিটকি চার্জার, একটি লাঠি ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আলী মাহি স্থানীয় ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার সকালে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মাহি।
তিনি জানান, তিনি মুরাদনগর উপজেলার ২১ নং গুটিপাড়া ইউনিয়নের বাইশখোলা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১০ সাল থেকে নিজ পরিশ্রমে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে গ্রামে প্রায় ২০ একর জমির ওপর মাছের ফিশারি ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তার উদ্যোগে এলাকার বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার ছেলে ও মুরাদনগর ছাত্রদলের নেতা জাকির হোসেন তার কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছেন। সম্প্রতি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তার ফিশারি ভাঙচুর ও মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন মাহি। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং অভিযুক্ত জাকির হোসেন গং এর বাদী ইব্রাহীম ও হাসেমের বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন এবং এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুমিল্লার ৯টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকি দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
কুমিল্লা -১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) সংসদীয় আসনে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা -৩ (মুরাদনগর) সংসদীয় আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, কুমিল্লা -৪( দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও বি পাড়া) আসনে হাজী জসিম, কুমিল্লা -৬ (সদর ও সদর দক্ষিণ) সংসদীয় আসনে মনিরুল হক চৌধুরী, কুমিল্লা -৮ (বরুড়া) সংসদীয় আসনে জাকারিয়া তাহের সুমন , কুমিল্লা -৯ ( লাকসাম-মনোহরগন্জ) আসনে আবুল কালাম ওরফে চৈতি কালাম, কুমিল্লা -১০ ( লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে আব্দুল গফুর ভূইয়া, কুমিল্লা -১১ ( চৌদ্দগ্রাম) আসনে কামরুল হুদা।
কুমিল্লা -২ ( হোমনা-তিতাস) ও কুমিল্লা -৭ (চান্দিনা) আসনে পরে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে ।
মন্তব্য করুন


ফেনী জেলায় টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
গত ০৮ জুলাই জেলা প্রশাসক, ফেনী এর তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত বছরের (২০২৪) ভায়াবহ বন্যা পরিস্থিতি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার আলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রস্তুতি কার্যক্রম গ্রহণ শুরু হয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সেনা ক্যাম্প সমূহে ইতোমধ্যে ট্রাইশার্ক বোট, ওবিএম ইঞ্জিন এবং লাইফ জ্যাকেট মোতায়েন করা হয়েছে, যা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়াও জরুরী পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল জেলা সিভিল সার্জন এর সাথে সমন্বয় সভা করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক জানানো হয় যে, সেনাবাহিনী সবসময় জাতির দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণের পাশে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফেনী বন্যা মনিটরিং সেল হেল্পলাইন নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন


ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রাইভেটকারের ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহতদের দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হলেও পথেই আরও চারজনের মৃত্যু হয়। আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন


পটুয়াখালীর বাউফলে জমি লিখে না দেওয়ায় শ্বশুর ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৪ মে) রাতে বাউফল সদর ইউনিয়নের নকুলের হাট সংলগ্ন মিস্ত্রী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন রাতে ওই বাড়ির হীরালাল মিস্ত্রী (৬৫) ও তার স্ত্রী কিরন বালা (৬০) নিজ বাসায় টিভি দেখছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে তাদের মেয়ের জামাই ফনি ভূষণ (৩৫) ছুরি নিয়ে আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে দুইজনকে জখম করেন। তাদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে জামাই ফনি ভূষনকে আটকে বাউফল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফনি ভূষনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হীরালালের মেয়ে শিল্পী রানী বলেন, সম্প্রতি আমার বাবা আমাকে ৮ কড়া (স্থানীয় মাপ) জমি লিখে দেন। ওই জমি আমার স্বামী ফনি ভূষণ তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করেন। বাবা এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ফনি ভূষণ দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানান পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফনি ভূষণকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএস
মন্তব্য করুন


মাত্র ৯ টাকার একটি ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ‘সাহ মেডিকেল হল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে পরিচালিত অভিযানে একাধিক অনিয়ম উদ্ঘাটিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এ জরিমানা আরোপ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। তিনি বলেন, “সাহা মেডিকেল হলের বিক্রয়কর্মীরা নির্ধারিত খুচরা মূল্য (MRP) অমান্য করে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করছিলেন। এটি সম্পূর্ণভাবে ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা এবং আইন লঙ্ঘনের শামিল। এ ধরনের অপকর্ম কখনোই বরদাশত করা হবে না।”
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ৯ টাকা মূল্যের একটি ওষুধের প্যাকেট একজন রোগীর কাছে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর বাইরে আরও কিছু ওষুধের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার প্রমাণ মেলে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির স্টোর পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মূল্যতালিকা এবং ভোক্তার অভিযোগ জানাবার সুবিধাজনক ব্যবস্থার অভাব পাওয়া যায়।
মো. কাউছার মিয়া আরও জানান, “জনস্বার্থে এবং রোগীদের অধিকার রক্ষায় আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত বাজার তদারক করে যাচ্ছি। যারা আইন মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযানে সহায়তা করেন কুমিল্লা জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম।
এই ঘটনার পর ভোক্তাসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই এমন কঠোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ক্রেতা বলেন, “আমরা তো গরীব মানুষ, ওষুধই যখন এভাবে দাম বাড়িয়ে দেয়, তখন কোথায় যাব? এই রকম নিয়মিত অভিযান দরকার।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের ওষুধখাতের স্বচ্ছতা এবং ভোক্তা সুরক্ষার জন্য নিয়মিত নজরদারি ও আইন প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
মন্তব্য করুন


ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসসহ ১০টি যানবাহনের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ফরহাদ হোসেন (৪০), যিনি ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বাসের চালক ছিলেন।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সগির মিয়া জানান, এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকার কিছু দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনগুলো ঢাকা থেকে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিল।
জানা যায়, ভোরে প্রথমে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের সংঘর্ষ ঘটে। এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি বাস পেছন থেকে আরেকটি বাসকে ধাক্কা দেয়, এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। একই সময়ে একটি পিকআপভ্যান একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়, যার ফলে আরও কয়েকজন আহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, "দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।"
তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার মধ্যে অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন