ডেস্ক রিপোর্ট:
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯ টা। খাসকামরা থেকে বেরিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এজলাসে পৌঁছান বিচারক।
বিচারকের ঠিক সামনেই ছিল আসামিদের কাঠগড়া। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, রাশেদ খান মেনন, শাজাহান খান, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তাদের সবার বাঁ হাতে ছিল হাতকড়া।
বুধবার সকালে আদালতকক্ষে বিচারের কার্যক্রম শুরু হলে এক পুলিশ কর্মকর্তা উচ্চস্বরে ডাকেন, ‘জনাব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব’। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা জ্যাকব ডান হাত উঁচু করে সাড়া দেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আদালতকে জানান, রাজধানীর রূপনগরে গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শামীম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলার এক আসামি হিসেবে জ্যাকবকে রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।
জ্যাকবের আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। এরপর জ্যাকব নিজেই আদালতে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মাননীয় আদালত, আমি ভোলার চরফ্যাশনের এমপি ছিলাম। আমি কখনো ঢাকায় রাজনীতি করিনি। জন্মের পর কখনো ঢাকার রূপনগরে যাইনি। অথচ আমার বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক মামলা। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।”
উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত এই হত্যা মামলায় জ্যাকবকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
এরপর আনিসুল হকের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন ফজলুল করিম নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যার অন্যতম আসামি আনিসুল। এ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
এ সময় আনিসুলের আইনজীবী রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, আনিসুল এই হত্যার ঘটনায় জড়িত নন।
আদালত উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আনিসুলকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। তখন আনিসুল বিমর্ষ হয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আনিসুলের বিরুদ্ধে মোট ৫৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত তার মোট ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
জ্যাকব ও আনিসুলের রিমান্ড শুনানির সময় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন কাঠগড়ার এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ‘জনাব রাশেদ খান মেনন’, ‘জনাব শাজাহান খান’ ও ‘জনাব আনিসুল হক’ বলে ডাক দেন। তারা সাড়া দেন। তখন মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারী পুলিশ সদস্যরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে এজলাসে নিয়ে আসেন। মাথা থেকে হেলমেট খোলার পর দীপু মনির সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সালমান। তাদের মধ্যে ২-৩ মিনিট কথা হয়। এরপর পল্টন থানার একটি হত্যা মামলায় দীপু মনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে দীপু মনির সঙ্গে কথা বলেন জুনায়েদ, মেনন ও আনিসুল।
এরপর মিরপুর থানার একটি হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রায় ৪৫ মিনিট শুনানি শেষে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
শুনানির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আদালতে দেখা যায়, আনিসুল, মেনন, শাজাহানসহ অন্যরা প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
বিচারক এজলাস ত্যাগ করার পর প্রথমে মেননের মাথায় পুলিশের হেলমেট পরানো হয়। এরপর একে একে আনিসুল, শাজাহান, দীপু মনি ও জুনায়েদের মাথায় হেলমেট পরানো হয়। তারপর তাদের এজলাস কক্ষ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের হাজতখানায়।
বুধবার সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যদের উপস্থিতি ছিল।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ২৫৩টি মামলা হয়েছে। সালমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৮টি। রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২২টি। জুনাইদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪৭টি। দীপু মনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ২০টি।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় রউফ নামে এক যুবক গুলিতে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে মামলার শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মাহমুদ শরীফ আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। অপরদিকে, আসামিপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। তিনি রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত শুনানি শেষে শফিউল ইসলামের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বুধবার বিকেলে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে নিজ বাসা থেকে শফিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রউফ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাকিব হাসান গত ৮ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনকে ৭ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুনের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং গুম, খুন, মামলাবিষয়ক সমন্বয়ক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ২ হাজার ২৭৬ জন নেতাকর্মীকে গুম ও খুন করা হয়েছে। আজ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হলো বিএনপির পক্ষ থেকে।
২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশের জেলা-উপজেলা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রসফায়ার ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া ১৫৩ জনকে গুম করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে এখনো নিখোঁজ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে দলটির মামলা ও তথ্যবিষয়ক প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে আসেন।
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার মর্যাদা পাবেন। পাশাপাশি তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন।
২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড করার পাশাপাশি গেজেটেড পদমর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রবেশ পদে বেতন স্কেল দশম গ্রেড করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে গেজেটেড পদমর্যাদা ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়।
তবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিল খারিজ করে দিয়ে রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় দীর্ঘ তিন মাসেও কার্যকর না করায় প্রধান শিক্ষকরা আদালত অবমাননার মামলা করেন।
এরপর একই বছরের ২৭ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ কেন সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করে আদালতকে অবজ্ঞা করার অপরাধে বিবাদীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, মর্মে এক মাসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে দুই দিন আগের তারিখে সিভিল রিভিউ পিটিশন দায়ের করে মন্ত্রণালয়।
পরবর্তীতে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিভিল রিভিউ পিটিশনটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন। এর ফলে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের ওই রায় কার্যকর করতে আর কোনো বাধা রইলো না। এদিকে, এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিটকারী প্রধান শিক্ষকরা।
মন্তব্য করুন
খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মিজানুর রহমানকে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ মুহাম্মদ আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৩ জানুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। মামলায় মিজানুর রহমান জামিনে থাকলেও ২৩ জানুয়ারি আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নথি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থার পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৮১ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে তিন দিন এবং সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।
এছাড়া পৃথক মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) মশিউর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার পর আসামিদের কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। সকাল ৯টার দিকে তাদের আদালতের এজলাস কক্ষে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, শাহবাগ থানায় দায়ের করা মানিক মিয়া হত্যা মামলায় পলককে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেডিকেলের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানিক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট গ্রেফতার হন পলক। ৬ মামলায় তার মোট ৩৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
এদিকে পল্টন থানায় দায়ের করা যুবদল নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শাহ কামালকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর আগে শাহ কামালকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়া আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবদল নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় শাহ কামালকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
শাহ কামাল গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হন। পরদিন বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মন্তব্য করুন
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না।
তিনি বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, এটা তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং এটা অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পত্তি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এ রকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।
গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে আপিল দায়েরে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭ (১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। 'বিদ্বেষমূলক' বক্তব্য সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি আইনের ওপর শুনানি করে ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে এই নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করার কথা জানান প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান। প্রসিকিউশনের মতে, 'তিনি (শেখ হাসিনা) যেসব বলছেন তা হেট স্পিচ। সেগুলো বন্ধের জন্যই এই আবেদন করা হয়েছে।'
শুনানির সময়, প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালের সামনে 'বিদ্বেষমূলক বক্তব্য' সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনসহ দেশি-বিদেশি আইন এবং সংজ্ঞা তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি সম্প্রতি ফাঁস হওয়া শেখ হাসিনার কিছু ফোনালাপও ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেন। আদালত, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন, যাতে এসব বক্তব্য সকল মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানিয়েছেন, চলমান বা তদন্তাধীন কোনো মামলার আসামি বিদ্বেষমূলক কোনো বক্তব্য দিতে পারবেন না, যাতে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বা সাক্ষীরা ভীত না হন। সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে শেখ হাসিনার বক্তব্য ও ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছেন, ‘২৮৭টি মামলা হয়েছে, মানে ২৮৭ জনকে মার্ডার করার লাইসেন্স পেয়েছে। তোমাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে, তাদের কি বাড়িঘর নেই?’ এসব বক্তব্য মূলত মামলার ভুক্তভোগী ও সাক্ষীদের হুমকি দিয়েছে।
তামিম আরও বলেন, ‘যেসব ভুক্তভোগী ও সাক্ষীরা আমাদের কাছে এসে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাদের ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে হবে। শুধু তাই নয়, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সারা বিশ্বে ক্রিমিনাল অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যা বন্ধ করতে আমরা আবেদন করেছিলাম। ইতিমধ্যে যেসব বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে, তা বন্ধ করতে ট্রাইব্যুনাল সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন।’
গত ১৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়, জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে বিচার কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ সাত নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন অনুমোদন করা হয়।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
শাহবাগ থানার একটি মামলায় ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমির হোসেন আমু ও শাজাহান খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই থানার আরেকটি মামলায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন রাব্বি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়া মিরপুর থানার একটি মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার এবং শেরেবাংলা নগর থানার একটি মামলায় দিলীপ কুমার আগারওয়ালকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে আসামিদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ২১ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করে। শুনানির দিন সংশ্লিষ্ট আসামিদের আদালতে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
মো. মনির হত্যা মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট শাহবাগের চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মনির। ওই দিন দুপুরে আসামিদের গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলার অভিযোগে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী নিহত হন। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্ব্বোচ আদালত এ রায় দেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এই রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এই রায়ের জন্য প্রথম আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। তাকে সকল অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি ছিল বিচারের নামে অবিচার।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই রায়ের ফলে সত্য বিজয় হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এটিএম আজহারের ওপর এটি ছিল নজিরবিহীন নির্যাতনে সামিল। পৃথিবির ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা হয়ে থাকবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ অগাস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন