খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিক থেকেই দেশবাসীর খবর জানতে চাইলেন

খালেদা জিয়া লন্ডন ক্লিনিক থেকেই দেশবাসীর খবর জানতে চাইলেন
ছবি: সংগৃহীত




সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের কাছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।


শনিবার (১১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় লন্ডনের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান আব্বাস দম্পতি। সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমে সেই বিষয়ে তারা বিস্তারিত জানান।


মির্জা আব্বাস বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাননি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার সম্পর্কে নানা বাজে মন্তব্য করতেন। তবে এখন তিনি ভালো আছেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আমরা আশা করি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।”


তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সেরা চিকিৎসকদের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। মানসিকভাবে তিনি সব সময় শক্ত ছিলেন এবং এখনো ভালো আছেন। আমরা তার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। শুধুমাত্র তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। তবে তিনি আমাদের দেশের মানুষ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।”


তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক নির্দেশনা পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি প্রতি সপ্তাহেই তার সঙ্গে অফিসিয়ালি কথা বলার সুযোগ পাই। নির্দেশনা আমরা সেখান থেকেই পেয়ে থাকি। তবে এই সফরে কোনো রাজনৈতিক নির্দেশনা পাইনি।”


আফরোজা আব্বাস বলেন, “খালেদা জিয়া আমাকে নাতি-নাতনিদের খোঁজখবর নিয়েছেন। দেশের পরিস্থিতি ও মহিলা দলের সদস্যরা কেমন আছেন, সেটাও জানতে চেয়েছেন। তিনি দেশের মানুষ সম্পর্কে খুবই চিন্তিত। আমরা আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন।”


এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস দম্পতি গত শুক্রবার লন্ডনে পৌঁছান।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে: আইজিপি

গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে: আইজিপি
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে, যা পুলিশের পেশাদারিত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করা।


শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


আইজিপি আরও বলেন, দলীয় স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। পুলিশ যেন ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার না হয়, সেজন্য পুলিশের সংস্কারে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে লুট হওয়া ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ২ হাজার অস্ত্র উদ্ধার বাকি রয়েছে। এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।


তিনি বলেন, মামলার ক্ষেত্রে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে। যেসব নিরীহ মানুষকে ভুলক্রমে আসামি করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না। হয়রানি এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

জুনে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে

জুনে ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে
ছবি: সংগৃহীত



জুন মাসজুড়ে দেশে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের ৩০ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬২ কোটি ৮১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। পাশাপাশি এই সময়ে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪০ কোটি ৬২ লাখ এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭৮ কোটি ৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।


তবে বিদায়ী জুনজুড়ে ৮টি ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংক ছাড়াও একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ও ২টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।


এই ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক পিএলসি।


এছাড়াও বিদায়ী জুনে বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও দেশে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।


এর আগে চলতি বছরের মার্চে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে বৈধ পথে ৩৩০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সবশেষ গত এপ্রিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।


তবে সেই রেকর্ড গত মে মাসে ভেঙেছে। বিদায়ী মাসটিতে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হা’মলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বিমান হামলা


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ৭৫টি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এসব হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আইএসের শীর্ষ নেতা, সহযোগী এবং বিভিন্ন ক্যাম্প লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, বি-৫২, এফ-১৫ এবং এ-১০ সহ একাধিক মার্কিন বিমান ৭৫টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অভিযানের মুখে ব্যক্তিগত বিমানে করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাশার আল-আসাদ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমেই সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

২০০০ সালের জুলাই মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন বাশার আল-আসাদ। একই সময়ে তিনি বাথ পার্টির নেতা ও সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্বও নেন। তবে তার শাসনের এক দশক পর অর্থাৎ ২০১১ সালে সিরিয়ার জনগণ গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামলে তিনি কঠোর দমননীতি গ্রহণ করেন।

২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধকে ঘিরে বাশার আল-আসাদের সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন। সম্ভবত তার আশংকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর পরবর্তী টার্গেট সিরিয়া হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র সেসময় ইরাকে তাদের বিরোধীদের কাছে অস্ত্র চোরাচালানে সহায়তার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছিল। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ২০০৫ সালে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি বৈরুতে বিস্ফোরণে নিহত হলে এ ঘটনার জন্য অনেকে সিরিয়া ও তার সহযোগীদেরই দায়ী করে।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ক্রেমলিনের সূত্র উল্লেখ করে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবরে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদ ও তার পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া।

ক্রেমলিনের একটি সূত্র বলেছে, রাশিয়া সবসময় সিরিয়ার সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে ছিল। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনার পুনরারম্ভের জন্য জোর দিচ্ছি।

তাসের খবরে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার কর্মকর্তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিদ্রোহীরা সিরিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে দেশটির প্রথম উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি জানান, সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বৈঠকের সময় নিশ্চিত করেছে। পলিয়ানস্কি বলেন, আসাদ সরকারের পতনের গভীরতা এবং এর প্রভাব রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী হতে পারে, তা এখনই বলা কঠিন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি: আইনজীবী শিশির মনির

১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি: আইনজীবী শিশির মনির
ছবি: সংগৃহীত

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন এবং স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম, বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।


গত বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানিয়ে জারি করা রুলের শুনানির সময় এই মন্তব্য করেন শিশির মনির।


এদিন, বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।


শিশির মনির আরও বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকরা সরকারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন এবং তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। বিচারকদের ওপর এমন চাপ রয়েছে যে, তাদের রাতে কোর্ট বসিয়ে সাজা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, এবং সরকারের পছন্দের আদেশ না দেওয়ার কারণে অনেক বিচারককে পদবিন্যাস করে বান্দরবানে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অনেক বিচারককে কষ্টে চোখের পানি ফেলতে দেখা গেছে।


তিনি যুক্ত করেন, এই অনুচ্ছেদটি অপসারণ করা হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে।


এছাড়া, ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিষয়টি কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। এর আগে, ২৫ আগস্ট এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দাবি করা হয়, অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলাবিধির দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়।


রিট আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জহিরুর ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, শাইখ মাহাদী, আবদুল্লাহ সাদিক, মো. মিজানুল হক, আমিনুল ইসলাম শাকিল এবং যায়েদ বিন আমজাদ।


রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়।


রিটে ২০১৭ সালে প্রণীত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (ডিসিপ্লিনারি) রুলসের সাংবিধানিক বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা এবং ২০১২ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।


রিট আবেদনে আরও বলা হয়:


১. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ১১৬ অনুচ্ছেদ এটি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, এবং একইসাথে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বাস্তবায়ন কার্যত আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।


২. সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী বিলুপ্ত হয়েছে, পঞ্চম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে ১১৬ এর বিধান বহাল রাখা হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি।


৩. পৃথক সচিবালয় না থাকার কারণে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা অধস্তন আদালতের বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

কুমিল্লায় চট্টলা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৭ যাত্রী নিহত

কুমিল্লায় চট্টলা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় অটোরিকশার ৭ যাত্রী নিহত
অটোরিকশার ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের আলী আহমদ, রফিক মিয়া, সাজু মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু বেগম ও সফরজান বেগম এবং পাশের খোদাইধুলি গ্রামের হোসনে আরা বেগম।

ওসি মো. এমরান হোসেন জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে কালিকাপুর রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি রেলপথ থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই ৪ যাত্রী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ৪ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় পথে একজন এবং হাসপাতালে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব

আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের পাঠানো যাবে কি না বলা যাচ্ছে না: প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত




আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারবো কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 


শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।


ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের চাপ সৃষ্টি করে যেতে হবে যাতে তারা স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।


তিনি জানান, বার্মিজ সামরিক জান্তাকে খুশি করার জন্য তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র ঘনিষ্ঠ চাটুকার ও কিছু কূটনীতিক রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন নাম তৈরি করেছিলেন- FDMN, অর্থাৎ 'জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক'। এই শব্দটি আসলে বার্মিজ গণহত্যার মূল আখ্যানকে মেনে নেয়ার একটি কৌশল, যেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো 'FDMN' নয়- তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। 'FDMN' শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।


প্রেস সচিব আরও বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। (আমি নিজে ওই দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম)


রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

জুলাইয়ে সব শহিদদের জাতীয় বীর ঘোষণা

জুলাইয়ে সব শহিদদের জাতীয় বীর ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব শহিদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে শহিদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা ও আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে সব ধরনের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে।


মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে বিষয়টি উঠে আসে।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড : প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত




চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড আখ্যায়িত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘নেপাল-ভুটান, সেভেন সিস্টার্সেরও হৃৎপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দর।’


বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজ জন্মস্থান চট্টগ্রামে এটাই তার প্রথম সফর।


প্রধান উপদেষ্টা জানান, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশেপাশের দেশের জন্যও। যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভুটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথাও বললাম। সবার জন্য মৃত্যুঞ্জয়।’


তিনি জানায়, ‘নেপালের জন্য হৃৎপণ্ডিই নেই। কাজেই আমাদের হৃৎপিণ্ড দিয়ে এটা জ্বালতে হবে। আমরা তাদের সংযুক্ত করতে চাই। এটা তাদেরও লাভ আমাদেরও লাভ। এই হৃৎপিণ্ডে যদি সংযুক্ত হয় সে লাভোবান হবে আমরাও লাভবান হবো। ভুটান যদি সংযুক্ত হয় তারা লাভবান হবে আমরাও হবো। সেভেন সিস্টার যদি যুক্ত হয় তারাও লাভবান হবে আমরাও হবো। এই হৃৎপিণ্ডকে বাদ দিয়ে চললে, যারা এটাকে বাদ দেবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বহুদিন ধরে ইচ্ছে ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে আসব এবং এর অগ্রগতির খোঁজ নেব, সবার সঙ্গে কথা বলব, এই অপেক্ষাতেই ছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দর আমার কাছে অপরিচিত কোনো জায়গা নয়। ছাত্র অবস্থায়ই এখানে এসেছি, শুধু জাহাজ দেখার আগ্রহে। তখন জাহাজ থেকে মাল খালাসের দৃশ্য দেখেছিলাম, সেটা ছিল একদম ভিন্ন অভিজ্ঞতা।’


তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু বরাবরের মতোই দুঃখ একটাই, এই বন্দরের পরিবর্তন এত ধীরগতিতে কেন? দুনিয়ার সব কিছু পাল্টে যাচ্ছে, কিন্তু এখানে তেমন পরিবর্তন নেই। এটা আজকের প্রশ্ন না। যখন গাড়ি চলে না, ট্রাক আটকে যায়, মাল খালাস করা যায় না, তখন কতবার গুরুত্বপূর্ণ প্লেন মিস করেছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে মাঝে মাঝে কথা বলেছি, লেখালেখিও করেছি।’


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার যখন সুযোগ পেলাম, প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছি, কীভাবে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা যায়। এটাকে কি সত্যিকারের বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা যায় না? আমরা সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। প্রেজেন্টেশনে যেভাবে ছবিগুলো দেখানো হলো, ভালো লেগেছে। দুনিয়ায় অন্যরা এখানে থেমে নেই, তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেখার সময় মনে হচ্ছিল, স্ক্রিনের এক পাশে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান, অন্য পাশে বিশ্বের বর্তমান, তখনই বোঝা গেল আমরা কতটা পিছিয়ে আছি।’


তিনি আরও বলেন, ‘সার্বিকভাবে এই বন্দরে বড় পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে, কিন্তু কারো মনে হয় না এটার দরকার আছে। তবে ফোন ধরেন চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সাহেব, তার কথা শুনে আশ্বস্ত হলাম, অন্তত একজন আছেন যিনি মন দিয়ে শোনেন। আমাদের কাজ হচ্ছে তাকে সহায়তা করা।’


তিনি বলেন, ‘আমি সাখাওয়াতকে বলেছি, আমি আর শুনতে চাই না, অমুক তারিখের মধ্যে সব দিয়ে দিতে হবে। যারা বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ, পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, তাদের দিয়ে এই কাজ করাতে হবে। যেভাবেই হোক। মানুষ যদি রাজি না হয়, জোরাজুরি নয়, রাজি করিয়েই করতে হবে। কারণ, এই কাজের জন্য রাজি না হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। সবাই চায়, বন্দরের উন্নয়ন হোক। আমি আশিককে পাঠিয়েছি, যাতে সে গিয়ে মানুষকে বোঝায়, আমরা কী করতে চাই, কেন করতে চাই। সেও চেষ্টা করছে।’


ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার চিন্তার কারণ একটাই, বাংলাদেশের অর্থনীতি যদি সত্যিই বদলাতে হয়, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের একমাত্র ভরসা। এটাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনো নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে পারবে না। এর পথ খুলে দিলে দেশের অর্থনীতির পথ খুলবে। আর না খুললে যতই আমরা লাফালাফি বা ঝাঁপাঝাঁপি করি, কিছুই হবে না।’


তিনি আরও বলেন, ‘কেন আমি এটি নিয়ে ভাবি। একজনকে বলছিলাম, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড। হৃদপিণ্ড দুর্বল হলে ডাক্তার, পদ্ধতি সব কিছু এনে লাভ নেই। কারণ ছোট্ট এই হৃদপিণ্ডটাই যদি রোগাক্রান্ত হয়, তাহলে পুরো শরীরই চলবে না।’


চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-৫ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখান থেকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেল কাম সড়ক সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উন্মোচন করবেন। দুপুর দুইটায় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন।


সমাবর্তন শেষে বিকেলে জোবরা গ্রামে গ্রামীন ব্যাংক পরিদর্শন এবং হাটহাজারীর বাথুয়া গ্রামে নিজ পৈত্রিক নিবাসে যাবেন। সন্ধ্যায় তিনি বিমানযোগে ঢাকায় ফিরবেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে আগামীকাল

ভারত থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে আগামীকাল
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে আমদানি করা চালের প্রথম চালান আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে পৌঁছাবে। ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল আমদানি করা হয়েছে।


বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


ভারত থেকে আমদানি করা এই চাল নিয়ে এমভি তানাইজ ড্রিম নামের জাহাজ আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌতপরীক্ষা সম্পন্ন করার পর দ্রুত খালাস কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০

মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম: রিজভী

মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম: রিজভী
রিজভীর ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির ‌রিজভী ব‌লেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সো‌হেল মু‌ক্তি প‌রিষ‌দের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সো‌হেল, সহ সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কা‌দির ভূইয়া জ‌ুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ‌্যা মামলা প্রত‌্যাহার ও মু‌ক্তির দা‌বি‌তে' এক মানববন্ধ‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।

ঢাকা মহানগর দ‌ক্ষি‌ণ স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নো‌মা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে মানববন্ধ‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন বিএন‌পির সেচ্ছা‌সেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদ‌লের সাধারণ সম্পাদক না‌সির উদ্দিন না‌সির প্রমুখ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মব সৃষ্টিকারীরা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবে না: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

নিবার্চনে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিমান-নৌবাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গুজব নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: উপদেষ্টা আসিফ

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর

নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা, তদন্তের আশ্বাস

নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ, পেশাদার ও নৈতিক হতে হবে : সিইসি

এবারের নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে: ইসি আনোয়ারুল

ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন

জানুয়ারিতে সম্পন্ন হবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের যাবতীয় কার্যক্রম

আগামীকাল জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

১০

নতুন ডিবিপ্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম

১১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের অপরাধে ৭ বছর সাজা হতে পারে খায়রুল হকের: অ্যাটর্নি জেনারেল

১২

ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩

৯ জঙ্গিসহ এখনো পলাতক ৭০০ আসামি : কারা মহাপরিদর্শক

১৪

শপথ নিলেন নতুন ২৫ বিচারপতি

১৫

৫ দিনের রিমান্ডে তৌহিদ আফ্রিদি

১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৭

একাত্তরে অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে : ইসহাক দার

১৮

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা আটক

১৯

১৩ বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

২০