সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিমান হামলা


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসের শীর্ষ নেতা, সহযোগী এবং বিভিন্ন ক্যাম্প লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বি-৫২, এফ-১৫ এবং এ-১০ সহ একাধিক মার্কিন বিমান ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমেই সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

২০০০ সালের জুলাই মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।

২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধকে ঘিরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। সম্ভবত তার আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পরবর্তী টার্গেট সিরিয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইরাকে তাদের বিরোধীদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সহায়তার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছিল। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি বৈরুতে বিস্ফোরণে নিহত হলে এ ঘটনার জন্য অনেকে সিরিয়া ও তার সহযোগীদেরই দায়ী করে।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ক্রেমলিনের সূত্র উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদ ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।

ক্রেমলিনের একটি সূত্র বলেছে, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিল। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনার পুনরারম্ভের জন্য জোর দিচ্ছি।

তাসের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে দেশটির প্রথম উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেছে। পলিয়ানস্কি বলেন, আসাদ সরকারের পতনের গভীরতা এবং এর প্রভাব রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী হতে পারে, তা এখনই বলা কঠিন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

বাবা সিদ্দিককে হত্যা নিয়ে তোলপাড়, দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের

বাবা সিদ্দিককে হত্যা নিয়ে তোলপাড়, দায় স্বীকার করেছে  লরেন্স বিষ্ণুই গ্যাংয়ের
বাবা সিদ্দিক,


ডেস্ক রিপোর্ট:

মুম্বইয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিককে। তার এই মৃত্যুকে ঘিরে ভারতে তোলপাড় চলছে। সব মিডিয়ায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এ ঘটনা। লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সব কাহিনী। কারণ, বাবা সিদ্দিক একজন নামকরা রাজনীতিক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন হরিয়ানার গুরমাইল বলজিত সিং (২৩) এবং উত্তর প্রদেশের ধর্মরাজ কাশ্যপ (১৯)। তৃতীয় জন উত্তরপ্রদেশের শিব কুমার গৌতম হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চতুর্থ একজন এই ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলে মনে করা হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে  লরেন্স বিষ্ণুই শনিবার রাতের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, তিনি একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের সদস্য। এই গ্যাংয়ের নাম লরেন্স বিষ্ণুই। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। অভিযোগ আছে লরেন্স বিষ্ণুই পাঞ্জাবের খালিস্তানপন্থি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। এই গ্যাংয়ে অস্ত্র চালাতে দক্ষ এমন সদস্য আছে ৭০০।

কে এই লরেন্স বিষ্ণুই: লরেন্স বিষ্ণুইয়ের জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। ২০১০ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবন কেটেছে রাজ্যের আবোহার শহরে। এরপর তিনি ডিএভি কলেজে ভর্তি হতে চণ্ডিগড়ে পাড়ি জমান। ২০১১ সালে যোগ দেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস স্টুডেন্টস কাউন্সিলে। সেখানে তার পরিচয় হয় ‘গ্যাংস্টার’ গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। রয়েছে হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের কোনোটাই স্বীকার করেননি তিনি। গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে কারাগারে বসেও বাইরের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে চণ্ডিগড়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেন বিষ্ণুই। ২০১৩ সাল নাগাদ তিনি ত্রাস সৃষ্টিকারী এক চরিত্রে পরিণত হন। কয়েকটি হত্যার সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে পড়ে। পরে তার গ্যাং মদ বেচাকেনা ও অস্ত্র চোরাচালানে অর্থ লগ্নি  শুরু করে। হত্যাকারীসহ ভয়ংকর সব অপরাধীদেরও আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়ে আসছে তারা। লরেন্স বিষ্ণুইয়ের নাম নতুন করে সামনে আসে ২০২২ সালে। সে বছরের ২৯ মে পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসওয়ালাকে হত্যা করা হয়।

কারাগারে বিষ্ণুই: ২০১৪ সালে রাজস্থান পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয় লরেন্স বিষ্ণুইয়ের। এরপর তিনি কারাবন্দী হন। সেখান থেকেই আরও সংঘবদ্ধভাবে অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি। কারাগারে থাকাকালে জস্বিন্দর সিং ওরফে রকি নামের আরেক অপরাধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। ২০১৬ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রকি। বন্দী অবস্থায়ও লরেন্স বিষ্ণুইয়ের প্রভাব-প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছিল। রাজস্থানের ভারতপুর জেলায় যে কারাগারে তিনি বন্দী ছিলেন, সেখানকার কর্মকর্তাদের হাত করে নানা কার্যসিদ্ধি করতেন। ২০২১ সালে তাকে সেখান থেকে দিল্লির তিহার কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, আইপি কলের মাধ্যমে গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বিষ্ণুই। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ভারতের ডানপন্থী নেতা সুখদেব সিং গোগামেদিকে জয়পুরে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সুখদেবের সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন চা পান করছেন। তিনিই গুলি চালান। পরে বিষ্ণুইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত গোদারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সুখদেবকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। ২০১৮ সালে বলিউড তারকা সালমান খানকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে বিষ্ণুই গ্যাং। সে বছর মুম্বইয়ে সালমানের বাসায় হানা দেন সাম্পাথ নাথ নামে বিষ্ণুই গ্যাংয়ের এক সদস্য। তিনি দাবি করেন, কালো হরিণ শিকারের কারণে সালমানকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার ওপর। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণুই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করে। সালমান খানকে সরাসরি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন লরেন্স বিষ্ণুই। ভারতের যোধপুরে আদালতে এক শুনানি চলাকালে তিনি বলেছিলেন, ‘সালমান খানকে এই যোধপুরেই হত্যা করা হবে। তারপর তিনি আমাদের সত্যিকারের পরিচয় জানতে পারবেন।’

এরপর ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সালমান খানের বাসার বাইরে গুলি চালানো হয়। এই এলাকাতেই শনিবার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা সিদ্দিক। সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল তার। সালমানের বাসার বাইরে গুলির পর সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, এ কাজের জন্য দু’জনকে ভাড়া করেছিল বিষ্ণুই গ্যাং।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ

আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ
বিক্ষোভ মিছিল


স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামক একটি সংগঠনের সমর্থকেরা হামলা চালায়। তারা হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে সেটিতে আগুন দেয় এবং ভাঙচুর করে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, “যদি এমন ষড়যন্ত্র চলতে থাকে, তবে সারা বাংলার মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।”

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলা শাখার আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান, সংগঠক বিল্লাল হোসেন, মুখ্য সংগঠক আরাফ ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত হিমু প্রমুখ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

শুরু হলো ইংরেজি নতুন বর্ষ ২০২৫

শুরু হলো ইংরেজি নতুন বর্ষ ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়ে শুরু হলো নতুন বর্ষ ২০২৫। মহাকালের স্রোতে হারিয়ে গেল আরও একটি বছর। দুঃখ-কষ্ট ভুলে, নতুন স্বপ্ন আর আশা নিয়ে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি ২০২৫ সালকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানান আয়োজনের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় নববর্ষ উদযাপন।


বিদায় মানেই স্মৃতি আর অনুভূতির মিশ্র আবেগ। একটি বছরের গল্প যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। বিদায়ী বছর নিয়ে আসে আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। আজকের ভোরের সূর্য নতুন দিনের বার্তা নিয়ে এসেছে। গেল বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটেছে নানান ঘটনা। কিন্তু জীবন চলছে তার আপন গতিতে, আর মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে নতুন স্বপ্ন আর আশার আলোয়।


পুরোনো বছরের গ্লানি ভুলে, নতুন বছরের উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে মানুষ। বিশেষত, ৩১ ডিসেম্বরের রাতটি ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ হিসেবে উদযাপন করে বিভিন্ন দেশ। এই উৎসবের আনন্দ বাংলাদেশেও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে।


২০২৪ সালের সব কষ্ট আর হতাশা পেছনে ফেলে, ২০২৫ সালের নতুন প্রত্যাশা ও উদ্দীপনায় মধ্যরাতের ১২টা ১ মিনিটে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় নববর্ষ উদযাপন। দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সমাজ, বিভিন্ন কর্মসূচি ও আনন্দ আয়োজনে অংশ নেয়।


এদিকে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভ কামনা বিনিময়ে মেতে উঠেছে দেশের মানুষ। প্রিয়জনদের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বছরের আনন্দ উদযাপন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়লেন ক্রুদ্ধ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়লেন ক্রুদ্ধ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত
ফিলিস্তিনের ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের সমর্থনে একটি প্রস্তাব পাস করার ঠিক আগে জাতিসংঘের সনদটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললেন ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান।

সাধারণ সভায় ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। যার মধ্যে ছিল ইসরাইলের ‘বন্ধু’ ভারতও। অন্যদিকে ২৫টি দেশ এই ভোটদান থেকে বিরত থাকে। আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ৯টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভোট নিয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যায়।

যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন, আজকের এই দিনটা অন্যতম কালো দিন হিসাবে লেখা থাকবে। ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের একটি ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, এটি গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটোকে নস্যাৎ করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত। আমি একটা আয়না দেখাতে চাই আপনাদের।

জাতিসংঘে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়। আজ এমন একটা দেশকে সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানানো হল যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ তা আপনারাই আজকে ছিড়ে ফেললেন। আমি তারই প্রতিচ্ছবি।

ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজও রেজ্যুলেশন পাসের নিন্দা করেছেন। একে একটি ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন, যা ‘জাতিসংঘের পক্ষপাতের দিকটি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হামাস সন্ত্রাসীদের জন্য একটি পুরষ্কার। কারণ তারা হলোকাস্টের পর থেকে ইহুদিদের ওপর সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য অনুরোধ করবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সতর্ক করেছে, তারা সম্ভবত নিরাপত্তা পরিষদে এই ধরনের একটি অনুরোধে ভেটো দেবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবকে বাধা দিতে তার ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে।

জাতিসংঘের নথি অনুযায়ী, একটি খসড়া রেজ্যুলুশন পাস করার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পক্ষে কমপক্ষে নয়জন সদস্য থাকতে হবে এবং ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে এর স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ নেই। তারা হল চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা


ডেস্ক রিপোর্টঃ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।

সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।

জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।

ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।

তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।

সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।

সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

হাসিনা-রেহানাসহ পরিবারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

হাসিনা-রেহানাসহ পরিবারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
শেখ হাসিনার ছবি 20

ডেস্ক রিপোর্ট:

শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং টিউলিপ সিদ্দিকসহ তাদের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) সহ ৯টি প্রকল্পে এসব দুর্নীতি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া আটটি প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় প্রকল্পগুলোর দুর্নীতি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

এর আগে ১৫ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম তমাল।

এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

অক্টোবরে ১৯ দিনে রেমিট্যান্স ১৮,৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
ডলারের ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব
শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা




বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।


সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করেছে।


বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এ নির্দেশের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।


বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।


বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে কীভাবে টাকা এসেছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।


এছাড়া সেই অর্থ পরবর্তী সময়ে কোথায় খরচ হয়েছে, নগদে উত্তোলন হয়েছে কি না, এসব বিস্তারিত তথ্যও চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে এই ট্রাস্টের ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। তার বোন শেখ রেহানা অন্যতম ট্রাস্টি।


এছাড়া অন্য যারা এই ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত কিংবা যেসব অ্যাকাউন্টে ট্রাস্টের হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে, জমা হয়েছে, তাদের তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।


বিএফআইইউর আরেক চিঠিতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ও ধারাভাষ্যকার চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তার ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত, এবং তাদের মা ডালিয়া চৌধুরী-র হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।


এর আগে, তাদের আরেক ভাই ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বিএফআইইউ। তাদের পরিবারের সঙ্গে শেখ হাসিনা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

জুলাই গণহত্যা সহ ১৫ বছরের সব অপরাধের বিচার করা হবে: ড. ইউনূস

জুলাই গণহত্যা সহ ১৫ বছরের সব অপরাধের বিচার করা হবে: ড. ইউনূস
ইউনূস নতুন ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘অসংখ্য মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে এই সময়ে। আমরা গুমের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেছি। কমিশন প্রধান আমাকে জানিয়েছেন, অক্টোবর পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৬০০ গুমের তথ্য পেয়েছেন। তাদের ধারণা, এই সংখ্যা ৩ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই কমিশনের কাছে গুমের অভিযোগ করতে ভয় পাচ্ছেন, এই ভেবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা তারা আবার আক্রান্ত হতে পারেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আপনারা দ্বিধাহীন চিত্তে কমিশনকে আপনার অভিযোগ জানান। কোনো শক্তি নেই যারা আপনাদের গায়ে আবার হাত দিতে পারবে।’’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘গুম কমিশনের সদস্যদের কাছে যেসব বিবরণ আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের পর ছাত্র-ছাত্রীরা শহর-বন্দরগুলোতে দেয়াল ও দেয়ালে তাদের মনের কথা লিখেছে। তাদেরও যারা আগে গুমের শিকার হয়েছে, প্রতিটি গোপন আস্তানার দেয়ালে তারা লিখে গেছেন, রেখেছেন তাদের কষ্টের মর্মস্পর্শী বিবরণ। এসব কষ্টের কথা শুনে আমাদের হৃদয় কেঁপে উঠেছে। এসবের সঙ্গে জড়িতদের আমরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবই।’’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত যতই শক্তিশালী হোক, যে বাহিনীরই হোক তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেবল দেশে নয়, গুম, খুন এবং জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আমরা আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নিয়েছি। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান কৌশলী করিম খানের সঙ্গে আমার ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে না পড়তে পারে, সে জন্য আমরা গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছি। আপনারা দেখেছেন, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন। জাতিসংঘ জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তারা আমাদেরকে তাদের রিপোর্ট হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অতীতের গুমের ঘটনাগুলোর তদন্তকাজেও আমরা নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা করতে ঢাকায় তারা তাদের জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।’’

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণ করে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০

হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন: আইন উপদেষ্টা

হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি মিথ্যাচার করেছেন: আইন উপদেষ্টা
রাষ্ট্রপতি, আইন উপদেষ্টা


ডেস্ক রিপোর্টঃ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ এবং ‘শপথ ভঙ্গের শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল, যিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। কারণ, ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন।’’ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পরামর্শ চাওয়া হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করা উচিত। প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিরা এ বিষয়ে মতামত দেন, যার প্রথম লাইন ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু পদত্যাগ করেছেন...।’ এরপর সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় একটি নোট রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়, যা তিনি গ্রহণ করেন এবং তার ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেন।’’

আসিফ নজরুলের মতে, ৫ আগস্টের ভাষণ এবং এর পরবর্তী কার্যক্রম প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা সত্যিই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন প্রায় আড়াই মাস পর রাষ্ট্রপতি যদি বলেন, তিনি পদত্যাগপত্র পাননি, তবে এটি স্ববিরোধী বক্তব্য এবং শপথ ভঙ্গের শামিল। এতে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সংবিধানে বলা আছে, যদি রাষ্ট্রপতির শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতা না থাকে কিংবা তিনি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তবে তার পদে থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।’’ 

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির এমন স্ববিরোধী কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। তিনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন, তবে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন। 

‘‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না...’’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখায় মতিউর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে তিন সপ্তাহ অনুসন্ধান চালান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খোঁজ নিয়ে দেখেন, সেখানে কোনো পদত্যাগপত্র জমা নেই। পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করেন। 

সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতির কাছে জানতে চাইলে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে আছে কি না, জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাইনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘৫ আগস্ট সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ফোন আসে, বলা হয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে এসে সাক্ষাৎ করবেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই জানানো হয়, তিনি আসবেন না।’’ 

তিনি বলেন, ‘‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যখন বঙ্গভবনে এলেন, তখন আমি তার কাছে জানতে চাই, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন কি না। কিন্তু তিনিও বলেন, শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে আসেন। তখন আমি তাকে বলি, আমিও এটি খুঁজে পাইনি।’’ 

এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঘিরে জটিলতা ও বিতর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: ৯ আসামি খালাস

শ্রম আইন আইএলও’র মানদণ্ডে নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা

‘জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে থাকছে শতাধিক সুপারিশ’

মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে: উপদেষ্টা

সৌদি, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

শেখ হাসিনার সহযোগীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বিপুল অর্থ ব্যয় করছে

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম আবারও বাড়লো

চেষ্টা করবো বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে: উপদেষ্টা

দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

ইভিএম নিয়ে বিপাকে ইসি, নতুন পরিকল্পনা মেশিন সংরক্ষণে

১০

ইজতেমায় ১ মুসল্লির মৃত্যু

১১

‘হরতাল দিয়ে নাশকতার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে’

১২

৫ আন্তঃনগর ছাড়া সব ট্রেন দাঁড়াবে টঙ্গী স্টেশনে

১৩

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝুঁকি নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

১৪

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন

১৫

এবার সীমান্ত সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় ‘টোনটা’ আলাদা হবে: উপদেষ্টা

১৬

‘বিশ্ব ইজতেমায় ৬ হাজার পুলিশ দ্বায়িত্ব পালন করবে’

১৭

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

১৮

মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: উপদেষ্টা

১৯

রেলের রানিং স্টাফদের দাবি পূরণে আলোচনা চলছে: রেল উপদেষ্টা

২০