

কাউকে গ্রেফতার করলে ১২ ঘণ্টার মধ্যে তার পরিবারকে বিষয়টি জানাতে হবে- ফৌজদারি কার্যবিধিতে এমন সংশোধনী এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এখন এটি কার্যকর হলে কাউকে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়ার সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবার, বন্ধু বা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানাতে হবে। কোনো অবস্থায় এই সময় ১২ ঘণ্টার বেশি নেওয়া যাবে না।
বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী- কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করতে হয়। অন্যদিকে কাউকে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবার ও স্বজনদের জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।
                                                        
                                                                                                        
                                                
                                                মন্তব্য করুন


মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের মামলার পলাতক আসামি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এপিএস আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে দিঘি এলাকার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর রহমান সেলিম সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের রমনপুর গ্রামের আলতাফ মাস্টারের ছেলে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে দিঘি এলাকার নিজ বাসভবন থেকে আমিনুর রহমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে আদালতে পাঠানো হবে।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


                                            
লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (১৪ মে) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সুখবর হচ্ছে মোখার যে ভয়াবহতা আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটা কেটে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও খুব বেশি একটা হয়নি।খুব দ্রুতই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ভাসমান টার্মিনালের একটি লাইন থেকে খুলে গিয়েছে, অন্যটি সংযুক্ত আছে। সংযুক্ত থাকা টার্মিনালের মাধ্যমে দুই একদিনের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হবে। সংযোগহীন টার্মিনালের মেরামতের কাজ করতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। এতে ৪০০ এমএমসিএফ গ্যাসের ঘাটতি হতে পারে। ফলে কিছু কিছু জায়গায় লোডশেডিং হবে। তবে গতকালের (শনিবার) মতো বড় আকারে হবে না।
ওএফএ/এমএ
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের অতিরিক্ত মন্তব্য না করা ভালো বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘পিআর নাকি বিদ্যমান পদ্ধতিতে নির্বাচন, সে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো। সরকারের এ বিষয়ে কম কথা বলাই ভালো।’
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টারের সম্মেলন কক্ষে গবেষণা সংস্থা ইনোভেশনের জরিপের ফলাফল উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘জরিপের পরিসংখ্যানই বলছে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা আছে। জরিপে ৯৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে চাওয়ার মানে সামনের নির্বাচন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কারও সাধ্য নেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। সবাই ভোট দিতে এলে ভোটটা ভালো হতে বাধ্য।’
ইনোভেশনের প্রকাশিত জরিপে দেখা যায়, দেশে আগামী নির্বাচনে পিআর সিস্টেম নিয়ে অবগত নন ৫৬ শতাংশ মানুষ। পিআর চান ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং চান না ২২ দশমিক ২ শতাংশ।
জরিপে অংশ নেন ১০ হাজার ৪১৩ জন উত্তরদাতা। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ মনে করেন, একটি অন্তর্র্বতী সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হবে।
তবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকারীরা এ বিষয়ে তুলনামূলক কম ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানায়, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ভার্চুয়ালি গণমাধ্যমকে একথা বলেন।
ফখরুল জানায়, সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রপোজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা কিংবা এটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে। সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।’
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো ইস্যুতে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব জানান, বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরণের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’
ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় তিনি।
গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


প্রতিদিন জনস্বার্থে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই অন্যের কল্যাণে কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। সেই ইচ্ছাকে জাগ্রত করতে হবে। নিজের জন্য কাজ করার চেয়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করায় বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত ওয়াকাথন ও সমাজসেবা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, সরকারের চেয়ে ব্যক্তির ক্ষমতা বেশি, আর ব্যক্তির আত্মশক্তি জাগ্রত হলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে অন্যের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, সমাজসেবা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো সবাইকে এই দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেওয়া। যেন কেউ এই দায়িত্ব ভুলে না যায় বা এড়িয়ে না চলে। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্যই হলো সমাজের সবাইকে তাদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া।
উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই জনস্বার্থে কাজ করার প্রবণতা লুকিয়ে থাকে। সেই ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকারের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের উন্নয়নে এটাই সবচেয়ে কার্যকর পথ।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য এশীয় নেতাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ চীনের বোয়াও ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে জোরালো অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "মিয়ানমারের সংকট শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত নেই, এটি পুরো এশিয়া অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। গত সাত বছরে বাংলাদেশ ১২ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যারা মিয়ানমারের নাগরিক। এখন এশীয় নেতাদের উচিত তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।"
তিনি বলেন, "গাজায় চলমান গণহত্যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও তা থামছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু কেবল মুসলিম বা আরব বিশ্বের সমস্যা নয়, এটি একটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।"
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, "ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত বাড়ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ঋণের বোঝা অসহনীয় হয়ে উঠেছে এবং মানবিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। এই অবস্থায় এশিয়াকে শক্তিশালী ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হবে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এশিয়ার উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, দায়িত্বশীল অর্থায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য অর্জনে বড় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "এশিয়ার সভ্যতা বহু সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এখানে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান শুধু এশিয়াই নয়, সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে।"
তিনি এশিয়ার যুবশক্তির সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে বলেন, "এই অঞ্চলের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা এশিয়াকে এগিয়ে নিতে পারে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।"
এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নিয়েছেন, যেখানে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নৌ পুলিশ সদর দফতর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি ১০৫ জন। সেখানে গ্রেফতার মাত্র ৩৫ জন। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কতটা সফল সেটা জনগণ বলতে পারবে। গণমাধ্যমের সহকর্মীরা বলতে পারবেন আমরা কেমন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছি। সেই থেকে বর্তমান পরিস্থিতি কেমন।
গ্রেফতারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে অনেককে আমরা ধরেছি। আসল জন (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে নেই। আমরা তাকে কোথা থেকে ধরব। যারা দেশে নেই তাদের তো পুলিশ গিয়ে ধরে আনতে পারে না। এইটার এক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে, সেইভাবে তাদের আনার কাজ চলছে।
একই প্রশ্নের জবাবে পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কিছু আসামিদের বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস দ্রুতই ইন্টারপোলের নোটিশ জারি হবে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশের একটি নৈতিক দায়িত্ব হবে এসব আসামিদের গ্রেফতার করার। আমার বিশ্বাস তারা তাদের গ্রেফতার করবে।
থানা ও কারাগারে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। হামলার প্রতিকার হচ্ছে বলে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকার হচ্ছে। উত্তরার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারাগারের ঘটনায়ও একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নানা অজুহাতে রাস্তা অবরোধ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারকে অস্থিতিশীল করতে করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, কারণে অকারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম ভালোভাবে প্রচার করলে জনগণ রুখে দেবে। ধৈর্যের সীমা শেষ করে দিচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ বলতে পারে। কর্তৃপক্ষ কাজ না করলে স্কুল বা কলেজের মাঠে আন্দোলন করতে পারে। সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কাজ না করার আহ্বান জানান তিনি।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি, তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য পাঁচজন হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২০ নভেম্বর, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে, তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) র্যাব বিলুপ্ত, ডিজিএফআইকে সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাসহ বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এসবি ইমিগ্রেশনের বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন অ্যারাইভাল/ট্রানজিট ভিসা আবেদনে অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজীকরণ ও পাসপোর্ট আবেদনকারীদের জটিলতা/অভিযোগ ৯৯৯-এ জানানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ র্যাব বিলুপ্তির প্রস্তাব দিয়েছে। বিজিবিকে সীমান্ত রক্ষার মধ্যে থাকা, ডিজিএফআইকে কেবল সামরিক গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ও আনসারের ওপর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ না রাখার বিষয় প্রস্তাবনাও দিয়েছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা সবাই বসবো। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) সেটা আমরা জানাবো। তাদের এই তদন্তের বিষয়ে আমরা তো সবাই স্বাগত জানিয়েছি। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।’
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক ও অন্যরা।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জালাল উদ্দীন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিহত ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীনের স্ত্রী মলি এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মুগদা থানাকে নির্দেশ দেন। রোববার (২৪ নভেম্বর) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, আইন সম্পাদক কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২০ জুলাই রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফুটপাতে ছানা ও মাঠা বিক্রি করার সময় জালাল উদ্দীন মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরবর্তীতে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।
                                                            
                                                                                                                
                                                    
                                                    মন্তব্য করুন