সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এ মামলায় তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।
আইনজীবীরা জানান, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা দেন। এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক তারেক রহমান ও মামুনকে সাত বছর কারাদণ্ড এবং ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রায় দেন। এর পাশাপাশি লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তি পেয়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বের হন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আজহারুল ইসলামের করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই বছরের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন আজহারুল ইসলাম। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। এটাই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন
তিন দশক আগে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, মামলাটি বিদ্বেষ্পূর্ণ, রায়ে পক্ষপাতিত্ব করেছে বিচারিক আদালত।
বুধবার (৫ আগস্ট) বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম ও বিচারপতি হামিদুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতকে বলেন, শেখ হাসিনাকে খুশি করতেই ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ৯ জনকে ফাঁসি ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দেন পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তিনি আরও বলেন, এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। মামলা চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। ১৯৯৪ সালে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন তিনি। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথে সভা করার কথা থাকলেও বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেলে তাদের চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৩ জুলাই জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর মেয়াদ কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি খালাস চেয়ে আপিল করেন আসামিরা।
মন্তব্য করুন
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগে আবেদন করে। আদালত শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করলেও পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করা হয়। এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এই মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় অপর তিন আসামিকেও একই মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া আদালত প্রত্যেক আসামিকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাস।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএস’র বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশ পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এসময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মন্তব্য করুন
পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের প্রশ্নে রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন। রায় ঘোষণা এখনও চলমান রয়েছে।
এর আগে, বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিল। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবসের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন। রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এছাড়া ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের সুযোগ পেলেই অংশ নেবেন বলে মন্তব্য করেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান। বুধবার (১৪ মে) গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শেষে আদালতের এজলাস থেকে নামার সময় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এই আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালতের এজলাস থেকে নামার সময় শাজাহান খান জানান, ‘ইউনূস জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত প্রেম করে, অবৈধ প্রেম করে টিকে আছে। এই প্রেম বেশিদিন টিকবে না।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি জানায়, ‘আগে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তোমরা লিখতেও পারো না, দেখাতেও পারো না।’
এ সময় এক সাংবাদিক শাজাহান খানকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘দল তো নিষিদ্ধ (কার্যক্রম) হয়ে গেলো নির্বাচন করবেন কীভাবে?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুযোগ যখন পাবো, তখন ইনশাআল্লাহ করবো। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায় না। আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো।’
এরপর ধীরে ধীরে তাকে আদালত প্রাঙ্গণের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর একাধিক দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২৪ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তবে এ দিন তার জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২৪ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
পি কে হালদার ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন– পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এদের মধ্যে অবন্তিকা, শঙ্খ, সুকুমার ও অনিন্দিতা কারাগারে আটক আছেন।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬ হাজার ৭৯০ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ সম্পদের বাজারমূল্য দেখানো হয়েছে ৩৯১ কোটি ৭৫ লাখ ৮১ হাজার ১২ টাকা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ৯৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নিজের নামে জমি কিনেছেন ৪ হাজার ১৭৪ শতাংশ। এর দাম দলিলে দেখানো হয়েছে ৬৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ৯৩০ টাকা। অথচ এ সম্পদের বর্তমান মূল্য ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া রাজধানীর ধানমন্ডিতে পি কে হালদারের নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পি কে হালদার তার নিকটাত্মীয় পূর্ণিমা রানী হালদারের নামে উত্তরায় একটি ভবন করেছেন। যার দাম ১২ কোটি টাকা। পূর্ণিমার ভাই উত্তম কুমার মিস্ত্রির নামে তেজগাঁও, তেজতুরী বাজার ও গ্রিন রোডে ১০৯ শতাংশ জমি কেনেন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। নিজের কাগুজে কোম্পানি ক্লিউইস্টোন ফুডসের নামে কক্সবাজারে ২ একর জমির ওপর নির্মাণ করেন ৮তলা হোটেল (র্যাডিসন নামে পরিচিত)। যার আর্থিক মূল্য এখন ২৪০ কোটি টাকা। এছাড়া পি কে হালদারের খালাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী ও অনঙ্গ মোহন রায়ের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন তিনি, এর বর্তমান দাম ১৬৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পি কে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮০ কোটি টাকারও বেশি।
এসব অনিয়মের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন। এরপর তদন্ত করে দুদক পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মন্তব্য করুন
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপিপন্থি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে এক নারী আইনজীবীকে হেনস্তা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন করে ভোটগ্রহণের দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভের সময় সমিতির সম্পাদকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সে সময় সমিতির সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল নূর এ হামলার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে দায়ী করেছেন। এর জন্য তারা আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা বলছেন, উদোর পিণ্ড বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা।
গত ১৫ ও ১৬ মার্চ হট্টগোল, হামলা, ভাঙচুর, মামলা, সাংবাদিক পেটানো, প্রধান বিচারপতির কাছে নালিশ ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। ১৪টি পদের সব কটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয়ী হয়েছে এ নির্বাচনে।
নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছিলেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। তারপর থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আন্দোলন করে আসছেন।
তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও মিছিল-সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এক পর্যায়ে আইনজীবীরা সম্পাদকের কক্ষের সামনের অংশ ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় কক্ষে আবদুন নূর দুলাল অবস্থান করছিলেন।
পরে অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল বলেন, আজ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের একটি প্রোগ্রাম ছিল নিচে (বার অফিসের সামনে)। আমরা এখানে (দোতলায় সম্পাদকের কক্ষে), আমরা তো নিচে যাইনি। ওরা চড়াও হয়ে এখানে এসে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধানোর চেষ্টা করেছে। এটা হচ্ছে একটা কাপুরুষতা। আমরা সরকারি দলে থাকার পরও সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছি। প্রতিদিন তারা প্রতিবাদ করে এখানে এসে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টা করে। তারা এখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে আসে না। তারা আসে সহিংসতার জন্য। তারা অফিস ভাঙচুর করেছে। কয়েকজনকে আহত করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।
অন্যদিকে বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তারা (আওয়ামীপন্থি) ভাঙচুর করে আজ আমাদের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা তথা সাধারণ আইনজীবীদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিএনপিপন্থি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিকেলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেন আওয়ামিপন্থি আইনজীবীরা।
মন্তব্য করুন
চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
রবিবার (১৭ আগস্ট) এই মামলায় চতুর্থ দিনে চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে চার দিনে ৯ জনের সাক্ষ্য নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
নাঈম শিকদার নামে আন্দোলনে আহত একজন আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, কিডনি, লিভার ও স্পাইনাল কর্ডসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনো পাঁচ শতাধিক স্প্রিন্টার নিয়ে তিনি ধুঁকছেন।
আরেক সাক্ষী আবদুস সামাদ তার মাথার পেছনে গুলি লাগা এবং চিকিৎসায় অবহেলার বর্ণনা তুলে ধরেন।
আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আজও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া রামপুরা, মোহাম্মদপুর, আশুলিয়ার আরও তিনটি মামলায় ১৫ জন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব মামলায় প্রসিকিউশন সময় আবেদন করলে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের সময় পিছিয়ে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে, ২ মার্চ মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানি নির্ধারণ করেছিলেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬,৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনের শুনানির জন্য ২ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৬,৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে এক রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
এ আদেশ স্থগিতের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। একপর্যায়ে এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬,৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন।
মন্তব্য করুন