৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান

৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।


রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। এ ছাড়া সাভার থানার আরও ৬টি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।


উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা জেলার সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী কাইয়ুম। এ ঘটনায় তার মা কুলছুম বেগম সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’
ছবি: সংগৃহীত

দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।


এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি, বিশাল অংকের টাকা। সব টাকা আনতে সময় লাগবে। তাদের শনাক্ত করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন। এখানে কতগুলো আইনের পদক্ষেপও রয়েছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য একটি বিশেষ আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, শিগগিরই যা অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।"


সরকার কয়েকশ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "হ্যাঁ, এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।"

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন : শেখ হাসিনা

মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামের সোনালি যুগে বিশ্বসভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোল শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান এক গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছিল। মুসলমানরা শৌর্য-বীর্য, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। সেই গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানা কারণে আজ মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। এই সম্মান ফিরে পেতে মুসলমানদের আবার শিক্ষা-গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে হবে। আজ মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে দুঃখজনকভাবে মুসলিম বিশ্বে মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অপর্যাপ্ত অবদানকে প্রতিফলিত করে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে মুসলমানদের আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যাতে তারা বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে যখন বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্যাঞ্চলে আড়াইশ ক্যাম্প চায় সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত



পার্বত্য চট্টগ্রাম আবার অস্থিতিশীল করে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউপিডিএফ। ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে পাহাড়ে হামলা চালানো এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণের মতো কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটির সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ভারত আবার পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে চাইছে।


এ পরিস্থিতিতে পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পার্বত্যাঞ্চলে অন্তত আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাদের যুক্তি, নতুন ক্যাম্প হলে প্রতিটি রুটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যাবে, অস্ত্রপ্রবাহ বন্ধ হবে এবং চাঁদাবাজি ও অপহরণ বন্ধ করা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি জরুরি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।


এসব সেনা কর্মকর্তার দাবি, শান্তিচুক্তির পর ক্যাম্প কমে যাওয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করেছে এবং এখন তারা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাহাড়ের সশস্ত্র গ্রুপগুলো গত এক বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এর মধ্যে ইউপিডিএফ তুলেছে ১০৪ কোটি টাকা। চাঁদা নেওয়ার তালিকায় রয়েছে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, কৃষি, যানবাহন, ঠিকাদার, কাঠ, বাঁশ ও অপহরণ। এর মধ্যে সশস্ত্র গ্রুপগুলো রাঙামাটি জেলা থেকে ২৪৪ কোটি, খাগড়াছড়ি থেকে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবান থেকে ২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে।


শুধু চাঁদা নয়; অপহরণ ও হত্যার সঙ্গেও জড়িত ইউপিডিএফ। ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ৩৩২ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এর মধ্যে পাহাড়িরাও ছিলেন। সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার ঘটনা ঘটে। তাদের হাতে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮৯ জন হত্যার শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি সেনাবাহিনীর ১৬ সদস্যও রয়েছেন।


ইউপিডিএফ এবং তাদের সহযোগীরা ভারতের মিজোরামে স্থাপিত ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে বাংলাদেশের ভেতরে নাশকতা চালাচ্ছে। সেনাবাহিনী মনে করে, সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ৯০, রাঙামাটিতে ৭০ এবং বান্দরবানে ৫০টিসহ ২১০টি ক্যাম্প থাকলেও পাহাড়ের ভৌগোলিক বাস্তবতায় তা যথেষ্ট নয়। আরো অন্তত আড়াইশ নতুন ক্যাম্প হলে সন্ত্রাসীরা আর মাথা তুলতে পারবে না।


সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি সদয় ছিল হাসিনার সরকার


সেনা সদর বলছে, শেখ হাসিনার আমলে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর প্রতি নমনীয় থাকার অলিখিত নির্দেশ ছিল, যার ফলে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক মদত ও প্রশাসনিক শৈথিল্য কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী হয়। কিন্তু বর্তমান নীতি হলো ‘নো কম্প্রোমাইজ’। অর্থাৎ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস বা আলোচনার জায়গা নেই, সরাসরি অ্যাকশনই একমাত্র পথ। কারণ, গোষ্ঠীগুলো কখনো সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না; তারা পাহাড়ি ও বাঙালি- উভয় জনগোষ্ঠীকেই জিম্মি করে রেখেছে।


পাহাড়ে দায়িত্ব পালন করা একজন ব্রিগেড কমান্ডার জানান, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম এখন শুধু চাঁদাবাজি বা অপহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা ভারতের মিজোরাম থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে এসে পাহাড়ে হামলা চালাচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে অতিরিক্ত সেনা ক্যাম্প স্থাপন অপরিহার্য। আমরা মনে করি, কমপক্ষে আড়াইশ নতুন ক্যাম্প প্রয়োজন।


খাগড়াছড়ি জোনের দায়িত্বে থাকা একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, যেভাবে মিথ্যা ধর্ষণের নাটক সাজানো হলো, সামনে আরো বড় কোনো ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সেনাদের দ্রুত উপস্থিতি জরুরি। কিন্তু বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকার অনেক জায়গায় সেনা ক্যাম্প নেই, ফলে সন্ত্রাসীরা ফাঁকফোকর কাজে লাগায়। তাই আমরা আড়াইশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি তুলেছি।


বান্দরবানে দায়িত্ব পালন করা একজন মেজর জানান, ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের তথ্য আমাদের হাতে আছে। তারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ সহায়তায় চলছে। প্রতিটি রুট আমরা চিহ্নিত করেছি। এখন প্রয়োজন তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ। নতুন ক্যাম্পগুলো হলে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই যেকোনো স্থানে অভিযান চালাতে পারব।


রাঙামাটির এক জোন কমান্ডার বলেন, আমাদের হাতে গোয়েন্দা প্রমাণ রয়েছে যে, ইউপিডিএফের অন্তত ছয়টি ক্যাম্প ভারতের মিজোরামে। তাদের লোকজন প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পাহাড়ে ক্যাম্প বাড়ানো ছাড়া এ অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা ক্যাম্পের সংখ্যা আড়াইশতে উন্নীত করা জরুরি।


সার্বিক বিষয়ে খাগড়াছড়িতে দায়িত্ব পালন করা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত। আমরা এখন আমাদের যা পুঁজি আছে, সেগুলো নিয়ে নজরদারি করছি। ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউপিডিএফ। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।


নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী তৎপরতা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নতুন মাত্রা পেয়েছে। সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার চাইলে কেন আমরা তা প্রত্যাহার করব? আমরা আমাদের কৌশলে এগিয়ে যাব।


নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, ইউপিডিএফ এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, যা আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয়। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকর নজরদারি ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আড়াইশ নতুন সেনা ক্যাম্প স্থাপন এখন একান্ত জরুরি। এসব ক্যাম্প স্থাপন করা হলে সেনাবাহিনী দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারবে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম কার্যকরভাবে দমন করা সম্ভব হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

‘মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না’

‘মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না’
ছবি: সংগৃহীত



বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব না।


আজ শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।


সেনাপ্রধান বলেন, ‘শুধু ভালো ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভালো মানুষ হতে হবে। তাহলেই দেশের উপকার হবে।’


তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। উন্নয়নের জন্য প্রকৌশল শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।’ এসময় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে পুরস্কার দেন তিনি।


তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: উপদেষ্টা

মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিস করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।


উপদেষ্টা বলেন, গতকাল সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়। তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। উত্তরা থেকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা আটক হয়েছেন। তাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিস করা হয়েছে তা কাম্য নয়।


কৃষি জমি দখল রোধে কৃষি জমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিরাপত্তা জোরদার করবে পুলিশ

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে নিরাপত্তা জোরদার করবে পুলিশ
বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে সমন্বয় সভা

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।


ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপিত হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করা হবে। এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নগরবাসীর সহায়তায় আমরা উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”


ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সভার শুরুতে একটি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।


বড়দিনের জন্য পরিকল্পিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে:


  • প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্ম পরিহিত ও সাদা পোশাকের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন।
  • চার্চ এলাকায় দর্শনার্থীদের আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ এবং মেটাল ডিটেক্টর ও ম্যানুয়াল তল্লাশি।
  • অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং।
  • ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা।
  • চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ।
  • ভাসমান দোকান বা হকার নিষিদ্ধকরণ এবং ব্যাগ নিয়ে চার্চে প্রবেশ নিষেধ।


থার্টি ফার্স্ট নাইটের জন্য পরিকল্পনা:


  • নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো।
  • উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস নিষিদ্ধ।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইডি কার্ড ছাড়া প্রবেশ নিষেধ।
  • গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ।
  • সাইবার পেট্রোলিং জোরদার এবং গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে নজরদারি।



উৎসব দুটি সফলভাবে উদযাপন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ডিপিডিসি, ঢাকা ওয়াসা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


উক্ত সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাঁদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা


ডেস্ক রিপোর্টঃ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করল ইসরাইল

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করল ইসরাইল
ছবি: সংগৃহীত



ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। খবর আল জাজিরার। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ দ্য ম্যারিনেটকেও শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।


লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা জোরপূর্বক জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।


ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করা পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ।  এর আগে বহরের ৪৩টি জাহাজ আটক করে দখলদার বাহিনী।


ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল। 


তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে  ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। 


গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।


গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।


এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।


global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

মুনতাহার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা

মুনতাহার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা
মুনতাহার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

মাত্র পাঁচ বছরের এক ছোট্ট শিশু, মুনতাহা আক্তার জেরিন। তার মিষ্টি হাসি ও চঞ্চলতা পরিবারের সবাইকে মুগ্ধ করত। প্রতিবেশীরাও তাকে আপন করে নিয়েছিলেন। তবে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হতে হয় এই শিশুটিকে, এবং এতে জড়িত ছিলেন তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মুনতাহার গৃহশিক্ষক ছিলেন শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫)। কিছুদিন আগে তার খারাপ আচরণের কারণে মুনতাহার বাবা তাকে পড়াতে নিষেধ করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মার্জিয়া। প্রতিশোধ নিতে গত ৩ নভেম্বর মার্জিয়া ও তার মা আলিফজান বিবি শিশুটিকে কৌশলে তাদের ঘরে নিয়ে যান।

ঘরের ভেতর ওড়না ও রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে মুনতাহাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ঘরে রাখা হয়। গভীর রাতে মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরের পাশের নালায় পুঁতে রাখা হয়। পরদিন ভোরে মরদেহটি পুকুরে ফেলার সময় স্থানীয়রা তা উদ্ধার করেন। এসময় আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।

এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বিবি, প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০), এবং মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।

মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। রোববার বাদ আসর বীরদল পুরানফৌদ জামে মসজিদে জানাজা শেষে গ্রামের পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

গত ৩ নভেম্বর দুপুরে মুনতাহা পার্শ্ববর্তী বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল পর্যন্ত না ফেরায় পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান না পেয়ে মুনতাহার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী ও আত্মীয়স্বজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হলে অনেকেই মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সাহায্যের জন্য আবেগঘন পোস্ট দেন এবং স্বেচ্ছাসেবায় যুক্ত হন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’

‘এবার রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি’
ছবি: সংগৃহীত




এবার ঈদযাত্রায় কোনো টিকিট কালোবাজারি হয়নি এবং তাতে রেলওয়ের কোনো কর্মকর্তাও জড়ানোর সাহস পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম।


তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ঈদযাত্রার সময় প্রতি বছর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। এতে রেলওয়ের লোকজনও জড়িয়ে পড়ে। এবার সেটা কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। রেলের কেউ এসবে (টিকিট কালোবাজারি) জড়াতে পারেনি। ফলে যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়নি।


রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।


ঘরমুখো মানুষ সড়কপথের মতো ট্রেনযাত্রায়ও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পথে পথে চাঁদাবাজি চলতো, গাড়ি থামানো হতো। সেটা কিন্তু এবার নেই। কেউ এটা করার সুযোগ ও সাহস পায়নি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। তারা নির্দেশনা মোতাবেক ভালো কাজ করছেন। সবমিলিয়ে ঈদযাত্রায় আমরা ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছি।


স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, তারা কী জানালেন- এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবাই খুশি। অন্যবারের চেয়ে এবার তারা সুন্দরভাবে যেতে পারছে। ভোগান্তি একেবারে কম। কোথাও বাড়তি টাকা-পয়সা চাওয়া হচ্ছে না। এগুলো যাত্রীরা জানালেন। তারা ভালোভাবে গেলেই আমাদের কষ্ট স্বার্থক হবে।


এসময় রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনৈতিক দলগুলো ও কমিশন অসম্ভবকে সম্ভব করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদে সই করেছে রাজনৈতিক দলগুলো

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে জুলাই জাতীয় সনদে জরুরি সংশোধন

শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চাইলো প্রসিকিউশন

নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে: আইন উপদেষ্টা

মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের

ভোজ্যতেলের দাম সরকার বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এক ক্লিকে জামিন আদেশ যাবে কারাগারে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

১৬ অক্টোবর এইচএসসির ফল প্রকাশ

১০

এনসিপির চাওয়া প্রতীক আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই: সিইসি

১১

নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে: উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর

১২

আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণ কী?

১৩

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের তারিখ পেছাল

১৪

নির্বাচনে কেউ গণ্ডগোল করলে ভোট কেন্দ্র বন্ধের নির্দেশ সিইসির

১৫

প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে আমরা রাষ্ট্রকে অংশীদার বানাবো: তারেক রহমান

১৬

দেশের সকল বিমানবন্দরে ১০ বিশেষ নির্দেশনা

১৭

শহিদুল আলমকে তুরস্কের সহায়তায় মুক্ত করার চেষ্টা

১৮

আগামী ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে জুলাই জাতীয় সনদ

১৯

দেশের সকল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

২০