প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করতে গিয়ে কোনো ইচ্ছাকৃত ভুল করবে না। কমিশন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ উপলক্ষে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, “গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখতে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে। এজন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ভুল করবে না।”
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম শর্ত। তাই ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।”
নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন ও নৈতিকতা। কোনো কর্মকর্তা যদি দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করেন, তার দায় কমিশন নেবে না।”
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা প্রয়োজন কমিশন তা করবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম বা অবহেলা সহ্য করা হবে না।”
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, “কেউ যেন অর্থলাভের উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা তৈরির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত, ভুয়া বা নতুন ভোটার—সবক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষ এবার ভোট দিতে আগ্রহী। সেই আস্থা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনের সামনে থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে বাহার উদ্দিন নামে একজন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে মো.সোহাগ বলেন, আমরা দেখতে চাই চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে থাকতে পারে। ছাত্র আন্দোলনের আহতরা পথে পথে আর দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কেন বঙ্গভবনে আরাম-আয়েশ করবে। এই রাষ্ট্রপতি ভারতের দালাল এবং সে শেখ হাসিনার দোসর।
ইনকিলাবের মঞ্চ নামে ব্যানারে আরেকটি সংগঠনের অর্ধশত লোকজন বঙ্গভবনের সামনে হাজির হয়ে বলেন, আমরা চাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত পদত্যাগ করেন।
বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’
তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’
এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হবে। প্রার্থীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ও মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানো হয়েছে। এ বিসিএসে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা ধরা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আবেদন ফি কমানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে পিএসসি।
পিএসসি গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে বিশেষ কারণে আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
এবার প্রথমবারের মতো বিসিএসে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৭তম বিসিএসে ৩ হাজার ৪৮৭টি ক্যাডার এবং ২০১টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন পদে ১,৩৩১টি এবং সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ৩০টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রণোদনার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সরকার কাজ করছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকলেও তা গত বছরের তুলনায় বাড়েনি। তবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকায় কিছু মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটা সত্য। সরকার দাম কমানোর চেষ্টা করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্বের হার কমানো গেলে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সাথে আলোচনা হয়েছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে তাদের নিজেদের কারণেই। সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করা হবে। তবে, সবাইকে কাজ দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মন্তব্য করুন
অন্যায়ভাবে পণ্যের দাম বাড়ানো এবং ছাড় না দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যারা অকারণে পণ্যের দাম বাড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে তরুণদের সোচ্চার হতে হবে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় রমজান মাস উপলক্ষে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাজারে তদারকি জোরদার করতে হবে। এবারের রমজান মাস যাতে সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যেসব স্থানে সাধারণ মানুষ জীবন বাজি রেখে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, সেসব স্থানকে প্রাধান্য দিয়ে পণ্য বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এছাড়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাবছর ধরে এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানান ফরিদা আখতার।
মন্তব্য করুন
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।
নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।
এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।
সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।
চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।
দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।
সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।
সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।
আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।
খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।
ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।
ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।
বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এজন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।
আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।
ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।
আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।
আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।
অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।
নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।
করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।
সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
দেশের চলমান নানান ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ লক্ষ্যে তিনি সব রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আজ (বুধবার) বৈঠক করবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, বুধবার তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে সংলাপের আহ্বান করেছেন। তিনি তাদের সঙ্গে বসবেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য। তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় হলফনামায় দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও তার আয়কর বিবরণী সম্পদের হিসাবে গরমিল পাওয়ায় এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর আওতায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান।
দুদক চেয়ারম্যান জানায়, এখানে দুটি বিষয়। একটি অংশ নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে গেছে, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে। আরেকটা অংশ হচ্ছে হলফনামায় দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও তার আয়কর বিবরণী সম্পদের হিসাব করে আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুসারে দুদক পৃথকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। সেটা খানিকটা সময় সাপেক্ষ বিষয়।
মন্তব্য করুন
ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।
১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, যতই আপনি ইসিকে স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে, অফিসার, প্রশাসনের সহায়তা নিতে হবে। সুতরাং সরকার একটা মুখ্য ভূমিকা রাখবে তো নির্বাচনের মধ্যে। এটা ছাড়া তো সম্ভব না।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সময় হলে আপনারা সবই জানতে পারবেন। এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না।
আপনারা কেন রোডম্যাপ..., আমরা একটা কর্মপরিকল্পনা, এটাকে রোডম্যাপ বলবো না, আমাদের যে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিজ করতে হবে, সেগুলো কোনোটা কোনো সময় শুরু করব, কোনো সময় শেষ করব এটাকেই অনেকে রোডম্যাপ বলে, আমরা বলছি না। সেটা অবশ্যই আছে। যে কোনো অফিসের একটা কর্মপরিকল্পনা থাকবে। এত বড় একটা নির্বাচন হবে, একটা কর্মপরিকল্পনা আমাদের নিজস্ব ব্যবহারের জন্য।
নট ফর শেয়ারিং এভরিবডি যে আপনারা জানুন। এটা নিজস্ব, সংশোধন হতে পারে, এদিক-ওদিক হতে পারে। একটা সম্ভাব্য একটা কর্মপরিকল্পনা প্রথম থেকেই করেছি তো।
সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের যে বিষয়টা প্রতিনিয়ত হচ্ছে বা একদম হচ্ছে না, বিষয়টা এমন না। নির্বাচনের ডেট যথাসময়ে জানতে পারবেন।
আমরা যথাসময়ে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করব। সরকারের সঙ্গে এ জন্য পরিকল্পনা করে ঘোষণা দিয়ে দেখা করতে হবে এমন না। ফরমালি, ইনফরমালি নানাভাবে যোগাযোগ হতে পারে। আমরা সরকারের ধারে কাছে নেই, একটা দ্বীপে আছি এমন তো না। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ আছে, এর মধ্যে ইসি সংস্কার আছে, এর মধ্যে আমরা সম্পৃক্ত তো। এগুলোকে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। সময় হলেই যোগাযোগ হবে।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ তিনজন। তদন্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যায় নির্দেশনা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
এটি জুলাই গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন, যেখানে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে এসেছে। সোমবারই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দেবে প্রসিকিউশন পক্ষ।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দিয়েছিলেন। ওই দিন অতিরিক্ত প্রধান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আদালতে শুনানিতে অংশ নেন।
মন্তব্য করুন