

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ৫০ শতাংশ ভোট ব্যালট বাক্সে ভরে রাখতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ১১তম দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশের ২৭তম মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জাবেদ পাটোয়ারী। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে পুলিশ থেকে অবসর গ্রহণের পর তাকে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করতে চান তিনি।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে আহত, শহীদ পরিবারের সদস্য, চিকিৎসকসহ ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মাসেই এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে প্রসিকিউশন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে যে সমালোচনা করা হয়, তার বেশির ভাগই পুরো বাস্তব চিত্র তুলে ধরে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তার মতে, স্বার্থান্বেষী নানা গোষ্ঠীর তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও স্বল্প সময়ে সরকার যে পরিমাণ কাজ করতে পেরেছে, তা উপদেষ্টামণ্ডলীর নিষ্ঠা ও অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকারিতার বহিঃপ্রকাশ।
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্ট্যাটাসে নীতি প্রণয়ন, নির্দেশনা তৈরির প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক জটিলতা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শফিকুল আলম লিখেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগে নীতিমালা, দিকনির্দেশনা বা প্রস্তাবিত আইন-বিধি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিটি মতামত ও প্রতিবেদন তিনি গভীরভাবে অনুসরণ করতেন। তবে দায়িত্বের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে- কোনো নীতি বা আইন পাস বা বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এখন তার আগ্রহ জন্মায় না।
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে নীতিমালা বা সংস্কার নিয়ে লেখা সহজ হলেও বাস্তব প্রয়োগ যে অনেক কঠিন, তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ চাইলে চ্যাটজিপিটিকে বললেই বাংলাদেশকে বদলে দিতে ৪৫০ পৃষ্ঠার সংস্কার-প্রস্তাব পাওয়া যায়; চাইলে নির্দিষ্ট ইস্যু নিয়েও সেই প্রস্তাব তৈরি সম্ভব।’
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন- গত ১৬ মাসের অভিজ্ঞতা থেকে এমনটাই জানালেন তিনি। তার ভাষায়, বাজারবান্ধব, কর্মসংস্থানমুখী ও জনবান্ধব আইন বা নীতি প্রণয়ন আমাদের মতো দেশের জন্য অত্যন্ত কঠিন। ব্যবসায়ী লবি গ্রুপ, রাজনৈতিক গোষ্ঠী, বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, পেশাজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে অদক্ষ ও স্বল্পদৃষ্টি সম্পন্ন আমলাতন্ত্র- সব জায়গা থেকেই বাধা আসে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক সময় খুব সাধারণ ও সহজে পাসযোগ্য আইনও মাসের পর মাস আটকে থাকে। আবার যেসব সংস্কার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বাড়াতে পারে, সেগুলো বাস্তবায়নেও অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হয়।
মন্তব্য করুন


বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে-এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে জানান পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ সোমবার সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে-এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দূষণ রোধে পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করবো। নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার আশেপাশে নো ব্রিক ফিল্ড জোন ঘোষণা করা হবে। ধূলা দূষণ কমানোর মাধ্যমে এবছর নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করবো। বায়ু দূষণ কমাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করতে হবে। শীতকালের আগে (অক্টোবরের মধ্যে) ভাঙাচুরা রাস্তা সংস্কার হবে। চীনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করবে সরকার।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান কেবল একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য হয়নি। বরং এটি ছিল জনগণের অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "মৌলিক ও গঠনমূলক সংস্কার করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া সবার জন্য সমান ও স্বচ্ছ হবে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "জুলাই সনদ জাতির সামনে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে হবে। এটি আমাদের অঙ্গীকার, এবং এ অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে দেশে আর কখনও স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের নিষ্ক্রিয়তা ও পথ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই।"
এনসিপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।
মন্তব্য করুন


দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেছেন, যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না।
তিনি বলেন, সেনানিবাসে মইনুল রোডের বাড়িটি শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এ মামলায় দুদক বলছে, এটা তারেক রহমানের অর্জিত সম্পদ এবং এটা অবৈধ সম্পদ। অথচ এটা সরকার নিয়মকানুন মেনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। আরেকটা সম্পত্তি আছে গুলশানে। সেটাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া। অথচ মামলায় তারেক রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারের নামে এ রকম প্রহসন আমি আমার ওকালতি জীবনে দেখিনি।
গত ১৪ মে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়।
গত ১৩ মে আপিল দায়েরে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট। বিলম্ব মার্জনার পর ডা. জুবাইদা রহমান সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭ (১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
মন্তব্য করুন


স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক দলগুলো কিছু সমস্যার সমাধান করলে এবং জনগণ সচেতন থাকলে নির্বাচন সুন্দর হবে।
রোববার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদায়ন এবং বদলির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে তিনি যে কোনো অনিয়মের খবর প্রকাশ করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও জানায়, একক ব্যক্তির নামে সিম কার্ডের সংখ্যা ১০টি থেকে ২টিতে কমিয়ে আনতে চায় সরকার। নির্বাচনের আগে সেটি ৫-৭টিতে কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
তারেক রহমানের জন্য বুলেট প্রুফ গাড়ির অনুমতি দেয়ায় তার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শংকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, অন্য কেউ চাইলেও অনুমতি দেওয়া হবে। সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
মন্তব্য করুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন নিবন্ধন ছাড়া দলগুলোই ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ৫২টি দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না কারা বলি, যেসব দলের নিবন্ধন হয় নাই, যাদের জন্ম ৫ আগস্টের পর। এরা ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না।
ডিসেম্বর বলছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আমি বলছি কেন ডিসেম্বর, কেন সেপ্টেম্বর, অক্টোবরে নির্বাচন নয়? কোন কাজটা বাকি আমি তো দেখতেছি না।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই একটি দেশের মূল শক্তি। দেশ গড়তে সবাইকে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি সরকার গঠন করলে তা হবে জবাবদিহিমূলক সরকার।
নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, গণতন্ত্রের পথ কেউ যদি রুদ্ধ করতে চায়, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কেউ যদি বাধাগ্রস্ত করতে চায়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রুখে দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর দ্বারা কী অর্থ বহন করে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
মন্তব্য করুন


আলোচিত অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই অভিনেত্রীকে আটক করা হয়।
রোববার (১৮ মে) থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। শাহজালালের ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় রয়েছে।
মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে।
মন্তব্য করুন


দেশের প্রখ্যাত লেখক, গবেষক ও বাম ধারার বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খবরটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা। তিনি জানান, ‘অসুস্থ অবস্থায় বাসা থেকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’
বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বামপন্থি রাজনীতিবিদ, তাত্ত্বিক, লেখক ও গবেষক। দীর্ঘ রাজনৈতিক ও বৌদ্ধিক জীবনে তিনি বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও বিশ্লেষণ করেছেন। চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে, তবে তিনি পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ (তিন খণ্ডে), ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’, ‘পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি’, ‘বাঙালীর সমাজ ও সংস্কৃতির রূপান্তর’, ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালী সমাজ’ এবং ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বাংলাদেশের কৃষক’।
তার পিতা আবুল হাশিম ছিলেন প্রগতিশীল মুসলিম লীগ নেতা ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বদরুদ্দীন উমর ও তার পিতা দুজনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পরে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি বিস্তৃত গবেষণা সম্পন্ন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সরকারের বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে বিপ্লবী রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন।
১৯৭০-৭১ সালে তিনি গণশক্তির সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পার্টির মতাদর্শ নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ লেখক শিবির, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে তিনি কাজ চালিয়ে যান।
নিজের আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’ গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন: ‘আমার জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর, রোববার, দুপুর দুটোয়।’
বুদ্ধিজীবী ও গবেষক হিসেবে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে সক্রিয় ছিলেন।
চলতি বছর লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরসহ ৮ বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে সরকার। তবে বদরুদ্দীন উমর পুরস্কারটি ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সাল থেকে আমাকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমি সেগুলোর কোনোটি গ্রহণ করিনি। এখন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু তাদের দেওয়া এই পুরস্কারও গ্রহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে আমি এটা জানিয়ে দিচ্ছি।’
মন্তব্য করুন


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৫-১৬ বছর আগে গুম হওয়া সুমনের বাসায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। অথচ হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি এয়ারপোর্ট দিয়ে পালাচ্ছে সেদিকে তাদের দৃষ্টি নেই। সরকার প্রকারান্তরে কোনো না কোনোভাবে প্রকৃত ফ্যাসিস্টদেরকে প্রকৃত স্বৈরাচারদেরকে পুনর্বাসন করছেন কিনা এটা কিন্তু জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা যেতেই পারে, প্রশ্ন দেখা যেতেই পারে। এই ধরনের সংশয় কিন্তু তৈরি হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, একটা দায়িত্বশীল নির্বাচিত সরকার থাকলেই তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকে শেখ হাসিনার সেটি ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল তোরা যে যাই বলিস আমি আমার ক্ষমতা ছাড়ছি না যার ফলে শেখ হাসিনা একটার পর একটা ন্যারেটিভ তৈরি করতো। কারণ তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি গণতন্ত্র মানেননি। তিনি গণতন্ত্রের চর্চা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এগুলো কোনো কিছুই তার কাছে কোনো ধর্তব্যের বিষয় ছিল না। অপপ্রচার করে নাশকতার কথা বলে জঙ্গির কথা বলে এই কাজগুলো করেছে শেখ হাসিনা। এখনো কিন্তু নানাভাবে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। তাহলে তো একইভাবে শেখ হাসিনারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে যদি নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে শাক সবজির দাম মুরগির দাম যে বৃদ্ধি পেয়েছে যার জন্য জনগণ তাদের কাছে জবাবদিহিতা চাইতো কিন্তু এই সরকারের তো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা শুধু বলছে আগে সংস্কার হোক তারপরে নির্বাচন।
তিনি বলেন, গতকাল রাজধানীর আদাবর এলাকায় সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না এর জন্য আমরা কাকে বলবো? নির্বাচিত সরকার থাকলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মেয়র যারা থাকেন তাদের মধ্যে একটা দায়বদ্ধতা থাকে ভবিষ্যতে ভোটের আশায় তারা ভালো কাজ করার চেষ্টা করে। এই সরকারের তো কোন দায়বদ্ধতা নেই।
রিজভী বলেন, খুনের আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি উনি চলে গেলেন। নানা কথা আমরা নানা দিক থেকে শুনতে পাচ্ছি। বিএনপি কোনো কথা বললেই নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়। বিএনপি তো গণতন্ত্রের প্রশ্নে বরাবরই আপোষহীন। যার কারণে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীরা রাস্তায় মার খেয়েছে, গুম হয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ১৫-১৬ বছর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথে তাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে লড়াই করেছে সংগ্রাম করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে গড়িমসি করছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে গড়িমসি করছে এটাই হচ্ছে জনগণের সংশয়ের সবচেয়ে বড় কারণ। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের সংশয় তৈরি হয়েছে। যার কারণে আমরা এই পরিস্থিতি এবং পরিণতিগুলো দেখছি যে সাবেক রাষ্ট্রপতি হত্যা মামলার আসামি চলে যাচ্ছেন এয়ারপোর্ট দিয়ে; সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছু জানে না। অথচ হাসিনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে গুম হয়েছে যারা তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নাম হচ্ছে সুমন। তার বোন সানজিদা তুলি ২০১৪ সাল থেকে মায়ের ডাক নামে একটি সংগঠন করে যারা গুম হয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে। এটা কি সরকার জানে না? অথচ গত বৃহস্পতিবারে তার বাসায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছে। কি অদ্ভুত বিষয় না?
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের কথিত 'নিষ্ক্রিয়তা'র অভিযোগের ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখছে, ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার করা এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক ইমেইলে এক মুখপাত্র এ কথা জানান।
মুখপাত্র জানান, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উপর সহিংসতা ও তাদের প্রতি অসহিষ্ণুতার যেকোন ঘটনার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া অব্যাহত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ব্যাপারে জানতে চাইলে, পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন ( করার স্বাধীনতা কে ) মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে সমর্থন করে। আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের কাছে সেই সমর্থনের কথা জানাই।
বাংলাদেশে ইসকনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবি ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন না পাওয়া প্রসঙ্গে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ও সংবিধানে ( নাগরিকদের ) যে অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে এ ইস্যুগুলো সমাধান করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার স্বাধীনতা এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার জন্য আহ্বান জানাই।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রোমোটে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানান, আমরা বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সাথেই আমাদের সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্য দিই। তাদের একে অপরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারটি আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন