আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আর্মি চিফ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি দু-একটা পত্রিকায় দেখেছি। আর অনলাইনে এটা নিয়ে নানা গুজব-গুঞ্জন হয়েছে দেখেছি। এসব গুজব গুঞ্জন নিয়ে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
তিনি বলেন, আর্মি চিফ আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই দেখা করেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও আগে দেখা করেছেন। তো আমি মনে করি না এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু আছে।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনেকে ভাবছে কেয়ারটেকার সরকার হবে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমি এ ধরনের কোনো সম্ভাবনার ব্যাপারে অবগত নয়।
তিনি বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এটা প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলেছেন। নির্বাচন কমিশনকেও সেরকম ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়েছে। উনারা সব পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তার আগে কিছু বিষয়ে যে মতভিন্নতা রয়েছে মতভেদ রয়েছে, আমরা আশা করি সেটা দূর হয়ে যাবে।
নির্বাচনকালীন সরকার গঠন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে অবস্থান সেটা আমরা বারবার বলেছি আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড আছে, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে। এখানে পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে গত এক বছরে মাঝেমধ্যে বেশ অবনতি হয়েছে, আবার ভালো হয়েছে। একটা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে বা বিপ্লব পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজে বিভিন্ন রকমের অস্থিরতা থাকে এবং এই সমস্ত অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাঝেমধ্যে অবনতি ঘটে, সেটা যতই দুঃখজনক হোক হতাশাজনক হোক এটা অস্বাভাবিক বলে মনে করি না। আমরা এ রকম সিচুয়েশন আগে ট্যাকেল করেছি, ইনশাল্লাহ আবার ভালো হবে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪ এর উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এই ভাষণ দেন।
সংস্কারের বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে। যেমন ধরুন-কোন বয়সে একজন নাগরিক ভোটার হতে পারবে তার জন্য নানা দেশে নানা বয়স নির্ধারণ করা আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিশ্চয়ই এরকম একটা বয়স সুপারিশ করবে। সে বয়স আমার পছন্দ হতেও পারে না-ও হতে পারে। ধরুন আমি তরুণদের তাড়াতাড়ি ভোটার করার পক্ষে। যে যত তরুণ, পরিবর্তনের প্রতি তার আগ্রহ তত বেশি—এই হলো আমার যুক্তি। তরুণরা তাকে শক্তি যোগায়। তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা তাকে এই শক্তি যোগায়। তরুণরা সংখ্যায়ও বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার মতামত নেওয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কি ধরনের সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে ঐক্যমতে পৌঁছার জন্য আমি তা মেনে নেব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের যে মহান দায়িত্ব ঐতিহাসিক কারণে আমাদের কাছে এসে গেছে এই দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেককে যার যার অবস্থান থেকে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর প্রত্যেককে দৃঢ়তার সঙ্গে সংস্কারের এই মহাযজ্ঞে আনন্দের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল বাংলাদেশকে মুক্ত করেনি, আমাদের স্বপ্নকেও তুমুল সাহসী করে তুলেছে। বাকহীন বাংলাদেশ জোরালো কণ্ঠে আবার কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়েছে। এই দৃঢ় কণ্ঠ ঐক্য গঠনে সোচ্চার হয়েছে। ঐক্য আমাদের মূল শক্তি।
জুলাই অভ্যুত্থান আমাদেরকে ঐতিহাসিক মাত্রায় বলিয়ান করেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গত পাঁচ মাসে এই ঐক্য আরও শক্তিশালী হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার ক্রমাগত প্রয়াস চালাতে থাকায় আমাদের ঐক্য আরও মজবুত হচ্ছে। এই ঐক্যের জোরেই এখন আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সকল নাগরিকের জন্য সম্পদের ও সুযোগের বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন- প্রতিটি নাগরিকের, তিনি নারী হোক, আর পুরুষই হোক তিনি যেন বিনা বাধায় তো বটেই বরং রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে যে কোনো পর্যায়ের উদ্যোক্তা হতে পারেন বা তিনি যে ধরনের কর্মজীবন চান তাই বেছে নিতে পারবেন। এমন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবেশ থাকবে যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু এই পরিচিতি অবান্তর হয়ে পড়বে। সবার একটিই পরিচয়-আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং রাষ্ট্র আমাকে আমার সকল অধিকার প্রদান করতে বাধ্য।
ড.ইউনূস আরও বলেন, রাষ্ট্রের কাছে এবং অন্য নাগরিকের কাছে আমার আর কোনো পরিচয় দেবার প্রয়োজন হবে না। যেখানে ব্যক্তি বন্দনার কোনো সুযোগ থাকবে না। দেশের ভেতরে বা বাইরে প্রভু-ভৃত্যের কোনো সম্পর্কের সুযোগ থাকবে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে হবো বিশ্ব নাগরিক। দেশের মঙ্গল সাধন করা যেমন হবে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব, তেমনি বিশ্বের মঙ্গল সাধন করাও আমাদের কর্তব্য, এ দায়িত্বও আমরা সমানভাবে পালন করব। আমাদের তরুণ-তরুণীরা দ্রুত এই দুই দায়িত্ব সমানভাবে পালন করার জন্য প্রস্তুতি নেবে।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের যোদ্ধাদের স্মরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের সকল যোদ্ধাদের। বিশেষ করে অভিবাদন জানাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ছাত্রজনতাকে। যারা আহত হয়েছেন, চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন, যাদের অঙ্গহানি হয়েছে তাদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তাদের প্রেরণা ও অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না।’
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর দ্রুত সফলভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদেরকে সকল শক্তি নিয়োজিত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হবে সকল ধরনের বৈষম্য অবসানের রাজনৈতিক আয়োজন নিশ্চিত করা, এদেশে গণতান্ত্রিক ও নাগরিক সমতা ভিত্তিক একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সকল রকমের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের পথে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন- এই তিন লক্ষ্যের কোনোটিকে ছাড়া কোনোটি সফল হতে পারবে না। ঐক্যবিহীন সংস্কার কিংবা সংস্কারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে না। পাশাপাশি আমরা ভুলতে পারি না যে, আমাদের ছাত্র-জনতা অটুট সাহসে শিশুহত্যাকারী ও পৈশাচিক ঘাতকদের মোকাবিলা করেছে। মানবতার বিরুদ্ধে এমন নিষ্ঠুরতাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে। যারা ভোটার তারা তো অংশগ্রহণ করবেনই, তার সঙ্গে যারা ভবিষ্যতে ভোটার হবেন তারাও সর্বাত্মকভাবে সংস্কারের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করুন।
তিনি বলেন, সংস্কারের কাজটা নাগরিকদের জন্য সহজ করতে আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করে দিয়েছি। তাদের প্রতিবেদন আমরা জানুয়ারি মাসে পেয়ে যাব। প্রত্যেক সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব হলো প্রধান বিকল্পগুলো চিহ্নিত করে তার মধ্য থেকে একটি বিকল্পকে জাতির জন্য সুপারিশ করা। যার যার ক্ষেত্রে সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কিভাবে রচিত হবে তা বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সুপারিশমালা তৈরি করে দেওয়া। এতে নাগরিকদের পক্ষে মতামত স্থির করা অনেকটা সহজ হবে। তবে কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, সব ক’টা কমিশন মিলে আমাদের সামনে বহু সুপারিশ তুলে ধরবে। আমরা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি যে যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐক্যমতে পৌঁছে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই। আপনাদের আজকের সংলাপ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একটি প্রক্রিয়া তুলে ধরে আমাদের এই দায়িত্বকে সহজ এবং গতিময় করে দেবে আশা করছি।
সংলাপের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, আগের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী কর্মসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। যদিও কিছু জটিলতা এখনো রয়ে গেছে।
সম্প্রতি বাসসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে আমরা বিশ্বাস করি, গত এক বছরে আমরা বাংলাদেশের স্বার্থকে সামনে রেখে সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছি, আমরা কতটা সফল হয়েছি তা জনগণ এবং সিভিল সোসাইটি মূল্যায়ন করবে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছে, যেখানে জাতীয় স্বার্থ ও পারস্পরিকতা অগ্রাধিকার পেয়েছে এবং একই সঙ্গে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক রক্ষা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা বিশ্বাস করি, গত এক বছরে আমরা বাংলাদেশের স্বার্থকে সামনে রেখে সব দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছি। আমরা কতটা সফল হয়েছি তা জনগণ এবং সিভিল সোসাইটি মূল্যায়ন করবে।
উপদেষ্টা বলেন, এই ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি গত এক বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সফলতার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কৌশলে এটাই চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
তৌহিদ বলেন, বর্তমান প্রশাসন ‘বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক’ একটি কৌশল নিচ্ছে যা ‘আলোকিত স্বার্থবোধ’-এর ভিত্তিতে গঠিত।
তিনি বলেন, যদি আমরা ভারতকে কিছু দিই, তাহলে আমি আশা করব আমরা ভারতের কাছ থেকেও সমপরিমাণ বা তার চেয়েও বেশি কিছু পেতে পারব—এটি কেবল ভারতের ক্ষেত্রেই নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
তিনি উল্লেখ করেন, দুটি নির্দিষ্ট প্রবণতায় লক্ষণীয় হ্রাস দেখা গেছে। ভারতের দিকে ক্রস-বর্ডার কেনাকাটায় যাওয়া এবং চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য ভ্রমণ।
উপদেষ্টা বলেন, আমি এটা বাংলাদেশ জন্য ক্ষতি হিসেবে দেখি না।’ তিনি মনে করেন, এই ভোক্তা ভ্রমণ হ্রাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কম।
চিকিৎসা পর্যটন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগের মতো মানুষ এখন আর ছোটখাটো চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছে না, বরং চীন ও থাইল্যান্ডের মতো দেশে যাচ্ছে, বিশেষত যেসব সেবা এখনো বাংলাদেশে নেই।
‘আগে অনেক মানুষ ছোটখাটো চিকিৎসার জন্যও ভারতে যেত, যা আসলে অপ্রয়োজনীয় ছিল’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য ভারত ভ্রমণ কমে যাওয়ায় দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ছয়জন অদম্য নারীকে বিশেষ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (০৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই সম্মাননা তুলে দেন।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যেসব নারী এই সম্মাননা পেয়েছেন, তারা হলেন— অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য শরিফা সুলতানা, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অবদানের জন্য হালিমা বেগম, সফল জননী হিসেবে মেরিনা বেসরা, জীবনসংগ্রামে জয়ী নারী হিসেবে লিপি বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের জন্য মো. মুহিন (মোহনা) এবং বিশেষ সম্মাননা হিসেবে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল।
এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা নারীর ক্ষমতায়ন ও সমাজে তাদের অসামান্য ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরূপ এ ধরনের সম্মাননা ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্ধারিত সময়সীমা মাথায় রেখে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
রোববার এক বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, সোমবার সাভারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০ ডকুমেন্ট স্ক্যানার এবং ৪৩০০ ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউএনডিপি। আগামীকাল থেকে দেশজুড়ে এই কার্যক্রম শুরু হবে।
এই কার্যক্রমে অংশ নেবেন প্রায় ৬৫ হাজার কর্মী। সিইসি জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অন্যান্য ধাপেও তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, চলতি বছরের শেষ অথবা আগামী বছরের শুরুর দিকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দাবি করা হলেও সিইসি নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ছয় মাসের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ছয় মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে এতে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে প্রায় ১৯ লাখ ভোটার যুক্ত হতে পারেন।
মন্তব্য করুন
সৌদিসহ বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন ভলান্টিয়ারি পেনশন এবং সেভিং প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সবশেষ আর্টিকেল আইভি কনসালটেশন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল ইকতিসাদিয়া। খবর সৌদি গেজেট
মূলত গৃহস্থলী সঞ্চয় বাড়ানোর জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে এবং বিদেশে কর্মীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি উন্মোচন করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সৌদি আরব থেকে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) গত বছর ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৪.২ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৩৮.৪ বিলিয়ন ডলার)। গত এক দশকে (২০১৫–২০২৪) এর মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৪৩ ট্রিলিয়ন রিয়াল।
২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে সৌদি আরবে সামাজিক বীমা ব্যবস্থার আওতায় ১২.৮ মিলিয়ন গ্রাহক ছিলেন, যাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ প্রায় ১ কোটি ছিলেন প্রবাসী।
আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সম্প্রতি বাস্তবায়িত পেনশন সংস্কার, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুমোদিত হয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে অবসরের বয়স বৃদ্ধি এবং পেনশন সুবিধায় সীমাবদ্ধতা আরোপ।
আসন্ন ভলান্টিয়ারি পেনশন ও সঞ্চয় কর্মসূচি সৌদি নাগরিক ও প্রবাসী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ফলে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবের কারণে দেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক সময় পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর বিজয় স্মরণীর সামরিক জাদুঘরে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু আজ নয়, শুরু থেকেই দেখা গেছে, মন্ত্রণালয়গুলো একে অন্যের সঙ্গে সমন্বয় না করে নিজেদের মতো কাজ করে যাচ্ছে। কেউ রাস্তা মেরামত করে, কিছুদিন পরই আরেক সংস্থা এসে তা কেটে ফেলে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়।
তিনি আরও বলেন, হাইড্রোগ্রাফি বিভাগ শুধু সামরিক ও নৌ-নিরাপত্তা নয়, বরং সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সাখাওয়াত হোসেন হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যকে ‘সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারের রূপরেখা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, বিশদ, হালনাগাদ ও নির্ভুল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। এটা না থাকলে ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন এবং হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
অস্থায়ী পাসের মাধ্যমে আগামীকাল সোমবার থেকে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন, জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার আজকের শেষ দিন। তাই আজকে কাউকে সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, অতীতে ৩ হাজারেরও বেশি অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, তবে সবাই সাংবাদিক নন। এ কারণে এসব কার্ডের যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। সাংবাদিকদের আবেদন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নতুন স্থায়ী পাস প্রদান করা হবে। ওই সময় পর্যন্ত কিছু সংখ্যক সাংবাদিককে অস্থায়ী পাস দেওয়া হবে।
তথ্য উপদেষ্টা আরও জানান, তারা সাংবাদিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে সচিবালয়ে এবং বাইরে যারা সংগঠন রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি নির্দিষ্ট অস্থায়ী পাসের ব্যবস্থা করবেন। আগামীকাল (সোমবার) থেকে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে বর্তমানে থাকা সব পাস বাতিল হবে।
এর আগে, শুক্রবার সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য বেসরকারি ব্যক্তিদের দেওয়া সমস্ত অস্থায়ী পাস বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এছাড়া, সাংবাদিকদের জন্য দেওয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়েও সচিবালয়ে প্রবেশাধিকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মো. খোদা বখস চৌধুরীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণে সচিবালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হত্যা মামলা ও হরিরামপুরে মারধর ও ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সোয়া ১১টায় মমতাজ বেগম আদালতে হাজির হওয়ার পর মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দা এলাকায় হরতাল সমর্থনে এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে গত ২৫ অক্টোবর সিংগাইর থানায় হত্যার মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী গোবিন্দা গ্রামের মো. মজনু মোল্লা।
এছাড়া, মমতাজ বেগমের নির্বাচনী এলাকা হরিরামপুরে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে আরেকটি মামলা রয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন এই মামলা করেন।
আদালত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুন নূর ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে মমতাজ বেগমের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ঢাকার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মমতাজ বেগম ৪ দিনের রিমান্ডে ছিলেন। রিমান্ড শেষে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জন। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫৭ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৫৮ জনে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে দুজন এবং বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৩০ জন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ২১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৯ জন, খুলনা বিভাগে ১০১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩১ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৭ জন, রংপুরে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫১ জন ও সিলেট বিভাগে তিনজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
মন্তব্য করুন
জুলাই প্রক্লেমেশন বা জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা জানাতে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, এবং জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, 'প্রোক্লেমেশন অব রিভ্যুলেশনের' পক্ষে ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই অভ্যুত্থানে যেমন দেশের প্রতিটি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, আমরা বিশ্বাস করি এই ঘোষণাপত্রে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, সরকার এখনও ঘোষণাপত্র নিয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেয়নি। অভ্যুত্থানে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের আহ্বান থাকবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগির কাজ শুরু করবে। আমরা চাই, সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, 'জুলাই বিপ্লবের' ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের কার্যক্রম এখনও দৃশ্যমান নয়। এ বিষয়ে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের আহ্বান থাকবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগির কাজ শুরু করবে। আমরা চাই, সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন