রাজধানীর কড়াইল বৌ-বাজার বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিট।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাকিবুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
রাকিবুল ইসলাম জানান, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে যানজটের কারণে আরও দুটি ইউনিট যোগ দেয়। তবে বস্তির সংকীর্ণ রাস্তায় পানিবাহী গাড়ি প্রবেশে অসুবিধা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এখনো আগুন লাগার কারণ এবং হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, কড়াইল বস্তিতে এর আগেও একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন পহেলা বৈশাখ উৎযাপনকে ঘিরে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বৈশাখ উৎযাপনের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এ বছর ব্যাপক আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে। রোজার মত চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
সম্প্রতি বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির দোকানে ভাঙচুর হয়েছে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, এসব দোকানের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানায়, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় ৪৯ জনকে আটকও করা হয়েছে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গায় মেলাও হচ্ছে, বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণ-আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর, ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব গ্রহণ করে বিচারপতি রউফ দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রধান উপদেষ্টা তার এই অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, "বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলায় বিচারপতি রউফ সর্বদা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।"
প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, "বিচারপতি রউফ ছিলেন নাগরিক সমাজের এক বিশিষ্ট স্তম্ভ। ভোটাধিকার, সংস্কার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন, যা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।"
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ বারাকা কিডনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বিচারপতি আবদুর রউফ। গত দুই মাস ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন, এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশ প্রধান (আইজিপি) থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে, ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশে ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে তিনি পালিয়েছেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি—এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।'
তাজুল ইসলাম আরও জানান, 'গুমের ঘটনার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস।'
'তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনাল দুই মাস সময় দিয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
এদিকে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করে আজ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এই ৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ছয়জন অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই সম্মাননা তুলে দেন।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যেসব নারী এই সম্মাননা পেয়েছেন, তারা হলেন— অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শরিফা সুলতানা, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য হালিমা বেগম, সফল জননী হিসেবে মেরিনা বেসরা, জীবনসংগ্রামে জয়ী নারী হিসেবে লিপি বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য মো. মুহিন (মোহনা) এবং বিশেষ সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল।
এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ এ ধরনের সম্মাননা ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দিতে আদালতের রায় এসেছে, আপনারা কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, এখন পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়ে আমরা কোনো পর্যবেক্ষণ পাইনি। পর্যবেক্ষণ পাওয়ার পর আইনিভাবে যা প্রযোজ্য, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াতের প্রতীকের বিষয়েও বলছি, আইনগতভোবে যেভাবে প্রাপ্য, সেভাবেই পাবে। প্রতীকের বিষয়ে তাদের নিবন্ধনের বিষয়ে কী পর্যবেক্ষণ আছে, ডকুমেন্ট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার কিছু বলার থাকে না।
এর আগে, ২০১৩ সালে করা এক মামলায় আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করলে নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের রায়ে সম্প্রতি ইশরাক হোসেন ডিএসসিসির মেয়র পদে নির্বাচিত ঘোষিত হলে তা বিরোধিতা করে রিট আবেদনের ওপর আপিল বিভাগ বিষয়টিতে ইসিকে সিদ্ধান্ত দিতে বলে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে একটি সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামাবাদে নিজ দলের প্রাণঘাতী বিক্ষোভ মিছিলের কয়েকদিন পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ইমরান।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক্স পোস্টে ইমরান খান সমর্থকদের ১৩ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অঞ্চলটি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) শাসিত।
এক্স বার্তায় ইমরান খান ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে দমনপীড়ন এবং গত বছরের ৯ মে সহিংসতায় অন্তত ১২ জন সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত রাজনৈতিক কর্মীদেরও মুক্তি দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
ইমরান বলেন, যদি এই দুটি দাবি মানা না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। যে কোনো পরিণতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
এদিকে পাকিস্তান সরকার ২৫ নভেম্বরের বিক্ষোভ মিছিলে কোনো প্রাণহানির ঘটনা অস্বীকার করেছে, উল্টো বলেছে, ইমরান খানের সমর্থকরা গত বছরের ৯ মে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল।
৯ মে'র ওই হামলার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। গত বছরের শেষ দিক থেকে কারাগারে থাকা ৭২ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এটি সর্বশেষ।
ইমরান ও তার দল বলছে, ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে সেনাবাহিনীর জেনারেলদের সঙ্গে মতবিরোধের পর রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই তাকে এসব মামলা সাজানো হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ফের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম ফারহান ইসতিয়াক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতে সরকারি কৌসুলি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।
এরআগে আসামিদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় তাদের কয়েক দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল ১০টা থেকেই যাত্রাবাড়ী এলাকায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে চৌরাস্তার ওপরে পারভেজ মিয়া আসামিদের ছোড়া গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শুরুতর জখম হয়। পরে তাকে মুগদা মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভেজ মিয়ার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতি গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানো না গেলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "জাতি গঠনে আমাদের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে সবাইকে বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠন করা হয়। জাতির উন্নয়ন যাত্রায় নৌ ও বিমান বাহিনী বরাবরের মতোই দক্ষতার সঙ্গে জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেমন সবার সহযোগিতা পেয়েছে, ভবিষ্যতেও জনগণ তা পাবে বলে আশা করি।” এবারের পরিচালনা পর্ষদকে দক্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, "সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা যেভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে পেশাদারিত্বের প্রমাণ। ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
"নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এবং প্রতিরক্ষা সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোকচিত্রে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তাঁর মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরে তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের প্রাঙ্গণে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে সার্থক করতে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবো। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, যেন আমরা গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি কোনো অসম্মান না দেখাই।
শনিবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি আরও বলেন, ছাত্ররা যে কারণে আত্মত্যাগ করেছিল, তা যেন পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ রাখে। তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে এবং তা সার্থক করার জন্য আমরা সবাই মিলে সর্বাত্মক চেষ্টা করব, যেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা যদি এ ত্যাগ না করতেন, তাহলে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকলেও তার জবাব খোঁজার আমাদের কোনো সুযোগ থাকত না। বহু বছর ধরে আমাদের মনে যে প্রশ্নগুলো ছিল, তার উত্তর খোঁজার সুযোগ আমরা পাইনি। কিন্তু অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ সেই সুযোগ পেয়েছি।
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এই সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর যে ভোট পাবে, সেই হারে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল ও জোটগুলো। তারা বলেছে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা চলছে। আজই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন।
আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই আলোচনার পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আগের ধারাবাহিকতায় আজকেও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করে। অপরদিকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের দাবি জানায়।
আলোচনায় দলগুলোর ভিন্নমত থাকায় এক পর্যায়ে বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ঐকমত্য কমিশন ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত জানায়।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে, সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।
নিম্নকক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।
আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সব সংশোধন আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি। তারা সংসদের নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। যুক্ত হিসেবে এই দলগুলো বলছে, দেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের কোনো প্রয়োজন নেই।
আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া।
মন্তব্য করুন