

ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইসরায়েলে মসজিদ থেকে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির চ্যানেল-১২'কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেন গভির এই নিষেধাজ্ঞা সম্পন্ন করতে দেশটির পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ এখন থেকে যেকোনো মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে এবং লাউড স্পিকারের কোনো সরঞ্জাম পেলে তা জব্দ করবে।
ইতামার জানিয়েছেন, লাউড স্পিকারে আজানে শব্দদূষণ হচ্ছে- বাসিন্দাদের এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ।
বেন গভির বলেছেন, সহকর্মী মন্ত্রী সিলম্যানের সঙ্গে মসজিদ থেকে অনর্থক শব্দ বন্ধ করার একটি নীতির নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত। এই অযৌক্তিক শব্দ ইসরায়েলের বাসিন্দাদের জন্য বিপদ হয়ে উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বেন গভির আরও লিখেছেন, প্রার্থনা একটি মৌলিক অধিকার, তবে এটি বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান কমানোর বিনিময়ে আসতে পারে না।
দেশটির বিরোধীদলীয় কিছু নেতা বেন গভিরের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। লেবার পার্টির গিলাদ কারিভ এক্সে লিখেছেন, বেন গভির ইসরায়েলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না তামিম ইকবাল। একসময় বোর্ডে সরাসরি কাজ করার আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তিনি সাধারণ পরিচালক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে শেষমেশ তিনি সরে দাঁড়ালেন। নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৬ অক্টোবর। আর তার আগে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম সরে দাঁড়ালেন বিসিবি নির্বাচন থেকে।
তামিম বাংলাদেশের অন্যতম সফল ক্রিকেটার। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়কদের তালিকাতেও তার নাম থাকবে ওপরের দিকে।
সেই তামিম এবার খেলোয়াড়ি জীবনের পাট চুকিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবদান রাখতে চেয়েছিলেন বোর্ডে এসে। বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তবে সেটা এবার আর হচ্ছে না।
এদিকে তামিম না থাকায় নির্বাচনে পরিচালক পদ নিয়ে লড়াইয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে যাবে। অন্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
মন্তব্য করুন


আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গেজেটের প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (সিইসি)। এবিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, গেজেট প্রকাশের পর দলের নিবন্ধন বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (১১ মে) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, গেজেট প্রকাশ হলে আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব। কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
যদি কাল গেজেট হয় তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিইসি আরও জানায়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আলোকে পরিস্থিতি আমাদের কাছে পরিষ্কার।’
গত ৭ মে মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গোপনে থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। এর সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন সংগঠন ও দল।
গত দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে রাজধানীসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। শনিবার রাতে গণদাবির পরিপ্রিক্ষিতে গত বছরের জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মন্তব্য করুন


কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজিকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। চাঁদাবাজ যত শক্তিশালীই হোক কিংবা যে পরিচয়ই দেয়া হোক, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাদক বহনকারীদের ধরা যাচ্ছে, কিন্তু মাদকের গডফাদারদের ধরা যাচ্ছে না। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন


পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, সারাদেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। পুলিশ যে পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, সেটি সবাই জানে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সারাদেশে চুরি, ছিনতাই ও খুন বন্ধ করার জন্য পুলিশের কাছে কোনো ম্যাজিক নেই। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ছাত্রসমাজের সহযোগিতা চাই। সবাই মিলে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, আগুন লাগার ঘটনা তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে।
এছাড়া, সমন্বয়কদের হুমকি সংক্রান্ত প্রতিটি ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে এখনো কোনো গুরুতর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, স্বাধীনতার পরে জনগণ এমন একটি পুলিশ বাহিনী চায়নি। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের পুলিশের ওপর এত ক্ষোভ কেন, তা বিশ্লেষণ করা উচিত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা আগেও যদি পুলিশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতো, তাহলে এত প্রাণহানি হতো না।
মন্তব্য করুন


জুলাইয়ে শহিদদের ত্যাগ জাতিকে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘জুলাই আমাদের নতুন করে আশার আলো- একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ আমাদের রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে তা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।’ সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার ও তার স্বার্থলোভী গোষ্ঠী এখনও দেশকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হবে। আসুন সবাই মিলে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে আর কোনো স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন আজ। এক বছর আগে এই দিনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পূর্ণতা পায়, দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয় প্রিয় স্বদেশ। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ, যাদের যূথবদ্ধ আন্দোলনের ফসল আমাদের এই ঐতিহাসিক অর্জন, তাদের সবাইকে আমি এই দিনে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে: রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, আজ আমি স্মরণ করছি সেই সব সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর ও পেশাজীবীদের, যারা ফ্যাসিবাদী শক্তিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে শাহাদত বরণ করেছেন। গণ-অভ্যুত্থানে শাহাদত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আহত সকল জুলাই যোদ্ধা, চিরতরে পঙ্গু হওয়া ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল জুলাই যোদ্ধাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল— একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ সকল লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই শহিদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে রাজনৈতিক ও নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় সকল সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চলমান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


চলতি মাসের সেপ্টেম্বরের প্রথম নয় দিনে দেশে এসেছে ১০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরেক হোসেন খান বলেন, সেপ্টেম্বরের ৯ দিনে ১০১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ছয় দিন) একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৫০ ডলার বেশি এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ৯ দিন পর্যন্ত ৫৯১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এসেছিল ৪৯৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ৯৪ কোটি ৭০ ডলার বেশি এসেছে। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর গত আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স এসেছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। আর পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
মন্তব্য করুন


দুঃখে-কষ্টে, বিপদে-সংকটে যে মানুষটি স্নেহের পরশ বিছিয়ে দেন, তিনি হচ্ছেন আমাদের সবচেয়ে আপনজন, মা। প্রতিটি মানুষের পৃথিবীতে আসা এবং বেড়ে ওঠার পেছনে প্রধান ভূমিকা একমাত্র মায়ের। মায়ের তুলনা অন্য কারো সঙ্গে চলে না। মায়ের সঙ্গে সন্তানের নাড়ির সম্পর্ক, যা একটু আঘাত পেলেই প্রতিটি মানুষ ‘মা’ বলে চিৎকার দিয়ে জানান দিয়ে থাকে।
ইসলামে মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে; সুতরাং আমার শুকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শুকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লুকমান, আয়াত : ১৪)
একদিন মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা আসসালামি (রা.) রাসুল (সা.)-এর খেদমতে হাজির হয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি জিহাদ করতে ইচ্ছুক। এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, তোমার মা আছেন? তিনি বলেন, আছেন। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মায়ের সেবায় নিয়োজিত থাকো, কেননা তাঁর পায়ের নিচেই জান্নাত।’
একবার এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসুল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বলেন, মা। লোকটি বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? তিনি বলেন, তোমার বাবা। (বুখারি ও মুসলিম ৪৫৮০)
আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি রাসুল (সা.) এর নিকট এসে বললো, আমি জিহাদে-সংগ্রামে অংশ নিতে চাই, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই। তখন রাসুল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার মাতা-পিতার কেউ কি জীবিত আছেন?’ লোকটি বলল, আমার মা জীবিত। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর নিকট যুদ্ধ-সংগ্রামে যেতে না পারার অপারগতা পেশ কর। এভাবে যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ, ওমরাহ এবং যুদ্ধ-সংগ্রামের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং মায়ের সেবা করো।’ (মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১৩৩৯৯)
মন্তব্য করুন


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশন সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই নির্বাচনের মুখোমুখি হব। সামনের নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ করতে সবার সহযোগিতা দরকার। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চায় কমিশন।’
রবিবার সকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সিইসি দলীয়ভাবে আচরণবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণফোরামসহ ৬ দলের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি। সংলাপটি বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
অন্য দলগুলো হলো—গণফ্রন্ট, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি।
এ ছাড়া দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), তৃণমূল বিএনপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াতসহ ৫৩টি দল নিবন্ধিত রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মানবতাবিরোধী মামলায় যারা অভিযুক্ত হবেন তারা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) আইনের সংশোধনীতে এমন বিধান যুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আইসিটি আইনের সংশোধনী আনা হয়।
এদিন বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব আরও জানায়, অধ্যাদেশটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩-এ নতুন সেকশন ২০ (সি) যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই আইনে সেকশন ৯ (১) এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একইভাবে, তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।
এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন তিনি।
মন্তব্য করুন


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ শুধু পরিবেশের জন্য নয়, অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার ভিত্তি। তাই এই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সব অংশীজনের সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বনকে কার্বন ট্রেডিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে অক্সিজেন সরবরাহকারী ও জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখতে হবে।
উন্নত বিশ্ব যদি শুধু কার্বন ক্রেডিট কেনে, তারা প্রকৃতপক্ষে নির্গমন কমাবে না। ডিগ্রেডেড বন পুনরুদ্ধার, কমিউনিটি-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সুফল প্রকল্পের ভেরিফিকেশন করাতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় বন জরিপের দ্বিতীয় চক্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বনবিষয়ক তথ্যভাণ্ডার গঠন, বনভিত্তিক নীতিনির্ধারণ, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, ভূপ্রকৃতি, ভূমি ব্যবহার ও ন্যাচারাল ক্যাপিটাল সংক্রান্ত মানচিত্র এবং সমন্বিত বন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আমাদের টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, এই কার্যক্রম একটি ভালো উদ্যোগ। এখন প্রয়োজন থার্ড পার্টি অ্যানালাইসিস, অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর মনিটরিং এবং পাঁচ বছর অন্তর তথ্য হালনাগাদ করা।
উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তার অপেক্ষায় না থেকে আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই ইনভেন্টরি পরিচালনা করতে হবে।
মন্তব্য করুন