সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময়সীমা আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণীর তথ্য সিলগালাকৃত খামে কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করার সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন সরকার গঠনের পর সরকারি প্রায় ১৫ লাখ কর্মচারীর সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রথম দফায় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এবার আরও এক দফা সময় বাড়ানো হলো।
মন্তব্য করুন
দুই সপ্তাহের অপেক্ষা শেষ। কাল রোববার (২৮ মে) তুরস্কে হবে রান-অফ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এ নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে— আরও পাঁচ বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান থাকতে পারবেন কিনা।
তুরস্কে গত ১৪ মে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন হয়। এতে মোট ভোটের ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পান এরদোয়ান। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলো পান ৪৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট। যেহেতু তাদের কেউই এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট পাননি ফলে এ নির্বাচন রান-অফে গড়ায়।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শনিবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রান-অফ নির্বাচন নিয়ে দেশটিতে তেমন উত্তাপ লক্ষ্য করে যাচ্ছে না। যেমনটি দেখা গিয়েছিল দুই সপ্তাহ। যদিও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো (রান-অফ) ভোট দিতে যাচ্ছেন দেশটির ভোটাররা।
ইস্তাম্বুলের তোফানের ৪৯ বছর বয়সী বাসিন্দা সোনার ওগোরলু বলেছেন, ‘এটি অন্যরকম অনুভূতি। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন শেষ। কিন্তু রোববার আরেকটি নির্বাচন আছে। আমি অবশ্যই ভোট দেব। কিন্তু বিষয়টি উদ্ভুত লাগছে, কারণ দুই সপ্তাহ আগে পরিবেশ যে রকম ছিল। সে তুলনায় সবকিছু বেশ শান্ত।’
দেশটির বেশিরভাগ ভোটার মনে করছেন ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানই আবারও প্রেসিডেন্ট হবেন।
অথচ ১৪ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন এরদায়ান হয়ত এবার হেরে যাবেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে কেমালের চেয়ে বেশি ভোট পান তিনি।
নির্বাচনের প্রথম ধাপে এরদোয়ানকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে না পারার বিষয়টি বিরোধীদলীয় সমর্থকদের জন্য বেশ বড় একটি ধাক্কা হিসেবে এসেছে। তাদের অনেকেই এখন বেশ হতাশ। তাদেরই একজন সিহাঙ্গিরের কাপরের দোকানের ব্যবসায়ী ওলকে। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, ’১৪ মের আগে আমি অনেক আশাবাদী ছিলাম। কারণ ভেবেছিলাম অবশেষে এরদোয়ানের কাছ থেকে মুক্তি পাব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সে অপ্রতিরোধ্য।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এসব (অর্থনৈতিক) সমস্যায় সবাই বেশ ক্লান্ত। আবার উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেওয়ার বিষয়টি খুবই কঠিন হবে। কারণ মনে হচ্ছে বিষয়টি শেষ। কিন্তু আমি অবশ্যই ভোট দেব। এটি আমার দায়িত্ব।’
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে, অফিসার, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার একটা মুখ্য ভূমিকা রাখবে তো নির্বাচনের মধ্যে। এটা ছাড়া তো সম্ভব না।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় হলে আপনারা সবই জানতে পারবেন। এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না।
আপনারা কেন রোডম্যাপ..., আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা, এটাকে রোডম্যাপ বলবো না, আমাদের যে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে, সেগুলো কোনোটা কোনো সময় শুরু করব, কোনো সময় শেষ করব এটাকেই অনেকে রোডম্যাপ বলে, আমরা বলছি না। সেটা অবশ্যই আছে। যে কোনো অফিসের একটা কর্মপরিকল্পনা থাকবে। এত বড় একটা নির্বাচন হবে, একটা কর্মপরিকল্পনা আমাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
নট ফর শেয়ারিং এভরিবডি যে আপনারা জানুন। এটা নিজস্ব, সংশোধন হতে পারে, এদিক-ওদিক হতে পারে। একটা সম্ভাব্য একটা কর্মপরিকল্পনা প্রথম থেকেই করেছি তো।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের যে বিষয়টা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বা একদম হচ্ছে না, বিষয়টা এমন না। নির্বাচনের ডেট যথাসময়ে জানতে পারবেন।
আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করব। সরকারের সঙ্গে এ জন্য পরিকল্পনা করে ঘোষণা দিয়ে দেখা করতে হবে এমন না। ফরমালি, ইনফরমালি নানাভাবে যোগাযোগ হতে পারে। আমরা সরকারের ধারে কাছে নেই, একটা দ্বীপে আছি এমন তো না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে, এর মধ্যে ইসি সংস্কার আছে, এর মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত তো। এগুলোকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। সময় হলেই যোগাযোগ হবে।
মন্তব্য করুন
গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে হঠাৎ করে জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহারে বাধ্য হয় চীন সরকার। এছাড়া তুলে নেওয়া হয় সব বিধিনিষেধ। এসব কঠোর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ইমিউনিটি সৃষ্টি হয়। তবে নতুন ধরন এক্সবিবি এই ইমিউনিটি ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
চীনের করোনা বিশেষজ্ঞ ঝং নানসেন গত সোমবার এক তথ্যে জানিয়েছেন, তাদের আশঙ্কা জুন থেকে প্রতি সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ৪ কোটি থেকে বেড়ে ৬ কোটি ৫০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
সাসসেপটিবল-এক্সপোসড ইনফেকসাস-রিকভার্ড মডেলের ওপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাষ করে জং বলেছেন, ‘কয়েকদিন পর সংক্রমণের যে ঢেউ দেখা যাবে সেটি এড়ানো খুবই কঠিন হবে।’
ওমিক্রনের নতুন উপধরন (এক্সবিবি ১.৯.১, এক্সবিবি ১.৫ এবং এক্সবিবি ১.১৬) মোকাবিলায় চীনে ইতোমধ্যে দুটি নতুন ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েন জং। এছাড়া আরও চারটি ভ্যাকসিন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
গত ডিসেম্বরে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সময়ের পর জুনে আবারও তীব্র সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টি ভাইরাল ওষুধ রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা গ্রহণকারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য পাচার হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংক, চট্টগ্রাম পোর্ট অথোরিটি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস—এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে এনআইডির তথ্য ফাঁস করেছে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পেয়েছে। তবে এটি ইচ্ছাকৃত কিনা, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবা গ্রহণকারী মোট ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। মতবিনিময় সভায় অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে কোন প্রতিষ্ঠান কতটুকু তথ্য নিচ্ছে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত তথ্য নিচ্ছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) থেকে নাগরিকদের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দায় এড়ালেও পরে নাসির উদ্দিন কমিশন পুনরায় যাচাই-বাছাই করে। নিবন্ধনের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ের চুক্তি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর বিসিসির সাথে চুক্তি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এবার বিসিসির পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে নিয়মিত মতবিনিময় ও তদন্ত চলমান থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান চুক্তি লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে বিএনপির বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর, ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর, দেশে পরিবর্তন আসবে। জনগণের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সে লক্ষ্যে আমরা সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, বিএনপিকে গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কত বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ক্রমান্বয়ে শিক্ষাঙ্গনগুলো, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকছে না। অবিভক্ত বাংলায় যেসব বরেণ্য বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিত্বদের নাম কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে বিঘ্নিত ও বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। বাইরে থেকেও এ ধরনের চেষ্টা চলছে। দেশের অভ্যন্তর থেকেও কিছু গোষ্ঠী ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
বিএনপির বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি, তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম।
এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য পাঁচজন হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২০ নভেম্বর, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে, তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বিএনপি। এতে আয় হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। এছাড়া ব্যয় দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা। বর্তমানে উদ্বৃত্ত আছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
আজ রবিবার সকালে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। হিসাব জমা দেওয়া শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী জানায়, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ, এককালীন অনুদান থেকে আয় হয়েছে। আর ব্যয় হয়েছে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচি বাস্তবায়ন, লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি ছাপানোয়।
এ সময় তিনি বলেন, আগে নির্বাচন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা হয়েছিল, নির্বাহী বিভাগের অধীনে ছিল। ফ্যাসিবাদের অস্ত্র হয়ে উঠেছিল, দিনের ভোট রাতে করেছিল। একটি লুটের নির্বাচন করে কমিশন বৈধতা দিয়েছিল। এ ছাড়া মেরুদণ্ডহীন, চাকরিলোভী লোক দিয়ে ইসি গঠন হয়েছিল।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার পদলেহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রত্যাশা তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে। নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে ইসি। আস্থার প্রতিষ্ঠান হবে নির্বাচন কমিশন, বিএনপি এটি প্রত্যাশা করে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর অন্তর্র্বতীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ মোখবারের নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটির সংবিধানে বলা আছে- ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট অসুস্থতা, মৃত্যু, অভিশংসন বা সংসদ কর্তৃক অপসারণের ফলে দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে সংসদ এবং বিচার বিভাগের প্রধানদের সাথে যৌথভাবে আলোচনা শেষে সর্বাচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
আর এসব কিছুই হতে হবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অনুমোদনসাপেক্ষে। কারণ ইরানের যেকোনো বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি; কিন্তু ভারি কুয়াশা থাকায় অনুসন্ধান অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
পূর্ব আজারবাইজানের ডেপুটি গভর্নর ফর ডেভেলপমেন্ট আলি জাকারি স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ‘ওই বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল এবং অন্য দুটি নিরাপদে অবতরণ করতে পেরেছে। একটি বিধ্বস্ত হয়েছে।’
নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে থাকা জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহণমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে নিজ দলের প্রাণঘাতী বিক্ষোভ মিছিলের কয়েকদিন পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক্স পোস্টে ইমরান খান সমর্থকদের ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অঞ্চলটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত।
এক্স বার্তায় ইমরান খান ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে দমনপীড়ন এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীদেরও মুক্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান বলেন, যদি এই দুটি দাবি মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা অস্বীকার করেছে, উল্টো বলেছে, ইমরান খানের সমর্থকরা গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
৯ মে'র ওই হামলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত বছরের শেষ দিক থেকে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
ইমরান ও তার দল বলছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে মতবিরোধের পর রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে এসব মামলা সাজানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
মাগুরার আট বছরের শিশুর ধর্ষণ ও হত্যার মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় দেন।
আলোচিত এই মামলায় আসামি ছিলেন, শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগম।
আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা- বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মেডিকেল অ্যাভিডেন্স ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, এ মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য এবং মামলার মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষ্য দ্বারা রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে পেরেছে।
ফলে একটি নিষ্পাপ শিশুকে যেভাবে অমানবিক পাশবিক নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে, তার জন্য আসামিদের আদালত সর্বোচ্চ সাজা দেবে, যা বাংলাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এর আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাগুরায় আট বছরের শিশুর সঙ্গে বর্বর পাশবিক ঘটনায় সারা দেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরাও এ ঘৃণ্য ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি জানায়।
মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এ ঘটনার পর মাগুরাসহ সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গত ৮ মার্চ পুলিশের অভিযুক্ত এ চারজনকেই আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন শিশুর মা আয়েশা আক্তার।
ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ফরিদপুর মেডিকেল এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায় শিশুটি।
এ ঘটনার পর পুলিশের রিমান্ড চলাকালে মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। যেখানে এ ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দেয়।
গত ১৩ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার শিশুটির মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোনজামাই সজীব শেখ ও সজীবের বড় ভাই রাতুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২৭ এপ্রিল বাদীসহ তিনজনের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীর কার্যক্রম শুরু হয়ে ৭ মে অষ্টম কার্যদিবসের মধ্যে সাক্ষ্য পর্ব শেষ হয়।
৮ মে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া ১২ ও ১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।
মন্তব্য করুন