

স্টাফ রিপোর্টার:
পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সাবেক পরিচালক মো. ফজলুল হক, সাবেক পরিচালক মুন্সী মুয়ীদ ইকরাম, টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাহেনা হক ও পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় পাসপোর্টের আবেদনপত্রের পেশা ক্রমিকে অসদাচরণ ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রাইভেট সার্ভিস উল্লেখ করেন।
সেইসঙ্গে অন্য আসামিরা বেনজীরের দাপ্তরিক পরিচয় সম্পর্কে জেনেও বিভাগীয় অনাপত্তি সনদ সংগ্রহ ও যাচাই না করে পরস্পর যোগসাজশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে ওই অভিযোগে বলা হয়।
মন্তব্য করুন


আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারবো কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা, আমাদের চাপ সৃষ্টি করে যেতে হবে যাতে তারা স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সাথে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়।
তিনি জানান, বার্মিজ সামরিক জান্তাকে খুশি করার জন্য তথাকথিত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’র ঘনিষ্ঠ চাটুকার ও কিছু কূটনীতিক রোহিঙ্গাদের জন্য এক নতুন নাম তৈরি করেছিলেন- FDMN, অর্থাৎ 'জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক'। এই শব্দটি আসলে বার্মিজ গণহত্যার মূল আখ্যানকে মেনে নেয়ার একটি কৌশল, যেখানে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গারা কোনো 'FDMN' নয়- তারা শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতির ধারক একটি জাতি। 'FDMN' শব্দটি ব্যবহার করে তাদের প্রকৃত পরিচয়, সম্মান ও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, চীনের কুনমিং শহরে এবং ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে, তখন তারা দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রকৃত পরিচয়ে পরিচিত করে ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে। জান্তার কর্মকর্তারাও শেষমেশ এই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে তারাও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করতে শুরু করেন। (আমি নিজে ওই দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম)
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে আগামী বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠাতে পারব কিনা। বিশেষ করে রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখল প্রক্রিয়ার ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। তবে গত কয়েকদিনে যেটা দেখেছি, তা আমাদের নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকদের এক সাহসী ও দৃঢ় অবস্থান। মিয়ানমার জান্তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছে। এখন দরকার টানা কূটনৈতিক চাপ বজায় রাখা, যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, পূর্ণ মর্যাদা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়।
মন্তব্য করুন


অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ১৫ জেলা ও আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চলে ১-৩ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা করা হচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল মধ্যরাতে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৫ জেলা ও এর আশপাশের দ্বীপ-চরাঞ্চল ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার।
এমন অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশে ফিরতে আরও সহজ করে তুলতে মাল্টিপল (একাধিক) প্রবেশাধিকার ভিসা ইস্যু করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহদ শুহাদা ওসমান সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।
গত বছরের মে মাসে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিককে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়াকে অনুরোধ জানান।
হাইকমিশনার জানান, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে এক সভা করেছে এবং মঙ্গলবার এ বিষয়ে আরেকটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা গত অক্টোবরে ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি আশা করেন, মালয়েশিয়া দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে, যাতে পরবর্তী ব্যাচের বাংলাদেশি শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তিনি মালয়েশিয়াকে আসিয়ানের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে গ্রহণ এবং পরবর্তীতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।
ড. ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশ আসন্ন আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সংকট সম্মেলনে আসিয়ানের সমর্থন চাইবে, যা ২০২৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের রেজ্যুলিউশন ৭৯/১৮২-এর আলোকে আহ্বান করা হবে।
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবশক্তির সুবিধা গ্রহণ করতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং মালয়েশিয়ার কারখানাগুলো বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক বৈঠকে (বিসিএম) অংশগ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে একটি সুবিধাজনক তারিখের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যভাগে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ‘৫ম যৌথ কমিশন’ বৈঠক আয়োজনের জন্যও প্রস্তুত।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


ডেস্ক রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সারজিস আলম বলেছেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকড় হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, ২৪-ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করে তার স্বামীর সংসারে পাঠিয়ে দিলেন। ঘোষণাপত্রে এর স্বীকৃতি দেয়া উচিত কিনা। জুলাই-আগস্ট ২৪ এর অভ্যুথানের বিষটি একটি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেয়া হোক। আজ বুধবার দুপুরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ইটাখোলা মোড়ে এই লিফলেট বিতরণ লে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি এবং জনমত গঠনে নরসিংদীতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় পথ সভায় কথা বলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংঘঠক সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই-আগস্ট ২৪ এর স্বমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহকায়ক সারোয়ার তুষার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই কর্মসূচিতে নরসিংদী ও শিবপুরের শত শত সমন্বয়ক শিক্ষার্থী-জনতা অংশ নেয়। পরে দিনব্যাপী নরসিংদীর শিবপুর, সদরসহ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সারজিস আলম আলম আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা জুলাই অভুথ্যানের নেত্রীতের কথা পরিস্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্যাসিবাদি রাষ্ট্র ব্যাবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র প্রধান লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না; বরং গত ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে।
আমাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না। তা আর হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।
মন্তব্য করুন


দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, "আমরা চেষ্টা করছি, বিশাল অংকের টাকা। সব টাকা আনতে সময় লাগবে। তাদের শনাক্ত করতে হবে। পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন। এখানে কতগুলো আইনের পদক্ষেপও রয়েছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গেও জড়িত। এ জন্য একটি বিশেষ আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, শিগগিরই যা অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।"
সরকার কয়েকশ কোটি ডলার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, "হ্যাঁ, এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।"
মন্তব্য করুন


স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক অন্তবর্তীকালীন সরকাকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, অনন্তকাল ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখবেননা। বরং আপনাদের যে দায়িত্ব রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার গুলোর জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আগামী নির্বাচনের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনে নোয়াখালী খেলাফত মজলিসের গণ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আগস্টের বিপ্লব প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। আগে দেশ বাঁচান, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখুন। আগস্টের বিপ্লব ব্যর্থ হলে কোনো বাংলাদেশী বাংলাদেশে থাকতে পারবেনা। তাই সকলে মিলে স্বৈরাচারী মাফিয়া হাসিনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জবাবদিহিতা করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দল গুলোকে এক সাথ হয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, সব জায়গায় ষড়যন্ত্রের জাল উঠছে। তাই এখনো গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখনো আমাদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধ ও প্রতিযোগিতার সময় তৈরী হয়নি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউছুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাশেম,যুগ্ম মহাসচিব তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী প্রমূখ।
মন্তব্য করুন


জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরশাসকরা একবার ক্ষমতা থেকে চলে গেলে আর ফিরে আসে না। আওয়ামী লীগের যুগের শেষ সময় এসে গেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে দেখা গেছে, একবার পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসকরা আর ফিরে আসতে পারেনি। এরা মূলত ডামি সরকার। সামান্য ধাক্কাতেই ভেঙে পড়ে।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড়মাঠে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল, আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল কথিত ‘মিডনাইট নির্বাচন’। তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনও ছিল একটি প্রহসন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার হুংকার দিচ্ছে যে তারা আবার ফিরে আসবে এবং আগের মতো ক্ষমতা দখল করবে। কিন্তু জনগণ তাদের এসব ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, বিগত সময়ের শাসকরা জনগণের আমানতের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তারা জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন, চুরি-ডাকাতি ও লুটপাট করেছেন এবং সেই অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ভারত যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অশান্তির কারণ না হয়। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধগুলোর তদন্তের ভিত্তিতে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের বিপদের মুখে ফেলে দিয়ে ইসলামপন্থীদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই। এটি বৈষম্যের প্রমাণ। আগামী পরিকল্পনা কমিশনে ঠাকুরগাঁওয়ের জন্য একটি বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, শিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন


ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরাইলি কমান্ডোরা। পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার একমাত্র জাহাজ দ্য ম্যারিনেটকেও শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ফিলিস্তিনি উপকূলের কাছে ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে।
লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরাইলি সেনারা জোরপূর্বক জাহাজটিতে প্রবেশ করছে।
ছয়জন নাবিক নিয়ে যাত্রা করা পোল্যান্ডের পতাকাবাহী ম্যারিনেট ছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ কার্যকর জাহাজ। এর আগে বহরের ৪৩টি জাহাজ আটক করে দখলদার বাহিনী।
ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরাইল।
তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরাইলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
মন্তব্য করুন


সংস্কার ও জুলাই সনদ বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডোরচেস্টার হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই সনদ নিয়ে কোন কথা হয়েছে কি না যৌথ বিবৃতিতে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে দেশে অলরেডি আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে অলরেডি সিদ্ধান্ত আছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ঐকমত্যের পরিপেক্ষিতে আমরা সংস্কার ও জুলাই সনদ দুটোই করবো। ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে যৌথ বিবৃতি করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবির।
এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডোরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শেষ হয় প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠক।
মন্তব্য করুন


পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন চালের প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে জাহাজটি বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করে। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে রাতেই চাল খালাস শুরু হবে।
এটি স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে সরাসরি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় সম্পন্ন হলো। দুই দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে এই চাল আমদানি করা হয়েছে। খাদ্য বিভাগের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির জন্য গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
খাদ্য অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। জিটুজি ভিত্তিতে এই আমদানির জন্য ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তানের চেয়ারম্যান সৈয়দ রাফিও বশির শাহ এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল খালেক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির আওতায় চালের প্রথম চালান নিয়ে আসা জাহাজটি গত ৪ মার্চ রাত ২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এরপর বুধবার দুপুর ২টায় জাহাজটি বন্দরের সিসিটি-১ টার্মিনালে নোঙর করে।
মন্তব্য করুন