ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ইসলামবিরোধী কেউ কোনো কথা না বলাসহ ১০ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে পল্টনস্থ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
যেসব বিষয়ে দুই দল একমত হয়েছে-
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ-মুক্ত স্বাধীন ও সার্বভৌম টেকসই রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সকল মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
৪. নূন্যতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সকল অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলবে না।
৮. আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
৯. ইসলামী শরিয়াবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলবে না।
১০. প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ার বরকতউল্লাহ বুলু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব আতিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
লুটের টাকা সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার (১৯শে মে) এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানায় প্রেস সচিব।
প্রেস সচিব জানায়, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, লুটের টাকা ম্যানেজমেন্টে একটি ফান্ড গঠনের জন্য। এই অর্থ ডিপোজিটর এবং একইসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘লুটের অর্থের পরিমাণ অনেক। এটি বাজেট বা অন্য কোনো খাতে না এনে পুরোপুরি দরিদ্র জনগণের জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
এছাড়াও বৈঠকে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
উল্লেখ্য, পতিত আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার ও লুট হওয়া অর্থ ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরইমধ্যে বেশ কিছু জায়গা থেকে লুট ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে। আর দেশে সাবেক সরকারের সুবিধাভোগীদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আর সেই অর্থই এবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় করার কথা জানাল সরকার।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিধিনিষেধের এই ঘোষণা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দিলেও এই বিষয়ে আলোচনায় রয়েছেন আরও এক ব্যক্তি।
তার নাম ডোনাল্ড লু। তিনি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা করলে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও মার্কিন ভিসা পাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় এই কূটনীতিক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতে বেশ আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে ডোনাল্ড লুর নামই উঠে এসেছিল।তৎকালীন পিটিআই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেছিলেন খোদ ইমরান খান। সেই ঘটনার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসেছিলেন ডোনাল্ড লু। আর এবার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ইস্যুতে নতুন ভিসানীতি প্রকাশের পর মার্কিন এই কূটনীতিকের নাম অলোচনায় এসেছে।পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের পর ডোনাল্ড লু নামটি সুপরিচিত হয়ে ওঠে। গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার তার অপসারণের পেছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সরাসরি ডোনাল্ড লুকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে তার সরকারকে উৎখাতের জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের মাধ্যমে তাকে হুমকি বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
আগামী ১৩ জুন লন্ডনের একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৯ জুন) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিএনপির নেতারা জানান, বৈঠকটি মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন। দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবনা ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এদিকে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন।
এই সফরে ড. ইউনূসের সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। সফরটি ঘিরে রয়েছে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক নানা তাৎপর্য।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সফরের অংশ হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। এ সময় তিনি রাজা চার্লসের কাছ থেকে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করবেন।
প্রেস সচিব আরও জানায়, লন্ডনে যাত্রার আগে ঢাকায় ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। ওই বৈঠকে সফরের বিভিন্ন দিক ছাড়াও আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী। সফরকালে বৈঠক হবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় নিয়েও।
চার দিনের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশাও প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এই ছুটির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার ছুটির অংশ হিসেবে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) সরকারি ছুটি থাকবে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজের স্বার্থে আগামী ১৭ মে ও ২৪ মে (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই ছুটির সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ১৭ ও ২৪ মে সব অফিস স্বাভাবিকভাবে খোলা থাকবে।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পেজে জানান, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এই ছুটির প্রেক্ষাপটে ১৭ ও ২৪ মে অফিস খোলা রাখা হবে।
খবরে জানা গেছে, ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে ৫ জুন এবং শেষ হবে ১৪ জুন। এর আগে, ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৯ দিনের ছুটি পালন করা হয়। প্রথমে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে নির্বাহী আদেশে বাড়তি এক দিন যুক্ত করে ছুটি ৯ দিনে উন্নীত করা হয়।
মন্তব্য করুন
চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সোমবার (১২ মে) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সিভিল সার্জন সম্মেলন - ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের প্রতি এ আহ্বান জানায়।
জেলা সিভিল সার্জনদের নিয়ে দু’দিনব্যাপী সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম বারের মত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘সবার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হলে অনেক জিনিস সমাধান হয়ে যায়। অনেক প্রশ্ন সমাধান হয়। আশা করি দেখা সাক্ষাতের কারণে অনেক সুফল পাবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য নিয়ে একে অপরকে দোষ দেই। দোষ দিলে সমাধান হবে না। আমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে। সেটা নিয়ে নিজেদের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অভাব ঘাটতির মধ্য দিয়েও ভালো করা সম্ভব। অন্তবর্তী সরকার নিজেদের সীমারেখার মধ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যতটুকু চিকিৎসা সরঞ্জাম বা সুযোগ সুবিধা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যে যদি আমরা পরিবর্তনের জন্য নিজের মন ঠিক করতে পারি তাহলে আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়ে যাবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন মানসিকতার উন্মোচন করছি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। স্বাস্থ্য সেবায় কোনো কাঠামো লাগে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ডাম্পট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- অটোরিকশাচালক মনিরুল মান্নান, যিনি পেকুয়ার ধনিয়াকাটার ছৈয়দ আলমের ছেলে; চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন এবং তাদের শিশু সন্তান। নিহত আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে পেকুয়া এবিসি এলাকায় মিনি ট্রাক (ডাম্পট্রাক) ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং দুইজন আহত হন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এ সময় তার বোন ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউতসহ একাধিক বিরোধী দলের সংসদ সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে আজ সোমবার সকালে দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে বিক্ষোভস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি আরো নাটকীয় হয়, যখন তৃণমূল সংসদ সদস্য মিতালি বাগ আচমকা অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।
দিনের শুরুতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল।
কিন্তু পুলিশ আগেই পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ঘেরাও করে আটক করা হয়। এই পরিস্থিতির জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভা দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
বিরোধীদের অভিযোগ — নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা পরিবর্তন ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে।
গত বছরের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই অভিযোগ বাড়ছে। কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) ও এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) অভিযোগ করেছে, ভোটার তালিকায় হেরফের করে বিজেপিকে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে—ফেডারেল নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের ছয় মাসের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে অস্বাভাবিক হারে নতুন ভোটার যোগ হওয়া। একই ধরনের অভিযোগ কর্ণাটকের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও উঠেছে।
গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দাবি করেন, ভোটার তালিকায় ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান—ভোটার তালিকার একটি খসড়া প্রকাশ করা হোক, যাতে বিরোধীরা ভুল খুঁজে বের করতে পারে।
বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়, যখন নির্বাচন কমিশন বিহারের ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া শুরু করে। যা রাজ্যের নির্বাচনের কয়েক মাস আগে চালু হয়। এই প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়।
আবেদনকারীরা অভিযোগ করেন, কমিশনের এই পদক্ষেপ তার ক্ষমতার বাইরে এবং সময়টি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—যাতে বিরোধীদের ভোটব্যাংক বাদ দেওয়া যায়। এ ছাড়া ভোটার পুনর্যাচাইয়ের জন্য আধার বা কমিশনের নিজস্ব পরিচয়পত্রের মতো সাধারণ সরকারি আইডি বাতিল করায় বিতর্ক বাড়ে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া চালু রাখতে অনুমতি দেয়, তবে নির্দেশ দেয় যেন প্রকৃত ভোটারদের বাদ না দেওয়া হয় এবং যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের আপিল করার যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই নেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধীর অভিযোগের জবাবে কমিশন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছে—তিনি যেন সই করা হলফনামায় প্রমাণসহ তার দাবি জমা দেন।
সূত্র : এনডিটিভি
মন্তব্য করুন
ডেস্ক রিপোর্ট:
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণীয় করতে গণভবনে দ্রুত একটি জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “জাদুঘরে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিভিন্ন দুঃসহ স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত থাকা উচিত।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনগণের অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর লাখো জনতা গণভবনে প্রবেশ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা গণভবনের দেয়াল এবং বিভিন্ন কক্ষে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি আঁকে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “গণভবনের এই জাদুঘরে একটি 'আয়নাঘর' পুনর্নির্মাণ করা উচিত, যেখানে শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে বিরোধী ও ভিন্নমত পোষণকারীদের আটক করে নির্যাতন চালাতো। জাদুঘরে পরিদর্শনকারী দর্শনার্থীরা এই আয়নাঘর দেখে নির্যাতনের সেই দুঃসহ স্মৃতিগুলো স্মরণ করতে পারবে।”
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টা দলকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনের ২০০৯ সাল থেকে ঘটে যাওয়া সকল অপকর্মের স্মৃতিগুলো এই জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে।” এছাড়া অন্যান্য দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মৃতিকে সংরক্ষণে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে জানার জন্যও বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। নির্বাচনের সময় নিয়ে দলগুলোর বক্তব্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। এতে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের, দলের নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা মাথার মধ্যে এটাই রাখছি- ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে চলে যাবো।
তিনি বলেন, এখন রাজনৈতিক দল তো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কথা বলে এবং ওইটা তো একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। আপনারা তো এটা সবসময় দেখেছেনই। বাংলাদেশে ট্রেডিশনালি এসব রাজনৈতিক কথাবার্তা হতো, এখনো ঠিক ওরকমভাবেই কথাবার্তা হচ্ছে। কথাবার্তায় খুব বেশি গুণগত পরিবর্তন হয়নি। ফলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কে কী বলবেন এটা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখবেন।
‘সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আছি। আমাদের স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) সর্বজন স্বীকৃত একজন বিশ্বপর্যায়ে নন্দিত মানুষ। উনি নিজে ঘোষণা করেছেন, তার এ ঘোষণা থেকে আমাদের পিছিয়ে আসার বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই।’ যোগ করেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মন্তব্য করুন
সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ মুহূর্তে অন্য কোনো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, "আমরা আগেই বলেছিলাম, আমাদেরকে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় এবং রাজনৈতিক মতৈক্য হয়, তাহলে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তবে যদি ব্যাপক সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।"
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, "একটি প্রশ্ন উঠেছিল, দুটি নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কিনা। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এতে কতটা সময় লাগতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।"
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন ধাপে ধাপে আয়োজন করতে গেলে এক বছর সময় লাগে। যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন পুরোপুরি আয়োজন করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। বর্তমানে জাতীয় নির্বাচনই নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। তবে সরকার যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।
আবুল ফজল আরও বলেন, "স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন হবে, তা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। তখন নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে, এটি জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।"
ইউএনডিপি ছাড়াও এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ এবং তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন