অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌশলে প্রতিশোধও নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহিলা দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মাগুরাসহ দেশজুড়ে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
রিজভী বলেন, দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনার আমল থেকেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। এখন তো ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেই, তাহলে কারা এই হিংস্রতার সঙ্গে জড়িত? আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তা জানতে চাই।
প্রশাসন ঠিক থাকলে দেশে এমন বিশৃঙ্খলা হতো না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে করলে এমনটি হতো না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ে আছিয়ার ধর্ষণকারীদের বিচার করতে হবে, যেন অন্য অপরাধীরা ভয় পায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আছিয়ার বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
রিজভী আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে তাদের কাজ তদারকি করছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। অথচ তাদের থাকার কথা ক্লাসে ও লাইব্রেরিতে। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই তাদের উচিত ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে ধর্ষণকারীদের পুরস্কৃত করা হতো। আর বিএনপির সময়ে ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন বাড়ছে। তিনি মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের জনসম্মুখে বিচারের দাবি জানান।
ধর্ষিতা শিশুটির বোনের শাশুড়িরও ফাঁসি দাবি করে মহিলা দলের সভানেত্রী বলেন, ১৮০ দিনে নয়, এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আর্নি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা প্রমুখ।
মিছিলে ধর্ষক ও নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এ সংক্রান্ত রায়ে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলটির প্রতীক নিয়ে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা না দিয়ে এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিলো আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।
জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার গত বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটা কার্যালয় চালু হবে। এটি চালু হলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ক্ষেত্রগুলো, মানবাধিকার পরিষদ সরাসরি সেগুলো তদন্ত করতে পারবে।’
শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, ‘ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় বিষয়টি ইতিবাচক দেখছে সরকার।’
এর আগে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফলকার টুর্ক।
সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এটা নিয়ে কাজ করছে।’
গতকাল সোমবার রাতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। দুই দিনের ঢাকা সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় থেকে সাতজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, সেনাবাহিনী প্রধান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার (৭৭৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। পরে টানা ৬ মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি রেমিট্যান্স।
অবশেষে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস এপ্রিলে আবারও হোঁচট খায়; ওই মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে চলতি মে মাসের ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন আসছে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। এভাবেই রেমিট্যান্সের ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়নের মাইলফলকে যাবে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। এতে প্রবাসীরা নিজ নিজ পরিবারের কোরবানি ও কেনাকাটায় প্রচুর টাকা পাঠিয়ে থাকেন। আশা করা যায় চলতি মাস (মে) ও আগামী মাসে রেমিট্যান্স ভালো অবস্থান ধরে রাখবে।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।
এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার থেকেই গাজীপুরসহ সারাদেশে এই বিশেষ অভিযান শুরু হবে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থক সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সকল সরকারি কর্মকর্তার জন্য ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে কর বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক করা এবং বৃহৎ করপোরেশনগুলোকে ই-রিটার্নে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডিজিটালাইজেশন বিষয়ে সারাদেশে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরুর সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডাব্লিউ) প্রকল্পকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত করার ওপর নতুন করে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করা, সামগ্রিক চিত্র ও সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন রোডম্যাপের দিকে নজর রাখা এবং ভূমি সম্পর্কিত জনসেবা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের জন্য কার্যনির্বাহী সময়সূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান অশিক চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সারাদেশে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে কোনো 'শয়তান' যেন পালাতে না পারে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে 'দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ' বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুস্কৃতকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, কিন্তু তাদের দোসররা দেশে-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা এদেশের জনগণের সম্পদ অন্যায়ভাবে লুটপাট করে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। যারাই তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, তাদেরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে, দলীয় বাহিনীর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে, অন্যায়ভাবে মামলা-হামলা দিয়ে হেনস্থা করেছে। গণমাধ্যমগুলো দখল ও নিয়ন্ত্রণ করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে শায়েস্তা করেছে। অনুগত পুঁজিবাদী শ্রেণি তৈরি করে সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিভিল সার্ভিস ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে। আদালতের স্বাধীনতা খর্ব করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, এক কথায় ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। বর্তমানে তারা বিগত ১৬ বছরে তাদের অর্জিত অবৈধ সম্পদ ব্যবহার করে অপশক্তির সম্পৃক্ততায় নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুস্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসমূহের সমন্বয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সারা দেশের অভিযান সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করা হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে অপারেশন ডেভিল হান্টের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করবেন। সিএমএম আদালত, এমএম আদালত, সিজেএম আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্পেশাল আদালতের বিচারক, আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এই অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য নিয়োজিত। এছাড়াও সরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৮ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করেছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামারি ট্রায়ালের জন্য। আপনারা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সচেতন নাগরিক। আপনাদের দেশের জনগণ, সরকার এবং নিজ নিজ দায়িত্বের প্রতি জবাবদিহিতা, দায়বদ্ধতা ও কমিটমেন্ট রয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনাদের অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় ভূমিকা পালন করা দরকার। আমরা কোনো অপরাধীকে রাস্তায়, বাজারে, মাঠে, ময়দানে, রাজপথে দেখতে চাই না। প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে চাই। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে চাই। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে বলবো। অপারেশন ডেভিল হান্টের বিষয়ে আমি বলবো, কোনো শয়তান যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে পালিয়ে না যেতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, আইনজীবীদের আমি বলবো আপনারা আদালতে দায়েরকৃত প্রতিটি মামলার ধার্য তারিখে ও সময়ে উপস্থিত থাকুন। প্রসিকিউটিং এজেন্সির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ রাখুন। কোনোভাবেই যেন কোনো সন্ত্রাসী জামিন না পায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে আইজিপির টিম মামলাভিত্তিক অগ্রগতি নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটরদের সঙ্গে ১৫ দিন পর পর বসতে পারেন অগ্রগতি, গ্যাপ, ডকুমেন্ট, নথি পর্যালোচনা ও আদালতে উপস্থাপনের জন্য। আমরা দেখেছি রাজনৈতিক বিরোধীদের নিধনের জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার হাজার হাজার মামলায় নিরীহ, নিষ্পাপ সাধারণ মানুষকে আদালতের প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বছরের পর বছর জেলে আটকে রেখেছে। নিষ্পাপ মানুষকে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। এই অন্যায় আচরণের বিচার হয়তো একদিন হবে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী, মানুষের বুকে গুলি করে ঝাঁঝরা করা, হেলমেট বাহিনী, দুস্কৃতকারী, উসকানিদাতা, জনগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী ও দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে আদালতে যাবে আর তথ্যের সীমাবদ্ধতা কিংবা এজেন্সিগুলোর ব্যর্থতার কারণে জামিন হয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পড়বে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ভারত থেকে আমদানি করা সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। সোমবার (২৪ মার্চ) এমভি ডিডিএস মারিনা নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এই চাল নিয়ে পৌঁছায়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় (প্যাকেজ-২) ভারত থেকে আমদানি করা সাড়ে ১১ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এমভি ডিডিএস মারিনা জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজে থাকা চালের নমুনা পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, চাল খালাসের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে মোট ৯টি প্যাকেজে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
মন্তব্য করুন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ড. এম আমিনুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার তিনি নিজেই এই পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। তবে আমি কেন পদত্যাগ করেছি, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।"
এর আগে, তিনি কেবিনেট সেক্রেটারির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার ব্যক্তিগয় সচিব (পিএস) এর মাধ্যমে এই পদত্যাগপত্র কেবিনেটে পাঠানো হয়।
গত নভেম্বরে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন। তাদের মধ্যে অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করুন