বছরব্যাপী ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যান ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এবার তাদের জন্য সৌদি আরব থেকে একটি নতুন খবর এসেছে। আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, ওমরাহ পালন করতে যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য দেশটি লাগেজ বিনা মূল্যে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
২৫ ডিসেম্বর, বুধবার কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনা মূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের ব্যাগ (বিচ্ছিন্ন জিনিস ছাড়া) সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষণাগারে ব্যাগ সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা রাখা যাবে। তবে, ব্যাগে মূল্যবান জিনিসপত্র, নিষিদ্ধ পণ্য, খাবার ও ওষুধ সংরক্ষণ করা যাবে না। ব্যাগ ফেরত নেওয়ার জন্য একটি ক্লেইম টিকিট দেখাতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে গ্র্যান্ড মসজিদের চারপাশের সব এলাকায় ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে দর্শনার্থীদের আরও ভালোভাবে সহায়তা করা যায়। সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে "নুসুক" অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহ পারমিট গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
নুসুক অ্যাপ দিয়ে ই-ভিসা আবেদন, ভ্রমণ পরিকল্পনা এবং বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা মক্কা, মদিনা এবং অন্যান্য শহরে ভ্রমণের জন্য যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করতে পারবেন। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সফর ত্রুটিমুক্তভাবে সম্পন্ন করাই নুসুক পরিষেবার লক্ষ্য।
নুসুকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা খুব সহজেই সৌদিতে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ই-ভিসায় আবেদন করা, হোটেল বুক করা এবং ফ্লাইট বুক করার মতো সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া ওয়েবসাইটটি ওমরাহ বা হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে এই হামলা পরিচালিত হয়। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছে অনেকেই আহত হয়েছেন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো জানিয়েছেন, রাশিয়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, এর মধ্যে কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ইসকান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
রাশিয়া জানিয়েছে, পশ্চিমাদের সহায়তায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, এবং তার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনের চালানো হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে আজ দীর্ঘ পাল্লার উপযুক্ত অস্ত্র দিয়ে সমন্বিত হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়টি রাশিয়ার জন্য পরাজয়—এমন ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
নয় বছর আগে, বিদ্রোহী যোদ্ধাদের হটাতে আসাদ সরকারকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিতে রাশিয়া সিরিয়ায় এসেছিল। রাশিয়ার সহায়তায় আসাদের সামরিক বাহিনী গৃহযুদ্ধে সুবিধা পায়। তবে চলতি মাসের শুরুতে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে, এরপর রাশিয়ায় পালিয়ে যান আসাদ।
মন্তব্য করুন
বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার দ্রুত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে দেশটির জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক জানান, সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি।
রবিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে রিয়াদে গেছেন। সম্মেলনে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানিও উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাৎকারে বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মিত্রদের ওপর, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে জার্মানি নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতার এই পরিবর্তনকালে সিরিয়াকে দ্রুত অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়াবো, যাদের এখনও মৌলিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা খাদ্য, জরুরি আশ্রয়, এবং স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা দিতে আরও ৫০ মিলিয়ন ইউরো দেব।"
এর আগে দামেস্ক সফরের সময় বেয়ারবক বলেছিলেন, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়া বা না হওয়ার উপর।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্য ফাইনান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আহ্বান জানাচ্ছে জার্মানি।
মন্তব্য করুন
চীনা এক যাত্রীর কাছ থেকে চুরি করা নগদ অর্থ গিলে ফেলেছেন ফিলিপাইনের বিমানবন্দরের এক কর্মী। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন ফিলিপাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যানিলার নিনয় অ্যাকুইনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালে ওই ঘটনা ঘটেছে।
বিমানবন্দরের পরিবহন নিরাপত্তা কার্যালয় (ওটিএস) মঙ্গলবার ফেসবুকে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছে। এতে বলা হয়েছে, চীনা এক পর্যটকের ব্যাগ থেকে চুরি করা ৩০০ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ গিলে ফেলার ঘটনায় জড়িত নিরাপত্তা কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া গেছে এবং ইতিমধ্যে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
অনলাইনে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা তার মুখে নগদ অর্থ ভরছেন। হাতের একটি আঙুল ব্যবহার করে মুখের মধ্যে অর্থ ঢুকিয়ে দিচ্ছেন তিনি। এক পর্যায়ে পানি দিয়ে তা গিলেও ফেলেন। এ সময় রুমাল দিয়ে মুখ আড়াল করতেও দেখা যায় তাকে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশ থেকে দলে দলে পালিয়ে ভারতে যাচ্ছেন।
তবে ভারতের প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ এ ধরনের খবরকে ভুয়া বলে আখ্যা দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটছে না। হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে দলে দলে মানুষের ভারতে পালিয়ে যাওয়া বা ভারতে ঢোকার কোনও চেষ্টা হয়নি।
রবিবার প্রকাশিত দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে পরিসংখ্যান উল্লেখ করে এমনটাই বলা হয়েছে।
দ্য হিন্দু বলছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে এক হাজার ৩৯৩ বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। এর আগে জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত (আওয়ামী লীগ সরকারের সময়) ১ হাজার ১৪৪ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। যার অর্থ আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর হাজার হাজার মানুষের সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার কোনও চেষ্টার ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ৩ হাজার ৯০৭ অনথিভুক্ত ব্যক্তি আটক হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশি, ভারতীয়, এবং অন্যান্য জাতীয়তার মানুষ। ২০২৩ সালে এ সময় পর্যন্ত আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৭, যা ২০২২ সালের ৩ হাজার ৭৪ জনের কাছাকাছি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ জানিয়েছে, গত আগস্ট মাস থেকে কঠোর নজরদারিতে রয়েছে সীমান্ত। এমএইচএ’র নির্দেশে বৈধ নথি ছাড়া কাউকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কোনও কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশকারী ৮৭৩ ভারতীয়কে আটক করা হয়েছে।
বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের পর সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার ভয়ে ভারতে প্রবেশ করতে চাইতে পারে। কিন্তু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এমন কোনও দৃশ্য দেখা যায়নি। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর থেকে কয়েকটি খবর পাওয়া গেলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতে আশ্রয়ের জন্য কোনও বড় ধরনের গণ-অভিবাসনের খবর পাওয়া যায়নি।
বিএসএফ আরও বলেছে, ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন এমন ভারতীয়র সংখ্যা ৩৮৮ জন। এ বছর মিয়ানমারসহ অন্যান্য জাতিসত্তার ১০৯ জনকেও সীমান্তে আটক করা হয়েছে।
২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে সীমান্তে আটক বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৯৯৫ জন, ২ হাজার ৪৮০ জন, তিন হাজার ২৯৫ জন, দুই হাজার ৪৫১ জন এবং তিন হাজার ৭৪ জন।
অর্থাৎ ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সীমান্তে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের সংখ্যা ২,৪৮০ থেকে ৩,২৯৫-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। এই ধারাবাহিকতা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও বড় ধরনের পরিবর্তন হয়নি।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মেনে বৈধ নথিপত্র ছাড়া কাউকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
৫ আগস্টের পর বিএসএফ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক বার বৈঠক করেছে। সূত্র: দ্য হিন্দু
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তিনদিনব্যাপী জি-৭ সম্মেলনে ইতালিতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী সাত দেশ। শুক্রবার জোটটির নেতারা ইরানকে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি এগিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। সেইসঙ্গে জোটটি জানিয়েছে, তেহরান যদি রাশিয়ার কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করে তবে জি-৭ ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা তেহরানকে পরমাণু উত্তেজনা বৃদ্ধি বন্ধ ও প্রত্যাহার করার এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান তার ফোরদো সাইটে অতিরিক্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন করেছে এবং অন্যান্য সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন শুরু করেছে। দেশটি এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।
জি-৭ জানিয়েছে, ইরানকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে ইরান অনেক আগে থেকেই বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে।
জোটটির দাবি, রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর জন্য একটি চুক্তি সম্পাদন করেছে ইরান। এ বিষয়ে সতর্ক করে জি-৭ বলছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার নভায়া জমলিয়া দ্বীপপুঞ্জে পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২তম মেইন ডিরেক্টরেটের সাবেক প্রধান কর্নেল জেনারেল ভ্লাদিমির ভেরখভতসেভ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নীতির প্রেক্ষিতে রাশিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর বিষয়ে বিবেচনা করছে।
ভেরখভতসেভ জানান, নভায়া জমলিয়া দ্বীপপুঞ্জের পরীক্ষাকেন্দ্রটি কয়েক বছর ধরেই পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় চালুর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অনুমোদন পাওয়া যায়, তাহলে আমরা অদূর ভবিষ্যতেই তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২তম মেইন ডিরেক্টরেট পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
এই কেন্দ্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন মোট ৭১৫টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। নভায়া জমলিয়ায় সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৯৯০ সালের ২৪ অক্টোবর।
রাশিয়ার এই ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কারণ এটি ১৯৯৬ সালের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তির (CTBT) নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই দেশটির এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী সামরিক উত্তেজনা এবং পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে রাশিয়ার এই পদক্ষেপ একটি শক্তির প্রদর্শন এবং তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা প্রদর্শনের কৌশল।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক জলপথ দক্ষিণ চীন সাগরে ভাসমান ব্যারিয়ার বসিয়েছে চীন। অভিযোগ উঠেছে, সাগরের এমন জায়গায় ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে— যেটি আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দেশটির সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না।
চীনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে এই সাগরপাড়ের অন্যতম দেশ ফিলিপাইন। দেশটির কোস্টগার্ড বাহিনীর মুখপাত্র জায়ে তারিয়েলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সেই ব্যারিয়ারের ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, সাগরের স্কারবোরোফ শোয়াল নামের এলাকার একটি অংশে বসানো হয়ে এই ব্যারিয়ার এবং এটির কারণে ফিলিপাইনের মৎসজীবীরা মাছ ধরার জন্য সেখানে যেতে পারছেন না।
আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুসারে স্কারবোয়াফ শোয়াল কোনোভাবেই চীনের সার্বভৌম এলাকার মধ্যে পড়ে না দাবি করে এক্স পোস্টে জায়ে তারিয়েলা বলেন, ‘আমাদের সমুদ্র অধিকার ও মেরিটাইম ডোমেইন রক্ষার স্বার্থে এই ইস্যুতে ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য দেশের সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ একটি ফুড কোর্টে অভিযান চালিয়ে নয়জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। অভিবাসন আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
বুধবার ইমিগ্রেশন বিভাগ, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ, মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স, মানবপাচার ও অভিবাসন চোরাচালান বিরোধী বিভাগ এবং মানি লন্ডারিং অপরাধ তদন্ত দলের ৯৫ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে সেলাঙ্গর রাজ্যের পুচং শহরের একটি ফুড কোর্টে এই অভিযান চালানো হয়।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এবং এক সপ্তাহ ধরে নজরদারির পর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ১০২ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫৮ জন অভিবাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ধরা পড়ে। তাদের অপরাধের মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়ায় অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি অবস্থান, অস্থায়ী কাজের পাসের অপব্যবহার এবং অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা।
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের ৩১ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী, ইন্দোনেশিয়ার দুইজন পুরুষ ও একজন নারী, নয়জন বাংলাদেশি পুরুষ, চারজন ভারতীয় পুরুষ এবং একজন ভিয়েতনামি পুরুষ রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
আটককৃতদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন