কুমিল্লায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ।"কাস্টমস সেবায় প্রতিশ্রুতি, দক্ষতা, নিরাপত্তা প্রগতি" এ স্লোগানকে ধারণ করে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে দিবসটি পালিত হয়।
দিবস উপলক্ষে কাস্টমস কুমিল্লা অঞ্চলের ছয় জেলার আমদানি ও রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিদের উপস্থিতে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার কমিশনার মোঃ মাহফুজুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কর-অঞ্চল কুমিল্লার কর কমিশনার শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন ভ্যাট কমিশনারেট, কুমিল্লার অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা সহিদুজ্জামান এবং যুগ্ম কমিশনার মোঃ পায়েল পাশা, স্নিগ্ধা বিশ্বাস ও ফাহাদ আল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশজ শিল্পের সংরক্ষণ, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা, আত্মনির্ভরশীল জাতি গঠনে, রাজস্বের আহরণে কাস্টমসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র রাজস্ব আহরণে নয়, আমদানি রপ্তানি নিরাপত্তায়ও কাস্টমসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আওতায় বাণিজ্য সহজীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ঝুঁকি প্রশমনে কাস্টমসকে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে হয়।
এসময় কাস্টমস সেবায় প্রতিশ্রুতি, দক্ষতা, নিরাপত্তা, প্রগতি ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদরের কোটেশ্বর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। এ সময় তার কাছ হতে ৩৭.৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অন্য একটি অভিযানে গত ২৬ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল সদরের আমড়াতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে । এ সময় তার কাছ হতে ৬৪ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
২৬ জুন রাতে এ দুটি অভিযান পরিচনা করা হয়।
আটক হওয়া ইব্রাহিম হোসেন অপু (৩৮) কুমিল্লা সদরের লালবাজার গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে এবং মোঃ হানিফ মিয়া (৩৭) একই থানার মনিপুর গ্রামের মৃত শফিক মিয়ার ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে।
আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১,সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
মন্তব্য করুন
গাছে গাছে ঝুলছে পরপক্ক বিভিন্ন জাতের আম। কয়েকদিনের মধ্যেই জমে উঠবে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারগুলো। ইতোমধ্যে গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে গোলাপভোগ ও গুটি জাতের আম। এর মধ্যে কৃষকদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় মোখার তেমন কোনো প্রভাব না থাকায় স্বস্তি পেয়েছেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বা এর আশেপাশে সরাসরি আঘাত না হানলেও কক্সবাজার বা চট্রগ্রাম আঘাত হানলে এর প্রভাবে ঝড় ও টানা বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। এতে গাছ থেকে আম ঝরে ও টানা বৃষ্টিতে ছত্রাকের আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মনে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝড় বা বাতাস কিছুই হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এতে রক্ষা পেয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার আম।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।
ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার কথার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে আইএসপিআর (আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোররাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো: তৌহিদুর রহমান (৪০), একই দিন দুপুর ১২:৩০ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
গত ২৬ জুন মুরাদনগরের পঞ্চকিট্রি ইউনিয়নের বাহারচর গ্রামে এক হিন্দু নারীর সাথে অশোভনীয় ঘটনা ঘটে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ সময়ে একই গ্রামের এবং পূর্বপরিচিত মোঃ ফজর আলী (৩২) এর সাথে উক্ত নারী ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একই সাথে ফজর আলীর ছোট ভাই শাহপরান এর সাথেও তার (ভুক্তভোগী) সখ্যতা গড়ে উঠে।
ঘটনার দিন রাতে বড় ভাই ফজর আলী উক্ত নারীর ঘরে অবস্থানকালে ছোট ভাই শাহপরান ও কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
উক্ত মারধরের ফলে ফজর আলী আহত হয়ে প্রথমত কুমিল্লা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুন উক্ত নারী মুরাদনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, এ বিষয়ে তিনি (ভুক্তভোগী) ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে এবং মোঃ ফজর আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। এছাড়া ভিডিও ধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশোভন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে সর্বমোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, বিষয়টি ব্যক্তিগত সম্পর্কজনিত এবং পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এখানে বলপ্রয়োগ, দরজা ভাঙ্গা বা ধর্ষণের সরাসরি কোন সম্পৃক্ততা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি।
তথাপি প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তের পূর্বেই অশোভন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনাকাঙ্খিত। তবে আইন প্রযোগকারী সংস্থা কর্তৃক দুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক দোষীদের অচিরেই শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে আশা করা যায়।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার চান্দিনায় বন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ইয়াছিন আহমেদ নামের ১৩ বছরের এক কিশোর। ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার আরও ২ বন্ধু।
নিহত কিশোর চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
ওই দূর্ঘটনায় আহত হয়েছে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে মোশারফ (২৬), মেহবুব মিয়ার ছেলে অনিক (১৬)। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা বাস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইয়াছিন শৈশব থেকেই চঞ্চল প্রকৃতির। তাকে মারধর করেও বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। শিক্ষা বিমুখ ইয়াছিন বন্ধুদের সাথে সে প্রায়ই মোটরসাইকেলে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যেত। সোমবার দুপুরে তার চাচাতো ভাই মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ ব্যবসায়ী মোশারফের মোটরসাইকেলে করে ইয়াছিন ও তার বন্ধু অনিক সহ ঘুরতে বের হয়। নিজ বাড়ি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে নূরীতলা এলাকায় দূর্ঘটনার শিকার হয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম জানান, খুব দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেলটি ছুটে আসছিল। এসময় একটি বাস তাদেরকে ওভারটেকিং করার সময় মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে মহাসড়কে আঁছড়ে পড়ে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন নামের ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুজনকে কুমিল্লায় রেফার করেন।
এদিকে সোমবার সকালেই ইয়াছিনের বাবা শাহজাহান মিয়া ও মা জোৎস্না বেগমের চোখের অপারেশন কুমিল্লার আলেখার চরে অবস্থিত চক্ষু হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে তারা চোখে বেন্ডেজ লাগানো অবস্থায়ই হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। ইয়াছিন এই দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) দেওয়ান কৌশিক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় কিন্তু সেখানে কাউকে পায়নি।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বেপরোয়া গতির বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৪ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হয়েছে।এই ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘাতক বাসটির চালক মোহাম্মদ নুরুদ্দিনকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসচালক আত্মগোপনে সিদ্ধিরগঞ্জ লুকিয়ে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩ টি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের ৪ জনসহ দুটি গাড়ির ৬ আরোহী নিহত ও ৪ জন আহত হন। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ৫ জন ও বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেটকারের মালিক নুর আলম (৪২), তার বোন ফাহমিদা আক্তার (১৭), প্রাইভেটকারের চালক হাবিবুর রহমান (৩৮) ও মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়া (৪২)।
শুক্রবার দুর্ঘটনার পর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় আহত ব্যক্তিদের।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় ১০ জনকে এ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ জন হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। আহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ জনের মধ্যে গুরুতর আহত রেশমাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছিল। পরে তারা জানতে পারেন, শুক্রবার বিকেলে সেখানে রেশমার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় ঘারমোড়া বাজার গরুর হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
গত সোমবার সকালে ঘারমোড়ার গরুর হাটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আতংকে আছে দূর দুরান্ত থেকে আসা ক্রেতা, বিক্রেতাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘারমোড়ার গরুর হাট এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইজারাদার হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হোমনা উপজেলা ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহজাহান মোল্লা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা । ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় ইজারা নেন ঘারমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা। পরে হোমনা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান ইজারা না পেয়ে আবু মুসার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার লোকজন গরুর হাটে ভাংচুর করে ক্যাশ বাক্স নিয়ে যায়। ওই হামলায় হোমনা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো: ফয়সাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো:জালাল, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের মো মুকুল মেম্বার, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো:মোসলেম আহত হন। এ বিষয়ে গরুর হাটের ইজারাদার আবু মুসা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ইজারাদার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু মুসা জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গত ৩ মার্চ ঘারমোড়া গরু বাজারের ডাক পেয়েছি । কিন্তু ঘারমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান মোল্লা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকবল নিয়ে আমার কাছে বাজারের শেয়ার দাবি করেন, আমি শেয়ার দিতে না বলায় পরবর্তীতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেন চেয়ারম্যান শাজাহান। চাদার টাকা না পেয়ে তার লোকবল দিয়ে বাজার ভাঙচুর এবং ক্যাশ থেকে ইজারার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তার বাহিনীরা এবং আমার ছেলে ফয়সাল মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে, এছাড়া অনেকে আহত হয়। পরবর্তীতে থানায় মামলা হয়, এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্রমতে, নানা অনিয়মের অভিযোগ ও বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে শাহজাহান মোল্লার সখ্যতা রয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি খাল দখল করে দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে। কুমিল্লা-১ (হোমনা) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করার ছবি রয়েছে ফেসবুকে। এছাড়াও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় তিনি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়াও চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের নদীর অংশ এবং রাস্তার পাশের জমি দখল করে দোকান ভাড়া দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা মুঠোফোনে জানান, তিন বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি । ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । আশা করি অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটবে না।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা নগরীর উত্তর ঠাকুরপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিালনা করে মোঃ মাসুদ রানা প্রধান (৩৮) নামের একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১ সিপিসি ২ সদস্যরা। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ২ টি এলজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মাসুদ রানা প্রধান (৩৮) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর গ্রামের মৃত. মতিউর রহমান প্রধানের ছেলে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, সে যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে পতিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রেখে বড় ধরনের নাশকতাসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করার পরিকল্পনা করে আসছিল। এছাড়াও পূর্বে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শো-ডাউনে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায়। বর্তমানে সে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল বলে জানায়।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে রুজুকৃত হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলাসহ মোট ৭ টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব ১১,সিপিসি ২ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো.রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় তার অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এলামেলো কথাবার্তা বলেন। পরে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিখোঁজের ৬দিন পর সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে রবিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল।
ওসি কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আজ সকালে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির সামনে গিয়ে একটি কুকুর ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা এসে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকের স্ল্যাবের মুখ খুললে রবিনের মরদেহ দেখতে পায়।
মন্তব্য করুন