‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কৌশলে প্রতিশোধও নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহিলা দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মাগুরাসহ দেশজুড়ে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।


রিজভী বলেন, দেশে ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনার আমল থেকেই নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। এখন তো ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেই, তাহলে কারা এই হিংস্রতার সঙ্গে জড়িত? আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তা জানতে চাই।


প্রশাসন ঠিক থাকলে দেশে এমন বিশৃঙ্খলা হতো না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে করলে এমনটি হতো না।


তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, দ্রুততম সময়ে আছিয়ার ধর্ষণকারীদের বিচার করতে হবে, যেন অন্য অপরাধীরা ভয় পায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় আছিয়ার বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।


রিজভী আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি-এসপিদের কক্ষে গিয়ে তাদের কাজ তদারকি করছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। অথচ তাদের থাকার কথা ক্লাসে ও লাইব্রেরিতে। বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে তাদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই তাদের উচিত ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো।


মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে ধর্ষণকারীদের পুরস্কৃত করা হতো। আর বিএনপির সময়ে ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী ও শিশু ধর্ষণের হার দিন দিন বাড়ছে। তিনি মাগুরার ৮ বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের জনসম্মুখে বিচারের দাবি জানান।


ধর্ষিতা শিশুটির বোনের শাশুড়িরও ফাঁসি দাবি করে মহিলা দলের সভানেত্রী বলেন, ১৮০ দিনে নয়, এক সপ্তাহের মধ্যেই ধর্ষণ মামলার আসামিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সভাপতি নেওয়াজ হালিমা আর্নি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রুমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা প্রমুখ।


মিছিলে ধর্ষক ও নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে বাধ্য করবে বাংলাদেশ

শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতকে বাধ্য করবে বাংলাদেশ
ড. ইউনূস ছবি ২২

ডেস্ক রিপোর্ট:

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষে রায় হলে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার বিষয়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হবে। তিনি এ বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক আইনের উল্লেখ করে বলেন, "ভারত এ আইন মেনে কাজ করতে বাধ্য হবে।"

গত শনিবার নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস। সোমবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে, নির্বাচনের আগে আমাদের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। এ জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থা, সংবিধান এবং বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। জানুয়ারির মধ্যে ওই কমিশনগুলোর সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বাস্তবায়ন করার কথা জানান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এ সংস্কার বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।

তিনি বলেন, "নতুন বাংলাদেশ" গড়তে আমরা একেবারে শূন্য থেকে শুরু করেছি, তাই সংস্কার বাস্তবায়নে সময় লাগবে।

নির্বাচন কখন হবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, "নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর। এর ফলাফলই সময় নির্ধারণ করবে।"

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ নির্বাচনে ড. ইউনূস প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "না, আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছি।" তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তি নীতি-নৈতিকতা সমুন্নত রাখেন, নিয়ম-কানুন মেনে চলেন এবং দুর্নীতিমুক্ত থাকেন, তারা নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত।

ড. ইউনূস বলেন, হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের শাসনকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করে তা পুনর্গঠন করার বিরাট কাজ এখন আমাদের করতে হবে।

তিনি বলেন, "হাসিনার শাসনামলে গণতন্ত্রের রীতি-নীতি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা তিন মেয়াদে ভোটারবিহীন ভুয়া নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে, যাতে হাসিনা এবং তার দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। একজন ফ্যাসিবাদী শাসক হিসেবে এসব করেছেন হাসিনা।"

ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, "এ বছর আগস্টে ছাত্রনেতৃত্বাধীন সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কয়েকশ শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন হাসিনার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনার ১৫ বছরের শাসন শেষ হয়। তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালিয়ে যান। অক্টোবরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা এবং তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।"

কূটনৈতিক ফ্রন্টে বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। এ ক্ষেত্রে ড. ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ভারত ও পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের কারণে সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সার্কের লক্ষ্য হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মতো নিজেদের মধ্যে চলাফেরার স্বাধীনতা এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য উৎসাহিত করা। তিনি ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন।

হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, "সংখ্যালঘু ইস্যুতে যা বলা হচ্ছে তার বেশিরভাগই প্রোপাগান্ডা।" তিনি দাবি করেন, এসব তথ্য সঠিক নয়। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে সঠিক তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানান এবং বলেন, "আমরা এসব অপ-তথ্যের বিরুদ্ধে ভারত সরকারকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কাজ করছি।"

অন্য আঞ্চলিক সম্পর্কের বিষয়ে ড. ইউনূস চীনকে "আমাদের বন্ধু" হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, "সড়ক ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে শুরু করে সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত চীন আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।"

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

ড. ইউনূস দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা (আসিয়ানে) বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আসিয়ানে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ হিসেবে এটি গ্রহণ করতে চায়, বিশেষ করে ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর।"

তিনি জানান, মালয়েশিয়া আগামী জানুয়ারিতে আসিয়ানের সভাপতি হতে যাচ্ছে এবং তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, "এই দায় (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশ কতদিন বহন করবে?" তিনি বলেন, "রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমাদের একটি সুস্পষ্ট গন্তব্য এবং অভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করা দরকার।"

বাংলাদেশ মিয়ানমারে জাতিসংঘ-শাসিত একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে, যাতে রোহিঙ্গারা সেখানে নিরাপদে থাকতে পারে এবং তাদের দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
সচিব শফিকুল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময় জানান প্রেস সচিব।

প্রেস সচিব বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন।

এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ‘অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে।

আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটা দাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।



global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, আটক ৭

আগরতলায় হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, আটক ৭
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকায় আগুন দেওয়ার ঘটনায়  এখন পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনার কারণে ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ও এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম মুরং এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা সরকার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি একজন সহকারী কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। ত্রিপুরা পুলিশের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, সোমবারের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার ও এই তদন্তভার পড়েছে সাউদার্ন রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলের (ডিআইজি) ওপর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ৩ জন সাব-ইন্সপেক্টর দিলু জমাতিয়া, দেবব্রত সিনহা ও জয়নাল হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়া সহকারী কমান্ড্যান্ট (ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা) কান্তি নাথ ঘোষকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৪ পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।সারারাত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কার্যালয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে গ্রেফতারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে প্রায় ৫০ জন ব্যক্তি বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করেন। ঘটনার পরপরই ঢাকা এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়।

ঢাকার অভিযোগ, স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না ও এই ঘটনা মিশনের কর্মীদের মধ্যে গভীর নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লিকে ‘তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এই ঘটনা গভীরভাবে দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনোভাবেই লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়। ভারত সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদসহ ভারতের বিভিন্ন ডানপন্থি সংগঠনের শতাধিক সদস্য এই হামলা চালায়। সেসময় কিছু লোক জোর করে হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করেন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করেন।

পুলিশ দ্রুত হামলাকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক অনুরাগ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন করেন ও মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। গোয়েন্দা বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ও ডিআইজি বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরই মধ্যে কার্যালয়ের চারপাশে ত্রিপুরা পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অনেক মানুষ আগরতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়েছিলেন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। কিন্তু কিছু যুবক হঠাৎ করেই আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ চলতে পারে, তবে এ ধরনের আচরণ মোটেও কাম্য নয়।

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়ার পর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও এর উপ-সহকারী হাইকমিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়। সরকার দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশের অন্যান্য উপ-সহকারী হাইকমিশনগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

ট্রাম্পের দারুণ বিজয়, ইলেকটোরাল ভোটে ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম

ট্রাম্পের দারুণ বিজয়, ইলেকটোরাল ভোটে ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম
ট্রাম্পের ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ছাড়িয়ে গেছেন। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ১০টি এবং আলাস্কায় ৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার মাধ্যমে তিনি মোট ২৭৯ ইলেকটোরাল ভোট অর্জন করেছেন। এই ভোটসংখ্যা নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে, ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন যখন তার ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা ছিল ২৬৬, যা ম্যাজিক ফিগার থেকে চার ভোট কম। এখন প্রয়োজনীয় ভোটসংখ্যা অর্জন করায় তার জয় নিশ্চিত হয়েছে।

অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জনের প্রাণহানি

২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জনের প্রাণহানি
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরে (২০২৪ সালে) বাংলাদেশে মোট ৬,৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮,৫৪৩ জন নিহত এবং ১২,৬০৮ জন আহত হয়েছেন।


শনিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। সংগঠনটি প্রতিবছরের মতো গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।


মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ১০ বছরে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১৫ লাখ থেকে বেড়ে ৬০ লাখে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ছোট যানবাহন রাস্তায় প্রবাহিত হচ্ছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসব যানবাহন অবাধে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


সড়ক দুর্ঘটনার কিছু কারণ তুলে ধরেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো বেপরোয়া গতি ও বিপদজনক ওভারটেকিং, সড়কের নির্মাণ ত্রুটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকদের অদক্ষতা এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা। এছাড়া পরিবহন মালিকদের বেপরোয়া মনোভাব, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, অরক্ষিত রেলক্রসিং এবং রোড ডিভাইডারের পর্যাপ্ত উচ্চতা না থাকা এর অন্যতম কারণ।


এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রথম অগ্রাধিকার দেওয়া, দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা, সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা।


এছাড়া সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে এরই মধ্যে প্রণীত সুপারিশমালার বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। দেশে সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন, জেব্রা ক্রসিং আঁকা ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গণপরিবহন চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা, সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করার পাশাপাশি গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি আধুনিকায়ন করার সুপারিশও করা হয়েছে।


এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তার জন্য তহবিলের আবেদন সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পরিবহন সেক্টরে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভূমিকা ছিল না। এসব দুর্ঘটনা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড, এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।


এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজ উন্নয়ন কর্মী আবদুল্লাহ আল জহির স্বপন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জিয়াউল হক চৌধুরী প্রমুখ।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

চীনে করোনার নতুন ঢেউ, সপ্তাহে আক্রান্ত হবেন সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

চীনে করোনার নতুন ঢেউ, সপ্তাহে আক্রান্ত হবেন সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে হঠাৎ করে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারে বাধ্য হয় চীন সরকার। এছাড়া তুলে নেওয়া হয় সব বিধিনিষেধ। এসব কঠোর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ইমিউনিটি সৃষ্টি হয়। তবে নতুন ধরন এক্সবিবি এই ইমিউনিটি ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের করোনা বিশেষজ্ঞ ঝং নানসেন গত সোমবার এক তথ্যে জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা জুন থেকে প্রতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ৪ কোটি থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখে  পৌঁছাতে পারে।

সাসসেপটিবল-এক্সপোসড ইনফেকসাস-রিকভার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাষ করে জং বলেছেন, ‘কয়েকদিন পর সংক্রমণের যে ঢেউ দেখা যাবে সেটি এড়ানো খুবই কঠিন হবে।’

ওমিক্রনের নতুন উপধরন (এক্সবিবি ১.৯.১, এক্সবিবি ১.৫ এবং এক্সবিবি ১.১৬) মোকাবিলায় চীনে ইতোমধ্যে দুটি নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েন জং। এছাড়া আরও চারটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

গত ডিসেম্বরে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সময়ের পর জুনে আবারও তীব্র সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টি ভাইরাল ওষুধ রাখতে হবে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন ট্রাম্প

দায়িত্ব নিয়েই বাইডেনের ৭৮ নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্যাপিটল ওয়ান অ্যারেনায় শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


শপথ গ্রহণের পর তার প্রথম ভাষণে তিনি জানান, বাইডেন আমলের সব নির্বাহী আদেশ দ্রুত বাতিল করা হবে। শপথের অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে শুরু করেন তিনি।


জানা গেছে, শপথ নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প ওভাল অফিসে গিয়ে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বাইডেনের শাসনামলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। এর মধ্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের আদেশও রয়েছে।


ট্রাম্প আদেশে স্বাক্ষর করার পর সেটি জনসাধারণকে দেখান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার আগে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিকে ক্ষমা করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন।


ট্রাম্প তার ভাষণে বলেন, "যে ক্ষমাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও দ্রুত বাতিল করা হবে।"


অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেন।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ট্রাম্পকে শপথ পাঠ করান। এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেনসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


২০১৭ সালে ন্যাশনাল মলে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন। তবে এবার তীব্র ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শপথ অনুষ্ঠান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে একই কারণে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ক্যাপিটল ভবনের ভেতরে শপথ নিয়েছিলেন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন : শেখ হাসিনা

মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলামের সোনালি যুগে বিশ্বসভ্যতা, বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা ও ভূগোল শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অবদান এক গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছিল। মুসলমানরা শৌর্য-বীর্য, জ্ঞানবিজ্ঞান ও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। সেই গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানরা কেন পিছিয়ে পড়ল তা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে কলহ, একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্য এবং শ্রদ্ধার অভাব, জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় পিছিয়ে পড়াসহ নানা কারণে আজ মুসলমানরা পিছিয়ে পড়েছে। এই সম্মান ফিরে পেতে মুসলমানদের আবার শিক্ষা-গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে এবং বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন করতে হবে। আজ মুসলিমদের দখলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদকে বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে দুঃখজনকভাবে মুসলিম বিশ্বে মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী গবেষণা ও উন্নয়নে তাদের অপর্যাপ্ত অবদানকে প্রতিফলিত করে। এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে মুসলমানদের আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন, যাতে তারা বেশি করে অবদান রাখতে পারেন। বিশেষ করে যখন বিশ্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

সংস্কার ও নির্বাচন দুটো একসঙ্গে চলতে পারে: মির্জা ফখরুল

সংস্কার ও নির্বাচন দুটো একসঙ্গে চলতে পারে: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে এবং এতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, ঐকমত্য ছাড়া কোনো সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব নয়।


রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।


জুলাই-আগস্টে নির্বাচন হওয়া নিয়ে সন্দেহের বিষয়ে তিনি বলেন, "সংস্কার চলবে, নির্বাচনও চলবে। নির্বাচনের পর যে সরকার দায়িত্ব নেবে, তারা সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেবে। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা প্রতিটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংস্কার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।"


প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার শুরু করেন। তিনি একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করেন এবং বদ্ধ অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরে কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটে।"


মির্জা ফখরুল আরও বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দল আজ বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।"


তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দলের দায়িত্ব নিয়ে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করেছেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন। আমরা তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি। তার যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান এখন দেশকে হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।"

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শেখ হাসিনা

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা ও আমেরিকার নির্বাচন

ডেস্ক রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে। গ্রেপ্তার হয়েছেন কেউ কেউ। জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদেরও দেখা মিলছে না। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এই হাল নিয়ে নানা আলোচনা। নানা প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের চটজলদি জবাব হয়তো কারও কাছে নেই। তবে দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রের বরাতে মানবজমিন জানতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার ধারণা ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন। আসছে ৫ই নভেম্বর গণতান্ত্রিক পৃথিবীর অন্যতম দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু গত জুলাইয়ে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন দেয়ায় নয়া দৃশ্যপট তৈরি হয়েছে। এরপর থেকেই ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলকান শিবির প্রচারণায় নেমে পড়েছে। ডেমোক্রেট প্রার্থী কমালা হ্যারিসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হওয়ার হাতছানি। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্যও বিশেষ বার্তাবহ হতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির কর্মকর্তাদের হেয় করে কথা বলা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও বহু চেষ্টা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সরকারের সময়ে। দফায় দফায় কর্মকর্তারা সফর করেছেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গেও নানা সময়ে আলোচনা চালিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই চেষ্টাকে ভালো চোখে দেখেনি বরং গণতান্ত্রিক এই চেষ্টাকে অবজ্ঞা করে স্বৈরতান্ত্রিক ভাবধারায় সরকার পরিচালনা করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের কারও কারও তরফে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিপ্লব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেট শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। যদিও কূটনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলেও যুক্তরাষ্ট্রর নীতি পরিবর্তন খুব একটা হয় না।

এসব দিক চিন্তা করে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরও ওই দেশের নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানভীর কায়সারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার টেলিফোন আলাপে এমন একটি ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ওই টেলিফোন আলাপ প্রকাশ হওয়ার পর তানভীরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ই নভেম্বরের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় দলীয় নির্দেশনা আসতে পারে। পরিবর্তন আসতে পারে দলের নেতৃত্বেও।

ওদিকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন চাপে পড়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে আশ্রয় নেয়ার পর শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্টে অবস্থানের নির্ধারিত ৪৫ দিন পেরিয়ে গেছে আরও আগেই। এমন অবস্থায় তিনি কোন স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে চাউর হয়েছে ভারতে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট পেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে তিনি তৃতীয় কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। যদিও এই ডকুমেন্ট পাওয়ার বিষয়ে ভারত বা বাংলাদেশ কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট যেকোনো দেশ যেকোনো ব্যক্তিকেই ইস্যু করতে পারে। আমাদের তা ঠেকানোর কোনো উপায় নেই। ভারত ‘ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট’ দিলে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট বা অবনতি হবে এমন আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট নিয়েই ভারতে অবস্থান করতে হবে। এই ডকুমেন্ট দিয়ে তিনি তৃতীয় কোনো দেশেও যেতে পারবেন।

ওদিকে বিভিন্ন সূত্রে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে- ভারতের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আমিরাত তাকে গ্রহণ করেনি। তাকে বিমানবন্দরে ১৭ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে এমন খবরও এসেছে। যদিও এসব খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেনি।

ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে ইতিমধ্যে গণহত্যার দায়ে অনেক মামলা দায়ের হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। এসব মামলায় পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে করা ভারতের চুক্তির আওতায়ই এটির সুযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের মধ্যে নতুন করে টানাপড়েন হতে পারে এমন আশঙ্কাও রয়েছে। দলীয় সূত্রের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর দলীয় অনেক বিষয় খোলাসা হতে পারে। শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন নাকি অবস্থান পরিবর্তন করবেন সেটিও এরই মধ্যে নিশ্চিত হতে পারে।

সূত্র: মানবজমিন।

global fast coder

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আবারও রিমান্ডে পলক ও ২ ছাত্রলীগ নেতা

শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‘দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরই ফিরিয়ে আনা সম্ভব’

‘বাংলাদেশ ছিল অনেকটা বিধ্বস্ত গাজার মতো’

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

‘বিএনপির অভিযোগকে ব্যক্তিগতভাবে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার’

ধর্ষণ মামলার বিচার ৯০ দিনে শেষ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হবে: ইসি

মাগুরার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

ছয় অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

১০

নারীর এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসটা অতীব জরুরি: উপদেষ্টা ফরিদা

১১

‘কমিশন সঠিকভাবে কাজ করলে জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব’

১২

ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আগামী ১৪ মার্চ

১৩

পাকিস্তান থেকে ২৬ হাজার টন চাল পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে

১৪

১৫ রোজা থেকে রাতে স্পিডবোট ও বাল্কহেড চলাচল বন্ধ: উপদেষ্টা

১৫

‘১০ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষার্থী বই পাবে’

১৬

‘দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমায় বেকারত্ব বেড়েছে’

১৭

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

১৮

শপথ নিলেন নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯

বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: উপদেষ্টা

২০