ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতি গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজে লাগানো না গেলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, "জাতি গঠনে আমাদের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এই সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে যাবে। দেশের স্বার্থে সবাইকে বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ গঠন করা হয়। জাতির উন্নয়ন যাত্রায় নৌ ও বিমান বাহিনী বরাবরের মতোই দক্ষতার সঙ্গে জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “বিগত সময়ে যেমন সবার সহযোগিতা পেয়েছে, ভবিষ্যতেও জনগণ তা পাবে বলে আশা করি।” এবারের পরিচালনা পর্ষদকে দক্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন, "সম্প্রতি নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও আপনারা যেভাবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন, তা প্রকৃতপক্ষে পেশাদারিত্বের প্রমাণ। ভবিষ্যতেও এ ধারা বজায় থাকবে বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।”
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানেরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
"নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪" এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, এবং প্রতিরক্ষা সচিবও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোকচিত্রে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে তাঁর মূল্যবান মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। পরে তিনি বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের প্রাঙ্গণে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিধিনিষেধের এই ঘোষণা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দিলেও এই বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন আরও এক ব্যক্তি।
তার নাম ডোনাল্ড লু। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা করলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও মার্কিন ভিসা পাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ডোনাল্ড লুর নামই উঠে এসেছিল।তৎকালীন পিটিআই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেছিলেন খোদ ইমরান খান। সেই ঘটনার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড লু। আর এবার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইস্যুতে নতুন ভিসানীতি প্রকাশের পর মার্কিন এই কূটনীতিকের নাম অলোচনায় এসেছে।পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের পর ডোনাল্ড লু নামটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার তার অপসারণের পেছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড লুকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব বকবক করছেন, বেশি কথা বলছেন, মনে হচ্ছে বিএনপির জন্য উনার খুব মায়াকান্না। বিএনপির ভাবনায় উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মুরগির বাচ্চার জন্য চিল যেমন মায়াকান্না করে ওবায়দুল কাদেরের কান্নাও সে রকম।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে 'দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী-খান সোহেল, সহ সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলসহ সব রাজবন্দির মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে' এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) মাঝে মাঝে আওয়াজ দেন বিএনপি নাকি দুর্বল হয়ে গেছে, বিএনপি ক্লান্ত, হতাশ, বিদেশ চলে যাচ্ছে। তারা যে ভেতর থেকে ধ্বসে গেছে, ভেঙে গেছে- এটা চাপা দেওয়ার জন্যই তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, জনগণের সঙ্গে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করা। জনগণের মালিকানা ছিনিয়ে নেওয়া। এ কারণে তাদের (আওয়ামী লীগ) জনসমর্থন নেই। কয়েকজন সুবিধাবাদী লোক, কয়েকজন ঋণ খেলাপি, কয়েকজন বাজার সিন্ডিকেটের লোক আওয়ামী লীগকে ঘিরে আছে। এরা তো গণশত্রু, যারা বাজার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের দাম বাড়ায়, যারা ব্যাংক লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করে। তাদের সঙ্গে তো দেশের জনগণ থাকে না। এই সরকারের সঙ্গে জনগণের সমর্থন নাই। জনগণের সমর্থন পাবে না বলে তারা এখন ফাঁকা বুলি মারে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার আবার একটি ডামি নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজন যাতে না দাঁড়ায় সেজন্য কেন্দ্র থেকে নিষেধ করেছে। তারপরও মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনরা দাঁড়িয়েছে এবং তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর তো ২০ থেকে ২৫ জন আত্মীয়-স্বজন আছেন। তারা যদি ভোটে দাঁড়াতে পারেন তাহলে আমরা বাদ যাব কেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
সেপ্টেম্বর মাসের মতো চলমান অক্টোবর মাসেও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবরের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ১৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, চলতি অক্টোবর মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকারও বেশি রেমিট্যান্স আসছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্স আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪০ কোটি ৮২ লাখ ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪০ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে এই সময়ে ১১টি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এদের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২.৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) প্রায় ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে, যার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে, যার পরিমাণ ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন বা ২,৪৭৮ কোটি ডলার।
মন্তব্য করুন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কুমিল্লার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মহালক্ষী পাড়া উত্তর মোল্লা বাড়ির অধিবাসী।
মোজাম্মেল হক প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের সদস্য এবং মহাপরিচালক পদ-মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পেশাগত জীবনে তিনি চীনে উপ-রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং মেক্সিকো ও যুদ্ধকবলিত লিবিয়ায় অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং দায়িত্বে কাজ করেছেন।
এছাড়া, তিনি হেডকোয়ার্টারে নবগঠিত দক্ষিণ আমেরিকা অনুবিভাগের প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং রাষ্ট্রচার, সার্ক-বিমসটেক এবং আফ্রিকা অনুবিভাগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের স্বাক্ষরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের চাকরি এখন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টায়) প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।
সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবার একটি সম্পাদকীয়তে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অন্য ডেমোক্র্যাটকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেনকে ‘একজন মহান সরকারি কর্মচারীর ছায়া’ হিসেবে বর্ণনা করে সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় পরিষদ বলেছে, “প্রেসিডেন্ট এবং ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন- তার নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি কী করবেন, তার ব্যাখা দিতে হিমশিম খেয়েছেন। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে। হিমশিম খেয়েছেন ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতে। একাধিকবার তিনি একটা বাক্য শেষ করতে গিয়ে সংগ্রাম করেছেন।”
বাইডেন এখন যা করতে পারেন, তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না—এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।
ট্রাম্প ও বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে এর যেকোনোটি বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করার মধ্য দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি গ্রহণ করার কোনও কারণ দলের নেই। আমেরিকানরা যা নিজেদের চোখে দেখেছেন, বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা তারা এড়িয়ে যাবেন বা হিসেবে নেবেন না— সরলভাবে এটা আশা করা হবে এক বড় জুয়া’, বলেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
মন্তব্য করুন
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে টোল পরিশোধের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারকে পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস। এতে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
প্রাইভেটকারের ভেতরে আটকা পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহতদের দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হলেও পথেই আরও চারজনের মৃত্যু হয়। আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানি জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় গতকাল রাতে দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিন আরোহী নিহত হয়েছে। মধ্যরাতে সদর উপজেলার বুড়িচং সড়কের পালপাড়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার কাউসার খলিলের ছেলে আহাদ হোসেন, ভুবনগড় এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে মিনহাজুল, এবং বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইমন।
নিহত আহাদের মামা পাপন জানান, আহাদ ও ইমন, আড়াইওরা মধ্যমপাড়া এলাকায় মামার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ভিডিওগ্রাফার মিনহাজুলকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে তাদের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিনুল ইসলাম জানান, গতকাল আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় বুড়িচং সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটির কাছে এ সুপারিশ করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির পুলিশ সংস্কার কমিটির প্রধান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটি বিএনপির কাছে সুপারিশ না চাইলেও আমরা সুপারিশমালা দিয়েছি। রাষ্ট্রের এই অত্যাবশ্যকীয় সেবার (পুলিশ) সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সুপারিশমালায় বিএনপি পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা।সুপারিশে পুলিশ বাহিনীকে সঠিক দিকনির্দেশনা, পরামর্শ এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি পুলিশ কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন স্বরাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান।
সুপারিশে স্থানীয় পর্যায়ে পুলিশকে অপরাধ দমনে সহায়তা দেওয়া, জনসাধারণ-পুলিশ সম্পর্ক উন্নয়নে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রত্যেক উপজেলা-থানায় একটি নাগরিক কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য, সুশিক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে এ কমিটি গঠিত হবে।
সুপারিশে বিএনপি আরও বলছে, পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোয় থাকা র্যাব ইতোমধ্যে দেশে এবং বিদেশে ব্যাপকভাবে নিন্দিত ও সমালোচিত হয়েছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং সুধীজন র্যাবকে দেশে সংঘটিত অধিকাংশ গুম, খুন, নির্যাতন ও নিপীড়নের জন্য দায়ী করেছে। বাহিনীটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে র্যাবকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হলো। র্যাবের দায়িত্ব আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং থানা পুলিশ যেন পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশিংয়ে জোর দিয়েছে বিএনপি। তারা বলছে, এর মাধ্যমে সমাজে বিবিধ অপরাধ প্রবণতা এবং সামাজিক অস্থিরতা কমবে, পুলিশ-জনসাধারণের মধ্যে দূরত্ব কমবে, জনসচেতনতা বাড়বে এবং আইনের শাসন জোরালো হবে। এই উদ্দেশ্যে গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি ইউনিয়নে এবং শহরাঞ্চলে প্রতিটি ওয়ার্ডে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে থেকে একজন কমিউনিটি পুলিশ কর্মকর্তা (উপ-পরিদর্শক পদের নিচে নয়) নিয়োজিত হবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকায় তার একটি অস্থায়ী দপ্তর থাকবে।
তিনি নিয়মিতভাবে এলাকার গণপ্রতিনিধি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, ইমাম, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, মহিলা সমাজ, কৃষক ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করবেন। সবার অংশগ্রহণে প্রাপ্ত সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কমিউনিটি পুলিশ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকায় অপরাধ দমন ও নিবারণে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেবেন।
এ ছাড়া এলাকায় জমি সীমানা, সম্পদ মালিকানা, মানহানি বা অন্য কারণে মতবিরোধ, গৃহবিবাদ, শিশু ও নারী নির্যাতন, মাদক সেবন, জুয়া, সুদ, গ্যাং কালচার, সাম্প্রদায়িক উসকানি ইত্যাদি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চালাবেন।
মন্তব্য করুন
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষসেরা দেশ নির্বাচন করেছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। ২০২৪ সালের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। এই উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
নির্বাচন আয়োজনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসলে আমার চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার পূর্বের কাজ উপভোগ করছিলাম, তাই প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে অন্য কিছু করার জন্য আমাকে টেনে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরা এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব, যা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।
নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাব : প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন / সমবায়ী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটি শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় নয়। বাংলাদেশ যা করেছে তা একটি উদাহরণ, যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া, যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতা রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে এবং সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়; তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।
প্রসঙ্গত, বর্ষসেরা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ বলেছে, সেরা দেশ বেছে নেওয়া হয় আগের ১২ মাসে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে এমন দেশকে। তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ধনী, সুখী বা নৈতিকভাবে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবে বিবেচিত না হলেও, তা নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য উন্নতির ভিত্তিতে।
এবারের সেরা দেশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকায় ছিল পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও সিরিয়া, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পোল্যান্ড ছিল এই তালিকায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বেছে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘ইকোনমিস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দেশের সাম্প্রতিক বিজয় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে ছাত্রদের নেতৃত্বে একটি স্বৈরশাসককে উৎখাত করা হয়েছে। আগস্টে ছাত্ররা রাজপথে আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যিনি ১৫ বছর ধরে দেশটি শাসন করছিলেন। এর আগে তিনি এক সময় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে তার শাসনামলে দমনপীড়ন, নির্বাচন কারচুপি এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের সময় সাধারণত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। তবে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেটি ছাত্র, সেনাবাহিনী, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের সমর্থন পেয়েছে। এই সরকার শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করেছে। ২০২৫ সালে এই সরকারকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে দেশের আদালত নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এবং বিরোধী দলগুলোকে সংগঠিত হওয়ার সময় দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে, কিন্তু তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।
এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এবং অন্যান্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন সেজন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পিডি পুল করতে হবে। চিকিৎসকেরা যদি পিডি হন তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের জন্য নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই। আগের মতো সুতা লাগানো ঋণ নেওয়া হয় না। কারণ, ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে এসব থাকলে আমরা সেই ঋণ নেই না।
আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন