

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৫৮ জন আহত হয়েছেন।
রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪২,৬০৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এছড়া ইসরাইলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ৯৯,৭৯৫-এ পৌঁছেছে।
ইসরাইল গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের ঐতিহাসিক প্রতিশোধমূলক অভিযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। এর পর থেকে ইসরাইল গাজার দুই মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। যার ফলে সেখানে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানির সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ গাজার হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
সেই সঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৮০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। সূত্র: মেহের নিউজ ও আনাদোলু এজেন্সি
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজায় যুদ্ধ ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন নেতানিয়াহু। আমেরিকাও বিষয়টি প্রতিরোধে নানা তৎপরতা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সংশ্লিষ্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবছে দেশটি।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকেও টেনে আনল ইসরাইল। দুই ইসরাইলি এবং মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছ, ইসরাইলি সরকার বাইডেন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে যে, যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া শুরু করবে, যা তাদেরকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে।
সম্প্রতি ইসরাইলি গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, আইসিসি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তবে এটি ‘ঐতিহাসিক পর্যায়ের একটি কেলেঙ্কারি’ হবে।
মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে, তারা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কর রাজস্ব স্থানান্তর বন্ধ করে দেবে। আর এমন পদক্ষেপ নেবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে দেউলিয়া করে দেবে।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পক্ষে ট্যাক্স সংগ্রহ করে এবং ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির অধীনে তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে তা স্থানান্তর করে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার ইউএনআরডব্লিউএ’র সমর্থনেও আলাদা প্রস্তাব পাস হয়েছে। ইসরায়েল আইন করে এই সংগঠনকে তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে অবিলম্বে নিঃশর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। কর্মকর্তাদের মতে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের ফলে গাজায় ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
এই প্রস্তাবকে অবশ্যপ্রতীকী পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, কারণ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তা খরিজ করে দিয়েছে। আর ইসরায়েলের ওপর এই প্রস্তাব মানার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। তবে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে এর একটা চাপ আছে। কারণ, এতগুলো দেশ যখন কোনো প্রস্তাবে সমর্থন দেয়, তখন তাকে পুরো বিশ্বের মত প্রকাশ বলে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার শর্তে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। না হলে হামাস ওই বন্দিদের মুক্তি দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর রবার্ট উড বলেছেন, এই প্রস্তাবের ভাষা ভুল ও লজ্জাজনক।
বুধবার যুদ্ধবিরতির ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৫৮টি দেশ। বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯টি। আর ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বন্দিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।
এদিন সাধারণ পরিষদে আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে জাতিসংঘের সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৫৯টি দেশ ভোট দেয়, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র-সহ সাতটি দেশ এর বিরুদ্ধে ভোট দেয়। ১১টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
এই প্রস্তাবে ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে ইসরায়েলের আইনের নিন্দা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েল যেন ইউএনআরডব্লিউএ-কে যথাযোগ্য মর্যাদা দেয় এবং তাদের কাজে যেন কোনও বাধা না দেয়।
এই প্রস্তাব পাস করার আগে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর অনেকেই তাদের ভাষণে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানায়।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মানসুর বলেন, গাজা এখন যন্ত্রণার ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে। স্লোভেনিয়ার দূত বলেছেন, গাজা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আলজেরিয়ার ডেপুটি অ্যাম্বাসেডার বলেছেন, ফিলিস্তিনের দুরবস্থা নিয়ে চুপ করে থাকার জন্য বিশ্বকে বড় মূল্য দিতে হবে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে ইসরাইলে ৭০টি রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আতঙ্কে সতর্ক সাইরেন বেজে উঠেছে ইসরাইলি শহরে। খবর বিবিসির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইসরাইল জানায়, সকাল ১১টা ৯ মিনিট থেকে ১১টা ১২ মিনিটের মধ্যে ওয়েস্টার্ন গ্যালি ও আপার গ্যালির মধ্যে সতর্ক সাইরেন বেজে ওঠে।
৭০টি রকেটই লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরাইলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন।
এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরাইলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরাইলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে।
ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ভবনে নিজেদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (১৫ মে) গাজার জাবালিয়া শহরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার অধিকতর তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন রয় বেইট ইয়াকভ (২২), স্টাফ সার্জেন্ট গিলাদ আরিয়ে বোইম (২২), সার্জেন্ট ড্যানিয়েল চেমু (২০), সার্জেন্ট ইলান কোহেন (২০), স্টাফ সার্জেন্ট বেতজালেল ডেভিড শাশুয়া (২১)। তারা সবাই প্যারাট্রুপার্স ব্রিগেডের ২০২ ম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ও অতি রক্ষণশীল কোম্পানির অংশ ছিলেন।
আইডিএফ বলছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর শাখাগুলোর মধ্যে যোগাযোগের অভাব, সৈন্যদের ক্লান্তি কিংবা নিয়ম বা যুদ্ধ কৌশলের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ না দেওয়া।
আইডিএফের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বুধবার প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে জাবালিয়ায় হামলা চালাতে গিয়েছিল তাদের ট্যাংক বাহিনী। সেদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ভবন লক্ষ্য করে ট্যাংক থেকে দুটি গোলা ছোড়া হয়। ট্যাংক সেনারা ভেবেছিলেন, ভবনের ভেতরে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আছেন। কিন্তু আসলে সেখানে ছিলেন ইসরায়েলি সেনারাই।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার সকালে ট্যাঙ্ক বাহিনী জাবালিয়ায় পৌঁছায়। তাদের কয়েক ঘন্টা পরে প্যারাট্রুপাররা সেখানে পৌঁছান ও একটি ভবনে অবস্থান নেন। ওইদিন সন্ধ্যায় প্যারাট্রুপারদের আরেকটি দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। প্যারাট্রুপারদের দ্বিতীয় দলটি ওই ভবনে প্রবেশের বিষয়টি বাইরে অবস্থান নেওয়া দুটি ট্যাংকের ভেতরে থাকা সৈন্যদের জানান। এরপরও ভবটিতে ট্যাংক থেকে হামলা চালানো হয়।
এদিকে, ট্যাংক বাহিনীর দাবি, তারা একটি জানালা দিয়ে ভবনটির ভেতরে অস্ত্রের ব্যারেল দেখতে পেয়েছিলেন। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে ভবনটির ভেতরে শত্রু বাহিনী অর্থাৎ হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা রয়েছেন। ফলে তারা দুটি শেল নিক্ষেপ করেন।
এই পাঁচ সেনার তাদের মৃত্যুতে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা ২৭৮ এ পৌঁছালো।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সরবরাহের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
সোমবার ইউরোপীয় কাউন্সিল জানায়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোয় অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহের কারণে ইরানের সাত ব্যক্তি ও সাতটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে ও তারা ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- ইরানের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সৈয়দ হামজা ঘালানদারি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের কুদস ফোর্সের উচ্চপদস্থ সদস্য ও ইরানের তিনটি বিমান সংস্থা যার মধ্যে ইরান এয়ারও রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লায়েন এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসী যুদ্ধে ইরান সরকারের সমর্থন অগ্রহণযোগ্য ও এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমি রাশিয়ায় ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপকে স্বাগত জানাই।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহাও এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, যারা আগ্রাসনকে সমর্থন দেয়, তাদের অবশ্যই দায় নিতে হবে ও মূল্য দিতে হবে।
ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, ইরান রাশিয়ায় কোনও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেনি। এসব নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
এর আগে সোমবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এছাড়া গত শুক্রবার ইরানের তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসের শীর্ষ নেতা, সহযোগী এবং বিভিন্ন ক্যাম্প লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বি-৫২, এফ-১৫ এবং এ-১০ সহ একাধিক মার্কিন বিমান ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটিতে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমেই সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।
২০০০ সালের জুলাই মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।
২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধকে ঘিরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। সম্ভবত তার আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পরবর্তী টার্গেট সিরিয়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইরাকে তাদের বিরোধীদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সহায়তার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছিল। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি বৈরুতে বিস্ফোরণে নিহত হলে এ ঘটনার জন্য অনেকে সিরিয়া ও তার সহযোগীদেরই দায়ী করে।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ক্রেমলিনের সূত্র উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদ ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের একটি সূত্র বলেছে, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিল। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনার পুনরারম্ভের জন্য জোর দিচ্ছি।
তাসের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে দেশটির প্রথম উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেছে। পলিয়ানস্কি বলেন, আসাদ সরকারের পতনের গভীরতা এবং এর প্রভাব রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী হতে পারে, তা এখনই বলা কঠিন।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দিনে চালানো বিরল হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজের সময় একটি শিশু হাসপাতালেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
কিরিভিহ রিহ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানিয়েছেন, ওই এলাকায় রাশিয়ার হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও পেক্রোভস্কে তিন জন নিহত হয়েছে, ডিনিপ্রো শহরে একজন নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোল্যান্ড শহরে থাকা অবস্থায় জানিয়েছেন, এই দিন তার দেশে ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ, দিনিপ্রো, কিরিভি রিহসহ বিভিন্ন শহরে ৪০টির বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে আবাসিক ভবন, অবকাঠামো ও শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে জ্বালানি তেলের আমদানি-রপ্তানি। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর ওপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
এসব দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের টার্মিনালগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। মঙ্গলবার (২১ মে) গবেষকরা সতর্ক করে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বরফ গলে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, যা শুধু মূল তেল বন্দরগুলোকে ডুবিয়ে দেবে বা বিশ্বব্যাপী তেল বাণিজ্যকে ব্যাহতই করবে না বরং উপকূলীয় শোধনাগার ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোকেও প্লাবিত করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের ২০২১ সালের একটি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী চলতে থাকলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ গড় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটারেরও বেশি বাড়তে পারে। অথবা দুই মিটার বৃদ্ধির বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
ক্রুড অয়েল আমদানি-রপ্তানির বন্দরগুলোর অবকাঠামো সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডব্লিউআর জানিয়েছে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিচু বন্দর ও বাঙ্কারিং সুবিধাগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
বলা হয়েছে, যদি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বাড়ে, তাহলে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি ট্যাংকার টার্মিনালের মধ্যে ১২টির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যার মধ্যে পাঁচটিই এশিয়াভিত্তিক।
এক্ষেত্রে সৌদি আরব, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রপ্তানি করা ক্রুড অয়েলের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান। আজ বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিপক্ষে গিয়ে ইসরায়েলকে সমর্থন করায় তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ইরান জানিয়েছে সাত মার্কিন নাগরিক আছে তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। এর মধ্যে আছেন জেনারেল ব্রায়ান পি ফেন্টন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযানের কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন। আছেন ভাইস অ্যাডমিরাল ব্রাড কুপার, তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহরের সাবেক কমান্ডার।
ব্রিটিশ নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানও আছে এই নিষেধাজ্ঞায়। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস আছেন ইরানের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত কমান্ডের কমান্ডার জেমস হকেনহল এবং লোহিত সাগরের রয়্যাল নেভির বহরের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরান।
এছাড়াও মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন, শেভরন এবং ব্রিটিশ এলবিট সিস্টেমস, পার্কার মেগিট ও রাফাল ইউকের ওপরও বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ওই ব্যক্তি ও কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হবে। তারা কোনোভাবেই ইরানি ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারবে না।
মন্তব্য করুন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুক্রবার বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানে আকস্মিক বন্যার (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) সৃষ্টি হয়। এ বন্যায় কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও হতাহতের শঙ্কা রয়েছে।
শুধুমাত্র বাগলানি জাদিদ বিভাগে ১ হাজার ৫০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
তবে তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে ৬২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের আরও কয়েকটি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এভাবে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে শনিবার উত্তরাঞ্চলের তাকহার প্রদেশে বন্যায় ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবারের বৃষ্টিতে বাদাকশান প্রদেশ, মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশ এবং পশ্চিমাঞ্চলের হেরাতেও বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এ বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দেশটি প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।
মন্তব্য করুন